১৯৬৯–৭০ বুন্দেসলিগা
১৯৬৯–৭০ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৭ম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৬৯ সালের ১৬ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭০ সালের ৩রা মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] শালকের জার্মান রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হান্স-ইয়ুর্গেন ভিটকাম্প এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
মৌসুম | ১৯৬৯–৭০ |
---|---|
তারিখ | ১৬ আগস্ট ১৯৬৯ – ৩ মে ১৯৭০ |
চ্যাম্পিয়ন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১ম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | ১৮৬০ মিউনিখ আলেমানিয়া আখেন |
ইউরোপীয় কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৫১ (ম্যাচ প্রতি ৩.১১টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ![]() |
সবচেয়ে বড় স্বাগতিক জয় | হের্টা ৯–১ ডর্টমুন্ড (১৮ এপ্রিল ১৯৭০) কলন ৮–০ শালকে (৮ নভেম্বর ১৯৬৯) |
সবচেয়ে বড় অতিথি জয় | ব্রাউনশভাইগ ০–৪ ওবারহাউজেন (৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯) ব্রাউনশভাইগ ০–৪ বায়ার্ন মিউনিখ (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯) হের্টা ০–৪ বায়ার্ন মিউনিখ (২১ মার্চ ১৯৭০) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | হের্টা ৯–১ ডর্টমুন্ড (১৮ এপ্রিল ১৯৭০) |
← ১৯৬৮–৬৯ ১৯৭০–৭১ → |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৬৮–৬৯ মৌসুমে ৪৬ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫১ পয়েন্ট অর্জন করে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১ম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় গের্ড মুলার ৩৮ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
সম্পাদনাপ্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
সম্পাদনা১৯৬৮–৬৯ মৌসুম শেষে নুর্নবার্গ এবং কিকার্স অফেনবাখ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে রট-ভাইস এসেন এবং রট-ভাইস ওবারহাউজেন বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৩] | ধারণক্ষমতা[৩] |
---|---|---|
আলেমানিয়া আখেন | পুরান টিভোলি | ৩০,০০০ |
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
রট-ভাইস এসেন | গেওর্গ মেলশেস স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
রট-ভাইস ওবারহাউজেন | নিডার রাইন স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (C) | ৩৪ | ২৩ | ৫ | ৬ | ৭১ | ২৯ | +৪২ | ৫১ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২১ | ৫ | ৮ | ৮৮ | ৩৭ | +৫১ | ৪৭ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
৩ | হের্টা | ৩৪ | ২০ | ৫ | ৯ | ৬৭ | ৪১ | +২৬ | ৪৫ | |
৪ | কলন | ৩৪ | ২০ | ৩ | ১১ | ৮৩ | ৩৮ | +৪৫ | ৪৩ | |
৫ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৬০ | ৬৭ | −৭ | ৩৬ | |
৬ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১২ | ১১ | ১১ | ৫৭ | ৫৪ | +৩ | ৩৫ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
৭ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৪ | ৭ | ১৩ | ৫৯ | ৬২ | −৩ | ৩৫ | |
৮ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১২ | ১০ | ১২ | ৫৪ | ৫৪ | ০ | ৩৪ | |
৯ | শালকে | ৩৪ | ১১ | ১২ | ১১ | ৪৩ | ৫৪ | −১১ | ৩৪ | |
১০ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১০ | ১২ | ১২ | ৪৪ | ৫৫ | −১১ | ৩২ | |
১১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৩৮ | ৪৭ | −৯ | ৩১ | |
১২ | রট-ভাইস এসেন | ৩৪ | ৮ | ১৫ | ১১ | ৪১ | ৫৪ | −১৩ | ৩১ | |
১৩ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪৯ | ৬১ | −১২ | ৩০ | |
১৪ | রট-ভাইস ওবারহাউজেন | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৫০ | ৬২ | −১২ | ২৯ | |
১৫ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৩৫ | ৪৮ | −১৩ | ২৯ | |
১৬ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ৯ | ১০ | ১৫ | ৪০ | ৪৯ | −৯ | ২৮ | |
১৭ | ১৮৬০ মিউনিখ (R) | ৩৪ | ৯ | ৭ | ১৮ | ৪১ | ৫৬ | −১৫ | ২৫ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | আলেমানিয়া আখেন (R) | ৩৪ | ৫ | ৭ | ২২ | ৩১ | ৮৩ | −৫২ | ১৭ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
ফলাফল
সম্পাদনাশীর্ষ গোলদাতা
সম্পাদনাঅবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৮ |
২ | ভেয়ার্নার ভাইস্ট | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২০ |
৩ | ক্লাউস ফিশার | ১৮৬০ মিউনিখ | ১৯ |
৪ | হারবার্ট লোমেন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
৫ | ইয়োহানেস লোহর | কলন | |
৬ | উভে জেলার | হামবুর্গার | ১৭ |
৭ | বার্ন্ড রুপ | কলন | ১৬ |
৮ | ফ্রানৎস ব্রুংস | হের্টা | ১৫ |
৯ | হুগো ডাউসমান | রট-ভাইস ওবারহাউজেন | |
১০ | লরেনৎস হোর | হের্টা | ১৩ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bundesliga 1969/1970 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "FC Schalke 04 - Bor. Mönchengladbach 2:0 (Bundesliga 1969/1970, 1. Round)"। worldfootball.net। ৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৬৯–৭০ বুন্দেসলিগা (জার্মান)