১৯৭২–৭৩ বুন্দেসলিগা
১৯৭২–৭৩ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ১০ম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭২ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭৩ সালের ৯ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়ুপ হাইনকেস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
মৌসুম | ১৯৭২–৭৩ |
---|---|
তারিখ | ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ – ৯ জুন ১৯৭৩ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ৩য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ৪র্থ জার্মান শিরোপা |
অবনমন | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ রট-ভাইস ওবারহাউজেন |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
উয়েফা কাপ | কলন ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ ভুপারটাল স্টুটগার্ট |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ১০৩১ (ম্যাচ প্রতি ৩.৩৭টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | গের্ড মুলার (৩৬টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৬–০ বোখুম (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩) হামবুর্গার ৬–০ ওবারহাউজেন (২৮ এপ্রিল ১৯৭৩) বায়ার্ন মিউনিখ ৬–০ কাইজারস্লাউটার্ন (৫ মে ১৯৭৩) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | বায়ার্ন মিউনিখ ৭–২ হানোফার (১১ নভেম্বর ১৯৭২) |
← ১৯৭১–৭২ ১৯৭৩–৭৪ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭১–৭২ মৌসুমে ৫৫ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫৪ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ টানা দ্বিতীয়, সর্বমোট ৩য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৪র্থ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় গের্ড মুলার ৩৬ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা১৯৭১–৭২ মৌসুম শেষে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (মুলত ১৯৭১ সালের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আরমিনিয়া বিলেফেল্ডকে অবনমন করেছিল। এই আসরে তাদের সকল তথ্য মুখে ফেলার পূর্বে তারা সর্বমোট ১৯ পয়েন্ট অর্জন করেছিল।) মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ভুপারটাল এবং কিকার্স অফেনবাখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | রাডরেনবান মুঙ্গার্সডর্ফ | ২৯,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম[ক] | ৪৪,৩০০ | |
রট-ভাইস ওবারহাউজেন | নিডার রাইন স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
কিকার্স অফেনবাখ | বিবারার বার্গ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
ভুপারটাল | স্টাডিওন আম জু | ২৮,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৫ | ৪ | ৫ | ৯৩ | ২৯ | +৬৪ | ৫৪ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | কলন | ৩৪ | ১৬ | ১১ | ৭ | ৬৬ | ৫১ | +১৫ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১৫ | ১২ | ৭ | ৬২ | ৪৫ | +১৭ | ৪২ | |
৪ | ভুপারটাল | ৩৪ | ১৫ | ১০ | ৯ | ৬২ | ৪৯ | +১৩ | ৪০ | |
৫ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৭ | ৫ | ১২ | ৮২ | ৬১ | +২১ | ৩৯ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৬ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৭ | ৩ | ১৪ | ৭১ | ৬৫ | +৬ | ৩৭ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[খ] |
৭ | কিকার্স অফেনবাখ | ৩৪ | ১৪ | ৭ | ১৩ | ৬১ | ৬০ | +১ | ৩৫ | |
৮ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৫ | ৪ | ১৫ | ৫৮ | ৫৪ | +৪ | ৩৪ | |
৯ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১২ | ১০ | ১২ | ৫৮ | ৬৮ | −১০ | ৩৪ | |
১০ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৫৩ | ৫৪ | −১ | ৩৩ | |
১১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৫০ | ৫২ | −২ | ৩১ | |
১২ | বোখুম | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৫০ | ৬৮ | −১৮ | ৩১ | |
১৩ | হের্টা | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৫৩ | ৬৪ | −১১ | ৩০ | |
১৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৫৩ | ৫৯ | −৬ | ২৮ | |
১৫ | শালকে | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৪৬ | ৬১ | −১৫ | ২৮ | |
১৬ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৪৯ | ৬৫ | −১৬ | ২৬ | |
১৭ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ (R) | ৩৪ | ৯ | ৭ | ১৮ | ৩৩ | ৫৬ | −২৩ | ২৫ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | রট-ভাইস ওবারহাউজেন (R) | ৩৪ | ৯ | ৪ | ২১ | ৪৫ | ৮৪ | −৩৯ | ২২ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বায়ার্ন মিউনিখ এই স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র তাদের প্রথম ম্যাচ আয়োজন করেছিল।
- ↑ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ১৯৭১–৭২ ডিএফবি-পোকালের রানার-আপ কলনকে প্রদান করা কথা ছিল। তবে লিগে ফলাফলের মাধ্যমে কলনও কাপ উইনার্স কাপে উত্তীর্ণ হওয়ায় ষষ্ঠ স্থান অধিকারী স্টুটগার্টকে উক্ত স্থানটি প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৬ |
২ | ইয়ুপ হাইনকেস | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ২৮ |
৩ | গুন্টার প্রোপার | ভুপারটাল | ২১ |
৪ | আরভিন কোস্টেডে | কিকার্স অফেনবাখ | ১৯ |
৫ | হান্স ভালিৎসা | ভিএফএল বোখুম | ১৮ |
৬ | উলি হোনেস | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৭ |
৭ | ক্লাউস ভুন্ডার | ডুসবুর্গ | |
৮ | রাইনার গেয়ে | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ১৬ |
৯ | ক্লাউস বুডে | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ১৪ |
১০ | ভিলি রাইমান | হানোফার ৯৬ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Schedule Round 1"। DFB।
- ↑ "Archive 1972/1973 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "MSV Duisburg 4:3 (Bundesliga 1972/1973, 1. Round)"। worldfootball.net। ৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭২–৭৩ বুন্দেসলিগা (জার্মান)