সালথা উপজেলা

ফরিদপুর জেলার একটি উপজেলা

সালথা উপজেলা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ১৮২.৯৬ বর্গ কি.মি.। এ উপজেলা ২৩.৪১৫৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯.৮৯১৭ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত৷[]

সালথা
উপজেলা
মানচিত্রে সালথা উপজেলা
মানচিত্রে সালথা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′২১.৭৪৪″ উত্তর ৮৯°৪৭′৩৯.৪৪৪″ পূর্ব / ২৩.৪০৬০৪০০০° উত্তর ৮৯.৭৯৪২৯০০০° পূর্ব / 23.40604000; 89.79429000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাফরিদপুর জেলা
সরকার
 • উপজেলা নির্বাহী অফিসারমো: আনিছুর রহমান বালী []
আয়তন
 • মোট১৮২.৯৬ বর্গকিমি (৭০.৬৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট১,৬৭,৪৪৬
 • জনঘনত্ব৯২০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ২৯ ৯০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

এই উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে বোয়ালমারী উপজেলাগোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালমারী উপজেলা, পূর্বে নগরকান্দা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সালথা উপজেলা গঠিত।

ইউনিয়নগুলো হচ্ছে :[]

  1. ভাওয়াল ইউনিয়ন
  2. আটঘর ইউনিয়ন
  3. মাঝারদিয়া ইউনিয়ন
  4. বল্লভদী ইউনিয়ন
  5. গট্টি ইউনিয়ন
  6. যদুনন্দী ইউনিয়ন
  7. রামকান্তপুর ইউনিয়ন
  8. সোনাপুর ইউনিয়ন

ইতিহাস

সম্পাদনা

শুরু থেকেই (নগরকান্দা) এলাকাটি ছিল একটি জলাভূমি অঞ্চল। ধীরে ধীরে তা মানুষের বসবাসযোগ্য হয়ে উঠে। ১৯০৬ সালে সর্বপ্রথম প্রশাসনিক থানার ছোঁয়া লাগে এই অঞ্চলে। স্থানীয় জনসাধারনের অসচেতনতা ও ক্রমাগত নদী ভাংগনের প্রেক্ষিতে উক্ত থানা সদর দপ্তর স্থানান্তর অনিবার্য্য হয়ে পড়ে। তৎকালীন চৌদ্দরশি জমিদারগণ তাদের প্রশাসনিক সুবিধার্থে তাদেরই খাজনা আদায়ের কাঁচারীর পার্শ্বে বর্তমান নগরকান্দা থানা সদর কার্যালয়ের জন্য জমিদান করেন। ১৯৮৪ সালে নগরকান্দা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে উপ-২/সি-১২/২০০৫/৩৪ নং প্রজ্ঞাপন মূলে নগরকান্দা উপজেলার মোট আটটি (০৮) ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে সালথা উপজেলা গঠিত হয়। ১৯ নভেম্বর, ২০০৮ সাল থেকে নবসৃষ্ট এ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

সম্পাদনা

এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৬৭,৪৪৬ জন (আদমশুমারী-২০১১)। এদের মধ্যে পুরুষ ৮৩,০৯৮ জন, মহিলা ৮৪,৩৪৮ জন। প্রতি বর্গ কি.মি.-এ ১,০৩৮ জন (প্রায়) বাস করে।

মুক্তিযুদ্ধে সালথা

সম্পাদনা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশর অন্যান্য স্থানের মত সালথা উপজেলার চান্দের হাট নামক গ্রামে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তুমূল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই রেশ ধরে পরে বেশ কিছুদিন এখানে পাক-বাহিনীর সাথে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

শিক্ষা

সম্পাদনা

এই উপজেলায় দুটি কলেজ, ০১টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, ১৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৩১টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রস্তাবিত সরকারি), ৪০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। []

অর্থনীতি

সম্পাদনা

পাট এবং পিঁয়াজ এই এলাকার প্রধান ফসল। এছাড়াও খেজুরের রস এবং গুড়ের জন্য সালথা উপজেলা প্রসিদ্ধ। রবিশস্য এবং অন্যান্য সব ফসলই কমবেশি এখানে উৎপাদিত হয়।

কুমার নদমালঞ্চ নদী এ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এছাড়া সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নে রয়েছে বিখ্যাত কাগদী বাঁওড়।

উল্লেখযোগ্য স্থান

সম্পাদনা
  • হযরত শাহমকদুম মাজার।
  • সিংহবাটী, বাউশখালী।
  • কাগদী বাঁওড়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৮-২০)। "সিটি মেয়রসহ ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০ 
  2. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সালথা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ভৌগোলিক পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. "ইউনিয়ন"bn.banglapedia.org/ 
  5. "শিক্ষা সংক্রান্ত"বাংলাদেশ জাতীয় বাতায়ন [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা