২০০০–০১ বুন্দেসলিগা
২০০০–০১ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩৮তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০০ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০১ সালের ১৯শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হাইকো হারলিখ এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
মৌসুম | ২০০০–০১ |
---|---|
তারিখ | ১১ আগস্ট ২০০০ – ১৯ মে ২০০১ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১৬তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১৭তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | উন্টারহাখিং ফ্রাঙ্কফুর্ট বোখুম |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ শালকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বায়ার লেভারকুজেন |
উয়েফা কাপ | হের্টা ফ্রাইবুর্গ |
ইন্টারটোটো কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ভলফসবুর্গ ১৮৬০ মিউনিখ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৯৭ (ম্যাচ প্রতি ২.৯৩টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | সের্গেই বারবারেজ এবে সান্দ (২২টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ভলফসবুর্গ ৬–০ কলন (২১ অক্টোবর ২০০০) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | বায়ার্ন মিউনিখ ৬–২ ডর্টমুন্ড (৪ নভেম্বর ২০০০) শালকে ৫–৩ উন্টারহাখিং (১৯ মে ২০০১) ভলফসবুর্গ ৪–৪ হামবুর্গার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০০) |
২০০১–০২ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯৯–২০০০ মৌসুমে ৭৩ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৫তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৬৩ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১৬তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১৭তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। হামবুর্গারের বসনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সের্গেই বারবারেজ এবং শালকের ডেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবে সান্দ ২২ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা১৯৯৯–২০০০ মৌসুম শেষে উলম, আরমিনিয়া বিলেফেল্ড এবং ডুসবুর্গ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কলন, বোখুম এবং এনার্গি কটবুস বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩৬,০০০ |
এনার্গি কটবুস | কটবুস | ফ্রয়ন্ডশাফট কটবুস স্টেডিয়াম | ২১,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৬৮,৬০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | ড্রাইসাম স্টেডিয়াম | ২৫,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪১,৫০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৪৬,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
হান্সা রস্টক | রস্টক | অস্টসি স্টেডিয়াম | ২৫,৮৫০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
উন্টারহাখিং | উন্টারহাখিং | স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং | ১১,৩০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ভিএফএল স্টেডিয়াম আম এলস্টারভেগ | ২১,৬০০ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ১৯ | ৬ | ৯ | ৬২ | ৩৭ | +২৫ | ৬৩ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | শালকে | ৩৪ | ১৮ | ৮ | ৮ | ৬৫ | ৩৫ | +৩০ | ৬২ | |
৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৬ | ১০ | ৮ | ৬২ | ৪২ | +২০ | ৫৮ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৭ | ৬ | ১১ | ৫৪ | ৪০ | +১৪ | ৫৭ | |
৫ | হের্টা | ৩৪ | ১৮ | ২ | ১৪ | ৫৮ | ৫২ | +৬ | ৫৬ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৬ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ১৫ | ১০ | ৯ | ৫৪ | ৩৭ | +১৭ | ৫৫ | |
৭ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৫ | ৮ | ১১ | ৫৩ | ৪৮ | +৫ | ৫৩ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৮ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৫ | ৫ | ১৪ | ৪৯ | ৫৪ | −৫ | ৫০ | |
৯ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ১১ | ১১ | ৬০ | ৪৫ | +১৫ | ৪৭ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
১০ | কলন | ৩৪ | ১২ | ১০ | ১২ | ৫৯ | ৫২ | +৭ | ৪৬ | |
১১ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৪৩ | ৫৫ | −১২ | ৪৪ | ইন্টারটোটো কাপের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
১২ | হান্সা রস্টক | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৩৪ | ৪৭ | −১৩ | ৪৩ | |
১৩ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৫৮ | ৫৮ | ০ | ৪১ | |
১৪ | এনার্গি কটবুস | ৩৪ | ১২ | ৩ | ১৯ | ৩৮ | ৫২ | −১৪ | ৩৯ | |
১৫ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৪২ | ৪৯ | −৭ | ৩৮ | |
১৬ | উন্টারহাখিং (R) | ৩৪ | ৮ | ১১ | ১৫ | ৩৫ | ৫৯ | −২৪ | ৩৫ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (R) | ৩৪ | ১০ | ৫ | ১৯ | ৪১ | ৬৮ | −২৭ | ৩৫ | |
১৮ | বোখুম (R) | ৩৪ | ৭ | ৬ | ২১ | ৩০ | ৬৭ | −৩৭ | ২৭ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | সের্গেই বারবারেজ | হামবুর্গার | ২২ |
২ | এবে সান্দ | শালকে | |
৩ | ক্লাউদিও পিসারো | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৯ |
৪ | মাইকেল প্রিৎস | হের্টা | ১৬ |
৫ | জিওভানে এলবের | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৫ |
৬ | অলিভার নয়ভিল | বায়ার লেভারকুজেন | |
৭ | আইতোন | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৪ |
৮ | এমিল এমপেনজা | শালকে | ১৩ |
৯ | কার্স্টেন ইয়ানকার | বায়ার্ন মিউনিখ | ১২ |
১০ | আন্দজেই ইয়ুস্কোভিয়াক | ভলফসবুর্গ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 2000/2001 Round 34"। DFB। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Borussia Dortmund - Hansa Rostock 1:0 (Bundesliga 2000/2001, 1. Round)"। worldfootball.net। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ডিএফবি আর্কাইভে ২০০০–০১ বুন্দেসলিগা (জার্মান)