সিদ্দিকুর রহমান (ভোলার রাজনীতিবিদ)
সিদ্দিকুর রহমান যিনি বাঘা সিদ্দিক ও হাইকমান্ড সিদ্দিক নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের ভোলা জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৪ (বরিশাল-৪) ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১][২][৩]
সিদ্দিকুর রহমান | |
---|---|
বাকেরগঞ্জ-৪ (বরিশাল-৪) আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন |
উত্তরসূরী | মঈদুল ইসলাম |
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | তোফায়েল আহমেদ |
উত্তরসূরী | তোফায়েল আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
ডাকনাম | বাঘা সিদ্দিক, হাইকমান্ড সিদ্দিক |
তিনি ৯ জুন ২০২৩ইং তারিখ শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় নিজ বাসায় মারা যান ৷ ১০ জুন সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ১ম ও ১১টায় তার নিজ গ্রামের মজমের হাট ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ৷
তার জন্ম তারিখঃ ১৪/১২/১৯৪৪ইং
মৃত্যু তারিখঃ ০৯/০৬/২০২৩ইং
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাসিদ্দিকুর রহমান ১৯৪৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷তার নানাবাড়ি দেউলা শিবপুর গ্রামের মুসলমান বাড়ি।তিনি ১৯৬০ সালে দেউলা রজ্জব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। তার খালাতো ভাই আলহাজ্ব মোফাজ্জল হক মৃধার অনুরোধে দেউলা রজ্জব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
সম্পাদনা১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সিদ্দিকুর রহমান তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৬ মে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী ভোলার ওয়াপদাকে মূল ক্যাম্প করে। সেখানে হত্যাসহ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছিল পাকবাহিনী। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সিদ্দিকুর পটুয়াখালী, খুলনা ও বরিশালে যুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ৯ নম্বার সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল তাকে সেখানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঠান। ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২২ অক্টোরব ১৯৭১ সালে দেউলার যুদ্ধে সিদ্দিকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী দখদার মুক্ত করেণ। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ভোলা মুক্ত হয়।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাসিদ্দিকুর ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৪ (বরিশাল-৪) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১] ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভোলা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ বোরহানউদ্দিন, ভোলা, এম এইচ শিপন (২৩ ডিসেম্বর ২০১৯)। "মুক্তিযোদ্ধা বাঘা সিদ্দিককে ভুলতে বসেছে সবাই"। দৈনিক যায়যায়দিন। ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |