জ্যাক রাদারফোর্ড
জন ওয়াল্টার রাদারফোর্ড (ইংরেজি: Jack Rutherford; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস রক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন ওয়াল্টার রাদারফোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রুস রক, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯২৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২০৪) | ২৬ অক্টোবর ১৯৫৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫২/৫৩ - ১৯৬০/৬১ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ মে ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জন রাদারফোর্ড নামে পরিচিত জ্যাক রাদারফোর্ড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাপশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস রক এলাকায় জ্যাক রাদারফোর্ডের জন্ম। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান ও গণিতে স্নাতকধারী হন।[২] ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক রাদারফোর্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। রক্ষণাত্মক ধাঁচের ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলতেই তিনি পছন্দ করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন।
১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলতে শুরু করেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত দলটি কেবলমাত্র মৌসুমে একবার করে শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় অংশ নিতো। এ সীমিত সুযোগেই প্রথম চার মৌসুমে পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। এরফলে, ১৯৫৬ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দল নির্বাচকমণ্ডলী অন্তর্ভুক্ত করে। সিডনিতে ইংল্যান্ড গমনার্থে যাচাইবাছাইয়ের খেলায় অংশগ্রহণের পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। পোতানো গ্রীষ্মে ২৩ রানেরও কম গড়ে ৬৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন জ্যাক রাদারফোর্ড।[৩]
প্রথম পশ্চিম অস্ট্রেলীয় হিসেবে আর্নেস্ট ব্রমলি টেস্ট ক্রিকেট খেললেও জ্যাক রাদারফোর্ড ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বড়দের দলের সাথে বিদেশ গমন করেন ও নিজ রাজ্য দলে খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট ক্যাপ লাভের অধিকারী হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক রাদারফোর্ড। ২৬ অক্টোবর, ১৯৫৬ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
লর্ডসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে ৯৮ রান তুলেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নীল হার্ভের সাথে ২৮২ রান যুক্ত করেন। হার্ভে করেন ২২৫ রান।[৪] কিন্তু, প্রথম টেস্টের জন্যে নাম ঘোষণা করা হলে দল নির্বাচকমণ্ডলী উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে নামার জন্যে কলিন ম্যাকডোনাল্ড ও জিম বার্ককে নিয়ে আসে।
ইংল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পথে পাকিস্তানে দলটি যাত্রা বিরতি করে। পাকিস্তানে একটি টেস্ট ও ভারতে তিনটি টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয় অস্ট্রেলিয়া দল। ভারতের মাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন তিনি। বোম্বে টেস্টে তিনি কলিন ম্যাকডোনাল্ডের স্থলাভিষিক্ত হন ও নিজস্ব একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।[৫] তিনি ৩০ রান করেন ও বিজয় মাঞ্জরেকারের একমাত্র উইকেটটি পান। তবে, তৃতীয় টেস্টে ম্যাকডোনাল্ডকে দলে ফিরিয়ে আনা হলে তিনি বাদ পড়েন ও আর তাকে টেস্ট ক্রিকেট আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়নি।
অবসর
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর আরও তিন মৌসুম রাজ্যভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে এমসিসি দল অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ করে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকসহ ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে, ঐ মৌসুমে তাকে কোন টেস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরপর, ঐ মৌসুমেই তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।
১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডভিত্তিক ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে রিশটন দলের সাথে পেশাদারী পর্যায়ে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ বছর ৮৩১ রান ও ৫২ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[৬] ১৯৬০-৬১ মৌসুমে পুনরায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জগতে ফিরে আসেন। রাজ্য দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অস্ট্রেলিয়া গমনে আসে। সফররত দলের বিপক্ষে রাজ্য দলের বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, খেলা চলাকালীন মৃদু হৃৎযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। এরপর, আর তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ফিরে আসেননি।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Jack Rutherford"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৫।
- ↑ Gideon Haigh, The Summer Game, Text, Melbourne, 1997, p. 210.
- ↑ "First-class Batting and Fielding in each Season by Jack Rutherford"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৫।
- ↑ "Scorecard: MCC v Australians"। www.cricketarchive.com। ১৯৫৬-০৫-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৫।
- ↑ "Scorecard: India v Australia"। www.cricketarchive.com। ১৯৫৬-১০-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৫।
- ↑ Wisden 1960, p. 738.
- ↑ The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, pp. 458–59.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জ্যাক রাদারফোর্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জ্যাক রাদারফোর্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)