শামীম বানো
শামীম বানো (শামীম বা সাধারণভাবে 'শামীম বানো বেগম' নামেও পরিচিত) (১৯১৪-১৯৮৪), ভারতীয় ও পাকিস্তানি সিনেমার প্রাথমিক যুগের একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,[১] যিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র জোয়ার ভাটা-এ দিলীপ কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন।[note ১] তিনি বিখ্যাত পাকিস্তানি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আনোয়ার কামাল পাশার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কবি, লেখক ও পণ্ডিত হাকিম আহমদ সুজার পুত্রবধূ।
পরিবার
সম্পাদনাশামীম বানো, বা শামীম বানো বেগম, ১৯১৪ সালে একটি পাঠান কৃষক ও ছোট জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তারা পাঞ্জাব অঞ্চলে বসবাস করতেন।[২] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তারা অধিকাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে লাহোর এবং পরে বোম্বে (এখন মুম্বই) স্থানান্তরিত হন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাশামীম ১৯৪০-এর মাঝামাঝিতে সফল ভারতীয় নায়িকা ছিলেন। তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী / গায়ক খুরশিদ বানো বেগম এবং মিনা কুমারীর পরিচিত ছিলেন। আজও, তার প্রথম চলচ্চিত্র জোয়ার ভাটা-এ (১৯৪৪) দিলিপ কুমারের সহ-তারকা হিসেবে অভিনয়ের জন্য এখনো স্মরণ করা হয় তাকে।
১৯৩০ এর দশকের শেষ দিকে সম্ভবত তিনি বিষ্ণু সিনের বাঘি (১৯৩৯) এ অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। রঞ্জিত মুভিয়েটনের আর্মান (১৯৪২) তার কর্মজীবনের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ছিল। তার কর্মজীবনের আরেকটি মাইলফলক ছিল কিশোর সাহুর 'সিন্ধু' (১৯৪৭), যা এটির মুক্তির সময় বেশ বিতর্কিত হয়েছিল কারণ এটিতে হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। "মেহমান", "সন্নাসী" এবং "পেহলে আপ" তার কর্মজীবনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হন এবং কয়েকটি পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে হাজির হন, সেগুলোর মধ্যে কিছু হল শাহিদা (১৯৪৯) যেখানে তিনি দিলিপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খানের বিপরীতে অভিনয় করেন এবং দো আনসো (১৯৪৯–৫০) যা পাকিস্তানের প্রথম হিট উর্দু চলচ্চিত্র হয়ে উঠে।
পরে তিনি দো আনসোর প্রযোজক/পরিচালক আনোয়ার কামাল পাশাকে বিয়ে করেন, যিনি তার থেকে বয়সে ছোট ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি লাহোরে তার বাড়িতে মারা যান।
টীকা
সম্পাদনা- ↑ পাকিস্তানি অভিনেত্রী শামীম আরার সাথে বিভ্রান্ত হবেন না