সাঁইথিয়া
সাঁইথিয়া (পূর্বে নন্দীপুর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। শহরটি বীরভূম জেলার বাণিজ্য শহর রূপে পরিচিত। শহরটি সাঁইথিয়া থানার আওতাধীন। সাঁইথিয়া বীরভূম জেলার চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল শহর এবং পশ্চিমবঙ্গের ৯৫ তম জনবহুল শহর। শহরটি ১০ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বৃস্তিত এবং ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে শহরটি তে ৪৪,৬০১ জনের বাস। ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে অবস্থিত সাঁইথিয়া একটি প্রমুখ জনবসতি থেকেছে। এই শহরটি ভারতীয় উপমহাদেশের শক্তিপীঠ গুলোর মধ্যে একটি, নন্দিকেশ্বরী মন্দির এর জন্য প্রসিদ্ধ।
সাঁইথিয়া | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: বাণিজ্য শহর[১] | |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৬′৪২″ উত্তর ৮৭°৪০′৪৯″ পূর্ব / ২৩.৯৪৫১° উত্তর ৮৭.৬৮০৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | বীরভূম |
স্থাপিত | ১৯৮৭ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | সাঁইথিয়া পৌরসভা |
• সভাপতি | বিপ্লব দত্ত[২] |
• সহ সভাপতি | কাজী কামাল হোসেন[৩] |
আয়তন[৪] | |
• মোট | ১০ বর্গকিমি (৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[৫] | ৫৪.৯৪ মিটার (১৮০.২৫ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৬] | |
• মোট | ৪৪,৬০১ |
• ক্রম | চতুর্থ, বীরভূম |
• জনঘনত্ব | ৪,৪৬০/বর্গকিমি (১১,৬০০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | সাঁইথিয়াবাসী |
Languages | |
• Official | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন নাম্বার | ৭৩১২৩৪ |
টেলিফোন কোড/এসটিডি | ০৩৪৬২ |
যানবাহন নিবন্ধন | প. ব. ৫৪ |
সাক্ষরতা | ৭৯.৫০% |
লোকসভা কেন্দ্র | বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র |
বিধানসভা কেন্দ্র | সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্র |
ওয়েবসাইট | sainthiamunicipality |
নামের উৎস
সম্পাদনাএটি বিশ্বাস করা হয় যে সাঁইথিয়া নামটি 'সাইতা' শব্দ থেকে উদ্ভূত, যা সাঁইথিয়ার ব্যবসায়ীরা "খেরো খাতা" (বাণিজ্য খাতা) তে ব্যবহার করতেন পয়লা বৈশাখ এবং দশমীতে মা নন্দিকেশ্বরী এর পুজো করার পর।[৭][৮]
নন্দীপুর ছিল সাঁইথিয়ার প্রাচীন নাম। নন্দীপুর নামটি বিখ্যাত নন্দিকেশ্বরীর মন্দির থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। 'নন্দী' শব্দটি নন্দিকেশ্বরী মন্দির থেকে এসেছে এবং 'পুর' শব্দটি একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ শহর। একসাথে এই শব্দ দুটি নন্দীপুর নামের সৃষ্টি করেছিল।[৭]
ইতিহাস
সম্পাদনাসাঁইথিয়া ছিল একটি ছোট গ্রাম। সাম্প্রতিক অতীতে এই অঞ্চলের নগরায়ণ গতি অর্জন করেছিল, যখন সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন এবং ময়ূরাক্ষী নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ১৮৫৯ সালের অক্টোবরে সাহেবগঞ্জ লুপের খানা-রাজমহল বিভাগের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল। সাঁইথিয়া রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজ পুরো রেল লাইনটি তৈরির অংশ হিসাবে করা হয়েছিল। এই বিশাল প্রকল্পটি দেশের বিভিন্ন কোণ থেকে মানুষকে এখানে একত্রিত হয়ে বসতি স্থাপনের জন্য নিয়ে এসেছিল। সাঁইথিয়া, একটি পুরাতন গ্রাম্য বাণিজ্য কেন্দ্র এবং তীর্থস্থান ১৯৮৭ সালে পৌর শহর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনাকারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
অবস্থান
সম্পাদনাশহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°৫৬′৪২″ উত্তর ৮৭°৪০′৪৯″ পূর্ব / ২৩.৯৪৫১° উত্তর ৮৭.৬৮০৩° পূর্ব। এটি সমুদ্র সমতল থেকে ৫৪.৯৪ মিটার (১৮০.২৪৯৩৪ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।[৯] শহরটি ময়ূরাক্ষী নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এখানকার এর মাটি সাধারণত পলি এবং উর্বর হয়। এখানে ভূগর্ভস্থ জলের সমৃদ্ধ জলাধার ছিল তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
জলবায়ু
সম্পাদনাসাঁইথিয়ার জলবায়ুকে ক্রান্তীয় হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। শীতকালে, সাঁইথিয়াতে গ্রীষ্মের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়॥ সাঁইথিয়ায় গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ২৬.৩° সে। এক বছরে গড় বৃষ্টিপাত ১৩২৮ মিমি।[১০]
নগর কাঠামো
সম্পাদনাসাঁইথিয়া পৌরসভা অঞ্চলটি ১০ বর্গকিমি (৩.৮৬ বর্গ মাইল) জুড়ে বিস্তৃত এবং ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। শহরের উত্তর-দক্ষিণ পরিধি তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ, উত্তরে ময়ূরাক্ষী নদী থেকে দক্ষিণে পরিহারপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২-৩ কিমি প্রশস্ত। শহরের পূর্ব-পশ্চিম পরিধি ৫-৬ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের সাথে প্রশস্ত।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যার ইতিহাস
সম্পাদনাএল এস এস ও'মোলির বেঙ্গল জেলা গেজেটার অনুসারে, ১৯০১ সালে সাঁইথিয়া এর জনসংখ্যা ছিল ২৬২২ জনের এবং ১৯১১ সালে সাঁইথিয়া এর জনসংখ্যা ছিল ৩৫৫১জনের।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ২,৬২২ | — |
১৯১১ | ৩,৫৫১ | +৩৫.৪% |
১৯৪১ | ৭,৫৮৪ | +১১৩.৬% |
১৯৫১ | ৮,৭০৪ | +১৪.৮% |
১৯৬১ | ১২,০৯৬ | +৩৯% |
১৯৭১ | ১৫,৯২৯ | +৩১.৭% |
১৯৮১ | ২৪,০৮১ | +৫১.২% |
১৯৯১ | ৩০,০২৪ | +২৪.৭% |
২০০১ | ৩৯,১৪৫ | +৩০.৪% |
উৎস: ১৯০১-১৯১১,[১১] ১৯৪১-২০০১[১২] |
সর্বশেষ জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সাঁইথিয়া পৌরসভা এলাকার জনসংখ্যা ৪৪,৬০১ জনের, যার মধ্যে ২২,৮৫৬ জন পুরুষ এবং ২১,৭৪৫ জন মহিলা। 6 বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জনসংখ্যা ৪৫১১ জন, যা সাঁইথিয়া এর মোট জনসংখ্যার ১০.১১%। সাঁইথিয়ায়, মহিলা লিঙ্গের অনুপাত ৯৫১, যেখানে রাজ্যর গড় হার ৯৫০। শিশু লিঙ্গ অনুপাত হল ৮৮০, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গড় শিশু লিঙ্গ অনুপাত ৯৫৬। সাঁইথিয়ায় সাক্ষরতার হার ৭৯.৫০%, যেটা রাজ্যের গড় ৭৬.২৬% এর তুলনায় বেশি। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪.৭০% এবং মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৮%। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৬,৪৮৫ জন কাজ বা ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ১৩,৪৮১ জন পুরুষ এবং ৩,০০৪ জন মহিলা ছিলেন। আদমশুমারি নিরীক্ষায় শ্রমিককে এমন ব্যক্তি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যিনি ব্যবসা, চাকরি, সেবা, কৃষক বা শ্রম কার্যকলাপ করেন। মোট জনসংখ্যার ১৬,৪৮৫ জন লোকের মধ্যে ৯২.৯৭% মূল কাজে নিযুক্ত ছিলেন এবং ৭.০৩% প্রান্তিক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। সাঁইথিয়া শহরে ১০,২২৯ টিরও বেশি বাড়ি রয়েছে।[১৩]
১৬ নম্বর ওয়ার্ড সর্বাধিক জনবহুল ওয়ার্ড যার জনসংখ্যার ৩৮১৪ এবং ৪ নং ওয়ার্ডটি জনসংখ্যার বিচারে সবচেয়ে স্বল্প জনবহুল ওয়ার্ড যার জনসংখ্যা হল ১৬৩৮।
অর্থনীতি
সম্পাদনাসাঁইথিয়া একটি অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্য অঞ্চলের ব্যস্ততম ব্যবসায়ের কেন্দ্রবিন্দু। শহরটি জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানকার অর্থনীতি কৃষি পণ্য এবং তাদের সম্পর্কিত ব্যবসার উপর ভিত্তি করে আছে। রাইস মিল, মাস্টার্ড অয়েল মিল, ব্রান অয়েল মিল, প্যাফড রাইস মিল, গুড় এবং গ্যালভেনাইজড ওয়্যার প্রোডাক্ট ইউনিট এবং অন্যান্য ব্যবসা এখানে চালিত হয়। সাঁইথিয়ার অর্থনীতি কৃষি পণ্য বিক্রির কারণে উঁচুতে দাঁড়িয়েছে। শহরটি কুটির শিল্প এবং কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যাদির রফতানি ও আমদানি কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। সাঁইথিয়ার ব্যবসায়ের আঞ্চলটি পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর পূর্বে আসাম পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। শহরটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত রয়েছে। শহর থেকে, কৃষি পণ্যগুলি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে রফতানি করা হয়। যা শহরটিকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিতরণ এবং পরিবহনের কেন্দ্র করে তোলে। শহরটির আর্থ-অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ শক্তিশালী এবং শিক্ষার অনুপাত ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।[১৪]
সাঁইথিয়া ব্যাংকিং ও ফিনান্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শহরে ১৩ টি ব্যাংক শাখা রয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি সরকারী খাতের ব্যাংক এবং বাকী ৪ টি বেসরকারী খাতের ব্যাংক।[১৫]
সাঁইথিয়া শহরে শপিং সেন্টারগুলির ব্যবসায়িক গতিবিধি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছে। ২ টি শপিং সেন্টার রয়েছে যা শহরের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে।
পরিবহন
সম্পাদনারাস্তা
সম্পাদনাজাতীয় সড়ক ১১৪ এবং রাজ্য সড়ক ১১ শহর মধ্যে দিয়ে গেছে। এই সড়কগুলি পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে সংযুক্ত করে।
সাঁইথিয়া শহরে গণপরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সরকারী ও বেসরকারী বাস, বৈদ্যুতিক রিকশা, ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা।
বিমান পথ
সম্পাদনানিকটস্থ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরটি হল কাজী নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি মধ্য সাঁইথিয়া থেকে ৭৩.৮ কিলোমিটার দূরে। সাঁইথিয়া থেকে দ্বিতীয় নিকটতম বিমানবন্দর হল কলকাতা বিমানবন্দর।
রেলপথ
সম্পাদনাসাঁইথিয়া রেলওয়ে স্টেশন পুরো শহরটিকে রেল-পরিষেবা প্রদান করে। এবং এটি বীরভূম জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এটি ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের উদ্ভব স্টেশন হিসাবেও কাজ করে। সাঁইথিয়া রেলওয়ে স্টেশন কলকাতার দুটি ব্যস্ত রেল টার্মিনাল, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন এবং শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন উভয়ের সাথে খুব ভালোভাবে যুক্ত।[১৬][১৭]
পরিবহন দুর্ঘটনা
সম্পাদনা১৯ জুলাই, ২০১০, রাত ০২:১৩ তে সাঁইথিয়া রেলওয়ে স্টেশনে "সাঁইথিয়া ট্রেন এক্সিডেন্ট" হয়, যখন ৪ নম্বর প্লাটফর্ম এ দাড়িয়ে থাকা বনাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছিলো।[১৮]
স্বাস্থ্যসেবা
সম্পাদনাশহরে একটি সরকারী স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ৮ টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ১ টি পশু হাসপাতাল রয়েছে।[১৯]
পর্যটন
সম্পাদনাসাঁইথিয়া নন্দিকেশ্বরী মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরগুলির জন্য প্রসিদ্ধ।
শিক্ষাব্যবস্থা
সম্পাদনাকলেজ
সম্পাদনাসাঁইথিয়াতে দুটি কলেজ রয়েছে।
"অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়" বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা একটি সাধারণ বাংলা মাধ্যম কলেজ। কলেজটি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত।
"বীরভূম বিবেকানন্দ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল" ১৯৭২ সালে স্থাপিত এবং বীরভূম জেলার একমাত্র হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
উচ্চ বিদ্যালয়
সম্পাদনা- সাঁইথিয়া হাই স্কুল
- সাঁইথিয়া টাউন হাই স্কুল
- শশীভূষণ দত্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- জগেশ্বরী দত্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সাঁইথিয়া পাহাড়ী বাবা বিদ্যাপঠ
- রাস্ট্রভাষা উচ্চ বিদ্যালয়
- গীতাঞ্জলি পাবলিক স্কুল
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাসাঁইথিয়ায় একটি সরকারী পাবলিক লাইব্রেরি (গ্রন্থাগার) রয়েছে।
খেলাধুলা
সম্পাদনাখেলার মাঠ
সম্পাদনাকামোদাকিংকর স্টেডিয়াম (জালিবাগান) সাঁইথিয়া শহরের বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় অবস্থিত একটি বহুমুখী ক্রীড়া স্টেডিয়াম যা "সাঁইথিয়া স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন" দ্বারা পরিচালিত।[১৯]
উল্লেখযোগ্য মানুষ
সম্পাদনা- আনন্দ মোহন চক্রবর্তী (জন্ম ১৯৩৮), মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং বিজ্ঞানী।
সংস্কৃতি এবং উৎসব
সম্পাদনাসাঁইথিয়া পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দ্বারা অনেক প্রভাবিত। সাঁইথিয়ায় উৎসবগুলি পুরো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এখানে যে ভাষাগুলি সাধারণত বলা হয় তা হল বাংলা এবং হিন্দি। তবে, ভারতের অন্যান্য অংশের লোকেরা যারা সাঁইথিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন, তারা স্পষ্টতই অন্যান্য ভাষায় কথা বলেন। যে উৎসবগুলি সবচেয়ে বেশি উদযাপিত হয় সেগুলি হল দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, কালী পুজো, গনেশ চতুর্থী, হোলি, ক্রিসমাস, ঈদ এবং মহরম।
দুর্গাপূজা এর মতো উৎসবগুলি স্থানীয় জনগণ আন্তরিকভাবে সাঁইথিয়া শহর জুড়ে পালন করে। যদিও এই উৎসবটি ভারতজুড়ে উদযাপিত হয়, তবে সাঁইথিয়ার লোকেরা এই উৎসবকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ [১][অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Sainthia Municipality Official Website"। sainthiamunicipality.com।
- ↑ "Sainthia Municipality Official Website"। sainthiamunicipality.com।
- ↑ https://sainthiamunicipality.com/ataglance.html
- ↑ "Sainthia Latitude and Longitude"। www.distancesto.com।
- ↑ "Census of India Search details"। censusindia.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ https://www.anandabazar.com/editorial/nandipur-gets-the-name-from-nandikeshwari-famous-shakti-peeth-in-sainthia-1.919057
- ↑ https://www.anandabazar.com/district/purulia-birbhum-bankura/nandikeshwari-tala-may-be-a-good-tourist-spot-1.174432
- ↑ https://www.distancesto.com/coordinates/in/sainthia-latitude-longitude/history/12596.html
- ↑ https://en.climate-data.org/asia/india/west-bengal/sainthia-24541/
- ↑ https://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/155227/15/15_appendix%201.pdf
- ↑ http://censusindia.gov.in/2011census/dchb/DCHB.html
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/pca/SearchDetails.aspx?Id=334497%7Cpublisher=censusindia.gov.in%7Caccessdate=10
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/2011census/dchb/DCHB_A/19/1908_PART_A_DCHB_BIRBHUM.pdf
- ↑ https://www.justdial.com/Sainthia/Banks/nct-10035653[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ https://indiarailinfo.com/search/snt-sainthia-junction-to-hwh-howrah-junction/438/0/1
- ↑ https://indiarailinfo.com/search/snt-sainthia-junction-to-suri-siuri/438/0/437
- ↑ https://www.telegraphindia.com/india/sainthia-train-accident-sixth-major-one-in-past-year/cid/499210
- ↑ ক খ http://sainthiamunicipality.com/ataglance.html