২০০৪–০৫ বুন্দেসলিগা
২০০৪–০৫ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৪২তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০৪ সালের ৬ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০৫ সালের ২১শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল। ভেয়ার্ডার ব্রেমেনের প্যারাগুয়েয়ীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নেলসন ভালদেস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।
মৌসুম | ২০০৪–০৫ |
---|---|
তারিখ | ৬ আগস্ট ২০০৪ – ২১ মে ২০০৫ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১৮তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১৯তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | বোখুম হান্সা রস্টক ফ্রাইবুর্গ |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ শালকে ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
উয়েফা কাপ | হের্টা স্টুটগার্ট বায়ার লেভারকুজেন মাইনৎস |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৯০ (ম্যাচ প্রতি ২.৯১টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | মারেক মিন্তাল (২৪টি গোল) |
← ২০০৩–০৪ ২০০৫–০৬ → |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০৩–০৪ মৌসুমে ৭৪ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৪র্থ বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭৭ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১৮তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১৯তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। নুর্নবার্গের স্লোভাক আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মারেক মিন্তাল ২৪ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা২০০৩–০৪ মৌসুম শেষে কলন, ১৮৬০ মিউনিখ এবং আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে নুর্নবার্গ, আরমিনিয়া বিলেফেল্ড এবং মাইনৎস বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[১] | ধারণক্ষমতা[১] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | বিলেফেল্ড | শুকো আরেনা | ২৬,৬০০ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৬৮,৬০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | বাডেনোভা স্টেডিয়াম | ২৫,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হানোফার | হানোফার | এডব্লিউডি আরেনা | ৬০,৪০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪১,৫০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
মাইনৎস | মাইনৎস | ব্রুখভেগ স্টেডিয়াম | ২০,৩০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০৬৭ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৪৪,৭০০ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৫,৮৫০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৪ | ৫ | ৫ | ৭৫ | ৩৩ | +৪২ | ৭৭ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | শালকে | ৩৪ | ২০ | ৩ | ১১ | ৫৬ | ৪৬ | +১০ | ৬৩ | |
৩ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৮ | ৫ | ১১ | ৬৮ | ৩৭ | +৩১ | ৫৯ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | হের্টা | ৩৪ | ১৫ | ১৩ | ৬ | ৫৯ | ৩১ | +২৮ | ৫৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৫ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৭ | ৭ | ১০ | ৫৪ | ৪০ | +১৪ | ৫৮ | |
৬ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৬ | ৯ | ৯ | ৬৫ | ৪৪ | +২১ | ৫৭ | |
৭ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৫ | ১০ | ৯ | ৪৭ | ৪৪ | +৩ | ৫৫ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৮ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৬ | ৩ | ১৫ | ৫৫ | ৫০ | +৫ | ৫১ | ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৯ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৫ | ৩ | ১৬ | ৪৯ | ৫১ | −২ | ৪৮ | |
১০ | হানোফার | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৩৪ | ৩৬ | −২ | ৪৫ | |
১১ | মাইনৎস | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৫০ | ৫৫ | −৫ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[খ] |
১২ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৪৩ | ৫২ | −৯ | ৪২ | |
১৩ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৩৭ | ৪৯ | −১২ | ৪০ | |
১৪ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৫৫ | ৬৩ | −৮ | ৩৮ | |
১৫ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ৮ | ১২ | ১৪ | ৩৫ | ৫১ | −১৬ | ৩৬ | |
১৬ | বোখুম (R) | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৪৭ | ৬৮ | −২১ | ৩৫ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | হান্সা রস্টক (R) | ৩৪ | ৭ | ৯ | ১৮ | ৩১ | ৬৫ | −৩৪ | ৩০ | |
১৮ | ফ্রাইবুর্গ (R) | ৩৪ | ৩ | ৯ | ২২ | ৩০ | ৭৫ | −৪৫ | ১৮ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বায়ার্ন মিউনিখ এবং শালকে ২০০৪–০৫ ডিএফএল-কাপের ফাইনালে উত্তীর্ণ জন্য হওয়ায় ২০০৫–০৬ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ষষ্ঠ স্থান অধিকারী বায়ার লেভারকুজেনকে প্রদান করা হয়েছিল।
- ↑ উয়েফা ২০০৪–০৫ মৌসুমে রক্ষণশীল অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে এলোমেলোভাবে ড্রয়ের মাধ্যমে বুন্দেসলিগাকে উয়েফা কাপের একটি অতিরিক্ত স্থান প্রদান করেছিল। এই মৌসুমে জাতীয় ফেয়ার-প্লে প্রতিযোগিতা জয়ের জন্য মাইনৎস উক্ত স্থানটি অর্জন করেছিল।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | মারেক মিন্তাল | নুর্নবার্গ | ২৪ |
২ | রয় মাকায় | বায়ার্ন মিউনিখ | ২২ |
৩ | দিমিতার বেরবাতভ | বায়ার লেভারকুজেন | ২০ |
৪ | মার্সেলিনিয়ো | হের্টা | ১৮ |
৫ | মিরোস্লাভ ক্লোসা | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৫ |
৬ | ডেলরন বাকলি | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | |
৭ | ইয়ান কোলার | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | |
৮ | আন্দ্রি ভরোনিন | বায়ার লেভারকুজেন | |
৯ | আইতোন | শালকে | ১৪ |
১০ | কেভিন কুরানি | স্টুটগার্ট | ১৩ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (German ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কিকারে ২০০৪–০৫ বুন্দেসলিগা (জার্মান)