শঙ্খনাদ
শঙ্খনাদ আবু সাইয়ীদ পরিচালিত ২০০৪ সালের বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র। বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক নাসরীন জাহান রচিত উপন্যাস উড়ে যায় নিশিপক্ষী অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, কে এস ফিরোজ, নাজমা আনোয়ার, ফজলুর রহমান বাবু, রেবেকা দিপা, মিরানা জামান প্রমুখ।[১]
শঙ্খনাদ | |
---|---|
পরিচালক | আবু সাইয়ীদ |
প্রযোজক | আঙ্গিক কমিউনিকেশন্স |
রচয়িতা | নাসরীন জাহান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এস আই টুটুল |
চিত্রগ্রাহক | মাহফুজুর রহমান খান |
সম্পাদক | জুনায়েদ হালিম |
প্রযোজনা কোম্পানি | আঙ্গিক কমিউনিকেশন্স মাছরাঙ্গা প্রডাকশনস |
পরিবেশক | ট্রিগন ফিল্মস (সুইজারল্যান্ড) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০২ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করে। ফজলুর রহমান বাবু এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন[২] এবং চিত্রসম্পাদক জুনায়েদ হালিম শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক বিভাগে পুরস্কৃত হন।[৩]
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাএক ঝড়ের রাতে ওসমান তার পূর্বপুরুষদের গ্রামে আসে। ২৭ বছর আগে এক অন্ধকার রাতে সে এই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। গ্রামে মান্নাফ খান নামে এক বৃদ্ধের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওসমান তার শৈশব ও কৈশোরকে খুঁজে ফিরে। তার কুঁজো বুড়ির সাথে দেখা হয়, যে তাকে ছোটবেলায় সেবাশুশ্রূষা করেছিল। তার ছেলেবেলার বন্ধু ফজলুর সাথেও তার দেখা হয়। ওসমান পার্থিব কোন ব্যাপারে এখন আর আগ্রহী নয়। সে তার বাকি জীবন এই গ্রামে কাটিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তা হওয়ার নয়।
কুশীলব
সম্পাদনা- জাহিদ হাসান
- কে এস ফিরোজ
- নাজমা আনোয়ার
- ফজলুর রহমান বাবু
- রেবেকা দিপা
- মিরানা জামান
- মেহনাজ বনি
- ইনসান আলী
মুক্তি
সম্পাদনাশঙ্খনাদ চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালে বাংলাদেশে মুক্তির পরে ২০০৫ সালে সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।[৪]
উৎসবে অংশগ্রহণ
সম্পাদনা- অফিসিয়াল নির্বাচন - ফ্রিবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২৩ জুন, ২০০৫
- অফিসিয়াল নির্বাচন - এশিয়ান আফ্রিকান অ্যান্ড ল্যাতিন আমেরিকান চলচ্চিত্র উৎসব
- অফিসিয়াল নির্বাচন - কমনওয়েলথ চলচ্চিত্র উৎসব
- অফিসিয়াল নির্বাচন - দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব - ২০০৫[৫]
- অফিসিয়াল নির্বাচন - আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ভারত
হোম ভিডিও
সম্পাদনা২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শঙ্খনাদ চলচ্চিত্রের ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন হয়।[৬]
পুরস্কার
সম্পাদনা- মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার - ২০০৫
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - ২০০৮
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা - ফজলুর রহমান বাবু
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক - জুনায়েদ হালিম[৩]
- ফ্রিবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব - ২০০৫
- মনোনীত: গ্র্যান্ড প্রিক্স - আবু সাইয়ীদ[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শঙ্খনাদ"। বাংলানিউজ। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "এ সপ্তাহের সাক্ষাতকার - ফজলুর রহমান বাবু"। বিবিসি বাংলা। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ "National Film Awards for the last fours years announced"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৮-০৯-০১। ২০১৬-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "'চলচ্চিত্রে অনুদানের প্রক্রিয়া পক্ষপাতপূর্ণ'"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০১৫-০৫-১২। ২০১৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "SHANKHONAD (WAIL OF THE CONCH )"। দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "বড়পর্দায় ও ডিভিডিতে আবু সাইয়ীদের ছয় চলচ্চিত্র"। দ্য রিপোর্ট। সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Shankhonad (2005) Awards"। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে শঙ্খনাদ (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে শঙ্খনাদ (ইংরেজি)