নরসিং দেওনারায়ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার

নরসিং দেওনারায়ণ (ইংরেজি: Narsingh Deonarine; জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৮৩) গায়ানার বারবাইস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ও ইন্দো-গায়ানীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।[] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করেন রিঙ্গো ডাকনামে পরিচিত নরসিং দেওনারায়ণ। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গায়ানার প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এছাড়াও তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

নরসিং দেওনারায়ণ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1983-08-16) ১৬ আগস্ট ১৯৮৩ (বয়স ৪১)
বারবাইস, গায়ানা
ডাকনামরিঙ্গো
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক৩১ মার্চ ২০০৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩ ডিসেম্বর ২০১৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক৩১ জুলাই ২০০৫ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২১ নভেম্বর ২০১৩ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০-২০১৪গায়ানা
২০১৩-বর্তমানগায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৫-বর্তমানত্রিনিদাদ ও টোবাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৬ ২৬ ১১১ ৯৪
রানের সংখ্যা ৬৭৬ ৫৯১ ৬,৩১০ ২,০৩৬
ব্যাটিং গড় ২৮.১৬ ২৮.১৪ ৩৬.৯০ ২৫.৪৫
১০০/৫০ ০/৫ ০/৪ ৯/৪২ ১/১৩
সর্বোচ্চ রান ৮২ ৬৫* ১৯৮ ১০২*
বল করেছে ১,৩৭৯ ৪৫৯ ৮,৯১২ ১,৮৮৫
উইকেট ২৩ ১৩৩ ৩২
বোলিং গড় ২৮.৬৫ ৭১.৩৩ ৩১.৭৩ ৪৭.৭১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৩৭ ২/১৮ ৭/২৬ ৩/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/– ৮/– ৭৫/– ২৭/–

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৭ বছর বয়সে গায়ানা দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব ১৯ দলে অধিনায়কত্ব করেন। পরের বছর সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর সেঞ্চুরি করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। তারপর ২০০৪ সালে হোয়াইটহ্যাভেন ক্রিকেট ক্লাবে খেলার জন্য ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। মার্চ, ২০০৫ সালে চুক্তির বিষয়ে সাতজন খেলোয়াড়ের মতানৈক্যের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। ফিল্ডিং কৌশল ও কভার পয়েন্টে সমান দক্ষতা প্রদর্শনে দলীয় সঙ্গী শিবনারায়ণ চন্দরপলের সাথে তাকে তুলনা করলেও তিনি ছিলেন বেশ এগিয়ে।

১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামেন। চন্দরপল ও আদ্রিয়ান বারাথ আহত হলে দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্তিতে তার এ সুযোগ ঘটে। খেলায় তিনি নিজস্ব সেরা টেস্ট বোলিং ২/৭২ লাভ করেন। এছাড়াও নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতক করেন ও সংগ্রহকে ৮২ পর্যন্ত নিয়ে যান যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল।

১৫ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরের উইকেট তুলে নেন। ঐ ইনিংসটি তেন্ডুলকরের ২০০তম ইনিংসসহ সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পূর্বে কার সর্বশেষ ইনিংস ছিল।[]

ম্যান অব দ্য ম্যাচ

সম্পাদনা
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ খেলায় অবদান ফলাফল
জিম্বাবুয়ে প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, প্রভিডেন্স ৬ মার্চ, ২০১০ ১ কট; ৬৫* (৮৫ বল, ৬x৪, ১x৬)   ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে বিজয়ী[]

ঘরোয়া ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৩ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে স্টানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় স্মরণীয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করে খ্যাতির তুঙ্গে চলে আসেন। ঐ খেলাটি গায়ানা বনাম ত্রিনিদাদের মধ্যকার ধ্রুপদী মিলিয়ন ডলারের খেলা ছিল। ত্রিনিদাদের ১৭৬ রানের জবাবে গায়ানা ১৭১ রান তুলে। শেষ ২ বলে জয় প্রয়োজন। এমতাবস্থায় রামনরেশ সারওয়ানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন তিনি। খেলায় তিনি প্লে অব দ্য ম্যাচ মনোনীত হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Narsingh Deonarine"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  2. English, Peter। "Watson half-century sets Australia's platform"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  3. "Zimbabwe in West Indies ODI Series, 2010 - 2nd ODI" 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা