প্রতিনিধি সভা (নেপাল)
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
প্রতিনিধি সভা (নেপালি: प्रतिनिधि सभा) হল দুই কক্ষ বিশিষ্ট নেপালি সংসদের নিম্নকক্ষ। এর ঊর্ধ্বকক্ষের নাম রাষ্ট্রীয় সভা।[১] প্রতিনিধি সভার সদস্যরা একটি প্যারালেল ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। এরপর রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শক্রমে সভা ভেঙে দেন। প্রতিনিধি সভার বৈঠক কাঠমান্ডুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিনিধি সভা प्रतिनिधि सभा | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | |
মেয়াদসীমা | ৫ বছর |
ইতিহাস | |
পূর্বসূরী | রাষ্ট্রীয় পঞ্চায়েত |
নেতৃত্ব | |
স্পিকার | |
সংসদ নেতা | |
বিরোধী দলীয় নেতা | |
গঠন | |
আসন | ২৭৫ |
রাজনৈতিক দল | সরকারি দল (১৭৪)
বিরোধী দলসমূহ (১০১) |
নির্বাচন | |
মিশ্র পদ্ধতি
| |
সর্বশেষ নির্বাচন | ২৬ নভেম্বর ও ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ |
পরবর্তী নির্বাচন | ২০২২ |
সভাস্থল | |
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, কাঠমান্ডু, নেপাল | |
ওয়েবসাইট | |
hr |
প্রতিনিধি সভায় মোট আসন ২৭৫ টি। এর মধ্যে ১৬৫ জন প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। আর বাকি ১১০ জন আনুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় নির্বাচিত হন, যেখানে জনগণ সমগ্র দেশকে একটি নির্বাচনী এলাকা বিবেচনা করে পছন্দের দলকে ভোট দেয়।[২] প্রতিনিধি পরিষদ (মেয়াদ শেষের পূর্বে বিলুপ্ত করা না হলে) তার প্রথম সভার জন্য নির্ধারিত তারিখ থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যায়। তবে, ফেডারেল আইন অনুসারে জরুরি অবস্থায় প্রতিনিধি পরিষদের মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
বর্তমান প্রতিনিধি সভা ২০১৭ সালে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ৫ মার্চে এর প্রথম বৈঠক বসেছিল।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯০ সালে তৎকালীন নেপাল রাজ্যের সংবিধানে পঞ্চায়েত প্রথা বিলুপ্ত করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করা হলে প্রতিনিধি সভার সূচনা হয়।[৪] তখন প্রতিনিধি সভার সদস্য ছিল ২০৫ জন, যারা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতো। এর মেয়াদ ছিল ৫ বছর। তবে রাজা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সভা ভেঙে দিতে পারতেন।[৫]
২০০২ সালের মে মাসে রাজা জ্ঞানেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার পরামর্শক্রমে আরেকটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেন।[৬] কিন্তু নেপালে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি, যা শেষ পর্যন্ত রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে রাজকীয় অভ্যুত্থানের দিকে পরিচালিত করেছিল। পরবর্তীতে, ২০০৬ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে রাজা সংসদীয় ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন।[৭] ফলে, ২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সংসদ প্রতিনিধি সভার স্থলে দায়িত্ব গ্রহণ করে। সাত দলীয় জোট এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী-কেন্দ্র)-এর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে উক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সংসদের আসন বণ্টন করা হয়।[৮]
প্রদেশ অনুযায়ী সংসদীয় আসন
সম্পাদনানেপালের মোট ৭টি প্রদেশ থেকে ১৬৫ জন সদস্যকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে প্রদেশ নং ১ থেকে ২৮ জন, প্রদেশ নং ২ থেকে ৩২ জন, বাগমতী প্রদেশ থেকে ৩৩ জন, গণ্ডকী প্রদেশ থেকে ১৮ জন, প্রদেশ নং ৫ থেকে ২৬ জন, কর্ণালী প্রদেশ থেকে ১২ জন এবং সুদূরপশ্চিম প্রদেশ থেকে ১৬ জন সদস্য নির্বাচিত হন।
স্পিকার
সম্পাদনানাম | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব ত্যাগ | টীকা |
---|---|---|---|
দমননাথ ঢুংগানা | ১৯৯১ | ১৯৯৪ | [৯][১০] |
রামচন্দ্র পৌডেল | ১৯৯৪ | ১৯৯৯ | [১০] |
তারানাথ রানাভাট | আগস্ট ১৯৯৯ | মে ২০০২ | [১০][১১] |
সুবাসচন্দ্র নেম্বাঙ | ২০১৩ | ২০১৫ | [১০] |
ওনসরী ঘর্তিমগর | ১৯ অক্টোবর ২০১৫ | ১৫ অক্টোবর ২০১৭ | [১২][১৩] |
কৃষ্ণবাহাদুর মহরা | ১০ মার্চ ২০১৮ | ১ অক্টোবর ২০১৯ | [১৪][১৫] |
অগ্নী প্রসাদ সাপকোটা | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ | বর্তমান | [১৬] |
দল অনুযায়ী সদস্য
সম্পাদনাদল | সংসদীয় দলের নেতা | আসন | ||
---|---|---|---|---|
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এমালে) | খড়্গ প্রসাদ অলি[১৭][১৮] | ১৭৪ | ||
নেপালি কংগ্রেস | শের বাহাদুর দেউবা[১৯] | ৬৩ | ||
জনতা সমাজবাদী পার্টি, নেপাল | মহন্থ ঠাকুর | ৩৪ | ||
স্বতন্ত্র | ৪ | |||
মোট | ২৭৫ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Nepal government in minority after Prachanda's party withdraws support"। indiatvnews.com। ১২ জুলাই ২০১৬। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
... Dahal said the party decision has been conveyed to President Bidhya Devi Bhandari, Prime Minister Oli and Pratinidhi Sabha (Lower House of the Nepali Parliament) Speaker Onsari Gharti. But an official said the politically unstable nation's leader would not immediately resign.
- ↑ Article 86 (2) Constitution of Nepal
- ↑ "First meeting of House of Representatives concluded"। The Himalayan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৫।
- ↑ http://archive.ipu.org/parline-e/reports/arc/2386_91.htm
- ↑ "parliament"। nepaldemocracy.org। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Nepal king dissolves parliament"। telegraph.co.uk। ২১ মে ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Nepal's king restores parliament"। theguardian.com। ২৪ এপ্রিল ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Legislative Branch Reform: Comprehensive Peace Agreement"। peaceaccords.nd.edu। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৯-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।
- ↑ ক খ গ ঘ https://myrepublica.nagariknetwork.com/news/mps-back-ecs-proposal-of-providing-it-authority-to-announce-poll-dates/
- ↑ https://www.telegraph.co.uk/news/1394997/Nepal-king-dissolves-parliament.html
- ↑ "First female Speaker Magar assumes office"। kathmandupost.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬।
- ↑ "Parliament dissolved"। The Himalayan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬।
- ↑ "Krishna Bahadur Mahara elected Nepal parliament's Speaker"। The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬।
- ↑ Sharma, Bhadra (২০১৯-১০-০১)। "Parliament Speaker in Nepal Resigns After Rape Accusation"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬।
- ↑ "Sapkota becomes Speaker amid concerns from conflict victims and rights watchdogs"। kathmandupost.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬।
- ↑ "UML and Maoist Centre to form Nepal Communist Party tomorrow"। ১৬ মে ২০১৮।
- ↑ "Nepal: Left alliance unifies to form single party"। www.aninews.in।
- ↑ "Deuba elected NC PP leader" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৬।