শামসুর রাহমান
শামসুর রাহমান (২৩ অক্টোবর ১৯২৯ - ১৭ আগস্ট ২০০৬) বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। জীবদ্দশাতেই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদালাভ করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ, তথা পঞ্চাশের দশকে তিনি আধুনিক কবি হিসেবে বাংলা কবিতায় আবির্ভূত হন এবং অল্প সময়ের ভেতরেই দুই বাংলায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম বাংলায়) কবি হিসেবে পরিচিতি পান। আধুনিক কবিতার অনন্য পৃষ্ঠপোষক বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতা' পত্রিকায় 'রূপালি স্নান' কবিতাটি প্রকাশিত হলে কবি হিসেবে শামসুর রাহমান সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে উভয় বাংলাতেই তার শ্রেষ্ঠত্ব এবং জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি নাগরিক কবি, তবে নিসর্গ তার কবিতায় খুব কম ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে কলকাতার বিখ্যাত দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শামসুর রাহমান | |
---|---|
জন্ম | ২৩ অক্টোবর ১৯২৯ |
মৃত্যু | ১৭ আগস্ট ২০০৬ | (বয়স ৭৬)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯২৯-১৯৪৭) পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশী (১৯৭১-২০০৬) |
শিক্ষা | এমএ (ইংরেজি) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কবি, সাংবাদিক |
দাম্পত্য সঙ্গী | জোহরা বেগম |
সন্তান |
|
পুরস্কার |
জন্ম, শৈশব ও শিক্ষা
সম্পাদনাকবি শামসুর রাহমানের জন্ম পুরনো ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। শামসুর রাহমানের ডাক নাম বাচ্চু। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। কবি শামসুর রাহমান ১৩ জন ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন ৪র্থ। ১৯৪৫ সালে পুরনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাস করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মূল পরীক্ষা দেননি। ১৯৫৩ সালে পাস কোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।[১][২]
পেশা
সম্পাদনাশামসুর রাহমান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ। সেখানে তিনি ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] এরপর ১৯৬৪ সালের নভেম্বর মাসে দৈনিক পাকিস্তান (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা) এর সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একইসাথে দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।[৩] এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহিত্যধারা
সম্পাদনাবিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কেবল বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং পশ্চিমবঙ্গের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিংশ শতকের শেষার্ধে তুলনীয় কাব্যপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে ধারণা করা হয়। আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় ও আন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা ১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। শামসুর রাহমান বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে নানা ছদ্মনাম নিয়েছেন। সে গুলো হচ্ছে: সিন্দবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক। পাকিস্তান সরকারের আমলে কলকাতার একটি সাহিত্য পত্রিকায় মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা ছাপা হয় যা দিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক আবু সায়ীদ আইয়ুব।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৫৫ সালের ৮ই জুলাই শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। কবির তিন মেয়ে ও দুই ছেলে[৫]। তাদের নাম সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।
প্রতিবাদী কবি ও শহুরে কবি
সম্পাদনাশামসুর রাহমান স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় লেখেন 'হাতির শুঁড়' নামক কবিতা। শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন এক অসাধারণ কবিতা 'টেলেমেকাস' (১৯৬৬ বা ১৯৬৭ সালে)। ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলে শামসুর রাহমান তখন সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত অনিশ্চয়তার তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন যাতে আরও স্বাক্ষর করেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন, ফজল শাহাবুদ্দীন। ১৯৬৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমান হরফ চালু করার প্রস্তাব করেন আইয়ুব খান যার প্রতিবাদে আগস্টে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন যাদের একজন ছিলেন শামসুর রাহমানও। কবি ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেন মর্মস্পর্শী কবিতা 'বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা'। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি গুলিস্তানে একটি মিছিলের সামনে একটি লাঠিতে শহীদ আসাদের রক্তাক্ত শার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে মানসিকভাবে মারাত্মক আলোড়িত হন শামসুর রাহমান এবং তিনি লিখেন 'আসাদের শার্ট' কবিতাটি। ১৯৭০ সালের ২৮ নভেম্বর ঘূর্ণিদুর্গত দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুতে কাতর কবি লেখেন 'আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে' নামক কবিতা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে। এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি লেখেন যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় আক্রান্ত ও বেদনামথিত কবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা'।[৪] শামসুর রাহমান ১৯৮৭ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে দৈনিক বাংলার প্রধান সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী চার বছরের তিনি প্রথম বছরে 'শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা', দ্বিতীয় বছরে 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা', তৃতীয় বছরে 'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা' এবং চতুর্থ বছরে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা' লেখেন। ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর লেখেন 'গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা'। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ তার চেতনায় প্রবাহিত ছিল। তাকে সমালোচনাকারীদের হত্যার হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছিলো।[৪]
শিশুবান্ধব কবি
সম্পাদনাকবি শামসুর রাহমান যেমন একজন কবি হিসেবে খ্যাতিমান তেমনি তার শিশুদের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ছিল। একারণে তিনি শিশুদের জন্য লিখেছেন বেশ ক’টি বই। শিশুদের অনুষ্ঠান হলে তো কথাই নেই। শিশুদের অনুষ্ঠানে ছিল তার সরব উপস্থিতি।[৬]
তিনি ছিলেন জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’র প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা। তার মৃত্যুর আগের কয়েক বছর তার শ্যামলীর বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল 'বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা'। তার জন্মদিনে শিশুরা উৎসব করে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তারই রচিত ছড়া কবিতা আবৃত্তি করে শোনায় শিশুরা। এসময় শিশুদের সাথে তিনি খুব আনন্দঘন পরিবেশে কাটিয়েছেন, কবিতা গান শুনেছেন, অটোগ্রাফ দিয়েছেন। মোট কথায় শামসুর রাহমান ছিলেন শিশুবান্ধব একজন মানুষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে তিনি এই সংস্থার বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ দিয়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে সংগঠনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
· এলাটিং বেলাটিং (১৯৭৪)
· ধান ভানলে কুঁরো দেব (১৯৭৭)
· গোলাপ ফোটে খুকীর হাতে (১৯৭৭)
· স্মৃতির শহর (১৯৭৯)
· রংধনুর সাঁকো (১৯৯৪)
· লাল ফুলকির ছড়া (১৯৯৫)
· নয়নার জন্য (১৯৯৭)
· আমের কুঁড়ি জামের কুঁড়ি (২০০৪)
· নয়নার জন্য গোলাপ (২০০৫)
মৃত্যু
সম্পাদনাকবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানী কবরস্থানে, নিজ মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
প্রকাশিত গ্রন্থ
সম্পাদনা- শামসুর রাহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের পূর্ণ তালিকার জন্য দেখুন শামসুর রাহমানের গ্রন্থাবলি
শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে।
বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২): এ কাব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আবেগ ও প্রত্যাশা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কাব্যের মাধ্যমে তিনি কবি খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ‘মজলুম আদিব’ ছদ্মনামে কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন। এ কাব্যের অধিকাংশ কবিতা মুক্তিযুদ্ধকালে অবরুদ্ধ সময়ে রচিত। এ কাব্যটি ১৯৭১ সালের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ গ্রন্থে ৩৮ টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ’স্বাধীনতা তুমি’।
উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ (১৯৮২): ১৯৭৫-৮২ সাল পর্যন্ত দেশে সংঘটিত একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান এবং সামরিক শাসনের যুপকাষ্ঠে দেশ ও জনগনের চরম অবস্থার প্রতিফলন আছে এ কাব্যে।
- কাব্যগ্রন্থ - ৬৬( ''প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে'' (১৯৬০)
- বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন ,রাজনৈতিক কবিতা)
- * ''রৌদ্র করোটিতে'' (১৯৬৩)
- * ''বিধ্বস্ত নিলীমা'' (১৯৬৭) *
- ''নিরালোকে দিব্যরথ'' (১৯৬৮)
- * ''নিজ বাসভূমে'' (১৯৭০) * (মুুক্তিযুদ্ধা ভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ)
- ''বন্দী শিবির থেকে'' (১৯৭২) (মুুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই কাব্যের কবিতাগুলো লিখিত)
- * ''দুঃসময়ে মুখোমুখি'' (১৯৭৩)
- * ''ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা'' (১৯৭৪)
- * ''আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি'' (১৯৭৪)
- * ''এক ধরনের অহংকার'' (১৯৭৫)
- * ''আমি অনাহারী'' (১৯৭৬)
- * ''শূন্যতায় তুমি শোকসভা'' (১৯৭৭)
- * ''বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে'' (১৯৭৭) *
- ''প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে'' (১৯৭৮) *
- ''প্রেমের কবিতা'' (১৯৮১) *
- ''ইকারুসের আকাশ'' (১৯৮২)
- * ''মাতাল ঋত্বিক'' (১৯৮২) *
- ''উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে'' (১৯৮৩) *
- ''কবিতার সঙ্গে গেরস্থালি'' (১৯৮৩)
- * ''নায়কের ছায়া'' (১৯৮৩)
- * ''আমার কোন তাড়া নেই'' (১৯৮৪)
- * ''যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে'' (১৯৮৪)
- * ''অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই'' (১৯৮৫)
- * ''হোমারের স্বপ্নময় হাত'' (১৯৮৫)
- * ''শিরোনাম মনে পড়ে না'' (১৯৮৫)
- * ''ইচ্ছে হয় একটু দাঁড়াই'' (১৯৮৫)
- * ''ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ'' (১৯৮৫)
- * ''এক ফোঁটা কেমন অনল'' (১৯৮৬)
- * ''টেবিলে আপেলগুলো হেসে উঠে'' (১৯৮৬)
- * ''দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে'' (১৯৮৬)
- * ''অবিরল জলভূমি'' (১৯৮৬) *
- ''আমরা ক'জন সঙ্গী'' (১৯৮৬)
- * ''ঝর্ণা আমার আঙুলে'' (১৯৮৭)
- * ''স্বপ্নেরা ডুকরে উঠে বারবার'' (১৯৮৭) *
- ''খুব বেশি ভালো থাকতে নেই'' (১৯৮৭)
- * ''মঞ্চের মাঝখানে'' (১৯৮৮)
- * ''বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়'' (১৯৮৮)(মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ)
- * ''হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো'' (১৯৮৯)
- * ''সে এক পরবাসে'' (১৯৯০)
- * ''গৃহযুদ্ধের আগে'' (১৯৯০)
- * ''খন্ডিত গৌরব'' (১৯৯২) *
- ''ধ্বংসের কিনারে বসে'' (১৯৯২)
- * ''হরিণের হাড়'' (১৯৯৩) *
- ''আকাশ আসবে নেমে'' (১৯৯৪)
- * ''উজাড় বাগানে'' (১৯৯৫) *
- ''এসো কোকিল এসো স্বর্ণচাঁপা'' (১৯৯৫)
- * ''মানব হৃদয়ে নৈবদ্য সাজাই'' (১৯৯৬) *
- ''তুমিই নিঃশ্বাস তুমিই হৃৎস্পন্দন'' (১৯৯৬)
- * ''তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি'' (১৯৯৭)
- * ''হেমন্ত সন্ধ্যায় কিছুকাল'' (১৯৯৭)
- * ''ছায়াগণের সঙ্গে কিছুক্ষণ'' (১৯৯৭)
- * ''মেঘলোকে মনোজ নিবাস'' (১৯৯৮)
- * ''সৌন্দর্য আমার ঘরে'' (১৯৯৮) *
- ''রূপের প্রবালে দগ্ধ সন্ধ্যা রাতে'' (১৯৯৮)
- * ''টুকরা কিছু সংলাপের সাঁকো'' (১৯৯৮)
- * ''স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেচে আছি'' (১৯৯৯)
- * ''নক্ষত্র বাজাতে বাজাতে'' (২০০০)
- * ''শুনি হৃদয়ের ধ্বনি'' (২০০০)
- * ''হৃদপদ্মে জ্যোৎস্না দোলে'' (২০০১)
- * ''ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি'' (২০০২) *
- ''ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছে'' (২০০৩)
- * ''গন্তব্য নাই বা থাকুক'' (২০০৪) * '
- 'কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে'' (২০০৪)
- * ''গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান'' (২০০৫)
- * ''অন্ধকার থেকে আলোয়'' (২০০৬)
- * ''না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন'' (২০০৬)
- উপন্যাস - ৪টি ‘অক্টোপাশ’ (১৯৮৩), ’অদ্ভুত আঁধার এক’ (১৯৮৫), ‘নিয়ত মন্তাজ’ (১৯৮৫), ‘এলো সে অবেলায়’ (১৯৯৪),
- প্রবন্ধগ্রন্থ - ‘আমৃত্যু তার জীবনানন্দ’ (১৯৮৬), ‘কবিতা এক ধরনের আশ্রয়’ (২০০২)
- শিশু কিশোর সাহিত্য,
- আত্মস্মৃতি,
- অনুবাদ কবিতা - ৩টি,
- অনুবাদ নাটক - ৩টি
সম্মাননা ও পুরস্কার
সম্পাদনা- আদমজী সাহিত্য পুরস্কার,
- বাংলা একাডেমি পুরস্কার,
- একুশে পদক,
- নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক,
- জীবনানন্দ পুরস্কার,
- আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার,
- মিতসুবিসি পুরস্কার (সাংবাদিকতার জন্য),
- স্বাধীনতা পদক,
- আনন্দ পুরস্কার
ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। তার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুগল তাদের হোমপেজে শামসুর রাহমানের গুগল ডুডল প্রদর্শন করে তার জন্মদিন উদ্যাপন করে। গুগল ডুডলটিতে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরা শুভ্র চুলের শামসুর রাহমান লেখালেখি করছেন।[৮][৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ রহমান (১৯৯৮)। "শামসুর রাহমানের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় নারী"। অন্যদিন, ঈদ সংখ্যা। মাজহারুল ইসলাম। ২ (২৫): ৩০৯।
- ↑ বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, শিল্পসাহিত্য, প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র, ১৯ আগস্ট ২০১৮
- ↑ দৈনিক যায়যায়দিন সাপ্লিমন্টারী ম্যাগাজিন পলিটিকস & সোসাইটি ২২ আগস্ট ২০০৬ সংখ্যা পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৩
- ↑ ক খ গ মুহম্মদ, ষড়ৈশ্বর্য। "শামসুর রাহমান"। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ হাফিজ, হাসান। "কবি শামসুর রাহমান স্মরণ: কেমন আছে তাঁর পরিবার"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২৩-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৭।
- ↑ "Previous Committee 2005-2008"। Bangabandhu Shishu Kishore Mela (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-০৮। ২০২২-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১৫।
- ↑ দৈনিক যায়যায়দিন সাপ্লিমেন্টারী ম্যাগাজিন পলিটিকস & সোসাইটি ২২ আগস্ট ২০০৬ সংখ্যা পৃষ্ঠা ৭,কলাম ১
- ↑ "গুগল ডুডলে কবি শামসুর রাহমান"। জাগো নিউজ। অক্টোবর ২৩, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৩, ২০১৮।
- ↑ "Shamsur Rahman's 89th Birthday"। www.google.com। গুগল। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- শামসুর রাহমানের সাক্ষাতকার
- বাংলাপিডিয়ায় শামসুর রাহমান
- নান্দনিক শামসুর রাহমান - কুমার দীপ