গুড়
গুড় এশিয়া ও আফ্রিকায় তৈরি একটি অপরিশোধিত চিনির পণ্য। [১] আখ কিংবা খেজুরের রস হতে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য। তালের রস হতেও গুড় তৈরি করা হয়। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে পাক দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। গুড় প্রধানত ৩ প্রকার; ঝোলাগুড়, পাটালিগুড়, চিটাগুড়।
উৎপত্তিস্থল | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
অঞ্চল বা রাজ্য | দক্ষিণ এশিয়া |
প্রধান উপকরণ | আখের রস , খেজুরের রস , তালের রস |
প্রস্তুত প্রণালী
সম্পাদনাপ্রথমে আখের বা খেজুরের রস একটি বড় খোলা পাত্রে ছেঁকে রাখা হয়। পরে সময় নিয়ে, বড় একটি চুলায় তা জ্বাল দিতে হয়, এতে জলীয় অংশ বাষ্প হয়ে যায়। ধীরে ধীরে রসের রং লালচে হতে শুরু করে এবং টেনে আসে। এরপর এই উত্তপ্ত রস শীতল করা হয়, অবশেষে গুড় পাওয়া যাবে। এ রসকে গুড় না বানিয়ে চিনিও বানানো যায়। গুড় চিনির থেকে কম মিষ্টি হলেও বেশি পুষ্টিকর। চিনির জন্য দুবার ফোটালে ঘন কালচে একটু তিতকুটে ভেলি গুড় (second molasses) পড়ে থাকে। আরো বেশি বার চিনি বের করে নিলে থাকে চিটে গুড় (Blackstrap molasses), যার মধ্য প্রচুর ভিটামিন থাকলেও তেতো বলে সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়।
বিভিন্ন রকম গুড়
সম্পাদনা- ঝোলা গুড়
- ভেলি গুড়
- চিটে গুড়
- নলেন গুড় (খেজুর গুড়)
- পাটালী গুড় (জমাট বাঁধা)
- হাজারী গুড় (সাদা খেজুর গুড়)
পরিবেশন প্রণালী
সম্পাদনাবাংলাদেশে গুড় দিয়ে পিঠা, পায়েস ইত্যাদি সুস্বাদু নাস্তা তৈরি করা হয়। গুড়ের সন্দেশ এদেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টান্ন।
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
পাকিস্তানে আখের খামারের কাছে ছোট পরিসরে জাগেরি (গুড়) তৈরি হচ্ছে
-
ভারতে বৃহৎ পরিসরে আখের রস ফুটিয়ে জাগেরি (গুড়) তৈরি করা হচ্ছে
-
জ্বাল দেয়া আখের রস শুকানোর জন্য অন্য একটি পাত্রে ঢালা হচ্ছে , বৃহৎ পরিসরে জাগেরি (গুড়) উৎপাদনের এই দৃশ্য ভারতে খুব দেখা যায়
-
জাগেরি বা গুড়: আখ থেকে প্রাপ্ত কাঁচা চিনির স্ফটিককৃত ঘনক বা খন্ড
-
জাগেরি খন্ড, গুড় নামেও পরিচিত
-
জাগেরি ও মুড়ি দিয়ে তৈরি "গুড় মামরা" মিষ্টি লাড্ডু
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "What is Jaggery and What Benefits Does it Have?"। Healthline (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |