জ্যাক উইলসন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার
(Jack Wilson (Australian cricketer) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জন উইলিয়াম উইলসন (ইংরেজি: Jack Wilson; জন্ম: ২০ আগস্ট, ১৯২১ - মৃত্যু: ১৩ অক্টোবর, ১৯৮৫) ভিক্টোরিয়ার আলবার্ট পার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জ্যাক উইলসন
১৯৫৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জ্যাক উইলসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন উইলিয়াম উইলসন
জন্ম(১৯২১-০৮-২০)২০ আগস্ট ১৯২১
আলবার্ট পার্ক, ভিক্টোরিয়া
মৃত্যু১৩ অক্টোবর ১৯৮৫(1985-10-13) (বয়স ৬৪)
মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া
ডাকনামচাকার
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২০৫)
২৬ অক্টোবর ১৯৫৬ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৪৯/৫০ভিক্টোরিয়া
১৯৫০/৫১ - ১৯৫৭/৫৮সাউথ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৭৮
রানের সংখ্যা ২৮৭
ব্যাটিং গড় ৫.৭৪
১০০/৫০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৯*
বল করেছে ২১৬ ১৯,৮৫৩
উইকেট ২৩০
বোলিং গড় ৬৪.০০ ৩০.৫১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৫ ৭/১১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ মে ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘চাকার’ ডাকনামে পরিচিত জ্যাক উইলসন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

কিশোর অবস্থায় ফুটবল খেলায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। চিকিৎসক তাকে আর কখনো বামহাত ব্যবহারের অকার্যকারীতার কথা তুলে ধরেন। তবে, উইলসন অখুশী ছিলেন না। এরফলে, তার ফিল্ডিং ও বল ছুড়ে মারার বিষয়ে বেশ দূর্বলতা লক্ষণীয় পর্যায়ের ছিল। প্রায় মিডিয়াম পেস প্রকৃতির বোলিং করতেন বামহাতি স্পিনার জ্যাক উইলসন। শৈশবে আঘাতের কারণে তার বোলিং ভঙ্গীমা ঢিলাকৃতির হওয়ায় তিনি ‘চাক’ বা ‘চাকার’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন।[]

১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক উইলসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিজ রাজ্যের পক্ষে একটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর, ১৯৫০-৫১ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার জন্যে চলে যান। দৃশ্যতঃ ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত প্রত্যেকটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার তার পদচারণ ছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক উইলসন। ২৬ অক্টোবর, ১৯৫৬ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৫৬ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু, উইজডেনের ভাষ্যমতে তিনি কখনোই ইংরেজ পরিবেশের সাথে একাত্মতা পোষণ করতে পারেননি ও তার ফিঙ্গার-স্পিনে দূর্বলতা লক্ষ্য করা যায়।[]

ঐ সফরে ২৩.০৬ গড়ে তিনি ৪৩ উইকেট দখল করেছিলেন। তবে, অ্যাশেজ সিরিজের কোন টেস্টেই তার খেলার সুযোগ ঘটেনি।[] এ সফরের কেবলমাত্র একটি খেলায় সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। ব্রিস্টলে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় ৬১ রান খরচায় ১২ উইকেট দখল করেন। এক পর্যায়ে সাত ওভারে কোন রান না দিয়ে ছয় উইকেট লাভ করেন ও প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ঐ ইনিংসে তিনি ৭/১১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। পরবর্তীকালে এটিই তার সেরা বোলিং ছিল।

১৬ মে, ১৯৫৬ তারিখে ওভালে সারের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয় একাদশের সদস্যরূপে অংশ নেন। তবে, রয় সুইটম্যানের কটে পরিণত হন ও জিম লেকার ইনিংসে তার দশম উইকেটের সন্ধান পান।

ভারতের মুখোমুখি

সম্পাদনা

ইংল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া ফেরার পথে অস্ট্রেলিয়া দল পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্ট ও ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্টে অংশ নেয়। বোম্বেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জ্যাক উইলসনকে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। তিনি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। তবে, একটি উইকেট পেয়েছিলেন ও ১/৬৪ বোলিং পরিসংখ্যান করেন। কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে স্পিনারদের উপযোগী উইকেটে তাকে খেলানো হয়নি।

খেলোয়াড়ী জীবনে তার ব্যাটিংয়ের মান অত্যন্ত দূর্বল প্রকৃতির ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ১৯। ১৯৫৬ সালের ইংরেজ গ্রীষ্মকালে সব মিলিয়ে ঐ সফরে মাত্র ২৩ রান তুলেন।

১৩ অক্টোবর, ১৯৮৫ তারিখে ৬৪ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্ন এলাকায় জ্যাক উইলসনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Jack Wilson, CricInfo. Retrieved 2019-04-20.
  2. Wisden Cricketers' Almanack, 1957, p.225.

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা