সিরিয়া
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(ডিসেম্বর ২০২৪) |
সিরিয়া বা সুরিয়া (আরবি: السورية, প্রতিবর্ণীকৃত: Sūriyā), হল পশ্চিম এশিয়ার একটি সার্বভৌম দেশ যার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে লেবানন, পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর, উত্তরে তুরস্ক, পূর্বে ইরাক, দক্ষিণে জর্ডান এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ইসরায়েল।
সিরিয়া سُورِيَا | |
---|---|
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | দামেস্ক |
সরকারি ভাষা | আরবি |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | সিরীয় |
সরকার | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার |
• আমির | আহমেদ হুসেইন আল-শারা |
মোহাম্মদ আল-বশির | |
স্বাধীন ফ্রান্স থেকে | |
• প্রথম ঘোষণা | সেপ্টেম্বর ১৯৩৬1 |
• দ্বিতীয় ঘোষণা | জানুয়ারি ১ ১৯৪৪ |
• স্বীকৃত | এপ্রিল ১৭ ১৯৪৬ |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮৫,১৮০ কিমি২ (৭১,৫০০ মা২) (৮৮তম) |
• পানি (%) | ০.০৬ |
জনসংখ্যা | |
• জুলাই ২০০৭ আনুমানিক | ২০,৩১৪,৭৪৭ (৫৫তম) |
• ঘনত্ব | ১০৩/কিমি২ (২৬৬.৮/বর্গমাইল) (৯৬তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০০৫ আনুমানিক |
• মোট | ৭১১৪ কোটি ডলার (৬৫তম) |
• মাথাপিছু | ৫,৩৪৮ ডলার (১০১তম) |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪) | ০.৫৩৬[১] নিম্ন · ১৫৫ তম |
মুদ্রা | সিরীয় পাউন্ড (SYP) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+২ (EET) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+3 (EEST) |
কলিং কোড | +৯৬৩ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .sy سوريا. |
উর্বর সমতলভূমি, উচ্চ পর্বত এবং মরুভূমির একটি দেশ। সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতিগত এবং ধর্মীয় গোষ্ঠী: আরব, গ্রীক, আর্মেনীয়, অশূরীয়, কুর্দি, কার্কাসীয়,[২] এবং তুর্কিসহ। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্ত: সুন্নি, শিয়া, খ্রিস্টান, আলবীয়, দ্রুজ, ইসমাইলি, মেন্ডীয়বাদী[৩], ইয়াজিদি ও ইহুদি। সিরিয়ার রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর দামেস্ক। আরবরা হল বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, এবং সুন্নীরা হল বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী।
"সিরিয়া" নামটি ঐতিহাসিকভাবে একটি বৃহত্তর অঞ্চলকে বোঝায়, যা ব্যাপকভাবে লেভান্টের সমার্থক এবং আরবি ভাষায় অ্যাশ-শাম নামে পরিচিত। দামেস্ক এবং আলেপ্পো মহান সাংস্কৃতিক গুরুত্বের শহর। দামেস্ক ছিল উমাইয়া খিলাফতের আসন এবং মিশরের মামলুক সালতানাতের জন্য একটি প্রাদেশিক রাজধানী। আধুনিক সিরিয়ান রাষ্ট্রটি বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে উসমানীয় শাসনের কয়েক শতাব্দী পর ফরাসি ম্যান্ডেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি 1945 সালে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে যখন প্রথম সিরিয়ান প্রজাতন্ত্র জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়ে ওঠে।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাচীন প্রাচীনত্ব
সম্পাদনাখ্রিস্টপূর্ব ১০,০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সিরিয়া নবপ্রস্তরযুগীয় সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র ছিল, (প্রাক-পটারি নিওলিথিক এ নামে পরিচিত) যেখানে কৃষি এবং গবাদি পশু প্রজনন পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়। নিম্নলিখিত নবপ্রস্তরযুগীয় পিরিয়ড (পিপিএনবি) মুর্যবেট সংস্কৃতির আয়তক্ষেত্রাকার ঘরগুলি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করে। প্রাক-মৃৎশিল্পের নবপ্রস্তরযুগীয়ের সময়ে লোকেরা পাথর, জিপ এবং পোড়া চুন দিয়ে তৈরি পাত্রগুলি ব্যবহার করত (ভাইসেল ব্লাঞ্চ)। আনাতোলিয়া থেকে প্রাপ্ত ওবিসিডিয়ান সরঞ্জামগুলির সন্ধান হ'ল প্রাথমিক বাণিজ্য সম্পর্কের প্রমাণ। হামৌকর এবং ইমার শহরগুলি নব্যলিথিক এবং ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রমাণ করেছেন যে সিরিয়ার সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম, সম্ভবত এর আগে কেবল মেসোপটেমিয়া ছিল।
ভূগোল
সম্পাদনাসিরিয়া ৩২° এবং ৩৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৩৫° এবং ৪৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এর মধ্যে অবস্থিত। এখানকার জলবায়ুটি আর্দ্র ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে একটি আধা-বিস্তৃত স্টেপ্প অঞ্চল হয়ে পূর্বে শুকনো মরুভূমিতে পরিবর্তিত হয়। দেশটি বেশিরভাগ শুকনো মালভূমি নিয়ে গঠিত, যদিও ভূমধ্যসাগরের সীমানার উত্তর-পশ্চিম অংশটি মোটামুটি সবুজ। উত্তর-পূর্বে আল-জাজিরা এবং দক্ষিণে হাওরান গুরুত্বপূর্ণ কৃষি অঞ্চল। সিরিয়ার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নদী ফোরাত দেশটির পূর্ব অংশ অতিক্রম করে। সিরিয়া সেই পনেরোটি রাজ্যের মধ্যে একটি, যা তথাকথিত "সভ্যতার শৈশবাবস্থা" সমন্বিত।[৪] এর জমিটি "আরবীয় প্লেটের উত্তর-পশ্চিমে" বিস্তৃত হয়েছে।[৫]
রাজনীতি
সম্পাদনাসিরিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সঙ্ঘটিত হয়। রাষ্ট্রের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি এবং বাথ পার্টির হাতে ন্যস্ত। সিরিয়া সংবিধানমতে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হলেও ১৯৬৩ সাল থেকে দেশটিতে একটি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের কোন ক্ষমতা নেই জনগণের। দেশটি তাই কার্যত একটি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সিরিয়ার সরকার ইসরায়েলের সাথে ক্রমাগত যুদ্ধকে জরুরি অবস্থার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সিরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হাফিয আল-আসাদ পাঁচ বার গনভোট বিজয়ের মাধ্যমে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। তার ছেলে ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদও ২০০০ সালের এক গনভোটে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি পদে বহাল হন। রাষ্ট্রপতি ও তার মূল সহযোগীরাই, বিশেষত সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা, সিরিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকেন।সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা জাতিসংঘ ঘোষিত সংখ্যার দ্বিগুণ। এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৫ শতাংশ সিরীয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। সিরিয়া যুদ্ধে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিরিয়ান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (এসসিপিআর)’ একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের বিভীষিকায় পড়ে সিরিয়ার জাতীয় সম্পদ ও অবকাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার লোক। দেড় বছর আগে পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে জাতিসংঘ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল এটি তার প্রায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা আড়াই লাখ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাকল্যে সিরিয়ার জনগণের সাড়ে ১১ শতাংশই নিহত বা আহত হয়েছে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত স্বৈরাচারবিরোধী তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ার সিরিয়াতেও এসে লাগে ২০১১ সালে। ওই বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে এই জোয়ারের সুফল না মিললেও এই সময়ে হতাহত হয়েছে বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী। প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বলা হয়েছে ১৯ লাখ। যুদ্ধ শুরুর আগে ২০১০ সালে সিরিয়ার মানুষের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৭০ বছর, সেটাই ২০১৫ সালে নেমে দাঁড়ায় ৫৫ বছর ৪ মাসে। দেশটির অর্থনীতির সার্বিক ক্ষতির পরিমাণও নিতান্ত কম নয়, আনুমানিক ২৫ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।এসসিপিআরের মতে, নিহত ৪ লাখ ৭০ হাজার লোকের মধ্যে প্রায় ৪ লাখই মারা গেছে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহিংসতার শিকার হয়ে। বাকি ৭০ হাজার মারা গেছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ঘাটতিতে, সংক্রামক ব্যাধিতে, খাবার ও পানির অভাবে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১০ সালে শুরু হওয়া আরব বসন্তের বিপ্লবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। সিরিয়ান সেনার একটি কঠোর ব্যবস্থার দ্বারা অনুসৃত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের একটি চেইন হিসেবে ২০১১ সালে শুরু হয়। জুলাই ২০১১ সালে , সেনাবাহিনীর দলত্যাগীরা ফ্রি সিরিয়ান সেনা গঠনের ঘোষণা করেন এবং যুদ্ধ ইউনিট গঠন শুরু হয়। এই বিরোধিতা সুন্নি মুসলমানদের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেখানে নেতৃস্থানীয়রা আলাউয়ি।
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০১৬-তে বিশ্বের সবচেয়ে অশান্ত দেশ সিরিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। এ কারণে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন জঙ্গিদের হাতে বা আইএস বিরোধী অভিযানে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।[৬]
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
সম্পাদনাসিরিয়া ১৪টি গভর্নরেটে , যা ৬১টি জেলায় বিভক্ত, যা আরও উপ- বিভাগে বিভক্ত করা হয় ।
- দামেস্ক প্রশাসনিক
- লাতাকিয়া গভর্নোরেট
- হিমস গভর্নোরেট (মরুর মুক্তা খ্যাত সিরিয়ার প্রাচীন নগর পালমিরা এখানে অবস্থিত ।)
সিরিয়া ভূমধ্য সাগরের পূর্ব দিকে আরব উপদ্বীপের উত্তরে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত। এটি তুরস্ক দ্বারা উত্তরে, লেবানন এবং ইসরায়েল পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, পূর্ব থেকে ইরাক এবং দক্ষিণে জর্দান পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পশ্চিমে পর্বতশ্রেণী এবং অন্তর্দেশীয় অঞ্চলে অবস্থিত। পূর্বের সিরিয়া মরুভূমি এবং দক্ষিণে জবাল আল-ডুরজ রেঞ্জ । সাবেক ইউফ্রেটিস উপত্যকা দ্বারা বিভক্ত করা হয়। ১৯৭৩ সালে নির্মিত একটি বাঁধের সাহায্যে সিরিয়ার বৃহত্তম হ্রদ লেক আসাদ নামক একটি জলাধার নির্মাণ করে। সিরিয়ায় সর্বোচ্চ বিন্দু লেবাননের সীমান্তে হর্মোণ পর্বত (২৮১৪ মিঃ, ৯২২২ ফুট)। আর্দ্র আর্দ্রভূমির উপকূলে এবং শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলের মধ্যে একটি আধা-খাড়া খাড়া অঞ্চল রয়েছে যা দেশের তিন-চতুর্থাংশে বিস্তৃত হয়, যা মরুভূমি জুড়ে উষ্ণ, শুষ্ক বাতাস বহন করে। সিরিয়া ব্যাপকভাবে নিপীড়িত, [ স্পষ্টকরণ প্রয়োজন ] স্থল ফসলের জন্য নিবেদিত ৪ শতাংশ, ময়দা এবং চারণভূমি হিসাবে ব্যবহার ৪৬ শতাংশ, এবং শুধুমাত্র ৩ শতাংশ বন ও বনভূমি।
অর্থনীতি
সম্পাদনাজনমিতি
সম্পাদনাজাতিগোষ্ঠী
সম্পাদনাধর্ম
সম্পাদনাভাষা
সম্পাদনাআরবি ভাষা সিরিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় চার-পঞ্চমাংশ লোক আরবি ভাষাতে কথা বলে। সিরিয়াতে প্রচলিত অন্যান্য ভাষার মধ্যে আদিজে ভাষা, আরামীয় ভাষা,আর্মেনীয় ভাষা, আজারবাইজানি ভাষা, দোমারি ভাষা (রোমানি ভাষা), কুর্দি ভাষা এবং সিরীয় ভাষা উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কাজকর্মে ফরাসি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
বৃহত্তম শহর
সম্পাদনা১. দামেস্ক
২.আলেপ্পো
৩.হিমস
৪.হামা
সংস্কৃতি
সম্পাদনাভাল দেশ সিরিয়া তবে বিগত কিছু বছর ধরে এখানে সহিংসতা হয়ে আসছে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল গুলোর মধ্যে। যদিও বিগত কয়েক বছর থেকে এখন সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে।
শিক্ষা
সম্পাদনা৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা নিখরচায় এবং বাধ্যতামূলক। বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ৬ বছর রয়েছে, যার মধ্যে ৩ বছরের সাধারণ বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সময়কাল এবং পরের ৩ বছরে একাডেমিক বা বৃত্তিমূলক প্রকল্পের শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দ্বিতীয় ৩ বছরের মেয়াদী একাডেমিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মোট তালিকাভুক্তি পোস্ট-সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড় লক্ষেরও বেশি। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের সিরিয়ানদের সাক্ষরতার হার পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯০.৭% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৮২.২%।[১০][১১]
১৯৬৭ সাল থেকে সমস্ত বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বা'য়াথ পার্টির দ্বারা সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছে।[১২]
সিরিয়ায় ৬ টি রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়[১২] এবং ১৫ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।[১৩] প্রধান দুটি রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হ'ল দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৪ সালে ২১০,০০০ শিক্ষার্থী)[১৪] এবং আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়।[১৫] সিরিয়ার শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হল: সিরিয়ান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, আরব আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, কালামুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সিরিয়ায় অনেকগুলি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন উচ্চতর ইনস্টিটিউট, যা ব্যবসায় অস্নাতক এবং স্নাতক প্রকল্প সরবরাহ করে।[১৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "2015 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Gammer, Moshe (২০০৪)। The Caspian Region: The Caucasus। 2। Routledge। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 0203005120।
- ↑ Who cares for the Mandaeans?, Australian Islamist Monitor
- ↑ F. A. Schaeffer, Claude (২০০৩)। Syria and the Cradle of Civilization: The Findings of Claude F a Schaeffer in Ras Shamra। Trubner & Company। আইএসবিএন 978-1-84453-129-5।
- ↑ Egyptian Journal of Geology – Volume 42, Issue 1 – Page 263, 1998
- ↑ "Safe Unsafe"। Anandabazar Patrika। ২০ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;CIA
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Syria"। www.cia.gov। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Middle East Public Opinion Survey (Syria 2017)" (পিডিএফ)। CMEPS-J Report No. 8।
- ↑ "U.S. Relations With Syria"। State.gov। ২৪ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Syria's Education System – Report – June 2001" (পিডিএফ)। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ ক খ "Syria – Education"। Countrystudies.us। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০০৮।
- ↑ "Private universities"। Ministry of Higher Education। ২৩ নভেম্বর ২০১১। ১৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Forward Magazine, Interview with President of Damascus University"। ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ১৮ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Forward Magazine, Interview with President of Aleppo University, May 2008. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে
- ↑ "Getting education right"। মার্চ ২০০৮। ৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- টীকা
- উদ্ধৃতিসমূহ
- সাধারণ তথ্যসূত্র
- Boczek, Boleslaw Adam (2006). International Law: A Dictionary. Scarecrow Press. আইএসবিএন ০-৮১০৮-৫০৭৮-৮
- Finkelstein, Norman (২০০৩)। Image and reality of the Israel-Palestine conflict। Verso। আইএসবিএন 978-1-85984-442-7।
- Glass, Charles (১৯৯০), Tribes with Flags: A Dangerous Passage Through the Chaos of the Middle East, Atlantic Monthly Press (New York) and Picador (London), আইএসবিএন 978-0-436-18130-6 .
- Karoubi, Mohammad Taghi (2004). Just or Unjust War? Ashgate Publishing আইএসবিএন ০-৭৫৪৬-২৩৭৫-০
- Forward Magazine (Syria's English monthly since 2007) .
- Orsam Suriye Türkleri Raporu-Orsam Syria Turks
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- van Dam, Nikolaos (২০১১), The Struggle for Power in Syria: Politics and Society under Asad and the Ba'ath Party, I. B. Tauris .
- Dawisha, A. I. (১৯৮০)। Syria and the Lebanese Crisis। আইএসবিএন 978-0-312-78203-0।
- Lawson, Fred H (২০১০), Demystifying Syria, Saqi .
- Maoz, M. (১৯৮৬)। Yaniv, A, সম্পাদক। Syria Under Assad। আইএসবিএন 978-0-312-78206-1।
- Paton, L. B. (১৯৮১)। The Early History of Syria and Palestine। আইএসবিএন 978-1-113-53822-2।
- Sahner, Christian C. (২০১৪)। Among the Ruins: Syria Past and Present। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19939670-2।
- Schlicht, Alfred (১৯৮০), "The role of foreign powers in the history of Lebanon and Syria from 1799 to 1861", Journal of Asian History, 14 .
- Seale, Patrick (১৯৮৭)। The Struggle for Syria। আইএসবিএন 978-0-300-03944-3।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- সিরিয়া এখন কোথায় বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ এপ্রিল ২০১৮, পৃষ্ঠা ৫।
- কীভাবে সিরিয়া এমন হলো প্রথম আলো।
- সিআইএ প্রণীত দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এ Syria-এর ভুক্তি
- কার্লিতে সিরিয়া (ইংরেজি)
- টেমপ্লেট:GovPubs
- Syria profile from the BBC News
- টেমপ্লেট:ArabDecision
- উইকিমিডিয়া অ্যাটলাসে Syria