অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস

অতিনবতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাস শুরু হয় আনুমানিক ১৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে। প্রাচীন অতিনবতারার পর্যবেক্ষন প্রসঙ্গে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অতিনবতারার পর্যবেক্ষণে অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে।দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়নের পর থেকে অন্যান্য ছায়াপথের এবং অনেক আলোকবর্ষ দূরের অতিনবতারার পর্যবেক্ষণও সম্ভব হয়েছে।

ক্র্যাব নেবুলা হলো ১০৫৪ অতিনবতারা'র  সাথে সংযুক্ত একটি পালসার উইন্ড নেবুলা

অতিনবতারা পর্যবেক্ষণ থেকে আকাশগঙ্গার দুরত্ব নির্ণয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে অতিনবতারার সফল নকশাও আবিষ্কৃত হয় এবং একটি তারকা গঠনে অতিনবতারার ভূমিকা বিজ্ঞানীরা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

প্রাথমিক ইতিহাস

সম্পাদনা
ঐতিহাসিক অতিনবতারাগুলোর পর্যবেক্ষণের তালিকা
সাল পর্যবেক্ষণের অবস্থান সর্বোচ্চ
উজ্জ্বলতা
m
নিশ্চয়তার[১]অবস্থা
১৮৫ মহিষাসুর মন্ডল −৬ প্রস্তাবিত অতিনবতারা,[২] এছাড়াও ধূমকেতু[৩][৪]
৩৮৬ ধনু মন্ডল +১,৫ অতিনবতারা (অনিশ্চিত),[২], সম্ভবত নবতারা[৫]
৩৯৩ বৃশ্চিক মন্ডল −৩ সম্ভবত অতিনবতারা,[২][৫] সম্ভবত নবতারা[৫]
১০০৬ শার্দুল মন্ডল −৭,৫±০,৪ নিশ্চিত: অতিনবতারা
১০৫৪ বৃষ মন্ডল −৬ নিশ্চিত: অতিনবতারার শেষাংশ এবং পালসার
১১৮১ কাশ্যপেয় মন্ডল −২ সম্ভবত অতিনবতারা নয়(প্রস্তাবিত,[২][৬] অগ্রাহ্য[৭][৮])
১৫৭২ কাশ্যপেয় মন্ডল −৪ নিশ্চিত:অতিনবতারা
১৬০৪ সর্পধারী মন্ডল −২ নিশ্চিত:অতিনবতারা

ভেলা সুপারনোভা রেমন্যান্ট বিস্ফোরণ খুব সম্ভবত ১০,০০০-২০,০০০ বছর আগে ঘটিত হয়েছিল।[৯] ১৯৭২ সালে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে দক্ষিণ গোলার্ধের আদিবাসীরা এই বিস্ফোরণের সাক্ষী এবং প্রাচীন অধিবাসীরা প্রতীক আকারে এগুলো সংরক্ষণ করে যেতে পারে।[১০] এক বছর পর প্রত্নতত্ত্ববিদ জর্জ মাইকেনওস্কি আঞ্চলিক আমেরিকানদের দ্বারা বলিভিয়ায় ফেলে যাওয়া কিছু প্রাচীন ধারণাতীত চিহ্ন এর কথা মনে করেন। একটি চিহ্নে ছোট চারটি বৃত্তের দুই পাশে বড়ো দুইটি বৃত্ত দেখতে পান। ছোট বৃত্তগুলো ভেলা এবং কারিনা মন্ডলের নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। বড়ো বৃত্ত দু'টির একটি হতে পারে ক্যাপেলা তারকা, অন্যটি অতিনবতারার শেষাংশ। জর্জ মাইকেনওস্কি মনে করেন অন্য বড়ো বৃত্তটি খুব সম্ভবত আদিবাসীদের অতিনবতারা বিস্ফোরণ দেখার স্বাক্ষ্য বহন করে।[১১]

১৮৫ খ্রিস্টাব্দে হান সাম্রাজ্যের জ্যোতির্বিদরা আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের দেখা পান। তাদের পর্যবেক্ষন অনুসারে এই নক্ষত্রটি আট মাস পর ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয় যায়,এটি তারার মতো ঝকঝক করছিল এবং ধূমকেতুর মতো তাড়াতাড়ি চলে যায়নি। এই পর্যবেক্ষণ অতিনবতারার অস্তিত্ব প্রমাণ করে এবং ধারণা করা হয় ১৮৫ সালের এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম সফলভাবে অতিনবতারার ইতিহাস সংরক্ষিত হয়। ধারণা করা হয় ১৮৫ সালের অতিনবতারাটি সম্ভবত রোমান সাম্রাজ্যতেও সংরক্ষিত হয়েছে, যদিও এর কোনো প্রমাণ নেই।[১২] গ্যাসীও শেল আর-সি-ডব্লিউ ৮৬ কে এই ঘটনার অবশিষ্টাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাম্প্রতিক কালের রঞ্জন রশ্মি'র এক গবেষণার মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রকাশিত হয়।[১২][১৩] এই ঘটনাটি হান-পরবর্তী ঐতিহাসিক গ্রন্থেও উল্লেখ আছে যেখানে চীনের ২৫ থেকে ২৫০ খ্রিস্টাব্দের প্রামাণিক ইতিহাস বর্ণিত আছে।[১৪]

৩৯৩ সালে চীনের অধিবাসীরা আধুনিক বৃশ্চিক (তারকামণ্ডল)-এ  'এস এন ৩৯৩' নামক অন্য একটি আগন্তুক তারকার পর্যবেক্ষণ করে।[১৫] এছাড়াও অন্যান্য অনিশ্চিত অতিনবতারও যথাক্রমে ৩৬৯, ৩৮৬, ৪৩৭, ৮২৭ এবং ৯০২ সালে পর্যবেক্ষিত হয়।[২]যাই হোক, এগুলো এখনো অতিনবতারার শেষাংশের সাথে মিলেনি অর্থাৎ, এগুলো এখন শুধুমাত্র ধারণা।[২] পরবর্তী প্রায় ২,০০০ বছরের সময়কালে চীনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরো ২০টি ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন,যার মধ্যে পরবর্তীকালে মুসলমান, ইউরোপিয়ান এবং ভারতীয়দের দ্বারা পরিলক্ষিত ঘটনাগুলোও আছে।[২][১৬]

অতিনবতারা ১০০৬ দক্ষিণ তারকামন্ডল 'লুপাস' এ ১০০৬ সালে দেখা গিয়েছিল। ইতিহাসে এটি রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল অতিনবতারা ছিল। এই ঘটনাটি চীন, মিশর, ইরাক, ইতালি, জাপান এবং সুইজারল্যান্ড এর মানুষেরা নথিবদ্ধ করে রেখেছিল। এছাড়াও সম্ভবত ফ্রান্সসিরিয়া এবং উত্তর আমেরিকা'র মানুষেরাও নথিবদ্ধ করেছিল।মিশরের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলি ইবনে রিদওয়ান তারকাটির উজ্জ্বলতা চাঁদের আলোর ৪ ভাগের ১ ভাগ হিসেবে মনে করেছিলেন। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন বিষ্ফোরণটির শেষ অবশিষ্টাংশের দুরত্ব পৃথিবী থেকে ৭,১০০ আলোকবর্ষ।[১৭]   

 
১০৫৪ সালে চাইনিজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী দ্বারা আবিষ্কৃত আগন্তুক তারকা অতিনবতারা ১০৫৪ হিসেবে পরিচিত। তারকার লক্ষণীয় পরিবর্তন হলো অতিনবতারা

১০৫৪ সালে ১০৫৪ অতিনবতারা নামক আরেকটি অতিনবতারা দেখা গিয়েছিল যার তথ্য আরব, চীন এবং জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দ্বারা সংরক্ষিত হয়েছিল। সম্ভবত দক্ষিন আমেরিকার প্রাচীন অধিবাসীরা পাথর খোদাই করে এটি সংরক্ষণ করেছিল। বিষ্ফোরণটি ঘটেছিল বৃষ তারকামন্ডলে,যেখানে এটি ক্র্যাব নেবুলার শেষাংশ প্রস্তুত করেছে। উচ্চাংশে, এর  উজ্জ্বলতা সম্ভবত শুক্র গ্রহ থেকে ৪ গুণ বেশি ছিল এবং এটি দিনের আকাশে ২৩ দিন এবং রাতের আকাশে ৬৫৩ দিন দেখা গিয়েছিল। [১৮][১৯][২০]

১০৫৪ অতিনবতারা সংঘটিত হবার প্রায় ১০০ বছর পর কাশ্যপেয় তারকামন্ডলে ঘটিত  ১১৮১ অতিনবতারারও কিছু সংরক্ষণলিপি রয়েছে। জাপান এবং চীনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাটিও সংরক্ষণ করেছেন। পালসার ৩সি৫৮-কে এরই অবশিষ্টাংশ বলে ধরা হতো[১৮][২১] এবং তা বহুকাল ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলো[৬][২২][৭] কিন্তু ২০২১ সালে আবিষ্কৃত আরেকটি নীহারিকা এই ধারণাকে বদলে দেয়।নব্য আবিষ্কৃত এই নীহারিকাটি সম্ভবত ১০০০ বছর পুরোনো।[৮]

ডেনমার্কের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ট্যুকো ব্রাহেআইসল্যান্ড এর পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে রাতের আকাশে তার পর্যবেক্ষণের ফলাফল খুব যত্ন করে সংরক্ষণ করে রাখেন। ১৫৭২ সালে তিনি কাশ্যপেয় তারকামন্ডলে একটি নতুন তারকা পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীকালে এর নাম দেওয়া হয় অতিনবতারা ১৫৭২। এই অতিনবতারার অবশিষ্টাংশ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান ছিল।[২০][১৯]

ইউরোপীয়দের মধ্যে এই সময় একটি সাধারণ বিশ্বাস প্রচলিত ছিল।[২৩][২৪][২৫] তারা এরিস্টটল এর ধারণা বিশ্বাস করতো। তারা মনে করতো চাঁদ এবং গ্রহগুলি পৃথিবী থেকে বহু দূরে এবং সেগুলো স্থিতিশীল। তাই সমসাময়িক পর্যবেক্ষণকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই ঘটনাগুলো নিশ্চয়ই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ভিতরেই ঘটেছে। যাইহোক, ট্যুকো লক্ষ্য করলেন যে বস্তুটি স্থির এবং কখনো এর লম্বন পরিবর্তন করতো না–অর্থাৎ, এটির অবস্থান অনেক দূরে।[২৩][২৪] তিনি তার পর্যবেক্ষণ  লাতিন ভাষায় একটি ছোট বই-এ ১৫৭৩ সালে লিখে গেছেন। বইয়ের নাম, 'দে নোভা এত নুলিয়ুঁ আএঁভি মেমরিয়াঁ ভিসা স্তেল্লা' যার অর্থ–নতুন এবং পুরাতন অদৃশ্য তারকা সম্পর্কে। এর আধুনিক নাম– পরিবর্তনশীল তারকার আকস্মিক বিপর্যয়।[২১]         

 
অতি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঞ্জন রশ্মি ব্যবহার করে ১৬০৪ সালের কেপলার সুপারনোভা রেমন্যান্টের তোলা ছবি। (চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির)

আমাদের আকাশগঙ্গায় অতি সম্প্রতি ঘটিত অতিনবতারা হলো অতিনবতারা ১৬০৪ যা ১৬০৪ সালে ৯ অক্টোবরে দেখা যায়। কিছু মানুষ এর পর্যবেক্ষণ করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। তবে ইয়োহানেস কেপলার তাঁর পদ্ধতিগত গবেষণার কারণে উল্লেখযোগ্য হয় উঠেন। দে স্তেলা নোভা ইন পেদি সেরপেন্তারিঁ বইতে কেপলার তাঁর পর্যবেক্ষণ লিখে যান।[২৬][২৭] ট্যুকো'র মতো গ্যালিলিও গ্যালিলেই নতুন তারকার লম্বন পরিমাপ করতে গিয়েও ব্যর্থ হন এবং পরবর্তীকালে তিনি এরিষ্টোটলের আকাশের স্থিতিশীল অবস্থা তত্ত্বের বিরুদ্ধে যুক্তি দেন।[২৮] এই সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ ১৯৪১ সালে মাউন্ট উইলসন মনমন্দির শনাক্ত করে।[২৯] 

দূরবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পর্যবেক্ষণ

সম্পাদনা

অতিনবতারার প্রকৃত অবস্থা কিছু সময়ের জন্য অস্পষ্ট ছিল। ধীরে ধীরে পর্যবেক্ষকরা এক ধরনের তারকার সন্ধান পেলেন যেগুলোর উজ্জ্বলতা দীর্ঘ সময়ের পর্যায়ক্রমিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যায়। জন রাসেল হাইন্ড এবং নরম্যান পগসন যথাক্রমে ১৮৪৮ সালে এবং ১৮৬৩ সালে কিছু তারকা শনাক্ত করেন যেগুলোর উজ্জ্বলতা হঠাৎ করে বদলে যায়। এই পর্যবেক্ষণটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কিছুটা নজর কেড়েছিল। অবশেষে ১৮৬৬ সালে ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম হাগিন্স নবতারকার জন্য প্রথম বর্ণালী মানমন্দির স্থাপন করেন।[৩০] টি কর্ণিয়া বরালিস নবতারার অস্বাভাবিক হাইড্রোজেন বর্ণালি আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রটি তৈরী করেন। হাগিন্স অস্বাভাবিক বিস্ফোরণের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়ার একটি তত্ত্ব প্রস্তাবনা করেন যা অন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করে।[৩১]        

 
 এনিমশনটি ১৮৮৫ সাল থেকে গঠিত অতিনবতারার R.A এবং Dec. দেখাচ্ছে। সাম্প্রতিক আবিষ্কারগুলো উজ্জ্বল করে চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৮৮৫ সালে, এস্তোনিয়ার, 'আর্নেস্ট হার্টউইং' দ্বারা এন্ড্রোমিডা ছায়াপথে একটি অতিনবতারা বিস্ফোরণের মতো কিছু একটা পর্যবেক্ষিত হয়। তখন 'এস এন্ড্রোমিডা'র ঔজ্জ্বল্যতা ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। ছায়াপথের কেন্দ্রের ঐজ্জ্বল্যতা অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তা আবার নবতারার মতো বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালে জর্জ উইলিয়াম রিৎচি সেই সময়ের এন্ড্রোমিডা ছায়াপথের দুরত্ব নির্ণয় করেন এবং পরিমাপের পরে ফলাফল অনুযায়ী এটি আগের ধারণার থেকে অনেক দূরে বিস্তৃত বলে ধরা হয়। এর মানে এস এন্ড্রোমিডা ছায়াপথের লাইনে ছিলনা বরং এটি ছায়াপথের কেন্দ্রেই ছিল এবং এটি প্রচুর শক্তি উৎপাদন করেছিল যা নবতারার থেকে অনেক বেশি।[৩২]        

১৯৩০ সালের দিকে নতুন করে নবতারার পর্যবেক্ষন শুরু করেন ভাল্টার বাডে এবং ফ্রিট্‌জ জুইকি মাউন্ট উইলসনের পর্যবেক্ষন স্থল থেকে।[৩৩] তারা 'এস এন্ড্রোমিডা' শনাক্ত করেছিল যাকে তারা ভেবেছিল একটি সাধারণ অতিনবতারা, এটি একটি বিস্ফোরণ ছিল যার ফলে সূর্যের ১০ বছরের শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল। তারা  এই অস্বাভাবিক বিস্ফোরণটিকে বলতে শুরু করলো সুপারনোভা। তারা দাবি করলো যে সাধারণ তারকার মধ্যাকর্ষণ চাপের কারণে চুপসে যাওয়ার ফলে শক্তি নির্গত হওয়ার পর সেগুলো নিউট্রন তারাতে পরিণত হয়।[৩৪] সুপার-নোভা নামটি প্রথম ১৯৩১ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির একটি লেকচারে ফ্রিটজ জুইকি নিজে ব্যবহার করেন। পরে ১৯৩৩ সালে আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি এর এক মিটিং-এ এটিকে সাধারণভাবে সুপারনোভা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৩৮ সালে সুপার-নোভার এর হাইফেন উঠে গিয়ে সুপারনোভা নামে ব্যবহার করা শুরু হয়,যার বাংলা অর্থ অতিনবতারা।[৩৫]          

যদিও অতিনবতারা একটি বিরল ঘটনা তবুও প্রতি ৫০ বছরে এটি আমাদের ছায়াপথে ঘটেই থাকে।[৩৬] দূরের ছায়াপথগুলোকে নিরীক্ষণ করার সময়ও অতিনবতারার আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ হয় থাকে। ১৯৩৩ সালে  প্রথম অতিনবতারা শনাক্তকরণ প্রকল্পের শুরু হয় জুইকি দ্বারা। ১৯৩৬ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির যোসেফ জনসন এর সাহায্যে সুপারনোভা সনাক্তকরণ অভিযানে  যোগ দেন। প্যালমার মানমন্দির থেকে ৪০ সে.মি. স্মিট দূরবিক্ষণ যন্ত্র দ্বারা অতি-গ্যালাক্টিক ফটগ্রাফিক প্লেটের সাথে তুলনা করে  তারা ৩ বছরে ১২টি নতুন সুপারনোভা আবিষ্কার করেন।[৩৭]

১৯৩৮ সালে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভাল্টার বাডে প্রথম আবিষ্কার করেছেন সাধারণ নীহারিকা হলো সুপারনোভার ধ্বংসাবশেষ।[৩৮] তিনি প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন ক্র্যাব নেবুলা হলো 'এস এন ১০৫৪' এর অবশিষ্টাংশ। তিনি উল্লেখ করেছেন যখন গ্রহ নীহারিকা দেখা যায় তখন সুপারনোভা বিস্ফোরণে বেগ সাধারণ থেকে অস্বাভাবিক রকমের বেশি হয়। একই বছরে বাডে'র প্রস্তাবনা অনুযায়ী আই.এ ধরনের সুপারনোভাগুলো সহায়ক দুরত্ব নির্দেশক। পরবর্তীকালে অ্যালান ট্যাম্যান এবং গুস্তাভ ট্যাম্যান এর গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে আই.এ ধরনের সুপারনোভাগুলো মহাবিশ্ব এর বড়ো দূরত্ব মাপতে এক ধরনের 'স্ট্যান্ডার্ড ক্যান্ডেল'।[৩৯] ১৯৪১ সালে সুপারনোভার এর বর্ণালিগত বৈশিষ্ট্যদ্বারা রুডলফ মিঙ্কোউইস্কি প্রথম মহাবিশ্বের বড় দূরত্ব মাপেন। সুপারনোভার বর্ণালিতে হাইড্রোজেন উপাদানের উপর ভিত্তি করে সুপারনোভাগুলোকে তিনি ২ ভাগে বিভক্ত করেছেন। পরে জুইকি আরো ৩ ধরনের সুপারনোভা আবিষ্কার করেন। যদিও জুইকির আরো ৩টি আবিষ্কার এখন আর একক সুপারনোভার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়না। পরবর্তীকালে বর্ণালি ক্যাটাগরির উপ-বিভাগকে আধুনিক সুপারনোভা মডেলে স্কিম বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।       

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর পর ফ্রেড হয়েল কীভাবে মহাবিশ্বের পরিবর্তনশীল বস্তুগুলো উৎপন্ন হয় তা নিয়ে গবেষণা করলো।[৪০] ১৯৪৬ সালে তিনি প্রস্তাবনা করেছেন, উচ্চ ভরসম্পন্ন তারকাগুলো থার্মোনিউক্লিয়ার বিক্রিয়া করে, আর নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার কারণেই তারকা থেকে শক্তি নির্গত হয় এবং এর ফলে তারকা চুপসে যায়। চুপসে যাওয়া তারকা ক্রমান্বয়ে অস্থির হয়ে যায় এবং বিষ্ফোরক বস্তু উৎপন্ন করে যা বিস্ফোরণের ফলে নক্ষত্রমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬০ সালে ফ্রেড হয়েল এবং উইলিয়াম আলফ্রেড ফাওলার দাবি করেন যে নিউক্লিয়ার ফিউশনই হলো সুপারনোভা বিস্ফোরণের শক্তির উৎস।[৪১]

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়- এ প্রথম ১৯৬০ সালে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। তারা নিউ মেক্সিকোর কোরালিটস পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে ২৪ ইঞ্চির একটি টেলিস্কোপ তৈরী করে যা কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। টেলিস্কোপটি প্রতি মিনিটে একটি করে গ্যালাক্সি দেখতে পারতো এবং টিভি স্ক্রীনে পর্যবেক্ষকরা তা দেখতে পেত। এর মাধ্যমে তারা ২ বছরে ১৪টি সুপারনোভা আবিষ্কার করতে পারলো।[৪২] 

১৯৭০-১৯৯৯

সম্পাদনা

১৯৭৩ সালে ওয়ালেন এবং আইবেনের একটি প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে বর্তমানে আই.এ ধরনের সুপারনোভা বিস্ফোরণের তত্ত্ব প্রচলিত হয়েছে। একই সময়ে এন.জি.সি ৫২৫৩ এর 'এস এন ১৯৭২ ই' এর আলোর বক্রতা ১ বছর ধরে পর্যবেক্ষিত হয়। সুপারনোভাটি প্রতিদিনে ০.০১ আপাত মান এ বিলীন হয়ে যেতে লাগলো।[৪৩] অন্য পরিমাপের এককএ রূপান্তর করলে বলা যেতে পারে এটি কোবাল্ট-৫৬ এর অবক্ষয় মানের সমান। যার হাফ-লাইফ হলো ৭৭ দিন। অবক্ষয়িত বিস্ফোরণ মডেল অনুসারে প্রায় সৌর ভরের সমান ভরের নিকেল-৫৬ এর উৎপাদন ঘটে বিষ্ফোরিত তারা দিয়েই ঘটে। নিকেল এবং কোবাল্টের অবক্ষয়ের কারণে সুপারনোভা বিস্ফোরণের শক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিস্ফোরণের শেষ কালে তা বিকিরণ করে দেয়। কিছু পর্যবেক্ষণ এর উপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালের পরে অবক্ষয়-বিস্ফোরণ মডেলটি স্বীকৃতি পেতে থাকে।[৪৪]             

আই.এ ধরনের সুপারনোভার আলোর বক্রতা পর্যবেক্ষণ করে আবিষ্কৃত হয় যে এগুলো একটি সর্বোচ্চ ঔজ্জ্বল্য প্রাপ্তির মাধ্যমে দেখা যায়।[৪৫] সুপারনোভাগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্যালাক্সির দূরত্ব সঠিকভাবেই অণুমান করা যায়। এভাবেই মহাবিশ্বের বড়ো দূরত্ব পরিমাপ করার জন্য এই ধরনের সুপারনোভাগুলো অনেক সাহায্য করে। ১৯৯৮ সালে, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে অনেক দূরের আই.এ সুপারনোভাগুলো খুবই অস্পষ্ট হয়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে আমাদের মহাবিশ্বের বৃদ্ধি ত্বরিত হচ্ছে।[৪৬][৪৭]  

যদিও ১৬০৪ সালের পর থেকে আমাদের ছায়াপথে কোনো সুপারনোভা দেখা যায়নি, এটা ভাবা হয়  যে ৩০০ বছর আগে ১৬৬৭ থেকে ১৬৮০ সালের মাধ্যে ক্যাশিওপিয়ায় একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর অবশিষ্টাংশ হলো ক্যাশিওপিয়া এ যা তারকামন্ডলের ধুলো দিয়ে অস্পষ্ট হয়ে আছে। এটিকে এরকম ভাবার কারণ হলো এটি কখনো স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি। হতে পারে অন্য দিক থেকে একে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। যাই হোক, এটি আমাদের সৌরজগৎের থেকে বহুদূরে সবচেয়ে উজ্জ্বল বেতার উৎস।[৪৮]      

 
কেন্দ্রে সুপারনোভা ১৯৮৭এ- এর অবশিষ্টাংশ

১৯৮৭ সালে সুপারনোভা ১৯৮৭এ বড় 'মেগলানিক মেঘ' এর মধ্যে শুরু হবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দেখা গিয়েছিল। এটি ছিল প্রথম নিউট্রিনো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সনাক্তকৃত সুপারনোভা। সুপারনোভার আপেক্ষিক নৈকট্য এর বর্ণনা দিয়েছিল। এটী সুপারনোভা'র আধুনিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছিল।[৪৯][৫০]     

২০ শতকে সুপারনোভা'র আবিষ্কার ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। ১৯৯০ সালে সুপারনোভা পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম আবিষ্কার হয়।  ১৯৯২ সালে লেইজনার মানমন্দিরে সুপারনোভা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি প্রোগ্রাম বানানো হয়। একই বছরে এতে বের্কলি অটোমেটেড ইমেজিং টেলিস্কোপ প্রোগ্রামও স্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে লিক মানমন্দিরে ক্যাটযম্যান অটোমেটিক ইমেজিং টেলিস্কোপের স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী প্রগ্রামগুলো সফল হয়। ২০০ সালে লিক প্রোগ্রাম ৯৬ টি সুপারনোভা আবিষ্কার করেছিল। যার কারণে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা প্রোগ্রাম হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

১৯৯০ সালে একটি প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে যে টাইটানিয়াম-৪৪'র গামা রশ্মি এর মাধ্যমে সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ পাওয়া সম্ভব। এর হাফ-লাইফ হলো ৯০ বছর। এর ফলে গামা রশ্মি সহজেই গ্যালাক্সিতে প্রবেশ করতে পারবে। এর ফলে খুব সহজেই আমরা গত সহস্রাব্দের কোনো সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ শনাক্ত করতে পারি। পূর্বে ২ টি অবশিষ্টাংশ পাওয়া গিয়েছিল। ক্যাশিওপিয়া-এ এবং আর.এক্স. জে০৮৫২.০-৪৬২২ যা ভেলা সুপারনোভা রেমন্যান্ট এর অধিক্রমণের মাধ্যমে আবিষ্কার হয়েছিল।[৫১]

 
১৯৯৯ সালে, আইসি ৭৫৫ তারকাকে বিষ্ফোরিত হতে দেখা যায় যার নাম এসএন ১৯৯৯এ.এন।

এই অবশিষ্টাংশটি (আরএক্স জে০৮৫২.০-৪৬২২) অপেক্ষাকৃত বড় ভেলা সুপারনোভা রেমন্যান্ট এর সামনে দেখা গিয়েছিল।[৫২] টাইটানিয়াম-৪৪ এর অবক্ষয় থেকে প্রাপ্ত গামা রশ্মি দেখিয়েছিল যে এটি সম্ভবত ১২০০ সালের একটি বিস্ফোরণের অংশ, কিন্তু এর কোনো ঐতিহাসিক সংরক্ষণ নেই। গামা রশ্মি এবং এক্স রশ্মির প্রবাহ নির্দেশ করেছিল যে সুপারনোভাটি আমাদের অপেক্ষাকৃত কাছি ছিল (খুব সম্ভবত ২০০ পারসেক)। যদি তাই হয় তবে এটি খুব বিষ্ময়কর। কারণ ২০০ পারসেক এর কম দূরত্বে সুপারনোভাগুলো বছরে কমপক্ষে ১০০,০০০ বার চোখে পড়ে।[৫৩]  

২০০০ থেকে বর্তমান

সম্পাদনা
 
কসমিক লেন্স এমএসিএস জে১৭২০+৩৫ হাবল টেলিস্কোপকে দুরবর্তী সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।[৫৪]

'এসএন ২০০৩এফজি' ২০০৩ সালে একটি নতুন বা গঠন হচ্ছে এমন গ্যালাক্সিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। রিয়েল-টাইম গবেষণার সময় এই সুপারনোভা উঠে আসে। এর ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্ন উঠে এসেছিল যেহেতু এটিকে দেখতে চন্দ্রশেখর সীমা এর বেশি ভরের মনে হচ্ছিল।[৫৫]  

এসএন ২০০৬জিওয়াই সুপারনোভা যা এনজিসি ১২৬০ নামক একটি গ্যালাক্সিতে (২৪০ মিলিয়ন আলোক-বর্ষ দূরে) দেখা গিয়েছিল, ছিল ২০০৭ এর অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল সুপারনোভা। এই বিস্ফোরণের ঐজ্জ্বল্যতা ছিল আগের অন্যান্য আবিষ্কৃত সুপারনোভার ঔজ্জ্বল্যতার কমপক্ষে ১০০ গুণ বেশি।[৫৬] সুপারনোভাটি যে তারকা থেকে উৎপন্ন হয়েছিল সেটি ছিল সূর্য থেকে ১৫০ গুণ বেশি ভরসম্পন্ন। যদিও সুপারনোভাটির বৈশিষ্ট্য আই.এ সুপারনোভার মতোই ছিল তবুও এর বর্ণালিতে হাইড্রোজেনের  অস্তিত্ব পাওয়া যায়।[৫৭] ধারণা করা হয় 'এসএন ২০০৬জিওয়াই' ছিল দুইটি অস্থায়ী সুপারনোভার একত্রিত রূপ।[৫৮][৫৯] এসএন ২০০৫এপি, যা রবার্ট কিম্বি আবিষ্কার করেছেন ছিল এসএন ২০০৬জিওয়াই এর মতোই সুপারনোভা। এবং এটি ছিল সাধারণ টাইপ ২ সুপারনোভার থেকে ৩০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল।[৬০]  

 
ক্যালশিয়াম-রিচ সুপারনোভার হোস্ট গ্যালাক্সি

২১ মে ২০০৮ সালে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছিল যে তারা একটি ক্যামেরায় সদ্য বিষ্ফোরণরত একটি সুপারনোভা শনাক্ত করেছে। পৃথিবী থেকে ৮৮ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এঞ্জিসি ২৭৭০ তে পর্যবেক্ষণের সময় হঠাৎ এক্স রশ্মির বিস্ফোরণ দেখে এসএন ২৭৭০ আবিষ্কার করা হয়ছিল। অবশেষে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়'র আলিসিয়া সোডারবার্গ এটি নিশ্চিত হয়েছিল যে এই বড়ো এক্স রশ্মির বিষ্ফোরণটি ছিল সুপারনোভার জন্মের সূচনা।[৬১]      

একজন শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যারোলিন মুর, পাকেট অবজারভেটরি সুপারনোভা সার্চ টিম'র সদস্য ২০০৮ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে এসএন ২০০৮এইচএ নামক একটি সুপারনোভা পেয়েছিলেন। তখন মহিলা বিজ্ঞানী ক্যারোলিন মুরের বয়স ছিল ১৪ বছর। তাঁকে সবচেয়ে ছোট বয়সী সুপারনোভা আবিষ্কারক বলা হয়।[৬২][৬৩] ২০১১ সালের জানুয়ারিতে, ১০ বছরের এক মেয়ে 'ক্যাথরিন আরোরা গ্রে' বলেছেন যে তিনি একটি সুপারনোভা শনাক্ত করেছেন।[৬৪] তাই বর্তমানে তাঁকেই বলা হয় সবচেয়ে ছোট সুপারনোভা আবিষ্কারক। মিস. গ্রে, তাঁর বাবা এবং এক বন্ধু মিলে এসএন ২০১০এলটি নামক একটি সুপারনোভা দেখতে পায় যা পৃথিবী থেকে ২৪০ মিলিয়ন দূরে ইউসিজি ৩৩৭৮ গ্যালাক্সির ক্যামেরোপ্যারড্যালিস নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত।  

 
সর্পিল গ্যালাক্সি 'এনসিজি ৪৪২৪' এর মধ্যে 'এসএন ২০১২সিজি' নামক সুপারনোভা।[৬৫]

২০০৯ সালে এন্টার্টিকার গভীর স্থানের বরফ কোরে কঠিন কিছু পায় যেগুলো ১০০৬ এবং ১০৫৪ সালের সুপারনোভার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুপারনোভার গামা রশ্মি দ্বারা নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরী হয়েছিল। এই পদ্ধতিটি দ্বারা কয়েক হাজার বছর আগের সুপারনোভা সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে।[৬৬]      

২০১০ সালের ১৫ নভেম্বর, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসা'র চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির ব্যবহার করে ঘোষণা দিলেন, 'মেজিয়ার ১০০' গ্যালাক্সিতে  'এসএন ১৯৭৯সি' সুপারনোভা পরিক্ষা করার সময় তারা মাত্র ৩০ বছর বয়সী একটি কৃষ্ণ বিবর দেখতে পান। নাসা আরও সম্ভাবনা দেখিয়েছে যে কৃষ্ণ বিবরটি হতে পারে ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারা যা উচ্চ শক্তির কণিকা উৎপন্ন করে।[৬৭]    

২০১১ সালের ২৪ আগস্ট, প্যালমার ট্রান্সিয়েন্ট ফ্যাক্টরির স্বয়ংক্রিয় জরিপ পিনহুইল গ্যালাক্সি এম১০১-এ আই.এ ধরনের সুপারনোভা 'এসএন ২০১১ এফএ' এর বিস্ফোরণের অল্প সময়ের মধ্যেই আবিষ্কার করে। ২১ মিলিয়ন আলোক বর্ষ দূরের এই সুপারনোভার অস্তিত্ব আবিষ্কার করে খুব তাড়াতাড়ি সময়েই। এর ফলে বিজ্ঞানীরা এই ধরনের সুপারনোভার জন্ম সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবে।[৬৮]     

২০১২ সালের ১৬ই মার্চ টাইপ ২ সুপারনোভা যার নাম এসএন ২০১২এডব্লিউ, এম৯৫ গ্যালাক্সিতে আবিষ্কার করেন।[৬৯][৭০][৭১]  

২০১৪ সালের জানুয়ারির ২২ তারিখে, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন অবজারভেটরিতে ছাত্ররা এম৮২ গ্যালাক্সি(সিগার গ্যালাক্সি)'র কাছাকাছি 'এসএন ২০১৪জে' নামক সুপারনোভা আবিষ্কার করেন। এটি পৃথিবী থেকে ১২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। সাম্প্রতিক কালে এই সুপারনোভাটিই হলো এই দশকের সবচেয়ে কাছের পর্যবেক্ষণকৃত সুপারনোভা।[৭২]  

ভবিষ্যৎ

সম্পাদনা

আনুমানিক ভাবে বলা হয় যে আমাদের ছায়াপথ গ্যালাক্সির আকার অনুযায়ী প্রতি ৫০ বছরে একবার সুপারনোভা বিস্ফোরণ হবে। এই মানটি আসল মান থেকে উচ্চ। এর মানে মহাকাশের ধূলিকণার কারণে পৃথিবী থেকে ভালো করে এগুলো দেখা যায়না। নতুন যন্ত্রপাতি যেমনঃ নিউট্রিনো ডিটেক্টর, তড়িৎচৌম্বক বর্ণালি দিয়ে হতে পারে ভবিষ্যতে এরকম সমস্যা থেকে মুক্তির পথ। পরবর্তীতে আমরা মহাকাশের ধূলিকণা ভেদ করেও হয়তো সুপারনোভাগুলো দেখতে পাবো।[৩৬]  

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "High Energy Observations of Galactic Supernova Remnants"snrcat (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  2. Clark, D. H.; Stephenson, F. R. (জুন ২৯, ১৯৮১)। "The Historical Supernovae"। Supernovae: A survey of current research; Proceedings of the Advanced Study Institute (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge, England: Dordrecht, D. Reidel Publishing Co.। পৃষ্ঠা 355–370। বিবকোড:1982sscr.conf..355C 
  3. চিন, ওয়াই.-এন.; হুয়াং, ওয়াই.-এল. (সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "Identification of the guest star of AD 185 as a comet rather than a supernova"Nature (ইংরেজি ভাষায়)। ৩৭১ (৬৪৯৬): ৩৯৮–৩৯৯। আইএসএসএন 0028-0836এসটুসিআইডি 4240119ডিওআই:10.1038/371398a0বিবকোড:1994Natur.371..398C 
  4. ঝাও, ফু–ইউয়ান; স্টর্ম, আর. জি; জিয়াং, শি–ইয়াং (অক্টোবর ২০০৬)। "The Guest Star of AD185 must have been a Supernova"। Chinese Journal of Astronomy and Astrophysics (৬): ৬৩৫–৬৪০। আইএসএসএন 1009-9271ডিওআই:10.1088/1009-9271/6/5/17 বিবকোড:2006ChJAA...6..635Z 
  5. হফম্যান, ভোগ্ট (২০২০)। "A search for the modern counterparts of the Far Eastern guest stars 369 CE, 386 CE and 393 CE"Monthly Notices of the Royal Astronomical Society (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৯৭ (২): ১৪১৯–১৪৩৩। arXiv:2007.01013 ডিওআই:10.1093/mnras/staa1970বিবকোড:2020MNRAS.497.1419H। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ 
  6. কথেস, আর. (১ ডিসেম্বর ২০১০)। "On the Distance and Age of the Pulsar Wind Nebula 3C 58"The Dynamic Interstellar Medium: A Celebration of the Canadian Galactic Plane Survey (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩৮: ৩৪৭। arXiv:1010.4586 বিবকোড:2010ASPC..438..347K 
  7. বায়েটেনহোলজ, এম.এফ. (১০ জুলাই ২০০৬)। "Radio Images of 3C 58: Expansion and Motion of Its Wisp"The Astrophysical Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ৬৪৫ (২): ১১৮০–১১৮৭। arXiv:astro-ph/0603197 আইএসএসএন 0004-637Xএসটুসিআইডি 16820726ডিওআই:10.1086/504584বিবকোড:2006ApJ...645.1180B 
  8. রিট্টার, আন্দ্রেস; পার্কার, কোয়েন্টিন এ.; লাইকৌ, ফোটেইনি; জিজলস্ট্রা, আলবার্ট এ.; গুয়েরেরো, মার্টিন এ.; লে ডু, পাসকাল (১ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "The Remnant and Origin of the Historical Supernova 1181 AD"। The Astrophysical journal letter (ইংরেজি ভাষায়)। ৯১৮ (২): L৩৩। arXiv:2105.12384 আইএসএসএন 2041-8205ডিওআই:10.3847/2041-8213/ac2253 বিবকোড:2021ApJ...918L..33R 
  9. সুশ্চ, ই.; নাটিক, বি.; নেরোনোভ, আ. (২০১১)। "ভেলা সুপারনোভা রেমনেন্ট নিরীক্ষণ ও নকশা গঠন, গামা ভেলোরাম ও গাম নীহারিকা"। জ্যোতির্বিদ্যা ও নভোপদার্থবিদ্যা (ইংরেজি ভাষায়)। ৫২৫: A154। arXiv:1011.1177 এসটুসিআইডি 55224501ডিওআই:10.1051/0004-6361/201015346বিবকোড:2011A&A...525A.154S 
  10. "বিজ্ঞান: যখন গাম জ্বলে উঠেছিল"টাইম (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম। ২৭ মার্চ ১৯৭২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  11. "বিজ্ঞান: তারার প্রতি শ্রদ্ধা"টাইম (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম। ২২ অক্টোবর ১৯৭৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  12. স্টোথার্স, রিচার্ড (১৯৭৭)। "১৮৫ খ্রিস্টাব্দের অতিনবতারাটি কী রোমান সাহিত্যে লেখা আছে?"ISIS (ইংরেজি ভাষায়)। ৬৮ (৩): ৪৪৩–৪৪৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  13. "নক্ষত্রের অবশেষের সাথে প্রাচীন তারার সংযোগের নতুন প্রমাণ" (ইংরেজি ভাষায়)। ই.ম.স.। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬। ১৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  14. জেলেংস্কি, সারা (৬ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "সর্বপ্রথম অতিনবতারাটি"স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  15. ওয়াং, যে.আর.; কু, কিউ.ওয়াই.; চেন, ওয়াই. (১৯৯৮)। "৩৯৩ সালের অতিথি তারাটি; এসএনআর আরএক্স ৫১৭১৩.৭-৩৯৪৬"। Proceedings of IAU Symposium #188 (ইংরেজি ভাষায়)। দর্দ্রেচট: ক্লুয়ার একাডেমিক। পৃষ্ঠা ২৬২। বিবকোড:1998IAUS..188..262W 
  16. ফ্রোমার্ট, হার্টমুট; ক্রনবার্গ, ক্রিস্টিন। "আকাশগঙ্গায় দেখা ঐতিহাসিক অতিনবতারাগুলো" (ইংরেজি ভাষায়)। SEDS। ২০১১-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৪ 
  17. "জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটির উজ্জ্বলতা খুঁজে পেয়েছেন" (ইংরেজি ভাষায়)। NAOA News। ৫ মার্চ ২০০৩। ১২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৬ 
  18. গ্রিনিং, ড্যান (১৯৯৫)। "১০৫৪ অতিনবতারার পেট্রোগ্রাফ" (ইংরেজি ভাষায়)। পমনা কলেজ (জ্যোতির্বিজ্ঞান)। ১১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ 
  19. Brecher, K.; Fesen; Maran; Brandt (১৯৮৩)। "Ancient records and the Crab Nebula supernova"। The Observatory (ইংরেজি ভাষায়)। 103: 106–113। বিবকোড:1983Obs...103..106B 
  20. Collins II, G. W.; Claspy, W. P.; Martin, J. C. (১৯৯৯)। "A Reinterpretation of Historical References to the Supernova of A.D. 1054"। Publications of the Astronomical Society of the Pacific (ইংরেজি ভাষায়)। 111 (761): 871–880। arXiv:astro-ph/9904285 ডিওআই:10.1086/316401বিবকোড:1999PASP..111..871C 
  21. "3C58: Pulsar Gives Insight on Ultra Dense Matter and Magnetic Fields"। Harvard-Smithsonian Center for Astrophysics। ডিসেম্বর ১৪, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৬ 
  22. বায়েটেনহোলজ, এম. এফ.; কোন্দ্রাটিয়েভ, ভি.; রানসম, এস.; স্লেন, পি.; বার্টেল, এন.; বাচার, এস. (২১ মে ২০১৩)। "The proper motion of PSR J0205+6449 in 3C 58"Monthly Notices of the Royal Astronomical Society (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩১ (৩): ২৫৯০–২৫৯৮। arXiv:1302.5625 আইএসএসএন 1365-2966ডিওআই:10.1093/mnras/stt353  
  23. Cowen, R. (১৯৯৯)। "Danish astronomer argues for a changing cosmos"। Science News156 (25 & 26)। 
  24. Nardo, Don (২০০৭)। Tycho Brahe: Pioneer of Astronomy। Compass Point Books। আইএসবিএন 0-7565-3309-0 
  25. Stacey, Blake। "Supernovas: Making Astronomical History"। SNEWS: Supernova Early Warning System। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৫ 
  26. "Johannes Kepler: De Stella Nova"। New York Society Library। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৯ 
  27. Villard, R.; Sanders, R. (২৪ জুলাই ১৯৯১)। "Stellar survivor from 1572 CE explosion supports supernova theory"। UCBerkeley News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ 
  28. উইলসন, ফ্রেড এল. (৭ জুলাই ১৯৯৬)। "History of Science: Galileo and the Rise of Mechanism"। Rochester Institute of Technology। ২০০৭-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৯ 
  29. ব্লেয়ার, বিল। "Bill Blair's Kepler's Supernova Remnant Page"। NASA and Johns Hopkins University। ১৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২০ 
  30. হাগিন্স, উইলিয়াম (১৮৬৬)। "On a New Star"। Monthly Notices of the Royal Astronomical Society২৬: ২৭৫। বিবকোড:1866MNRAS..26..275H 
  31. বেকের, বারবারা জে. (১৯৯৩)। "Eclecticism, Opportunism, and the Evolution of a New Research Agenda: William and Margaret Huggins and the Origins of Astrophysics"। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়–ইর্ভিন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ 
  32. ভ্যান জিল, জান ইভান (২০০৩)। "Variable Stars VI"। Astronomical Society of Southern Africa। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৯ 
  33. বাডে, উ.; জ্যাকি, এফ. (১৯৩৪)। "On Super-Novae"Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ (৫): ২৫৪–২৫৯। ডিওআই:10.1073/pnas.20.5.254পিএমআইডি 16587881পিএমসি 1076395 বিবকোড:1934PNAS...20..254B 
  34. অস্ট্রেব্রোক, ডি. ই. (১৯৯৯)। "Who Really Coined the Word Supernova? Who First Predicted Neutron Stars?"। Bulletin of the American Astronomical Society (ইংরেজি ভাষায়)। ৩৩: ১৩৩০। বিবকোড:2001AAS...199.1501O 
  35. মুর্দিন, পাল; মুর্দিন, লেসলি (১৯৮৫)। Supernovae (ইংরেজি ভাষায়) (দ্বিতীয় সংস্করণ)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 42আইএসবিএন 0-521-30038-X 
  36. Türler, Marc (২০০৬)। "INTEGRAL reveals Milky Ways' supernova rate"CERN Courier46 (1)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৪ 
  37. হ্যালব্রন, জন লুইস (২০০৫)। The Oxford guide to the history of physics and astronomy (ইংরেজি ভাষায়)। ১০। Oxford University Press US। পৃষ্ঠা ৩১৫। আইএসবিএন 0-19-517198-5 
  38. Rudolph, Minkowski (১৯৪১)। "Spectra of Supernovae"। Publications of the Astronomical Society of the Pacific53 (314): 224। ডিওআই:10.1086/125315বিবকোড:1941PASP...53..224M 
  39. da Silva, L. A. L. (১৯৯৩)। "The Classification of Supernovae"Astrophysics and Space Science202 (2): 215–236। ডিওআই:10.1007/BF00626878বিবকোড:1993Ap&SS.202..215D 
  40. Hoyle, Fred (১৯৪৬)। "The Synthesis of the Elements from Hydrogen"। Monthly Notices of the Royal Astronomical Society106: 343–383। ডিওআই:10.1093/mnras/106.5.343বিবকোড:1946MNRAS.106..343H 
  41. Woosley, S. E. (১৯৯৯)। "Hoyle & Fowler's Nucleosynthesis in Supernovae"। Astrophysical Journal525C: 924। বিবকোড:1999ApJ...525C.924W 
  42. Marschall, Laurence A. (১৯৯৪)। The supernova story। Princeton science library। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 112–113। আইএসবিএন 0-691-03633-0 
  43. Whelan, J.; Iben Jr., I. (১৯৭৩)। "Binaries and Supernovae of Type I"। Astrophysical Journal186: 1007–1014। ডিওআই:10.1086/152565বিবকোড:1973ApJ...186.1007W 
  44. Trimble, V. (১৯৮২)। "Supernovae. Part I: the events"। Reviews of Modern Physics54 (4): 1183–1224। ডিওআই:10.1103/RevModPhys.54.1183বিবকোড:1982RvMP...54.1183T 
  45. Kowal, C. T. (১৯৬৮)। "Absolute magnitudes of supernovae"। Astronomical Journal73: 1021–1024। ডিওআই:10.1086/110763বিবকোড:1968AJ.....73.1021K 
  46. Leibundgut, B.; Sollerman, J. (২০০১)। "A cosmological surprise: the universe accelerates"Europhysics News32 (4): 121–125। ডিওআই:10.1051/epn:2001401বিবকোড:2001ENews..32..121L। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৪ 
  47. "Confirmation of the accelerated expansion of the Universe"Centre National de la Recherche Scientifique। সেপ্টেম্বর ১৯, ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১১-০৩ 
  48. "Cassiopeia A - SNR"। Caltech/NASA Infrared Processing and Analysis Center। ২০১১-০১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-০২ 
  49. McCray, Richard (১৯৯৩)। "Supernova 1987A revisited"। Annual review of astronomy and astrophysics31 (1): 175–216। ডিওআই:10.1146/annurev.aa.31.090193.001135বিবকোড:1993ARA&A..31..175M 
  50. Comins, Neil F.; Kaufmann, William J. (২০০৮)। Discovering the Universe: From the Stars to the Planets। Macmillan। পৃষ্ঠা 230। আইএসবিএন 1-4292-3042-8 
  51. Iyudin, A. F.; ও অন্যান্য (নভেম্বর ১৯৯৮)। "Emission from 44Ti associated with a previously unknown Galactic supernova"। Nature396 (6707): 142–144। ডিওআই:10.1038/24106বিবকোড:1998Natur.396..142I 
  52. Aschenbach, Bernd (১৯৯৮-১১-১২)। "Discovery of a young nearby supernova remnant"। Letters to Nature396 (6707): 141–142। ডিওআই:10.1038/24103বিবকোড:1998Natur.396..141A 
  53. Fields, B. D.; Ellis, J. (১৯৯৯)। "On Deep-Ocean Fe-60 as a Fossil of a Near-Earth Supernova"। New Astronomy4 (6): 419–430। arXiv:astro-ph/9811457 ডিওআই:10.1016/S1384-1076(99)00034-2বিবকোড:1999NewA....4..419F 
  54. "Hubble astronomers check the prescription of a cosmic lens"ESA/Hubble Press Release। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৪ 
  55. Howell, D. A.; ও অন্যান্য (২০০৬)। "Snls-03d3bb: An Overluminous, Low Velocity Type Ia Supernova Discovered At Z=0.244"। American Astronomical Society Meeting 208বিবকোড:2006AAS...208.0203H 
  56. Dunham, Will (মে ৮, ২০০৭)। "Brightest supernova ever seen"। News in Science, Space and Astronomy। 
  57. Shiga, David (জানুয়ারি ৩, ২০০৭)। "Brightest supernova discovery hints at stellar collision"। New Scientist। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৭ 
  58. Berardelli, Phil (মে ৭, ২০০৭)। "Star Goes Out Big Time"Science Magazine ScienceNOW Daily News। মে ১৬, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৪ 
  59. Grey Hautaluoma, Grey Hautaluoma and Megan Watzke (মে ৭, ২০০৭)। "NASA's Chandra Sees Brightest Supernova Ever"NASA। জুন ২৫, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-০৪ 
  60. Than, Ker (অক্টোবর ১১, ২০০৭)। "Supernova blazed like 100 billion suns"। MSNBC। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৭ 
  61. Anonymous (মে ২১, ২০০৮)। "Supernova caught exploding on camera"। Reuters UK। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৭ 
  62. Moore, Robert E. (২০০৮-১১-১৩)। "Rare supernova found by 14-year-old amateur astronomer"। Deer Pond Observatory। ২০১১-০৭-১৮ তারিখে The story about SN2008ha মূল |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৯ 
  63. Bishop, David (২০০৮-১২-১৯)। "Supernova 2008ha in UGC 12682"। Rochester Academy of Sciences। ২০১০-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৯ 
  64. Cohen, Tobi (জানুয়ারি ৩, ২০১১)। "N.B. girl youngest ever to discover a supernova"। The Vancouver Sun। ২০১১-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-০৪ 
  65. "A galactic cloak for an exploding star"ESA/Hubble Picture of the Week। ESA/Hubble। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  66. "Ancient supernovae found written into the Antarctic ice"New Scientist (2698)। ২০০৯-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৯  Refers to [১].
  67. Perrotto, Trent; Anderson, Janet; Watzke, Megan (নভেম্বর ১৫, ২০১০)। "NASA'S Chandra Finds Youngest Nearby Black Hole"। NASA। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৯ 
  68. Beatty, Kelly (২৫ আগস্ট ২০১১)। "Supernova Erupts in Pinwheel Galaxy"Sky & Telescope। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১১ 
  69. "Deep Sky Videos"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  70. "Supernova 2012aw: the pictures!"। ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  71. "List of Recent Supernovae"। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১২ 
  72. "UCL students discover a supernova"। ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা