পোগোজ স্কুল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

পোগোজ স্কুল বাংলাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ বিদ্যালয়টি ঢাকা শহরে স্থাপিত দেশের প্রথম বেসরকারী বিদ্যালয়। পোগোজ স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন নিকোলাস পোগোজ বা নিকি পোগোজ, যিনি ছিলেন একজন আর্মেনীয় ব্যবসায়ী, জমিদার এবং ঢাকার একজন প্রভাবশালী নাগরিক। তিনি ১৮৪৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। পোগোজ স্কুল প্রথম স্থাপিত হয় পোগোজের বাসার নিচতলায়। তখন স্কুলটির নাম ছিল পোগোজ অ্যাংলো-ভারনাকুলার স্কুল। ১৮৫৫ সালে আরমানিটোলায় জেসি পেনিওটির ভাড়া বাসায় স্কুলটি স্থানান্তরিত করা হয়। তারও পাঁচ বছর পর ১৮৬০ সালে ঢাকার সদরঘাট এলাকার একটি দোতলা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয় যেখান থেকে বিদ্যালয়টিকে অবশেষে বর্তমান ঠিকানায় চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে স্থাপন করা।

পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র
৬ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১১০০

বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনবেসরকারী
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৪৮
ইআইআইএন১০৮১২৭ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রধান শিক্ষকসৈয়দ জুলফিকার আলাম চৌধুরি (৪ঠা আগস্ট, ২০১০ থেকে)
শ্রেণিশ্রেণী ১-১২
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৫০০ প্রায়
শিক্ষায়তন৫ একর (২০,০০০ বগমিটার)
রং  আকাশী নীল
  হলুদ

বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পোগোজ স্কুলের সাথে একীভূত হয়েছে এবং পোগোজ স্কুলের নাম পরিবর্তন করে পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ রাখা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রধান শিক্ষকগণ

সম্পাদনা
নম্বর নাম ভারপ্রাপ্তের তারিখ অবসরের তারিখ
এন. পি. পোগোজ জুন, ১৮৪৮ অজানা
সি. পোট ডিসেম্বর, ১৮৫৫ নভেম্বর, ১৮৫৮
হুর কোমার বসু (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডিসেম্বর, ১৮৫৮ অজানা
কাশি কান্তা মুখার্জী জানুয়ারি, ১৮৫৯ ডিসেম্বর, ১৮৬০
হুর কোমার বসু (দায়িত্বপ্রাপ্ত) জানুয়ারি, ১৮৬১ ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১
দীননাথ সেন ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১ ডিসেম্বর, ১৮৬৪
হুর কোমার বসু (দায়িত্বপ্রাপ্ত) জানুয়ারি, ১৮৬৪ ৪ঠা এপ্রিল, ১৮৬৫
গোপী মোহন ব্যাক ৫ই এপ্রিল, ১৮৬৫ ডিসেম্বর, ১৮৭২
কুমুদ বন্ধু বসু জানুয়ারি, ১৮৭৩ ৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৪
কৈলাস চন্দ্র দত্ত ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৪ ১২ই এপ্রিল, ১৮৭৫
অমর চাঁদ লাহা ১৩ই এপ্রিল, ১৮৭৫ ২৪শে জানুয়ারি, ১৮৭৬
জে. এস. রুশ (অধ্যক্ষ) ২৫শে জানুয়ারি, ১৮৭৬ ২০শে জুলাই, ১৮৭৬
অমর চাঁদ লাহা ২১শে জুলাই, ১৮৭৬ ২০শে জুলাই, ১৮৮২
মহেশ কান্দ্র দত্ত (দায়িত্বপ্রাপ্ত) জানুয়ারি, ১৮৮৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩
১০ বৃন্দাবন চন্দ্র ধর মার্চ, ১৮৮৩ অক্টোবর, ১৯০৬
১১ প্রসন্ন কুমার সেন নভেম্বর, ১৯০৬ ২১শে জানুয়ারি, ১৯৪১
জোগেশ চন্দ্র সেন (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ২২শে জানুয়ারি, ১৯৪১ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৪১
১২ মানিন্দ্রা চন্দ্র ভট্টাচার্য্য ১৮ই এপ্রিল, ১৯৪১ জুন, ১৯৬১
জীবন চন্দ্র সাহা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) জুলাই, ১৯৬১ নভেম্বর, ১৯৬১
১৩ ফাজহুল হক ১৯শে নভেম্বর, ১৯৬১ ৪ঠা এপ্রিল, ১৯৭৩
১৪ মোহাম্মেদ ইব্রাহিম খালিল ৯ই এপ্রিল, ১৯৭৩ ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪
জীবন চন্দ্র সাহা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ২৩শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ ১৭ই নভেম্বর, ১৯৭৪
১৫ জুলফা মোহাম্মেদ ১৮ই নভেম্বর, ১৯৭৪ ২৭শে জুন, ২০১০
১৬ সৈয়দ জুলফিকার আলাম চৌধুরি ৪ঠা আগস্ট, ২০১০

উল্লেখযোগ্য ছাত্ররা

সম্পাদনা

পোগোজ স্কুলের অনেক ছাত্র বিখ্যাত এবং সফল হয়ে উঠেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ। পূর্ব বাংলার (বর্তমানে বাংলাদেশ) আতাউর রহমান খান, অতি পরিচিত নিশিকান্ত চ্যাটার্জী প্রথম বাঙালি যিনি ডক্টর ডিগ্রি নেন এবং প্রথম ভারতীয় ডাক্তার অফ সায়েন্স আগোরনাথ চ্যাটার্জী পাস করেন, তিনি ছিলেন সরোজিনী নাইডু এর পিতা। ঢাকা কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ডক্টর পি কে রায়, সমাজসেবী আনন্দচন্দ্র রায়, প্রথম ভারতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য স্যার কে জি গুপ্ত এবং প্রথম পূর্ব বাংলার আইসিএস এবং গিরিশ চন্দ্র সেন যিনি প্রথম কুরআন শরীফ বাংলা অনুবাদ করেন।

কবি শামসুর রাহমান এবং কায়কোবাদ, সম্পাদক কালীপ্রসন্ন ঘোষ এবং কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, করাচির ব্যাঙ্কিং কন্ট্রোলের পরিচালক জহিরুল হক, আয়ুর্বেদ ঔষধের প্রতিষ্ঠাতা বাবু মাথুরামোহন চক্রবর্তী, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক এম মামুন হোসেন।

এখানে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তিরা স্কুলটি পরিদর্শনের জন্য এসেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে: স্বামী বিবেকানন্দ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রাম্বাই এবং আরও অনেকে।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা