ওয়াভেল হাইন্ডস
ওয়াভেল ওয়েন হাইন্ডস (ইংরেজি: Wavell Hinds; জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬) জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ওয়াভেল হাইন্ডস।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়াভেল ওয়েন হাইন্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিংস্টন, জ্যামাইকা | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৩) | ১৬ মার্চ ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ নভেম্বর ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৫) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৫ এপ্রিল ২০১০ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৭) | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৯ মে ২০১০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ - ২০১১ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১১ জুন ২০১৬ |
দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাহাইন্ডস তার আক্রমণধর্মী বামহাতি ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন। এছাড়াও কার্যকরী ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ২০০০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। নিজস্ব চতুর্থ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর প্রথম সেঞ্চুরি করেন।
পায়ের কারুকাজের দুর্বলতার কারণে প্রায়শঃই তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাস্বত্ত্বেও ২০০০-০১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বংসী সফরের শেষ টেস্টের জন্য ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামানো হয়। শেরউইন ক্যাম্পবেলের সাথে জুটি গড়ে উভয় ইনিংসে ১৪৭ ও ৯৮ তোলেন। তাস্বত্ত্বেও সিরিজ শেষে দল থেকে বাদ পড়েন ও ক্রিস গেইল শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানরূপে দলে পাকাপোক্ত আসন গড়েন। ২০০৩ সালে গ্রেনাডায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উপর্যুপরি সেঞ্চুরি করেন। উভয়ক্ষেত্রেই তিনি অপরাজিত ছিলেন ও তার দল জয় পেয়েছিল।
২০০৪ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআই সিরিজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তাকে পুনরায় দলে নেয়া হয়। ঐ সময়ে শীর্ষসারিতে শূন্যতা থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভুগতে হচ্ছিল। পরবর্তী কয়েক বছর গেইলের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে উদ্বোধনী জুটি গড়ে সফলতা পান। তারা উভয়ে টেস্টের ৩৩ ইনিংসে ৩৯.৩৯ গড়ে ১৩০০ রান এবং ওডিআইয়ে ৪১.১৫ গড়ে ১৬৮৭ রান তুলেছিলেন।
২০০৫ সালে জর্জটাউনে অনুষ্ঠিত টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২১৩ তোলেন। তার এ ইনিংসে ৩৪ চার ও ২ ছক্কা ছিল। ৪র্থ উইকেটে অপর দ্বি-শতকধারী শিবনারায়ণ চন্দরপলের সাথে ২৮৪ তোলেন। এ সিরিজের পরপরই তার দূর্বল ক্রীড়াশৈলী চোখে পড়ে ও মাঠের পার্শ্বে অবস্থান করতে হয়। মে মাসে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআই সিরিজে অংশ নেয়ার জন্য সংক্ষিপ্তকালের জন্যে দলে ফিরে আসেন। কিন্তু আশাপ্রদ কিছু করতে না পারায় বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন।
বিতর্কিত ভূমিকা
সম্পাদনা২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এ পর্যায়ে মেলবোর্নের নৈশক্লাবে ঝগড়া করেন ও মারাত্মকভাবে আহত হন। সফরের শেষদিকে দলীয় সঙ্গী মারলন ব্ল্যাক ও সিলভেস্টার যোসেফকে সাথে নিয়ে নৈশক্লাবে গিয়েছিলেন। হোটেলে ফেরার পথে চারজন মাতাল রাস্তায় বোতল ভেঙ্গে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের মুখোমুখি হয়। তিনি ও যোসেফ মুক্তি পেলেও মারলন ব্ল্যাককে মারাত্মকভাবে পিটানো হয়।[১]
অবসর
সম্পাদনা২০০৫ সাল থেকে তিনি কোন টেস্টে অংশ নেননি। সর্বশেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন ২০০৬ সালে। অক্টোবর, ২০০৭ সালে এক বছরের চুক্তিতে ইংরেজ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের পক্ষে ২০০৮ মৌসুমে খেলেন।[২] ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে আহমেদাবাদ রকেটসের পক্ষে শুরুর দিকে খেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুমে খেলার জন্যে ফিরে আসেননি।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Court hears Black lost international place after attack"। ২ অক্টোবর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৮।
- ↑ "Derbyshire snap up Hinds"। ESPNcricinfo। ২৩ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০০৭।
- ↑ http://content-usa.cricinfo.com/icl2008/content[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] he was recently released by Derbyshire County Cricket Club /story/373840.html
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ওয়াভেল হাইন্ডস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ওয়াভেল হাইন্ডস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)