সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান

সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল ফায়েজ (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭) বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান[] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য ছিলেন তিনি।[] বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।[][]

ডক্টর
এস. এম. এ. ফয়েজ
ইউজিসির ১৫তম চেয়ারম্যান
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পূর্বসূরীকাজী শহীদুল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
৯ সেপ্টেম্বর ২০০২ – ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯
পূর্বসূরীআ ফ ম ইউসুফ হায়দার
উত্তরসূরীআরেফিন সিদ্দিক
সরকারি কর্ম কমিশনের ৬ষ্ঠ চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ, ১৯৯৩ – ৫ মার্চ ১৯৯৮
পূর্বসূরীইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
উত্তরসূরীমোঃ মোস্তফা চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ
(1947-12-25) ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ (বয়স ৭৬)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৪পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বেড়ে ওঠেন তিনি। তার বাবা এ কে কেবি সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আলী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং ঢাকায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার মা ছিলেন ইউএন জোবেদা খাতুন।

তিনি ১৯৬৮ সালে অধ্যাপক ফায়েজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এম.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে, আবুল ফয়েজ পিএইচডি করার জন্য গবেষণা করার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যের আবারডিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল নাগাদ তিনি নাইজেরিয়াস্থ মাইদুগড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিডার হিসেবে কাজ করেন।

১৯৮৬ সালের ২১ জুন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

ফায়েজ ছিলেন বাংলাদেশের সরকারি চাকুরীর জন্য নিয়োগ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ 'বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন'-এর ষষ্ঠ চেয়ারম্যান; ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৩ সালের ৭ মার্চ তারিখে তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত এই পদে অধিষ্টিত থাকেন।[]

৯ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান, ১৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি কয়েক বছর হাজী মোঃ মহসীন হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন তিনি।

৫ বছরেরও বেশি সময় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ৬ বছরেরও বেশি সময় ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অন এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এফইপিডি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত, যার সাথে তার শুরু থেকেই মানসিক সংযুক্তি ছিল।

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।[]

উচ্চশিক্ষা খাত নিয়ে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফয়েজ"ডেইলি স্টার। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  3. বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান।
  4. "ইউজিসির চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক এস এম এ ফয়েজ"The Financial Express। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  5. "ইউজিসি চেয়ারম্যান হলেন ড. এস এম এ ফায়েজ"banglanews24.com। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।