কৃষ্ণপুর শিব মন্দির, পুঠিয়া
কৃষ্ণপুর শিব মন্দির বা খিতিশ চন্দ্রের মঠ, পুঠিয়া, রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
কৃষ্ণপুর শিব মন্দির | |
---|---|
বিকল্প নাম | খিতিশ চন্দ্রের মঠ |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | কৃষ্ণপুর |
ঠিকানা | পুঠিয়া উপজেলা |
শহর | রাজশাহী |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
অবস্থান
সম্পাদনাপুঠিয়া বাজার থেকে দেড় কি:মি: পশ্চিম দিকে ছোট এই মন্দিরটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এই স্থাপনাটিকে খিতিশ চন্দ্রের মঠ হিসাবে ডাকা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শিব মন্দির।
অবকাঠামো
সম্পাদনামন্দিরটি বর্গাকারে নির্মিত। মন্দিরের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৪.২৫ মিটার। মন্দিরের পূর্ব ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে দরজা আছে। তবে দক্ষিণ প্রবেশ পথটির বাইরের দুপাশে এবং উপরে পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা নান্দনিকভাবে অলংকৃত। এটিই মূলত প্রধান পথ। পূর্ব পাশের প্রবেশ প্রথের পাশে ও উপরে তেমন কোন অলংকরণ নেই। মন্দিরের উপরে একটি উঁচু শিখর ছাদ আছে এবং এর উপরে ফিনিয়েল বিদ্যমান।[১]
ছাদের কার্ণিশ এবং কর্ণারসমূহ পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা চমৎকারভাবে সজ্জিত। পশ্চিম পাশের দেয়ালের বহিরাংশ সতল এবং কোন অলংকরণ নেই। মন্দিরের ভিতরে পশ্চিম ও উত্তর পাশের দেয়ালে ১টি করে নিস বা কুলঙ্গি আছে। সাধারনত বাতি রাখার জন্য এ ধরনের নিস বা কুলঙ্গি ব্যবহৃত হতো।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাএ মন্দিরের কোন শিলালিপি পাওয়া যায় নি। তবে নির্মাণ শৈলির বিচারে এটি ১৮০০-১৮৭০ খ্রিষ্ঠাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।[২]
আরও দেখুন
সম্পাদনাচিত্রশালা
সম্পাদনা-
দক্ষিণ ও পূর্ব দরজা
-
দক্ষিণ দরজা
-
পূর্ব দরজা
-
উঁচু শিখর ছাদ