শিয়ালদহ–হাসনাবাদ–বনগাঁ–রানাঘাট লাইন
শিয়ালদহ–হাসনাবাদ–বনগাঁ–রানাঘাট লাইন হল তিনটি লাইনের সাংযোগ। লাইন তিনটি হল- শিয়ালদহ-বনগাঁ,বারাসাত-হাসনাবাদ ও বনগাঁ-রানাঘাট লাইন। এই তিনটি লাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৬২ কিলোমিটার। এর প্রান্তিক স্টেশনগুলি হল শিয়ালদহ, হাসনাবাদ ও বনগাঁ। এটি কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে ব্যবস্থার অংশ এবং পূর্ব রেলের অন্তর্গত।[১]
শিয়ালদহ–হাসনাবাদ–বনগাঁ–রানাঘাট লাইন | |||
---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
স্থিতি | সক্রিয় | ||
মালিক | ভারতীয় রেল | ||
অঞ্চল | পশ্চিমবঙ্গ | ||
বিরতিস্থল | |||
স্টেশন | ৩০ | ||
ওয়েবসাইট | পূর্ব রেল | ||
পরিষেবা | |||
ধরন | শহরতলি রেল | ||
ব্যবস্থা | কলকাতা শহরতলি রেল | ||
পরিচালক | পূর্ব রেল | ||
ডিপো | শিয়ালদহ বারাসাত জংশন রানাঘাট জংশন | ||
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ০.৫ মিলিয়ন | ||
ইতিহাস | |||
চালু | ১৮৬২ | ||
কারিগরি তথ্য | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | শিয়ালদহ–বনগাঁ: ৭৭ কিমি (৪৮ মা) বারাসাত–হাসনাবাদ: ৫২ কিমি (৩২ মা) রানাঘাট–বনগাঁ: ৩৩ কিমি (২১ মা) | ||
বৈশিষ্ট্য | আদর্শ | ||
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগ্রেজ (১৬৭৬ এমএম) | ||
বিদ্যুতায়ন | ২৫ কেভি এসি ওভারহেড লাইন | ||
চালন গতি | ১০০ কিমি/ঘণ্টা | ||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাশিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়।[২][৩] ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দুটি লাইন নির্মাণ করেছিল: দমদম থেকে খুলনা পর্যন্ত বনগাঁ হয়ে, এখন বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ এবং অন্যটি রানাঘাট ও বনগাঁকে যুক্ত করে।[২] মার্টিন্স লাইট রেলওয়ে ১৯১৪ সালে বারাসত থেকে বসিরহাট পর্যন্ত ২ ফুট ৬২৬ এমএম (৭২৬ মিমি) হালকা রেলওয়ে নির্মাণ করে এবং পরবর্তীকালে হাসনাবাদ পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়।[২] লাইন ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালের মধ্যে ১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয়েছিল।[৪][৫] ১৯৬৩-৬৪ সালে শিয়ালদহ-দমদম-বারাসত-অশোকনগর-বনগাঁ সেক্টরটি বিদ্যুতায়িত হয়।[৬] অবশিষ্ট লাইন ১৯৭০ সালের মধ্যে বিদ্যুতায়িত করা হয়।
বৈদ্যুতীকরণ
সম্পাদনা১৯৬৩-৬৪ সালে শিয়ালদহ-অশোকনগর সেক্টরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।[৬] অবশিষ্ট লাইন ১৯৭০ সালে বিদ্যুতায়িত করা হয়।
কার শেড
সম্পাদনাশিয়ালদহের কাছাকাছি নরকেডাঙা খালের কাছে একটি ইএমইউ গাড়ী চালা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু ইঞ্জিন রাখারও স্থান রয়েছে। বারাসাতে একটি ইএমইউ কারশেড বা গাড়ী চালা রয়েছে, যা রেল ইঞ্জিন এবং গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরী করা হয়েছে।[৭]
ট্রেন
সম্পাদনাএই রেলপথের একমাত্র প্রধান ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। এই রুটে অনেক স্থানীয় ট্রেনও রয়েছে।[৮][৯]
গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন
সম্পাদনা- শিয়ালদাহ
- দমদম জং (বালি ও ব্যারাকপুর লাইন আলাদা হয়েছে)
- বারাসাত জং (বসিরহাট - হাসনাবাদ লাইন আলাদা হয়েছে)
- হাবরা
- বনগাঁ জং
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "accident averted as trains come on same line in sealdah"।
- ↑ ক খ গ "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ Moonis Raza & Yash Aggarwal। "Transport Geography of India: Commodity Flow and the Regional Structure of Indian Economy"। page 60। Concept Publishing Company, A-15/16 Commercial Block, Mohan Garden, New Delhi – 110059। আইএসবিএন 81-7022-089-0। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩।
- ↑ "Non-IR Railways in India"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ ক খ "History of Electrification"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩।
- ↑ "Sheds and Workshops"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩।
- ↑ "Trains from Dum Dum to Bangaon"। India Rail Info।
- ↑ "Trains from Dum Dum to Dum Dum Cantonment"। erail.in।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিভ্রমণ থেকে শিয়ালদহ–হাসনাবাদ–বনগাঁ–রানাঘাট লাইন ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।