সুহার্তো (pronunciation; জন্ম: ৮ জুন, ১৯২১ - মৃত্যু: ২৭ জানুয়ারি, ২০০৮) যোগ্যকর্তার গোদিয়ান অঞ্চলের কেমুসুক গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন।[] ১৯৬৭ সালে সুকর্ণের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুদীর্ঘ ৩১ বছর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা করেন।

সুহার্তো
ꦯꦸꦲꦂꦠ
১৯৯৩ সালে সুহার্তো
ইন্দোনেশিয়ার ২য় রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১২ মার্চ, ১৯৬৭ - ২১ মে, ১৯৯৮
২৭ মার্চ, ১৯৬৮ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত
উপরাষ্ট্রপতিনবম হামেংকুবুওনো
আদম মালিক
উমর উইরাহাদিকুসুমা
সুধর্মনো
ত্রাই সুতৃষ্ণ
বি. জে. হাবিবি
পূর্বসূরীসুকর্ণ
উত্তরসূরীবি. জে. হাবিবি
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৬শ মহাসচিব
কাজের মেয়াদ
৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ – ২০ অক্টোবর, ১৯৯৫
পূর্বসূরীদব্রিকা কোসিচ
উত্তরসূরীআর্নেস্টো সাম্পার পিজানো
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর ৪র্থ কমান্ডার
কাজের মেয়াদ
১৯৬৯ – ১৯৭৩
পূর্বসূরীআব্দুল হারিস নাসুশন
উত্তরসূরীমারাদেন পঙ্গাবিন
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর ৮ম চীফ অব স্টাফ
কাজের মেয়াদ
১৯৬৫ – ১৯৬৭
পূর্বসূরীপ্রণতো রেকসোসামুদ্র
উত্তরসূরীমারাদেন পঙ্গাবিন
১৪শ ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
মার্চ, ১৯৬৬ – সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
রাষ্ট্রপতিসুকর্ণ
সুহার্তো
পূর্বসূরীএম. সারবিনি
উত্তরসূরীমারাদেন পঙ্গাবিন
আর্মড ফোর্স এন্ড স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভের (কস্ত্রাদ) ১ম কমান্ডার
কাজের মেয়াদ
১৯৬১ – ১৯৬৫
পূর্বসূরীপদ সৃষ্ট
উত্তরসূরীউমর উইরাহা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯২১-০৬-০৮)৮ জুন ১৯২১
কেমুসুক, ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিজ
মৃত্যু২৭ জানুয়ারি ২০০৮(2008-01-27) (বয়স ৮৬)
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
জাতীয়তাইন্দোনেশীয়
রাজনৈতিক দলগোলকার
দাম্পত্য সঙ্গীসিতি হার্তিনাহ (বিবাহ: ১৯৪৭-১৯৯৬; মৃত্যু)
সন্তানসিতি হারদিয়ান্তি রুকমানা[]
সিজিত হারজোজুদান্তো
বামবাং ত্রিহাতমদজো
তিতিয়েক সুহার্তো
টমি সুহার্তো
সিতি হাতামি এনদাং আদিনিংসি
ধর্মসুন্নি ইসলাম
স্বাক্ষর
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্যইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস
শাখা ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনী
পদ টিএনআই সেনাবাহিনীর জেনারেল

ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক আমলে জাভাভাষী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও জন্মের পরপরই তার মা-বাবার মধ্যে বৈবাহিক বিচ্ছেদ ঘটে।[] ইন্দোনেশিয়ায় জাপানী আগ্রাসনকালীন সময়ে তিনি জাপানভিত্তিক ইন্দোনেশীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে কাজ করেন। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার মুহুর্তে নবগঠিত ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ তারিখে সুহার্তো’র নেতৃত্বে অভ্যুত্থান পরিচালিত হয় ও ইন্দোনেশীয় কমিউনিস্ট দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[] এরপর সেনাবাহিনী সমাজতন্ত্র বিরোধী তৎপরতা চালায় যাকে সিআইএ বিংশ শতকের অন্যতম নিকৃষ্টতম গণহত্যারূপে আখ্যায়িত করে।[] তিনি ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক সুকর্ণের কাছ থেকে ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেন। ১৯৬৭ সালে দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হন ও পরের বছর স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে সুহার্তো’র রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশে বেশ সমর্থন পায়। কিন্তু বেশ কয়েকবার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কবলে পড়ে তার দেশ। ফলে, মে, ১৯৯৮ সালে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। ২০০৮ সালে তার দেহাবসান ঘটে।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

তার বাবা গ্রাম্য সেচ কর্মকর্তা কার্তোসুদিরো দ্বিতীয় পত্নী সুকিরা’র গর্ভে তার জন্ম হয়। সুলতান হামেংকুবুনু ভি সুকিরা’র প্রথম স্বামী ছিলেন।[] জন্মের পাঁচ সপ্তাহ পর তার মার স্নায়ুবৈকল্য ঘটে।[] পরবর্তীতে বাবা-মা পুনরায় নতুনভাবে অন্যত্র বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তিন বছর পর সুহার্তো তার মায়ের কাছে ফিরে যান। ১৯৩১ সালে ওনোগিরি শহরে চলে যান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আর্থিক সঙ্কটে পড়ায় তার শিক্ষাজীবন বাঁধাগ্রস্ত হয় ও নিম্নবেতনের মুহাম্মদিয়া মিডল স্কুলে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।[] অন্যান্য জাভানীয়দের ন্যায় তারও একটিমাত্র নাম ছিল।[] আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষায় তার নাম ‘সুহার্তো’ হিসেবে ডাকা হয়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও গণমাধ্যমে তাকে ‘সোহার্তো’ নামে উল্লেখ করা হয়।[১০] সুহার্তো’র ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসকদের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। ফলশ্রুতিতে তিনি ওলন্দাজ বা অন্য কোন ইউরোপীয় ভাষা শিখেননি। ১৯৪০ সালে ওলন্দাজ সামরিকবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর ওলন্দাজ ভাষা শিখেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৮ বছর বয়সে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে ওরিয়ানতারোয় একটি ব্যাংকে কেরানির চাকরি নেন। কিন্তু সাইকেল হারানোর ঘটনায় তাকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়।[১১] জুন, ১৯৪০ সালে রয়্যাল নেদারল্যান্ডস ইস্ট ইন্ডিজ আর্মিতে (কেএনআইএল) যোগ দেন। রামপালে ত্রয়োদশ ব্যাটেলিয়নে অন্তর্ভুক্ত হন ও সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। সিসারুয়ায় কেএনআইএল সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়নে নিয়োগ দেয়া হয়।[১২]

মার্চ, ১৯৪২ সালে জাপানী অধিগ্রহণের ফলে ওলন্দাজ বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এরফলে কেএনআইএলের পোশাক রেখে ওরজানতোরো এলাকায় ফিরে যান। কয়েকমাস বেকার থাকার পর জাকার্তা পুলিশবাহিনীতে নিয়োগ পান। অক্টোবর, ১৯৪৩ সালে পুলিশবাহিনী থেকে নতুন গঠিত জাপানভিত্তিক মিলিশিয়া সংগঠন পেটায় স্থানান্তর করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন তিনি জাতীয়তাবাদী ও সামরিক চেতনায় প্রভাবান্বিত হন যা তার নিজ চিন্তায় ধাবিত হয়।[১৩]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের পর সুকর্ণ ও হত্তা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারা যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। জাপানীদের আদেশ অনুসারে সুহার্তো তার রেজিম্যান্ট থেকে সরে আসেন ও জোগিকার্তায় ফিরে যান।[১৪] ওলন্দাজ বাহিনী গেরিলাদের বিপক্ষে জয়লাভে ব্যর্থ হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওলন্দাজদেরকে সামরিক আক্রমণ পরিচালনা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। জুন, ১৯৪৯ সালে জাকার্তা থেকে সেনা প্রত্যাহার হতে থাকে ও ডিসেম্বর, ১৯৪৯ এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়। জুন, ১৯৪৯ সালে জাকার্তা শহর থেকে ওলন্দাজ সেনা প্রত্যাহারের জন্য সুহার্তো জড়িত ছিলেন।[১৫]

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা লাভের পর সুহার্তো ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সদস্য হিসেবে জাভা এলাকায় কর্মরত ছিলেন। ১৯৫০ সালে সংযুক্ত ইন্দোনেশিয়া গঠনকল্পে সহায়তাকারী ঔপনিবেশিক আমলের সাবেক সেনাদেরকে একত্রিত করে গারুদা ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন।[১৬] ১৯৫১-৫২ সালে ইসলামিক আদর্শে উজ্জ্বীবিত ৪২৬ ব্যাটেলিয়নকে মধ্য জাভার ক্লাতেন এলাকায় পরাজিত করেন।[১৭]

জানুয়ারি, ১৯৬২ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন ও মাকাসারে সেনাবাহিনী-নৌবাহিনী-বিমানবাহিনীর যৌথভাবে গড়া অপারেশন মান্দালা পরিচালনা করেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে নিজেদের স্বাধীনতা লাভের জন্য সক্রিয় পশ্চিম নিউগিনির বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিপক্ষে জয়ী হন।[১৮] এপ্রিল, ১৯৬৫ সালে সামরিক বাহিনী ও কমিউনিস্টদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আগস্টে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সুকর্ণ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জোট হিসেবে চীন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সাথে ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্কের কথা ঘোষণা করে। তিনি সেনাবাহিনীকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে সতর্ক করে দেন।[১৯] সুকর্ণের ছত্রচ্ছায়ায় ইন্দোনেশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি (পিকেআই) উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠলে সামরিকবাহিনী, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী দলগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে সুকর্ণ সুহার্তোকে লেফট্যানেন্ট-জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেন। পরবর্তীতে জুলাই, ১৯৬৬ সালে জেনারেল মর্যাদা দেন। ১১ মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে মারদেকা প্রাসাদে সুহার্তোর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা চলাকালে অজ্ঞাতসংখ্যক সেনাদল ঘিরে ফেলে। সুকর্ণ ৬০ কিলোমিটার দূরে হেলিকপ্টারযোগে বোগর প্রাসাদে চলে যান। সুহার্তোপন্থী মেজর জেনারেল বাসুকি রহমত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইউসুফ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরমাচমাদ - এ তিনজন জেনারেল বোগরে সুকর্ণের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। তারা সুহার্তোর শাসন নিয়ন্ত্রণের কথা জানান।

১৬ মে, ১৯৯৮ তারিখে দশ সহস্রাধিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সুহার্তোর পদত্যাগ দাবী করে সংসদীয় ভবনের মাঠ ও ছাদ দখল করে। জাকার্তায় ফিরে আসলে তিনি ২০০৩ সালে তার পদত্যাগের কথা জানান ও মন্ত্রিসভা পুণর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রাজনৈতিক মিত্ররা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। উইরান্তোর জানান, ১৮ মে সুহার্তো তার নিরাপত্তার বিষয়ে বার্তায় জানান।[২০] ২১ মে, ১৯৯৮ তারিখে পদত্যাগ করেন তিনি। উপ-রাষ্ট্রপতি হাবিবি সংবিধানের সাথে মিল রেখে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।[১৮][২১][২২]

মূল্যায়ন

সম্পাদনা

সুহার্তো’র ৩১ বছরের ক্ষমতায় ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী বেশ বিতর্কের মুখে পড়ে। তার নতুন অধ্যাদেশ জারীর ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা বেশ মজবুত হয় ও সামরিকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রেখে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেন। সমাজতান্ত্রিক বিরোধী ভূমিকা নিয়ে তিনি দেশে স্থিরতার দিকে নিয়ে যান ও স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে বেশ সমর্থন পান।[২৩] পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার অধিগ্রহণ ও হস্তক্ষেপের ফলে প্রায় এক লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে।[২৪] ১৯৯০-এর দশকে নতুন অধ্যাদেশের ফলে দূর্নীতি বেশ বাড়তে থাকে।[২৫] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, সুহার্তো আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা দূর্নীতিবাজ নেতা। তার আমলে তিনি ১৫-৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করেছেন।[২৬]

দেহাবসান

সম্পাদনা

রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগের পর দূর্নীতি ও গণহত্যার দায়ে তাকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু দূর্বল স্বাস্থ্য ও ইন্দোনেশিয়ায় তার জনসমর্থনের কারণে তাকে অভিযুক্ত করা যায়নি। বিপ্লবকালীন সময়ে সিতি হার্তিনাথের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে সিতি মাদাম তিয়েন নামে পরিচিতি পান। ১৯৯৬ সালে তিয়েনের মৃত্যু ঘটে।[১৮] এ দম্পতির ছয় সন্তান ছিল।

২৭ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে তার দেহাবসানের[২৭][২৮] পর দশ সহস্রাধিক ব্যক্তি সারিবদ্ধভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শবযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে।[২৯] বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান শোকবার্তা প্রেরণ করেন। রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো রাষ্ট্রীয়ভাবে এক সপ্তাহের জন্য শোক পালনের ঘোষণা দেন।[৩০] এ সময় ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Berger, Marilyn (২৮ জানুয়ারি ২০০৮)। "Suharto Dies at 86; Indonesian Dictator Brought Order and Bloodshed"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৮ 
  2. Kamus Pepak Basa Jawa, Sudaryanto/Pranowo, 2001, #1359
  3. Soeharto, as related to G. Dwipayana and Ramadhan K.H. (1989), Soeharto: Pikiran, ucapan dan tindakan saya: otobiographi (Soeharto: My thoughts, words and deeds: an autobiography), PT Citra Lamtoro Gung Persada, Jakarta. আইএসবিএন ৯৭৯-৮০৮৫-০১-৯.
  4. Friend (2003), pages 107–109; Chris Hilton (writer and director) (২০০১)। Shadowplay (Television documentary)। Vagabond Films and Hilton Cordell Productions। ; Ricklefs (1991), pages 280–283, 284, 287–290
  5. David A. Blumenthal and Timothy L. H. McCormack (2007). The Legacy of Nuremberg: Civilising Influence or Institutionalised Vengeance? (International Humanitarian Law). ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে Martinus Nijhoff Publishers. আইএসবিএন ৯০০৪১৫৬৯১৭ pp. 80–81.
  6. Tempo (Jakarta), 11 November 1974.
  7. McDonald (1980), p. 10.
  8. Elson, Robert E. (২০০১)। Suharto: A Political Biography। Cambridge, United Kingdom: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 1–6। আইএসবিএন 0-521-77326-1 
  9. Haskin, Colin, "Suharto dead at 86", The Globe and Mail, 27 January 2008
  10. Romano, Angela Rose (২০০৩)। Politics and the press in Indonesia। পৃষ্ঠা ix। আইএসবিএন 0-7007-1745-5 
  11. McDonald (1980), pages 12–13
  12. Elson, Robert E. (২০০১)। Suharto: A Political Biography। Cambridge, United Kingdom: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 8আইএসবিএন 0-521-77326-1 
  13. Elson, R.E. (২০০১)। Suharto: A Political Biography। Cambridge, United Kingdom: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 9আইএসবিএন 0-521-77326-1 
  14. McDonald (1980), p. 14.
  15. Elson, R.E. (২০০১)। Suharto: A Political Biography। Cambridge, United Kingdom: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 29–38, 42–44। আইএসবিএন 0-521-77326-1 
  16. McDonald, Hamish (১৯৮০)। Suharto's Indonesia। Fontana Books। পৃষ্ঠা 24–25। আইএসবিএন 0-00-635721-0 
  17. McDonald, Hamish (১৯৮০)। Suharto's Indonesia। Fontana Books। পৃষ্ঠা 25আইএসবিএন 0-00-635721-0 
  18. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; SMH_McDONALD নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  19. Dake, Antonie (2006). Sukarno Files. Yayasan Obor
  20. Wiranto (2003), p.67-69
  21. Vickers (2005), pp. 203–207.
  22. E. Aspinall, H. Feith, and G. Van Klinken (eds) The Last Days of President Suharto, Monash Asia Institute, pp.iv-vii.
  23. Miguel, Edward; Paul Gertler; David I. Levine (জানুয়ারি ২০০৫)। "Does Social Capital Promote Industrialization? Evidence from a Rapid Industrializer"। Econometrics Software Laboratory, University of California, Berkeley 
  24. Commission for Reception, Truth and Reconciliation in East Timor Benetech Human Rights Data Analysis Group (৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "The Profile of Human Rights Violations in Timor-Leste, 1974–1999"A Report to the Commission on Reception, Truth and Reconciliation of Timor-Leste। Human Rights Data Analysis Group (HRDAG)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৫ 
  25. estimates of government funds misappropriated by the Suharto family range from US$1.5 billion and US,5 billion.(Ignatius, Adi (১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Mulls Indonesia Court Ruling"Time। ২২ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৯ ); Haskin, Colin, "Suharto dead at 86", The Globe and Mail, 27 January 2008
  26. "Suharto tops corruption rankings"। BBC News। ২৫ মার্চ ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ 
  27. "Indonesia ex-leader Suharto dies"। BBC News। ২৭ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৯ 
  28. "Asia-Pacific — Suharto has multiple organ failure"। Al Jazeera English। ১৪ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১০ 
  29. Tedjasukmana, Jason (২৯ জানুয়ারি ২০০৮)। "Indonesia Bids Farewell to Suharto"Time। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৯ 
  30. "Geoff Thompson, Suharto's body arrives home, ABC News January 27, 2008"। Australia: ABC। ২৭ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৯ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
সামরিক দপ্তর
পূর্বসূরী
প্রণতো রেকসোসামুদ্র
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ
১৯৬৫-১৯৬৭
উত্তরসূরী
মারাদেন পঙ্গাবিন
শূন্য
১৭ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখের ঘটনার পর সুকর্ণ কর্তৃক বিলুপ্ত
Title last held by
টি.বি. সিমাতুপাং
ব্যাটল ফোর্সের চিফ অব স্টাফ
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ
১৯৬৯-১৯৭৩
উত্তরসূরী
মারাদেন পঙ্গাবিন
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
সুকর্ণ
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি
১২ মার্চ, ১৯৬৭ – ২১ মে, ১৯৯৮
উত্তরসূরী
বাচারুদ্দিন ইউসুফ হাবিবি
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়
নতুন দপ্তর গোলকার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি
১৯৮৩-১৯৯৮
কূটনৈতিক পদবী
পূর্বসূরী
দব্রিকা কোসিচ
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের মহাসচিব
১৯৯২-১৯৯৫
উত্তরসূরী
আর্নেস্টো সাম্পার পিজানো