হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি লাইব্রেরি
হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি লাইব্রেরি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত একটি সাধারণ গ্রন্থাগার। এটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় হায়াৎনগর গ্রামে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা নিবন্ধিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি র প্রধান ও মূল উদ্দেশ্য সমাজ হতে কুসংস্কার দূর করে ও সাক্ষরতা বিকাশের জন্য, পাশ্ববর্তী গ্রামের কিশোর-কিশোরীদের ও যুব-ছাত্র সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে গ্রন্থাগারটি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে এপ্রিল স্থাপিত হয়। তবে দীর্ঘ চোদ্দ বৎসর পর ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই ডিসেম্বর সরকারী মান্যতা ও অনুদান লাভ করে।[১][২]
দেশ | ভারত |
---|---|
ধরন | সর্বসাধারণ |
প্রতিষ্ঠিত | ২০ এপ্রিল ১৯৬৪ |
অবস্থান | দেবীপুর রোড, হায়াৎনগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ |
স্থানাঙ্ক | ২২°১৯′২৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৪০″ পূর্ব / ২২.৩২৪৪৫৮° উত্তর ৮৮.২৬১২০২° পূর্ব |
অন্যান্য তথ্য | |
কর্মচারী | ২ |
মানচিত্র | |
সরকারি সহায়তায়, রাজা রামমোহন রায় গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশনের আনুকূল্যে, শুভানুধ্যায়ীদের দানে গ্রন্থাগারে ইতোমধ্যে অসংখ্য বইয়ের ও পত্র পত্রিকার সংগ্রহ গড়ে উঠেছে। গ্রন্থাগার হতে এখন বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠক-পাঠিকারা সম্পূর্ণ বিনা চাঁদায় বাড়িতে বই নিয়ে যেতে পারেন, পাঠকক্ষ ব্যবহার করতে পারছেন। শিশু ও মহিলাদের জন্য আলাদা বিভাগ সহ পাঠকক্ষে শ্রেণীসহায়ক, বৃত্তিসহায়ক পুস্তক ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। শুভানুধ্যায়ীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মের ব্যবস্থা করা হয়।[২]
নেতাজী জন্মজয়ন্তী
সম্পাদনালাইব্রেরিটি স্থাপনাকাল হতেই প্রতি বৎসর ২৩ শে জানুয়ারি দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন নেতাজী জন্মজয়ন্তী উদযাপন করে আসছে। সাম্প্রতিককালে লাইব্রেরিটি যেমন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের লেখক-লেখিকাদের নেতাজী সুভাষ সম্মাননা প্রদান করে, তেমনই তাদের মুখপত্র- তরঙ্গ সহ গ্রন্থ ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা প্রকাশে সহায়তা করে থাকে।
এছাড়াও লাইব্রেরিটি "স্মরণপূর্বক শ্রদ্ধাঞ্জলি" শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলার স্বনামধন্য লেখক ও মনীষীদের জন্মদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য দিবস যেমন- আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস,[৩][৪] আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি
সম্পাদনাসরকারি আধিকারিক ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে যে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি গ্রন্থাগারের অগ্রগতি সহায়ক হয়েছে তাঁদের অন্যতম হলেন -
- নিকুঞ্জ সেন - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এক বিপ্লবী (২৩/০১/১৯৮০)
- জানকীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় — প্রখ্যাত লেখক ও নাট্যকার (২৩/০১/১৯৮৩)
- সুকুমার ভট্টাচার্য, উপ-অধিকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা,পশ্চিমবঙ্গ সরকার (২৩/০১/১৯৮৭)
- কংসারী হালদার - দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তেভাগা আন্দোলনের নেতা
- মৃত্যুঞ্জয় মাইতি - বাঙালি সাহিত্যিক
- নারায়ণ সান্যাল - বাঙালি সাহিত্যিক (২৩/০১/১৯৮৯)
- শঙ্কু মহারাজ - বাঙালি লেখক (২৩/০১/১৯৯৩)
- নিমাই ভট্টাচার্য - বাঙালি ঔপন্যাসিক (২৩/০১/১৯৯৪)
- চিত্তরঞ্জন মাইতি - বাঙালি লেখক (২৩/০১/১৯৯৬)
- মৃগাঙ্ক নাথ ঘোষ - বাঙালি লেখক
- অশোকানন্দ মহারাজ - ভারত সেবাশ্রম সংঘ
- শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায় - বাঙালি লেখক
- আবদুল জব্বার (সাহিত্যিক)
- শিবাত্মানন্দজী মহারাজ
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ
- সেকেন্দার আলী সেখ - শিশুসাহিত্যিক
- অনল মণ্ডল - সাংবাদিক
- সমীরণ গুহ- সাহিত্যিক (২৩/০১/২০০৬)
- অমিয় পাত্র - শিক্ষাবিদ (১৬/০৫/২০০৬)
- অধ্যাপক শুভেন্দু বারিক - বিশিষ্ট স্থানীয় শিক্ষাব্রতী (১৬/০৫/২০০৬)
- অধ্যাপক বাঁধন সেনগুপ্ত - বিশিষ্ট নজরুল গবেষক
- শক্তি মণ্ডল - সভাপতি,সত্যেন মৈত্র জনশিক্ষা সমিতি, কলকাতা (০৮/০৯/২০১৮)
- ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায় - বাঙালি কথাসাহিত্যিক (২৩/০১/২০১৯)
- সৌমিত বসু - বাঙালি কবি (২৩/০১/২০১৯)
- সমীরণ গুহ - বাঙালি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক (২৮/০৯/২০১৯)
- পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় - বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ও গবেষক (২৩/০১/২০২৩)[৫]
- জয়দীপ চক্রবর্তী - কথাসাহিত্যিক (২৩/০১/২০২৪)
- ড.দিলীপ মজুমদার - প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক (২৪/০১/২০২৪)
- সুজন বড়ুয়া, কবি ও শিশুসাহিত্যিক, বাংলাদেশ (০৭/০৪/২০২৪)
- অরুণ শীল, শিশুসাহিত্যিক, বাংলাদেশ (০৭/০৪/২০২৪)
- শেলী সেনগুপ্তা, কবি,গল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক, বাংলাদেশ (০৭/০৪/২০২৪)[৬][৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "WELCOME TO MASS Education Extension & Library Services Department"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Hayatnagar Subhas Samity Library"।
- ↑ "আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস! "সাক্ষরতা ও দক্ষতা বিকাশ""। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৬।
- ↑ "আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বিবরণ"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৯।
- ↑ "নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন-প্রতিবেদন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৬।
- ↑ "হায়াৎনগর সুভাষ সমিতির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হল দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ "কলকাতার সুভাষ সমিতি ও পাঠাগারে হীরকজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে - দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত"। দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা। কুষ্ঠিয়া। ১০ এপ্রিল ২০২৪।