নাস্তিক্যবাদ
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (আগস্ট ২০২৩) |
নাস্তিক্যবাদ (অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) (ইংরেজি: Atheism) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয় না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। মূলত আস্তিক্যবাদ এর বর্জনকেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়।[৫]
নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।[৬]শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি বিশ্বাস কে ভ্রান্ত বলে তারা স্বীকার করে। দিনদিন মুক্তচিন্তা, সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোনো ধর্মেই বিশ্বাস করে না।[৭] জাপানের ৩১% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়।[৮][৯] রাশিয়াতে এই সংখ্যা প্রায় ১৩% এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর দেশগুলোতে ১২% নাস্তিক, (৬% শুধুমাত্র ইতালিতেই) থেকে শুরু করে ৪৬% থেকে ৮৫% (সুইডেন) মত।[৮]
পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পারলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদ, বস্তুবাদ ইত্যাদি দর্শনে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা মূলত কোনো বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যেকোনো মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে, নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
প্রকারভেদ এবং সংজ্ঞা
লেখকরা নাস্তিকতা শব্দটির প্রকৃত সংজ্ঞা কী হবে তা নিয়ে ঐকমত্যে পৌছাতে পারেন নি।[১০] অতিপ্রাকৃত সত্তাকে কি ঈশ্বর হিসেবে ধরা হবে, তাকে অবিশ্বাস করলেই কি তা নাস্তিকতা হবে, সুস্থ মানসিকতা থেকে, সজ্ঞানে ঐশ্বরিক ধারণা প্রত্যাখান করলেই কি ব্যক্তি নাস্তিক হবে, এইবিষয়গুলো নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়ে গিয়েছে। নাস্তিকতা সংশয়বাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ,[১১][১২][১৩][১৪][১৫][১৬][১৭] এবং কেউ কেউ এর মধ্যে পার্থক্যও করেছে।[১৮][১৯][২০] নাস্তিকতার বিভিন্ন রূপভেদের মধ্যে পার্থক্যকরণের জন্য বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ তৈরী করা হয়েছে।
দেবতা এবং ঈশ্বর এই শব্দদ্বয়ের সংজ্ঞায় ঐকমত্যে না আসতে পারার জন্য নাস্তিকতাকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে কিছু অস্পষ্টতা এবং বিতর্ক তৈরি হয়। প্রাচীন রোমের অধিবাসীরা খ্রিষ্ঠানদের প্যাগান দেবতার পুজো না করায় নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করেছিল। ধীরে ধীরে নাস্তিকতা নিয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন আসে, যেহেতু বিশ্বাসবাদ এখন সুনির্দিষ্ট বিশ্বাসে আটকে নেই, বরং যেকোনো ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাসই এখন বিশ্বাস বলে গণ্য হয়।[২১]
অর্থাৎ নাস্তিকতা মানে এখন কোনো সুনির্দিষ্ট বিশ্বাসের সমালোচনা নয়, বরং সমস্ত ধর্ম যা আধ্যাত্মিকতা বা অলৌকিকতা নিয়ে কাজ করে বা বিশ্বাস করে, তার বিরোধিতা করা।[২২]
প্রত্যক্ষ বনাম পরোক্ষ
ব্যক্তিভেদে নাস্তিকতার সংজ্ঞা ভিন্নরূপ হতে পারে। নাস্তিকতাকে কখনো সংজ্ঞায়িত করা হয় এমনভাবে যে, যে ব্যক্তি যেকোনো প্রকার দৈব শক্তিতে অবিশ্বাস করছে, এমনটা হলেই তিনি নাস্তিক। এই বিস্তৃত সংজ্ঞা নবজাত শিশু বা সেসব লোকের জন্যও প্রযোজ্য যারা কোনোরুপ ধর্মবিশ্বাসের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায় নি। ১৭৭২ সালে ব্যারন ডি হলব্যাচ বলেন, "সব শিশুই নাস্তিক হয়ে জন্মগ্রহণ করে।"[২৩]
একইভাবে, জর্জ এইচ স্মিথ (১৭৭৯) বলেন: "যে ব্যক্তি বিশ্বাস করতে হয়, এমন ধর্মের সাথে পরিচিত নয়, সে নাস্তিক। কারণ সে তো ঈশ্বরে বিশ্বাস করছে না। অর্থাৎ এই শ্রেণিতে একজন শিশুও অন্তর্ভুক্ত কারণ সেও ঈশ্বর সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় এবং যেহেতু একজন শিশু ঈশ্বরে বিশ্বাস করছে না, তাই সে নাস্তিক হিসেবেই বিবেচ্য।"[২৪] "স্বজ্ঞানহীন নাস্তিকতা" মানে হল কোন ধর্ম বিশ্বাসকে অসচেতন ভাবে প্রত্যাখ্যান করা এবং" স্বজ্ঞান নাস্তিকতা" মানে হল কোন ধর্ম বিশ্বাসকে সচেতনভাবে প্রত্যাখ্যান করা। আর্নেস্ট নাগেল তার "ফিলোসফিক্যাল এথিজম" নামক নিবন্ধে ঈশ্বরবাদী বিশ্বাসের কিছুমাত্র অনুপস্থিতিকেই নাস্তিকতার একটি প্রকরণ বলে উল্লেখ করেন।[২৫] তবে গ্রাহাম অপ্পি যেসব মানুষ ঈশ্বর সম্বন্ধে অজ্ঞাত, তাদের নাস্তিক বলতে নারাজ ছিলেন। তার মতে একমাসের বাচ্চা, মস্তিষ্কে তীব্র আঘাত, ডেমেনটিয়ায় আক্রান্ত অসুস্থ মানুষের ঈশ্বর কী এই বিষয়ে বুঝার সক্ষমতা নেই। তাই তিনি তাদের নাস্তিক শব্দের পরিবর্তে নিরীহ বলে উল্লেখ করেন।[২৬]
ইতিবাচক বনাম নেতিবাচক
মাইকেল মার্টিন [২১] এবং এন্থনি ফ্লিউয়ের মতো দার্শনিক[২৭] ইতিবাচক (শক্তিশালী/দৃঢ়) এবং নেতিবাচক নাস্তিকতার (দুর্বল/নরম) মধ্যে পার্থক্য তৈরি করেন। ইতিবাচক নাস্তিক্যবাদ হলো ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই একথাটি সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করে নেওয়া এবং সকল প্রকার বিশ্বাস হীনতাই হলো নেতিবাচক নাস্তিক্যবাদ। এই শ্রেণিবিভাগ মতে যে ব্যক্তি বিশ্বাসী নয় সে ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক উভয়ের মধ্যে যেকোনো রূপ নাস্তিক হতে পারে। নাস্তিকতার পদবাচ্যে "দুর্বল" এবং দৃঢ় নাস্তিকতা যদিও আধুনিক একটি শব্দ কিন্তু নেতিবাচক অথবা ইতিবাচক নাস্তিক্যবাদ শব্দদ্বয়ের উত্থান ঘটেছে বহু পূর্বে যা ব্যবহৃত হয়েছে একটু ভিন্নভাবে হলেও দার্শনিক দর্শনভিত্তিক সাহিত্যে[২৭] এবং ক্যাথলিক এপলোজেটিক্সে ব্যবহৃত হয়েছে।[২৮] নাস্তিকতার এই সীমানা নির্ধারণের কারণে বেশিরভাগ সংশয়বাদী নিজেদের নেতিবাচক নাস্তিক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরুপ, মাইকেল মার্টিন সংশয়বাদকে নেতিবাচক নাস্তিকতার ফলাফল ধরলেও,[১৪] অনেক অজ্ঞেয়বাদী তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে নাস্তিকতা থেকে ভিন্ন মনে করেন।[২৯][৩০] [২৯]তারা নাস্তিকতাকে আস্তিক্যবাদের চেয়ে বেশি ন্যায়সঙ্গত নয় বা এজন্য সমান দৃঢ় বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় বলে মনে করেন। [৩১][৩২] ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয় এই দাবির কথা মাঝে মাঝে এমনভাবে দেখা হয় যেন, নাস্তিকতায় আস্থা রাখতেও একধরণের বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। [৩১][৩২] এই যুক্তির জবাবে সাধারণত নাস্তিকরা কয়েক ধরনের উত্তর দেন। কেউ কেউ বলেন, প্রমাণিত হয়নি এমন ধর্মীয় দাবিগুলোকে ঠিক অন্য যেকোনো অপ্রমাণিত দাবির মতো অবিশ্বাস করাই স্বাভাবিক। [৩৩] এছাড়াও তারা বলেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা যায় না বলে এ দুটো সম্ভাবনার সমান সম্ভাবনা থাকবে এমনটাও ঠিক নয়।[৩৪] অস্ট্রেলীয় দার্শনিক জে জে সি স্মার্ট যুক্তি দিয়েছিলেন "কখনও কখনও একজন সত্যিকারের নাস্তিক ব্যক্তি অযৌক্তিক সাধারণীকৃত দার্শনিক সংশয়বাদের কারণে,যা আমাদের গণিত এবং আনুষ্ঠানিক যুক্তিবিজ্ঞানের সত্য ব্যতীত অন্য কিছু জানি এমনটা বলতে বাধা দেয়, নিজেকে অজ্ঞেয়বাদী হিসেবে বর্ণনা করতে পারেন।" [৩৫] ফলস্বরূপ, কিছু নাস্তিক্যবাদী লেখক, যেমন রিচার্ড ডকিন্স, ঈশ্বরবাদী, অজ্ঞেয়বাদী এবং নাস্তিক্যবাদী অবস্থানগুলোকে "আস্তিকীয় সম্ভাবনার বর্ণালী" বরাবর পৃথক করতে পছন্দ করেন। বর্ণালীটির প্রতিটি অবস্থান "ঈশ্বর আছেন" এই বিবৃতির প্রতি একজন ব্যক্তির বিশ্বাসের মাত্রা অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
নাস্তিকতা বনাম ধর্ম
আঠারো শতকের পূর্বে ঈশ্বরের অস্তিত্ব পশ্চিমা সমাজে এতটাই স্বীকৃত ছিল যে, এমন কি প্রকৃত নাস্তিকতাই সেখানে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ বিষয়টিকে বলা হত জন্মগত বিশ্বাসী। এর মানে হলো মানুষ জন্মগত ভাবেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং নাস্তিকতা সেখানে সহজাতভাবেই প্রত্যাখাত একটি বিষয় ছিল।[৩৬]
সাধারণ মানুষের একপক্ষ আবার নাস্তিকদের নিয়ে একটি বিশেষ ধারণা পোষণ করতো। তাদের দাবী অনুসারে একজন নাস্তিক তীব্র বিপদের সময় হঠাৎই ঈশ্বরে বিশ্বাস নিয়ে আসে, তারা মৃত্যু কালীন সময়ে ধর্মান্তরিত হয় এবং চরম বিপদ যেমনঃ দুর্যোগ বা "যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো নাস্তিকই নাস্তিক থাকে না"।[৩৭] পক্ষান্তরে তীব্র দুর্যোগের মুহুর্তেও যে মানুষ নাস্তিক থাকতে পারে, এরূপ উদাহরণও আছে।[৩৮]
কিছু নাস্তিক নাস্তিকতাবাদের খুব বেশি প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। স্যাম হ্যারিস তার বই লেটার টু অ্যা ক্রিশ্চিয়ান নেশনে লিখেন:
প্রকৃতপক্ষে, "নাস্তিকতাবাদ" হচ্ছে এমন একটি পদবাচ্য, যার অস্তিত্বই থাকা উচিত না। কেওই নিজেকে "আমি জ্যোতিষ নই" বা "আমি আলকেমিস্ট নই" এই মর্মে অভিহিত করেন না। যেসব ব্যক্তি সন্দেহ করে এলভিস [একজন আমেরিকান সংগীত শিল্পী] এখনো জীবিত থাকতে পারে অথবা এলিয়েনরা হাতের ছোয়ায় এই মহাবিশ্বকে তাদের গোয়ালের প্রাণী বানিয়ে রাখবে, তাদের জন্য শব্দ খরচ করার মত শব্দ আমাদের নেই। যে ধর্মের সত্যতা নির্ধারণ করা যায় না, এজাতীয় ধর্মের বিপরীতে যুক্তিবাদী ব্যক্তির যে কোনো শব্দই নাস্তিক্যবাদের প্রতিনিধিত্ব করে। স্বতন্ত্রভাবে নাস্তিক্যবাদ শব্দটির আমদানী অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার মাত্র।"[৩৯]
ব্যুৎপত্তি
প্রারম্ভিক প্রাচীন গ্রিক ভাষায়, বিশেষণ átheos ( ἄθεος, ব্যক্তিগত ἀ- + θεός থেকে "ঈশ্বর") অর্থ "ঈশ্বরহীন"। এটি প্রথমে কুৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো, মোটামুটিভাবে যার অর্থ ছিলো "অধার্মিক" বা "অপরাধী"। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে, শব্দটি "ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা" বা "ঈশ্বরকে অস্বীকার করা" অর্থে অধিক ইচ্ছাকৃত এবং সক্রিয় ঈশ্বরহীনতা নির্দেশ করতে শুরু করে। এরপর ἀσεβής ( asebēs ) শব্দটি যারা স্থানীয় দেবতাদের অসম্মান করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছিলো। এমনকি তারা অন্য দেবদেবীতে বিশ্বাস করলেও এই শব্দটি প্রয়োগ করা হতো। ধ্রুপদী পাঠ্যের আধুনিক অনুবাদগুলো কখনও কখনও átheos কে "atheistic" বা নিরীশ্বরবাদী হিসেবে অভিহিত করে। একটি বিমূর্ত বিশেষ্য হিসাবে, ἀθεότης ( atheotēs) ব্যবহৃত হতো যার অর্থ , "নাস্তিকতা"। সিসেরো গ্রীক শব্দটিকে ল্যাটিন átheos-এ লিপিবদ্ধ করেন। প্রারম্ভিক খ্রিস্টান এবং হেলেনিস্টদের মধ্যে বিতর্কে শব্দটি নিয়মিত ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায় , যেখানে প্রতিটি পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করতো। [৪১]
ইংরেজি "এথিস্ট" শব্দটি এসেছে (ফরাসী athée) থেকে, যার অর্থ "সে সব মানুষ, যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রত্যাখান করে",[৪২] ইংরেজিতে এই শব্দের ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায় ১৫৬৬ সালের পূর্বভাগে,[৪৩] এবং ১৫৭১ সালে।[৪৪] এথিস্ট শব্দটি ব্যবহারিক ভাবে ঈশ্বরবিহীন আখ্যা হিসেবে ১৫৭৭ সালে।[৪৫] ইংরেজি এথিজম পদবাচ্য এসেছে ফরাসি athéisme,[৪৬] থেকে এবং ইংরেজিতে ১৫৮৭ সালে তা প্রতীয়মান হয়।[৪৭] ১৫৩৪ সালে একটি এথিওনিজম হিসেবে একটি বিষয়ে নাস্তিক্যবাদকে প্রকাশ করা হয়েছিল।[৪৮][৪৯] সমসাময়িক শব্দ হিসেবে: ১৬২১ সালে শ্বরবাদী,[৫০] ১৬৬২ সালে আস্তিক্যবাদ,[৫১] ১৬৭৫ সালে শ্বরবাদ,[৫২] এবং ১৬৭৮ সালে আস্তিক্যবাদ পদবাচ্যের উদ্ভব হয়।[৫৩] সেইসময় "শ্বরবাদ" এবং "শ্বরবাদী" পদব্যাচ্যের আধুনিক অর্থ উদ্ভূত হয়। আস্তিক্যবাদের সাথে শ্বরবাদের পার্থক্য এভাবেই উৎসররিত হয়।
ক্যারেন আর্মস্ট্রং লিখেছেন যে, "১৬ এবং সতেরো শতকে নাস্তিক্যবাদ শব্দটি শুধুমাত্র সম্পূর্ণভাবে বিতর্কিত তর্কশাস্ত্রীয় ছিল… সেসময় নাস্তিক্যবাদ পদবাচ্য টি একপ্রকার অপমানজনক শব্দ ছিল এবং কেউই নিজেকে নাস্তিক হিসেবে অভিহিত করার কথা স্বপ্নেও ভাবত না।"[৫৪]
নিজেকে নাস্তিক হিসেবে অভিহিত করার প্রথম ধাপ শুরু হয় ইউরোপে ১৮ শতকের শেষভাগে। সেসময় বিশেষত একেশ্বরবাদী আব্রাহামিক ঈশ্বরের প্রতি যে অবিশ্বাস তা প্রকাশ করাই ছিল নাস্তিকতা।[৫৫] বিশ শতকে বিশ্বায়নের মাধ্যমের এই শব্দের ব্যাপক বিস্তৃতির জন্য এর অর্থ দাঁড়ায় সর্বপ্রকার দৈবশক্তিতে অবিশ্বাস। যদিও বর্তমানে পশ্চিমা সমাজে শুধুমাত্র "ঈশ্বরে অবিশ্বাস"কেই সাধারণত নাস্তিক্যবাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[২১]
ধর্ম ও নৈতিকতা
ধর্মের সমালোচনা
কিছু প্রখ্যাত নাস্তিক সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিস্টোফার হিচেন্স, ড্যানিয়েল ডেনেট, স্যাম হ্যারিস, এবং রিচার্ড ডকিন্স, তাদের পূর্বসুরী বার্ট্রান্ড রাসেল, রবার্ট জি ইনগ্রেসোল, ভলতেয়ার ও ঔপন্যাসিক জসে সারামাগো—ধর্মের সমালোচনা করেছেন। ধর্মীয় মতবাদ এবং ধর্মের চর্চাকে ক্ষতিকারক ও হীনকর বলে উদ্ধৃত করেন।[৫৬]
১৯ শতকে জার্মান রাজনৈতিক তাত্ত্বিক এবং সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্ক্স ধর্মকে "নির্যাতিতের দীর্ঘশ্বাস হিসেবে, হৃদয়হীনের হৃদয় হিসেবে, এবং আত্মাহীন অবস্থার আত্মা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ধর্মকে জনগণের আফিম" হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "মানুষের মায়াময় সুখের উৎস ধর্মের বিলুপ্তি তাদের প্রকৃত সুখের দাবি। তাদেরকে নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। মূলত এটি এমন এক অবস্থা ত্যাগ করতে বলা, যার জন্য ভ্রান্ত ধারণার প্রয়োজন। অতএব, ধর্মের সমালোচনা মূলত সেই অশ্রুর উপত্যকার সমালোচনা, যার মহিমা ধর্ম।"[৫৭] লেনিন বলেছিলেন, "প্রতিটি ধর্মীয় ধারণা এবং ঈশ্বরের প্রতিটি ধারণা অবর্ণনীয় মাত্রায় জঘন্য ... সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরণের,সবচেয়ে ঘৃণ্য ধরণের 'সংক্রমণ'। লাখ লাখ পাপ, নোংরা কাজ, সহিংসতা এবং শারীরিক সংক্রমণ ... ঈশ্বরের সূক্ষ্ম, আধ্যাত্মিক ধারণার চেয়ে অনেক কম বিপজ্জনক, যা সবচেয়ে চতুর আদর্শিক পোশাকে সজ্জিত।""[৫৮]
স্যাম হ্যারিস পশ্চিমা ধর্মের দৈব কর্তৃত্বের উপর নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন। কারণ এটি কর্তৃত্ববাদ এবং মতান্ধতাবাদকে প্রশ্রয় দেয়। ধর্মীয় মৌলবাদ এবং বাহ্যিক ধর্মের (যখন ধর্ম অন্তর্নিহিত স্বার্থ পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়)[৫৯] সাথে স্বৈরশাসন, কট্টরপন্থা এবং পক্ষপাতিত্বের সম্পর্ক রয়েছে।[৬০] এই যুক্তিগুলোর পাশাপাশি ধর্মের বিপজ্জনক দিক যেমন ক্রুসেড, ইনকুইজিশন, ডাইনী-শিকার এবং সন্ত্রাসী হামলার মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো— ধর্ম বিশ্বাসের উপকারী প্রভাবের দাবির জবাবে ব্যবহার করা হয়েছে।[৬০] বিশ্বাসীরা পাল্টা যুক্তি দেখান যে, নাস্তিক্যবাদকে সমর্থন করা কিছু শাসন, যেমন সোভিয়েত ইউনিয়নও গণহত্যার অপরাধে দোষী।[৬১][৬২] এর প্রতিক্রিয়ায় স্যাম হ্যারিস এবং রিচার্ড ডকিন্স বলেন, স্ট্যালিন যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা কখনোই নাস্তিক্যবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চালায় নি, সে মার্ক্সবাদী তত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় এ নৃশংসতা সংগঠিত করেছে। স্ট্যালিন এবং মাও যদিও নাস্তিক, কিন্তু তারা তাদের কৃতকর্ম কখনোই নাস্তিক্যবাদের নাম ব্যবহার করে করে নি।[৬৩][৬৪] তাই তাদের কৃতকর্মের ভার কখনোই নাস্তিক্যবাদের উপর পড়বে না।
ইতিহাস
নব-নাস্তিক্যবাদ
একবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন নাস্তিক গবেষক ও সাংবাদিকের প্রচেষ্টায় নাস্তিক্যবাদের একটি নতুন ধারা বেড়ে উঠেছে যাকে "নব-নাস্তিক্যবাদ" বা "New Atheism" নামে ডাকা হয়। ২০০৪ সালে স্যাম হ্যারিসের দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন বইয়ের মাধ্যমে নব-নাস্তিক্যবাদের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে মনে করেন আরেক প্রখ্যাত নব-নাস্তিক ভিক্টর স্টেংগার। প্রকৃতপক্ষে স্যাম হ্যারিসের বই প্রকাশের পর এই ধারায় আরও ছয়টি বই প্রকাশিত হয় যার প্রায় সবগুলোই নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়। সব মিলিয়ে নিচের বইগুলোকেই নব-নাস্তিক্যবাদী সাহিত্যের প্রধান উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়:
- দি এন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন (২০০৪) – স্যাম হ্যারিস
- লেটার টু এ কৃশ্চিয়ান নেশন (২০০৬) – স্যাম হ্যারিস
- দ্যা গড ডিলিউশন (২০০৬)-রিচার্ড ডকিন্স
- ব্রেকিং দ্যা স্পেল: রিলিজান এ্যাজ এ ন্যাচারাল ফেনোমেনন (২০০৬) – ড্যানিয়েল ডেনেট
- গড: দ্যা ফেইলড হাইপোথিসিস- হাউ সাইন্স শোজ দ্যাট গড ডাজ নট এক্সিস্ট (২০০৭)- ভিক্টর স্টেংগার
- গড ইজ নট গ্রেট: হাউ রিলিজান পয়জনস এভরিথিং (২০০৭) – ক্রিস্টোফার হিচেন্স
- দ্যা নিউ এইথিজম (২০০৯) – ভিক্টর স্টেংগার
শেষোক্ত বইয়ে ভিক্টর স্টেংগার এই ব্যক্তিদেরকেই নব-নাস্তিক্যবাদের প্রধান লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। উল্লেখ্য, নব-নাস্তিকেরা ধর্মের সরাসরি বিরোধিতা করেন। তারা ধর্মকে প্রমাণবিহীন বিশ্বাস বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ ধরনের বিশ্বাসকে সমাজে যে ধরনের মর্যাদা দেয়া হয় সেটার কঠোর বিরোধিতা করেন।[৬৫]
পরিসংখ্যান
এককথায় নাস্তিকের সংখ্যা পরিমাপ করা দুরুহ। বিশ্বাস নিয়ে যে পোল করা হয়েছে সেখানকার উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে নাস্তিক ধর্মবিশ্বাসী আধ্যাত্মিক শক্তিতে বিশ্বাসী এসব কিছুকেই ভিন্ন ভিন্ন পদে অঙ্কিত করা হয়েছে।[৬৬] একজন হিন্দু নাস্তিক নিজেকে একইসাথে হিন্দু ও নাস্তিক বলে দাবী করতে পারেন।[৬৭] এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার ২০১০ সালের জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা যায় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৯.৬ শতাংশ ধর্মবিশ্বাসহীন এবং ২ শতাংশ নাস্তিক হিসেবে বেড়ে উঠে; যার বিরাট অংশই এশিয়াতে বাস করে। এক্ষেত্রে নাস্তিক্যবাদী ধার্মিক যেমন বৌদ্ধদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[৬৮] ২০০০ থেকে ২০১০ সালে নাস্তিক্যবাদের বাৎসরিক পরিবর্তন হয়েছে ০.১৭%।[৬৮] বৃহত্তর পরিসরে একটি পরিমাণ থেকে দেখা গিয়েছে, পৃথিবীজুড়ে ঈশ্বরে অবিশ্বাসীর সংখ্যা ৫০ কোটি থেকে ১১০ কোটির কাছাকাছি।[৬৯][৭০]
বৈশ্বিক উইন-গ্যালোপ ইন্টারন্যাশনাল জরিপ অনুযায়ী, ২০১২ সালে ১৩% উত্তরদাতা "আশ্বস্ত নাস্তিক"।[৭১] ২০১৫ সালের হিসাবে ১১% আশ্বস্ত নাস্তিক (convinced atheists),[৭২] এবং ২০১৭ তে, ৯% ছিল "আশ্বস্ত নাস্তিক".[৭৩] ২০১২-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], নিজেদের আশ্বস্ত নাস্তিক হিসেবে দেখে এরূপ শীর্ষ ১০ টি দেশ হলোঃ চীন (৪৭%), জাপান (৩১%), চেক প্রজাতন্ত্র (৩০%), ফ্রান্স (২৯%), দক্ষিণ কোরিয়া (১৫%), জার্মানি (১৫%), নেদারল্যান্ডস (১৪%), অস্ট্রিয়া (১০%), আইসল্যান্ড (১০%), অস্ট্রেলিয়া (১০%), এবং আয়ারল্যান্ড (১০%).[৭৪]
ইউরোপ মহাদেশ
২০১০ সালে ইউরোব্যারোমিটারের পোলে একটি বিবৃতির উপর জরিপ নিয়ে কাজ করা হয়েছিল, বিবৃতিটি ছিল "তুমি ঈশ্বর বা অলৌকিক কোনো কিছুর অস্তিত্বে বিশ্বাস করো না।" এই বিবৃতিটি সমর্থনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল ফ্রান্সে (৪০%), এরপর যথাক্রমে ক্রেজ রিপাবলিক (৩৭%), সুইডেন (৩৪%), নেদারল্যান্ড (৩০%), এস্তোনিয়া (২৯%), জার্মানি (২৭%), বেলজিয়াম (২৭%), যুক্তরাজ্য (২৫%), পোল্যান্ডে (৫%), গ্রিস (৪%), সাইপ্রাস (৩%), মাল্টা (২%), এবং রোমানিয়া (১%), ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবমিলিয়ে ২০% এই বিবৃতি সমর্থন করে।[৭৬] ২০১২ সালে ইউরোব্যারোমিটার পোল থেকে দেখা গিয়েছে ১৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের অবিশ্বাসী/সংশয়বাদী এবং ৭ শতাংশ নিজেদের নাস্তিক ভাবে।[৭৭]
২০১২ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী নাস্তিক এবং সংশয়বাদীদের মোট ১৮ শতাংশ ইউরোপীয় নিজেদের ধর্মহীন বলে দাবী করে।[৭৮] একইজরিপ অনুযায়ী ইউরোপের শুধুমাত্র দুইটি দেশে নাস্তিকতার হার সর্বোচ্চ: চেক প্রজাতন্ত্র (৭৫%) এবং এস্তোনিয়া (৬০%).[৭৮]
এশিয়া মহাদেশ
নাস্তিকের সংখ্যার ভিত্তিতে চারটি বৃহত্তম দেশ হলো যথাক্রমে: উত্তর কোরিয়া (৭১%), জাপান ৫৭%), হংকং (৫৬%), এবং চীন (৫২%).[৭৮]
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ
অস্ট্রেলীয়া ব্যুরো অব স্ট্যাটিটিক্সের জরিপ অনুযায়ী ৩০ শতাংশ অস্ট্রেলীয়দের কোনো ধর্ম নেই।[৭৯]
২০১৩ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ৪২ শতাংশ নিউজিল্যান্ডবাসী নিজেদের ধর্ম নেই বলে দাবী করেছে, ১৯৯১ সালে এই পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ।[৮০] নারীর তুলনায় পুরুষ নিজেকে অধিক ধর্মহীন দাবী করেছে।
আমেরিকা মহাদেশ
২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড ভ্যালু সার্ভের জরিপ অনুযায়ী ৪.৪ শতাংশ মার্কিনী নিজেদের, স্বঘোষিত নাস্তিক ভাবেন।[৮১] যাইহোক, একই জরিপ অনুযায়ী প্রত্যুত্তরে ১১.১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না।[৮১] ১৯৮৪ সালে, যা ছিল ১.১ শতাংশ নাসিক এবং ২.২ শতাংশ ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। ২০১৪ সালের পিউ রিসার্চ জরিপ মতে ৩.১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে অভিহিত করেন।[৮২] ২০১৫ সালে জেনারেল সোশিওলজিক্যাল জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে নাস্তিক এবং সংশয়বাদীর সংখ্যা ২৩ বছর ধরে প্রায় একই আছে। ১৯৯১ সালে ২ শতাংশ মানুষ নিজেকে নাস্তিক এবং ৪ শতাংশ মানুষ নিজেকে সংশয়বাদী বলে দাবী করে এবং ২০১৪ সালে ৩ শতাংশ মানুষ নিজেকে নাস্তিক ও ৫ শতাংশ মানুষ নিজেকে সংশয়বাদী বলে দাবী করে।[৮৩]
ধর্মহীন
মার্কিন ফ্যামিলী সার্ভের ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী ৩৪ শতাংশ নিজেদের ধর্মের সাথে সংযোগহীন বলে দাবী করেন (২৩ শতাংশ কোনো ধর্মের সাথে সংযোগহীন, ৬ শতাংশ সংশয়বাদী, ৫ শতাংশ নাস্তিক)।[৮৪][৮৫] ২০১৪ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার মতে মার্কিনীদের ২২.৮ শতাংশ নিজেদের কোনো ধর্মের নয় বলে দাবী করেন যার মধ্যে ৩.১ শতাংশ নিজেদের নাস্তিক এবং ৪ শতাংশ সংশয়বাদী বলে দাবী করেন।[৮৬] পিউরিসার্চ মতে ২৪ শতাংশ মানুষ নিজেদের ধর্মহীন ভাবেন।[৮৭]
আরব বিশ্ব
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরব বিশ্বে নাস্তিকতার হার বাড়ছে।[৮৮] সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও বড় শহর যেমন কায়রোতে নাস্তিকরা ক্যাফে এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে মিলিত হয়।[৮৮] ২০১২ সালের গ্যালোপ ইন্টারন্যাশন্যাল জরিপ অনুযায়ী ৫ শতাংশ সৌদি নিজেদের "আশ্বস্ত নাস্তিক" বলে অভিহিত করেছে।[৮৮] যাইহোক, আরব বিশ্বে খুব কম সংখ্যক তরুণদের নিজস্ব বন্ধুবৃত্তে বা পরিচিতের মধ্যে নাস্তিক আছে। একটি গবেষণা মতে ১% এর কম মরক্কোতে, মিশরে, সৌদি আরব বা জর্ডানে এবং আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত ও প্যালেস্টাইনে ৩ থেকে ৭ শতাংশ নাস্তিক আছে।[৮৯] এই দেশগুলোর মানুষকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তারা তাদের স্থানীয় এলাকায় নাস্তিক শব্দটি শুনেছে কিনা, সেখানের শুধুমাত্র ৩ থেকে ৮ শতাংশ মানুষ জানায় তারা শুনেছে। একমাত্র আরব আমিরাত ব্যতিক্রম সেখানের ৫১ শতাংশ মানুষ শুনেছে।[৮৯]
সম্পদ এবং শিক্ষা
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমেরিকায় সেক্যুলারিজম এবং নাস্তিক্যবাদের স্তরের সাথে শিক্ষার একটি ইতিবাচক আন্তঃসম্পর্ক জড়িত আছে।[৯০] বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী নিগেল বারবার মনে করেন, যেসব স্থানের মানুষ নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী মনে করছেন নাস্তিক্যবাদের স্ফুরণ সেখানেই ঘটেছে। যেসব স্থানে মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তিত নয়, স্বাস্থ্য সুবিধা পর্যাপ্তভাবে পায়, দীর্ঘায়ু হন সেখানেই নাস্তিকতার উর্ধ্বগতি হয়। বিপরীতক্রমে উন্নয়নশীল দেশে নাস্তিকতার হার ক্রমহ্রাসমান হয়।[৯১]
২০০৮ সালের গবেষণামতে গবেষকরা দেখেছেন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বুদ্ধিমত্তার সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসের নেতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। ১৩৭ দেশের স্যাম্পলে জাতীয় আইকিউ আর অবিশ্বাস এর আন্তঃসম্পর্ক ০.৬।[৯২] বিবর্তনীয় মনস্তাত্ত্বিক নিগেল বারবার উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে বলেন, নাস্তিকদের বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য সামাজিক, পরিবেশগত শিক্ষা এবং সম্পদ সংক্রান্ত ফ্যাক্টর দিয়ে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এবং এসব কিছুই ধর্মীয় বিশ্বাস হ্রাসের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত। ধর্ম বেকুবি তৈরি করে; এবিষয়ে তিনি সন্দিহান। তার কারণ অনেক মানুষ আছেন যারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান হওয়া সত্বেও ধার্মিক। কিন্তু একইসাথে তিনি বলেছেন এটাও সম্ভব হতে পারে ধর্মবিশ্বাস প্রত্যাখানের সাথে উচ্চমাত্রার বুদ্ধিমত্তা একটি সম্পর্ক আছে এবং বুদ্ধিমত্তা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যাখানের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক বেশ জটিল।[৯৩]
২০১৭ সালের গবেষণা মতে, ধার্মিক এবং নাস্তিক এর মধ্যকার তুলনা করলে দেখা যায় নাস্তিকদের বোঝার সক্ষমতাটা অনেক বেশি এর মধ্যকার পার্থক্য বয়স, শিক্ষা, এবং কোন দেশের সেই সামাজিকপরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করেনা অর্থাৎ সমস্ত দেশ বা স্থানে নাস্তিকদের বুঝার সক্ষমতা সর্বোচ্চ থাকে।[৯৪]
নাস্তিকদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী
পারিসংখ্যানিক ভাবে বিশ্বাস করা হয়, নাস্তিকরা মানসিকভাবে হীন দরিদ্র হয়ে থাকে। বিশ্বাসীরা তো বটেই, এমনকি কিছু নাস্তিক মনে করে, নাস্তিকরা অসৎ চরিত্রের হয়ে থাকে। এই অসৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কিরূপ হতে পারে, তার বর্ণনার মধ্যে রয়েছে খুন করা থেকে শুরু করে রেস্তোরায় খাবারের বিল পরিশোধ না করা।[৯৬][৯৭][৯৮] ২০১৬ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি প্রকাশনা মধ্যে দেখা গিয়েছে যে ফরাসি মানুষদের ১৫%, ৪৫ শতাংশ আমেরিকান এবং ৯৯% ইন্দোনেশীয় বিশ্বাস করে সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হলে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাস করা প্রয়োজনীয়। [৯৯]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "Atheist Zone"।
- ↑ "PDF of the Secular Nation article "A Conventioneer's Delight! Pt 5 of 5"" (পিডিএফ)। ২০০৮-১১-২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Our Logo"। American Atheists (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২০।
- ↑ Administration, National Cemetery। "VA.gov | Veterans Affairs"। www.cem.va.gov।
- ↑
- Nielsen, Kai (২০০৯)। "Atheism"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২৩।
Atheism, in general, the critique and denial of metaphysical beliefs in God or spiritual beings.... Instead of saying that an atheist is someone who believes that it is false or probably false that there is a God, a more adequate characterization of atheism consists in the more complex claim that to be an atheist is to be someone who rejects belief in God for the following reasons (which reason is stressed depends on how God is being conceived)...
- Edwards, Paul (১৯৬৭)। "Atheism"। The Encyclopedia of Philosophy। Vol. 1। Collier-MacMillan। পৃষ্ঠা 175।
On our definition, an 'atheist' is a person who rejects belief in God, regardless of whether or not his reason for the rejection is the claim that 'God exists' expresses a false proposition. People frequently adopt an attitude of rejection toward a position for reasons other than that it is a false proposition. It is common among contemporary philosophers, and indeed it was not uncommon in earlier centuries, to reject positions on the ground that they are meaningless. Sometimes, too, a theory is rejected on such grounds as that it is sterile or redundant or capricious, and there are many other considerations which in certain contexts are generally agreed to constitute good grounds for rejecting an assertion.
- Nielsen, Kai (২০০৯)। "Atheism"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২৩।
- ↑ religioustolerance.org's short article on Definitions of the term "Atheism" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে suggests that there is no consensus on the definition of the term. Simon Blackburn summarizes the situation in The Oxford Dictionary of Philosophy: "Atheism. Either the lack of belief in a god, or the belief that there is none." Most dictionaries (see the OneLook query for "atheism") first list one of the more narrow definitions.
- Runes, Dagobert D.(editor) (1942 edition)। Dictionary of Philosophy। New Jersey: Littlefield, Adams & Co. Philosophical Library। আইএসবিএন 0064634612।
(a) the belief that there is no God; (b) Some philosophers have been called "atheistic" because they have not held to a belief in a personal God. Atheism in this sense means "not theistic". The former meaning of the term is a literal rendering. The latter meaning is a less rigorous use of the term though widely current in the history of thought
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - entry by Vergilius Ferm
- Runes, Dagobert D.(editor) (1942 edition)। Dictionary of Philosophy। New Jersey: Littlefield, Adams & Co. Philosophical Library। আইএসবিএন 0064634612।
- ↑ "Worldwide Adherents of All Religions by Six Continental Areas, Mid-2005". Encyclopædia Britannica. 2005. [১]. Retrieved on 2007-04-15.
- ↑ ক খ Zuckerman, Phil. "Atheism: Contemporary Rates and Patterns ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১০ তারিখে", The Cambridge Companion to Atheism, ed. by Michael Martin, Cambridge University Press: Cambridge, 2005.
- ↑ However, data from the U.S. State Dept. may contradict this figure, since 44% are reported as adherents of Shinto, a polytheistic religion, and information was not provided on the number of respondents identifying with multiple categories. (64% atheists/agnostics/non-believers, plus 44% Shintoists, adds up to more than 100%.)
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;eb1911-atheism
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;agnosticism-compatible
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;flint-agnostic-atheism
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;encyc-unbelief-compatible
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;martin-agnosticism-entails
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;barker-agnostic-atheism
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;besant-open-to-new-truth
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;holyoake-question-of-probability
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;eb2011-atheism-critique
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;eb2011concise-atheism
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;eb1911-atheism-sceptical
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ Martin 2006।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;eb2011-Rejection-of-all-religious-beliefs
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ d'Holbach, P.H.T. (১৭৭২)। Good Sense। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৭।
- ↑ Smith 1979, পৃ. 14.
- ↑ Nagel, Ernest (১৯৫৯)। "Philosophical Concepts of Atheism"। Basic Beliefs: The Religious Philosophies of Mankind। Sheridan House।
I must begin by stating what sense I am attaching to the word "atheism," and how I am construing the theme of this paper. I shall understand by "atheism" a critique and a denial of the major claims of all varieties of theism. ... atheism is not to be identified with sheer unbelief, or with disbelief in some particular creed of a religious group. Thus, a child who has received no religious instruction and has never heard about God, is not an atheist – for he is not denying any theistic claims. Similarly in the case of an adult who, if he has withdrawn from the faith of his father without reflection or because of frank indifference to any theological issue, is also not an atheist – for such an adult is not challenging theism and not professing any views on the subject. ... I propose to examine some philosophic concepts of atheism ...
reprinted in Critiques of God, edited by Peter A. Angeles, Prometheus Books, 1997. - ↑ Oppy 2018, পৃ. 4: Agnostics are distinguished from innocents, who also neither believe that there are gods nor believe that there are no gods, by the fact that they have given consideration to the question whether there are gods. Innocents are those who have never considered the question whether there are gods. Typically, innocents have never considered the question whether there are gods because they are not able to consider that question. How could that be? Well, in order to consider the question whether there are gods, one must understand what it would mean for something to be a god. That is, one needs to have the concept of a god. Those who lack the concept of a god are not able to entertain the thought that there are gods. Consider, for example, one-month-old babies. It is very plausible that one-month-old babies lack the concept of a god. So it is very plausible that one-month-old babies are innocents. Other plausible cases of innocents include chimpanzees, human beings who have suffered severe traumatic brain injuries, and human beings with advanced dementia
- ↑ ক খ Flew 1976, পৃ. 14ff: "In this interpretation an atheist becomes: not someone who positively asserts the non-existence of God; but someone who is simply not a theist. Let us, for future ready reference, introduce the labels 'positive atheist' for the former and 'negative atheist' for the latter."
- ↑ Maritain, Jacques (জুলাই ১৯৪৯)। "On the Meaning of Contemporary Atheism"। The Review of Politics। 11 (3): 267–280। ডিওআই:10.1017/S0034670500044168। ১৩ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ Kenny, Anthony (২০০৬)। "Why I Am Not an Atheist"। What I believe। Continuum। আইএসবিএন 978-0-8264-8971-5।
The true default position is neither theism nor atheism, but agnosticism ... a claim to knowledge needs to be substantiated; ignorance need only be confessed.
- ↑ "Why I'm Not an Atheist: The Case for Agnosticism"। Huffington Post। ২৮ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-২৬।
- ↑ ক খ O'Brien, Breda (৭ জুলাই ২০০৯)। "Many atheists I know would be certain of a high place in heaven"। Irish Times। ২০ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ ক খ Warner, Matthew (৮ জুন ২০১২)। "More faith to be an atheist than a Christian"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-২৬।
- ↑ Baggini 2003, পৃ. 30–34. "Who seriously claims we should say 'I neither believe nor disbelieve that the Pope is a robot', or 'As to whether or not eating this piece of chocolate will turn me into an elephant I am completely agnostic'. In the absence of any good reasons to believe these outlandish claims, we rightly disbelieve them, we don't just suspend judgement."
- ↑ Baggini 2003, পৃ. 22. "A lack of proof is no grounds for the suspension of belief. This is because when we have a lack of absolute proof we can still have overwhelming evidence or one explanation which is far superior to the alternatives."
- ↑ Smart, J.C.C. (৯ মার্চ ২০০৪)। "Atheism and Agnosticism"। Stanford Encyclopedia of Philosophy। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ Cudworth, Ralph (১৬৭৮)। The True Intellectual System of the Universe: the first part, wherein all the reason and philosophy of atheism is confuted and its impossibility demonstrated।
- ↑ See, for example: Pressley, Sue Anne (৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)। "Atheist Group Moves Ahead Without O'Hair"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-২২।
- ↑ Lowder, Jeffery Jay (১৯৯৭)। "Atheism and Society"। ২২ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ Harris 2006, পৃ. 51।
- ↑ Robertson, A.T. (১৯৬০) [1932]। "Ephesians: Chapter 2"। Word Pictures in the New Testament। Broadman Press। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
Old Greek word, not in LXX, only here in N.T. Atheists in the original sense of being without God and also in the sense of hostility to God from failure to worship him. See Paul's words in Ro 1:18–32.
- ↑ Drachmann, A.B. (১৯৭৭)। Atheism in Pagan Antiquity। Chicago: Ares Publishers। আইএসবিএন 978-0-89005-201-3।
- ↑ "atheist"। American Heritage Dictionary of the English Language। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-২১।
- ↑ Martiall, John (১৫৬৬)। A Replie to Mr Calfhills Blasphemous Answer Made Against the Treatise of the Cross। English recusant literature, 1558–1640। 203। Louvain। পৃষ্ঠা 49।
- ↑ Rendered as Atheistes: Golding, Arthur (১৫৭১)। The Psalmes of David and others, with J. Calvin's commentaries। পৃষ্ঠা Ep. Ded. 3।
The Atheistes which say..there is no God.
Translated from Latin. - ↑ Hanmer, Meredith (১৫৭৭)। The auncient ecclesiasticall histories of the first six hundred years after Christ, written by Eusebius, Socrates, and Evagrius। London। পৃষ্ঠা 63। ওসিএলসি 55193813।
The opinion which they conceaue of you, to be Atheists, or godlesse men.
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;mw-online
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Rendered as Athisme: de Mornay, Philippe (১৫৮১)। A Woorke Concerning the Trewnesse of the Christian Religion: Against Atheists, Epicures, Paynims, Iewes, Mahumetists, and other infidels [De la vérite de la religion chréstienne (1581, Paris)]। Translated from French to English by Arthur Golding & Philip Sidney and published in London, 1587।
Athisme, that is to say, vtter godlesnes.
- ↑ Vergil, Polydore (c. 1534)। English history। সংগ্রহের তারিখ 2011-04-09।
Godd would not longe suffer this impietie, or rather atheonisme.
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ The Oxford English Dictionary also records an earlier, irregular formation, atheonism, dated from about 1534. The later and now obsolete words athean and atheal are dated to 1611 and 1612 respectively. prep. by J.A. Simpson ... (১৯৮৯)। The Oxford English Dictionary (Second সংস্করণ)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-861186-8।
- ↑ Burton, Robert (১৬২১)। deist। The Anatomy of Melancholy। Part III, section IV. II. i। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
Cousin-germans to these men are many of our great Philosophers and Deists
- ↑ Martin, Edward (১৬৬২)। "Five Letters"। His opinion concerning the difference between the Church of England and Geneva [etc.]। London। পৃষ্ঠা 45।
To have said my office..twice a day..among Rebels, Theists, Atheists, Philologers, Wits, Masters of Reason, Puritanes [etc.].
- ↑ Bailey, Nathan (১৬৭৫)। An universal etymological English dictionary।
- ↑ "Secondly, that nothing out of nothing, in the sense of the atheistic objectors, viz. that nothing, which once was not, could by any power whatsoever be brought into being, is absolutely false; and that, if it were true, it would make no more against theism than it does against atheism ..." Cudworth, Ralph. The true intellectual system of the universe. 1678. Chapter V Section II p. 73
- ↑ Armstrong 1999।
- ↑ In part because of its wide use in monotheistic Western society, atheism is usually described as "disbelief in God", rather than more generally as "disbelief in deities". A clear distinction is rarely drawn in modern writings between these two definitions, but some archaic uses of atheism encompassed only disbelief in the singular God, not in polytheistic deities. It is on this basis that the obsolete term adevism was coined in the late 19th century to describe an absence of belief in plural deities.
- ↑ Harris 2005, Harris 2006, Dawkins 2006, Hitchens 2007, Russell 1957
- ↑ Marx, K. 1976. Introduction to A Contribution to the Critique of Hegel's Philosophy of Right. Collected Works, v. 3. New York.
- ↑ Martin Amis(2003). Koba the Dread; London: Vintage Books; আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৯-৯৪৩৮০২-১; pp. 30–31.
- ↑ Moreira-almeida, A.; Neto, F.; Koenig, H.G. (২০০৬)। "Religiousness and mental health: a review"। Revista Brasileira de Psiquiatria। 28 (3): 242–250। ডিওআই:10.1590/S1516-44462006005000006। পিএমআইডি 16924349।
- ↑ ক খ See for example: Kahoe, R.D. (জুন ১৯৭৭)। "Intrinsic Religion and Authoritarianism: A Differentiated Relationship"। Journal for the Scientific Study of Religion। 16 (2): 179–182। জেস্টোর 1385749। ডিওআই:10.2307/1385749। Also see: Altemeyer, Bob; Hunsberger, Bruce (১৯৯২)। "Authoritarianism, Religious Fundamentalism, Quest, and Prejudice"। International Journal for the Psychology of Religion। 2 (2): 113–133। ডিওআই:10.1207/s15327582ijpr0202_5।
- ↑ Feinberg, John S.; Feinberg, Paul D. (২০১০)। Ethics for a Brave New World। Stand To Reason। আইএসবিএন 978-1-58134-712-8। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৮।
Over a half century ago, while I was still a child, I recall hearing a number of old people offer the following explanation for the great disasters that had befallen Russia: 'Men have forgotten God; that's why all this has happened.' Since then I have spent well-nigh 50 years working on the history of our revolution; in the process I have read hundreds of books, collected hundreds of personal testimonies, and have already contributed eight volumes of my own toward the effort of clearing away the rubble left by that upheaval. But if I were asked today to formulate as concisely as possible the main cause of the ruinous revolution that swallowed up some 60 million of our people, I could not put it more accurately than to repeat: 'Men have forgotten God; that's why all this has happened.'
- ↑ D'Souza, Dinesh। "Answering Atheist's Arguments"। Catholic Education Resource Center। ২০১৬-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ Dawkins 2006, পৃ. 291।
- ↑ 10 myths and 10 truths about Atheism Sam Harris
- ↑ ''The New Atheism (২০০৯) - ভিক্টর স্টেংগার; পৃষ্ঠা - ১১-১৩; প্রকাশনী - Prometheus Books
- ↑ "Major Religions of the World Ranked by Number of Adherents, Section on accuracy of non-Religious Demographic Data"। ২০১১-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ Huxley, Andrew (২০০২)। Religion, Law and Tradition: Comparative Studies in Religious Law। Routledge। পৃষ্ঠা 120। আইএসবিএন 978-0-700-71689-0। ওএল 7763963M। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০৯।
- ↑ ক খ "Religion: Year in Review 2010: Worldwide Adherents of All Religions"। Encyclopædia Britannica Online। Encyclopædia Britannica Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-২১।
- ↑ Zuckerman, Phil (২০০৭), "Atheism: Contemporary Rates and Patterns", Cambridge Companion to Atheism, পৃষ্ঠা 47–66, ডিওআই:10.1017/CCOL0521842700.004
- ↑ Joas, Hans; Wiegandt, Klaus, সম্পাদকগণ (২০১০)। Secularization and the World Religions। Liverpool University Press। পৃষ্ঠা 122 (footnote 1)। আইএসবিএন 978-1-84631-187-1। ওএল 25285702M। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-১৮।
- ↑ "WIN-Gallup International "Religiosity and Atheism Index" reveals atheists are a small minority in the early years of 21st century"। ৬ আগস্ট ২০১২। ২৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;wingia2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Wayback Machine" (পিডিএফ)। ২০১৭-১১-১৪। ২০১৭-১১-১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৭।
- ↑ "Global Index of Religion and Atheism" (পিডিএফ)। Gallup – Red C। ১৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Special Eurobarometer: Biotechnology" (পিডিএফ)। অক্টোবর ২০১০। পৃষ্ঠা 381। ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;EU
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Discrimination in the EU in 2012" (পিডিএফ), Special Eurobarometer, 383, European Union: European Commission, পৃষ্ঠা 233, ২০১২, ২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৩ The question asked was "Do you consider yourself to be...?", with a card showing: Catholic, Orthodox, Protestant, Other Christian, Jewish, Muslim, Sikh, Buddhist, Hindu, Atheist, and non-believer/agnostic. Space was given for Other (Spontaneous) and DK. Jewish, Sikh, Buddhist, Hindu did not reach the 1% threshold.
- ↑ ক খ গ "Religiously Unaffiliated"। Pew Research Center's Religion & Public Life Project। ১৮ ডিসেম্বর ২০১২। ৩০ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Religion In Australia"। Australian Bureau of Statistics। ২৭ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ "WVS Database"। World Values Survey। Institute for Comparative Survey Research। মার্চ ২০১৫। ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ America’s Changing Religious Landscape, Pew Research Center, 12 May 2015.
- ↑ Hout, Michael; Smith, Tom (মার্চ ২০১৫)। "Fewer Americans Affiliate with Organized Religions, Belief and Practice Unchanged: Key Findings from the 2014 General Social Survey" (পিডিএফ)। General Social Survey। NORC।
- ↑ "'Nones' are now the biggest religious group in the US – with families torn on priorities"। www.christiantoday.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০৬।
- ↑ "DN American Family Survey 2017"। DeseretNews.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০৬।
- ↑ "America's Changing Religious Landscape"। Pew Research Center: Religion & Public Life। মে ১২, ২০১৫।
- ↑ "America's Changing Religious Identity"। PRRI (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ ক খ গ "The rise of Arab atheism"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৮।
- ↑ ক খ Muslim Millennial Attitudes on Religion and Religious Leadership, Arab World, Tabah Foundation, Abu Dhabi, 2016
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Zuckerman
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Nigel Barber (2010). Why Atheism Will Replace Religion. Psychology Today. Retrieved 2013-05-22.
- ↑ Lynn, Richard; Harvey, John; Nyborg, Helmuth (২০০৯)। "Average intelligence predicts atheism rates across 137 nations"। Intelligence। 37: 11–15। ডিওআই:10.1016/j.intell.2008.03.004। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৫।
- ↑ Barber, Nigel (৪ মে ২০১০)। "The Real Reason Atheists Have Higher IQs: Is Atheism a Sign of Intelligence?"। Psychology Today।
- ↑ Daws, Richard E.; Hampshire, Adam (১৯ ডিসেম্বর ২০১৭)। "The Negative Relationship between Reasoning and Religiosity Is Underpinned by a Bias for Intuitive Responses Specifically When Intuition and Logic Are in Conflict"। Frontiers in Psychology। 8: 2191। ডিওআই:10.3389/fpsyg.2017.02191। পিএমআইডি 29312057। পিএমসি 5742220 ।
- ↑ Which countries still outlaw apostasy and blasphemy? Pew Research Center, United States (May 2014)
- ↑ Carey, Benedict (৭ আগস্ট ২০১৭)। "The Serial Killer Test: Biases Against Atheists Emerge in Study"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৩।
- ↑ Paris, Agence France-Presse in (৭ আগস্ট ২০১৭)। "Atheists tend to be seen as immoral – even by other atheists: study"। the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৩।
- ↑ Gervais, Will M.; Xygalatas, Dimitris; McKay, Ryan T.; van Elk, Michiel; Buchtel, Emma E.; Aveyard, Mark; Schiavone, Sarah R.; Dar-Nimrod, Ilan; Svedholm-Häkkinen, Annika M.; Riekki, Tapani; Klocová, Eva Kundtová; Ramsay, Jonathan E.; Bulbulia, Joseph (৭ আগস্ট ২০১৭)। "Global evidence of extreme intuitive moral prejudice against atheists" (Submitted manuscript)। Nature Human Behaviour। 1 (8): 0151। ডিওআই:10.1038/s41562-017-0151।
- ↑ "10 facts about atheists"। Pew Research Center। ১ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৩।
বহিঃসংযোগ
- Atheism in The Internet Encyclopedia of Philosophy
- Atheism and Agnosticism স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোসফি-র ভুক্তি, লিখেছেন J. J. C. Smart
- কার্লিতে Atheism (ইংরেজি) - Includes links to organizations and websites.
- Positive atheism: Great Historical Writings Historical writing sorted by authors.
- Religion & Ethics—Atheism at bbc.co.uk.
- Secular Web library - Library of both historical and modern writings, a comprehensive online resource for freely available material on atheism.
- The Demand for Religion - A study on the demographics of Atheism by Wolfgang Jagodzinski (University of Cologne) and Andrew Greeley (University of Chicago and University of Arizona).
- The Necessity of Atheism ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে - Complete work by Dr. D.M. Brooks.
- The Problem with Atheism ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০০৯ তারিখে by Sam Harris – On Faith at washingtonpost.com.
- Atheism ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ আগস্ট ২০১১ তারিখে at enotes.com
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |