সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স
সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স ১৯৯৩ সালে নির্মিত, বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাঁতার ক্রীড়া আয়োজন ও প্রশিক্ষণ ভেন্যু।[১] বাংলাদেশে সাঁতারের প্রধান ও ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে তৃতীয় ভেন্যু।[২] অবস্থানের কারণে স্থাপনাটি মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স নামে পরিচিত, এর বর্তমান নাম সৈয়দ নজরুল ইসলামের মরনোত্তর সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে।[৩] বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন পুলটির দেখভাল করে।[৪] বাংলাদেশের সকল সাঁতার ক্রীড়া আয়োজনের সরকারি ভেন্যুর মতই এটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত।[২]
সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স | |
---|---|
২৩°৪৮′২৬″ উত্তর ৯০°২১′৫৫″ পূর্ব / ২৩.৮০৭১২০° উত্তর ৯০.৩৬৫৩৯৭° পূর্ব | |
ঠিকানা | জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, মিরপুর-২ |
ডাককোড | ঢাকা - ১২১৬ |
খোলা | ১৯৯৩ |
পরিচালনায় | বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন |
মালিকানাধীন | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পূর্বতন নাম | জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স |
অবস্থা | সক্রীয় |
খরচ | ৳ ১২.৫৮ কোটি (২০১৯) |
বৈশিষ্ট্য | |
৮ লেনের উম্মুক্ত সুইমিংপুল |
নির্মাণ ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৩ সালে ৬ষ্ঠ দক্ষিণ এশীয় গেমস উপলক্ষে মিরপুরে কমপ্লেক্সের নির্মাণ করা হয়।[১] ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমস উপলক্ষ্যে প্রাথমিক সংস্কার করা হয়।[১][৫] ২০১৭ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় দফায় কমপ্লেক্সের সংস্কার ও উন্নয়ন শুরু করে, যা ২০১৯ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত চলে।[৫] এসময় এলইডি স্কোরবোর্ড স্থাপন, সাঁতারুদের আবাস ৪ থেকে ৬ তলা, ভিভিআইপি বক্স যোগ, জলের নিচে পানিরোধি ক্যামেরা, নতুন ডাইভিং বোর্ড ও দুইপাশের গ্যালারিতে ছাউনি যুক্ত হয়েছে।[৩]
কাঠামো
সম্পাদনাকমপ্লেক্সের প্রতিযোগিতামূলক ৮ লেনের সুইমিংপুলটি খোলা আকাশের নীচে একটি উম্মুক্ত জলাধার।[৬] ডাইভিং-এর জন্য পৃথক পুল আছে।[৩] এছাড়া সাঁতারুদের ৬ তলা আবাস ও পুলের দুইপাশে দর্শক ছাউনিযুক্ত গ্যালারি আছে।[৩] মূল পুলের পাশাপাশি একটি প্রশিক্ষণ পুল রাখা হয়েছে।
আয়োজন
সম্পাদনাএই ভেন্যুতে ১৯৯৩ ও ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের সাঁতার ও ডাইভিং-এর সকল খেলা আয়োজিত হয়েছিল।[৩] আন্তর্জাতিক আয়োজনের বাইরে বাংলাদেশ গেমস, বাংলাদেশের জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতা হয়।[৬][৭] নিয়মিত সাঁতার প্রতিযোগিতা ছাড়াও কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে।[৮] ঢাকা মহানগরের সরকারী সুইমিংপুল গুলোর মধ্যে সাঁতার শেখার জন্য এটি ও আইভি রহমান সুইমিংপুল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "পুরোনো সুইমিং কমপ্লেক্সের নতুন শুরু"। জাগো নিউজ। ২০২০-০১-০২। ২০২০-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০২।
- ↑ ক খ "সুইমিংপুল (ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে)"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০২৪-০৬-৩০। ২০১৯-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ইসলাম, রফিকুল (২০২০-০১-০২)। "নতুন রূপে সেজেছে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স"। জাগো নিউজ। ২০২০-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০২।
- ↑ "৭ দিনের মধ্যে স্কোরবোর্ডের অবস্থা জানতে চান পাপন"। ঢাকা পোস্ট। ২০২৪-০৫-২৮। ২০২৪-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৯।
- ↑ ক খ "চালুর আগেই অকেজো মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স ই-স্কোরবোর্ড"। কালের কণ্ঠ। ২০২২-১০-০২। ২০২৩-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৩।
- ↑ ক খ হাসান, রাশিদুল (২০২২-০৯-৩০)। "ত্রুটিপূর্ণ স্কোরবোর্ড কেনায় ক্রীড়া পরিষদের ওপর ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ২০২৪-০২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৩।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা উদ্বোধন"। বাংলাভিশন। ২০২১-১০-২২। ২০২৪-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৩।
- ↑ "ঢাকায় বাচ্চারা সাঁতার শিখবে কোথায়"। প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-০৯। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৩।
- ↑ পারভিন, শাহনাজ (২০০৮-০৭-২১)। "Swimming fast gaining in popularity"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০।