২০১৬–১৭ বুন্দেসলিগা
২০১৬–১৭ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫৪তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০১৬ সালের ২৬শে আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ২০শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২][৩] বায়ার্ন মিউনিখের স্পেনীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জাবি আলোনসো এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৪]
মৌসুম | ২০১৬–১৭ |
---|---|
তারিখ | ২৬ আগস্ট ২০১৬ – ২০ মে ২০১৭ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২৬তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২৭তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | ইঙ্গলস্টাট ডার্মস্টাট |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ আরবি লাইপৎসিশ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৮৯৯ হফেনহাইম |
ইউরোপা লীগ | কলন হের্টা ফ্রাইবুর্গ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৭৭ (ম্যাচ প্রতি ২.৮৭টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং (৩১টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৮–০ হামবুর্গার |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | আরবি লাইপৎসিশ ৪–৫ বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা জয় | ৮ ম্যাচ[১] আরবি লাইপৎসিশ |
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ১৭ ম্যাচ[১] ১৮৯৯ হফেনহাইম |
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ১২ ম্যাচ[১] হামবুর্গার |
দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৮ ম্যাচ[১] ডার্মস্টাট |
সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮১,৩৬০[১] ১১ ম্যাচ |
সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ১৩,৫২১[১] ইঙ্গলস্টাট বনাম ভলফসবুর্গ |
গড় উপস্থিতি | ৪১,৫১৮ |
← ২০১৫–১৬ ২০১৭–১৮ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৫–১৬ মৌসুমে ৮৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২৫তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৮২ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২৬তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২৭তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৫][৬] বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের গ্যাবনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং ৩১ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা২০১৫–১৬ মৌসুম শেষে স্টুটগার্ট এবং হানোফার মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ফ্রাইবুর্গ এবং আরবি লাইপৎসিশ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব নুর্নবার্গের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ | ডব্লিউডব্লিউকে এরিনা | ৩০,৬৬০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ৩০,২১০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭৫,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮১,৩৬০[৭] |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০৫৭ |
ডার্মস্টাট | ডার্মস্টাট | বোলেনফালটর মার্ক স্টেডিয়াম | ১৭,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫১,৫০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | শোয়ারৎসভাল্ড স্টেডিয়াম | ২৪,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৫৭,০০০ |
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,৪৭৫ |
১৮৯৯ হফেনহাইম | সিনশাইম | ভিরসোল রাইন নেকার এরিনা | ৩০,১৫০ |
ইঙ্গলস্টাট | ইঙ্গলস্টাট | আউডি স্পোর্টপার্ক | ১৫,০০০ |
কলন | কোলন | রাইন এনার্গি স্টেডিয়াম | ৪৯,৯৬৮[৮] |
আরবি লাইপৎসিশ | লাইপৎসিশ | রেড বুল এরিনা | ৪২,৯৫৯[৯] |
মাইনৎস | মাইনৎস | ওপেল এরিনা | ৩৪,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬২,২৭১[১০] |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৫ | ৭ | ২ | ৮৯ | ২২ | +৬৭ | ৮২ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | আরবি লাইপৎসিশ | ৩৪ | ২০ | ৭ | ৭ | ৬৬ | ৩৯ | +২৭ | ৬৭ | |
৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৮ | ১০ | ৬ | ৭২ | ৪০ | +৩২ | ৬৪ | |
৪ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ১৬ | ১৪ | ৪ | ৬৪ | ৩৭ | +২৭ | ৬২ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | কলন | ৩৪ | ১২ | ১৩ | ৯ | ৫১ | ৪২ | +৯ | ৪৯ | ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৬ | হের্টা | ৩৪ | ১৫ | ৪ | ১৫ | ৪৩ | ৪৭ | −৪ | ৪৯ | |
৭ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ১৪ | ৬ | ১৪ | ৪২ | ৬০ | −১৮ | ৪৮ | ইউরোপা লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৮ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৬১ | ৬৪ | −৩ | ৪৫ | |
৯ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪৫ | ৪৯ | −৪ | ৪৫ | |
১০ | শালকে | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৪৫ | ৪০ | +৫ | ৪৩ | |
১১ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৩৬ | ৪৩ | −৭ | ৪২ | |
১২ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৫৩ | ৫৫ | −২ | ৪১ | |
১৩ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৩৫ | ৫১ | −১৬ | ৩৮ | |
১৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৩৩ | ৬১ | −২৮ | ৩৮ | |
১৫ | মাইনৎস | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৪৪ | ৫৫ | −১১ | ৩৭ | |
১৬ | ভলফসবুর্গ (O) | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৩৪ | ৫২ | −১৮ | ৩৭ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | ইঙ্গলস্টাট (R) | ৩৪ | ৮ | ৮ | ১৮ | ৩৬ | ৫৭ | −২১ | ৩২ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | ডার্মস্টাট (R) | ৩৪ | ৭ | ৪ | ২৩ | ২৮ | ৬৩ | −৩৫ | ২৫ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল; ৪) হেড-টু-হেড পয়েন্ট; ৫) হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য; ৬) হেড-টু-হেড অ্যাওয়ে গোল; ৭) অ্যাওয়ে গোল; ৮) প্লে-অফ।[১১]
(C) চ্যাম্পিয়ন; (O) প্লে-অফ বিজয়ী; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ ২০১৬–১৭ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ষষ্ঠ স্থান অধিকারী ক্লাব হের্টাকে প্রদান করা হয়েছিল এবং উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি সপ্তম স্থান অধিকারী ক্লাব ফ্রাইবুর্গকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল[১২] |
---|---|---|---|
১ | পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩১ |
২ | রবের্ত লেভানদোভস্কি | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩০ |
৩ | অঁতোনি মোদেস্তে | কলন | ২৫ |
৪ | টিমো ভেয়ার্নার | আরবি লাইপৎসিশ | ২১ |
৫ | মারিও গোমেজ | ভলফসবুর্গ | ১৬ |
৬ | আন্দ্রেই ক্রামারিচ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ১৫ |
৭ | মাক্স ক্রুস | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৮ | আরিয়েন রোবেন | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৩ |
৯ | ভেদাদ ইবিশেভিচ | হের্টা | ১২ |
১০ | সের্জ নাব্রি | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১১ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "ESPN FC 2016-17 Bundesliga Statistics"। ESPN FC। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Bundesliga 2016/2017 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "The new 2016/2017 Bundesliga and Bundesliga 2 schedule"। bundesliga.com। ২৩ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৬।
- ↑ "Bayern München - Werder Bremen 6:0 (Bundesliga 2016/2017, 1. Round)"। worldfootball.net। ২৭ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Bayern Munich seal Bundesliga crown for record fifth straight year"। ESPN। ১ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭।
- ↑ "Bayern Munich seal fifth consecutive Bundesliga title with Wolfsburg win"। Guardian। ১ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭।
- ↑ "Dortmunder Stadion wird ausgebaut" (জার্মান ভাষায়)। Sport1। ১৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "RheinEnergieSTADION"। Rheinenergiestadion.de। Kölner Sportstätten GmbH। ৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Verein"। dierotenbullen.com (জার্মান ভাষায়)। Leipzig: RasenballSport Leipzig GmbH। n.d.। ১১ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৬।
- ↑ "Schalke erhöht Stadionkapazität"। kicker.de (জার্মান ভাষায়)। Kicker। ৩০ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Ligaverband: Ligastatut" [League Association: League Regulations] (PDF)। DFB.de (German ভাষায়)। German Football Association। পৃষ্ঠা 214। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Scorer"। Bundesliga (জার্মান ভাষায়)। Deutsche Fußball Liga। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)