লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন
লিয়ারি নিকোলাস কনস্ট্যান্টাইন, ব্যারন কনস্ট্যান্টাইন (ইংরেজি: Learie Constantine; জন্ম: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯০১ - মৃত্যু: ১ জুলাই, ১৯৭১) ত্রিনিদাদের দিয়েগো মার্টিনের পেটিট ভ্যালি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হাই কমিশনার হিসেবে যুক্তরাজ্যে দায়িত্ব পালন করেন লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৮ টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম উইকেট লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন। জাতিগত বৈষম্যের বিপক্ষে আইনি লড়াইয়ে ভূমিকা নেন। পরবর্তীকালে ব্রিটেনে জাতিগত সম্পর্ক আইন প্রণয়নে সোচ্চার ছিলেন। ১৯৬২ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লিয়ারি নিকোলাস কনস্ট্যান্টাইন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পেটিট ভ্যালি, দিয়েগো মার্টিন, ত্রিনিদাদ | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯০১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ জুলাই ১৯৭১ ব্রন্ডেসবারি, হ্যাম্পস্টিড, লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৬৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ই কনস্ট্যান্টাইন (ভাই), ও কনস্ট্যান্টাইন (ভাই), এলএ কনস্ট্যান্টাইন (বাবা), ভিএস পাস্কল (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩) | ২৩ জুন ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২১/২২ – ১৯৩৪/৩৫ | ত্রিনিদাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৮/৩৯ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
ধারাভাষ্যকারেরা ম্যানি মার্টিনডেল ও লেসলি হিল্টনের পাশে তার একযোগে পেস বোলিং আক্রমণ কার্য পরিচালনার বিষয়টির সাথে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস জুটির সাথে তুলনা করেন যা পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।[১] ১৯৪০ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাপরিবারের দ্বিতীয় ও তিন ভাইয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ছিলেন তিনি।[৩][৪] তার বাবা লেব্রান কনস্ট্যান্টাইন কোন এক দাসের নাতি ছিলেন।[৫] ১৯০৬ সালে তার পরিবার স্থানান্তরিত হয়।[৬][৭] দ্বীপে লেব্রান ক্রিকেটার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও দুইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফর করেন।[ল ১][৫][৬]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাম্যানি মার্টিনডেলের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর দিকের ফাস্ট বোলারদের রাজত্ব কায়েমে নেতৃত্ব দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ অনেকাংশেই তার উপর নির্ভর করতো। শৈশবকাল থেকেই তার মাঝে ক্রিকেটের প্রতি প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ১৯২৩ ও ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। ত্রিনিদাদে কৃষ্ণাঙ্গদের সুযোগ-সুবিধার অভাবে অসুখী ছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে উন্নততর কর্মজীবনের সন্ধানে ইংল্যান্ডে যান। ১৯২৮ সালের সফরে ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে নেলসন ক্লাবের সাথে পেশাদারী পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ ক্লাবে তার সাথে কপিল দেব ও স্টিভ ওয়াহ’র ন্যায় বিখ্যাত ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৮] ১৯২৯ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ক্লাবে চমকপ্রদ ভূমিকার পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় দলের সাথে গমন করেন। তাস্বত্ত্বেও অন্যান্য স্তরের ক্রিকেটের তুলনায় টেস্টে সফলতা পেয়েছেন কম।
ডিসেম্বর, ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। প্রস্তুতিমূলক খেলায় তাসমানিয়ার বিপক্ষে তিনি ৬৫ মিনিটে ১০০ রান রান তুলেন।[৯] ঐ ইনিংসে তিনি লরি ন্যাশের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।[১০] সফরে তিনি তিনবার পাঁচ উইকেট লাভ করেছিলেন। এছাড়াও, পাঁচবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান সংগ্রহ করেন।[১১][১২]
ইংল্যান্ডে অংশগ্রহণ
সম্পাদনা১৯৩৩ সালে জ্যাকি গ্র্যান্টের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল পুনরায় ইংল্যান্ড গমন করে। ঐ সময় কনস্ট্যান্টাইন ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে নেলসনের পক্ষে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। সফর আয়োজকেরা আশাবাদী ছিলেন যে, ল্যাঙ্কাশায়ার লিগে অংশগ্রহণকারী লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনকে নেলসন কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের খেলায় ছাড় দিবেন। কিন্তু, এর ব্যতয় ঘটে। ঐ গ্রীষ্মে কেবলমাত্র পাঁচটি খেলা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। শুরুতে তিনি ও ম্যানি মার্টিনডেল এমসিসির প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের নয়টিতে ভাগ বসান। তবে, উভয় বোলারই এমসিসি ব্যাটসম্যানদেরকে শর্ট বোলিংয়ের কারণে গণমাধ্যমে সমালোচনার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।[১৩]
লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার জন্য নেলসন থেকে কনস্ট্যান্টাইনকে ছাড়া হয়নি। ইংল্যান্ড খুব সহজেই ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[১৪] স্বাগতিক দল নিজেদের উপযোগী করে পিচ প্রস্তুত করায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জ্যাকি গ্র্যান্ট বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। ফাস্ট বোলিংয়ের কার্যকারীতা না থাকার কথা ভেবে তিনি কনস্ট্যান্টাইনকে বডিলাইন বোলিং করার নির্দেশ দেন। গ্র্যান্ট ও কনস্ট্যান্টাইন এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে দ্বিতীয় টেস্টে বডিলাইন বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।[১৩][১৫] তবে, এ কৌশলটি তেমন কার্যকারীতা পায়নি।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ম্যানি মার্টিনডেল ও লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনের পেস আক্রমণ সামাল দিতে ইংল্যান্ড দল ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ইংরেজ অধিনায়ক ডগলাস জারদিন দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করতে সক্ষম হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৩৭৫ রান তুলে। প্রত্যুত্তরে ইংল্যান্ড দল এগিয়ে আসলে মার্টিনডেল ও কনস্ট্যান্টাইন বডিলাইন বোলিং করতে থাকেন।[১৩] এ দুজন ওভারে চারটি শর্ট বল ফেলতেন ও মাথা সমান উচ্চতায় চলে আসতো। মাঝে-মধ্যে তারা উইকেট লক্ষ্য করে বল ফেলতেন।[১৬] ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের অনেকেই অস্বস্তিকর অবস্থায় নিপতিত হন।[১৩] মার্টিনডেল দ্রুতগামী বোলার হওয়া সত্ত্বেও কনস্ট্যান্টাইন সেরা পেস বোলিং করতে থাকেন।[১৭]
বল আরেকটি বোলিং উপযোগী পিচে বেশ ধীরগতিতে আসে ও বডিলাইন কৌশল অবলম্বনের অকার্যকরতা তুলে ধরে।[১৮] তবে, দর্শকেরা খেলা শেষে বডিলাইনের বিপক্ষে ইংরেজদের কৌশল গ্রহণের বিষয়ে বেশ ঘৃণা প্রকাশ করে।[১৮] কিন্তু, সমসাময়িক প্রতিবেদনগুলোয় এ কৌশল গ্রহণের কথা তুলে ধরা হয়নি। দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, খেলাটি প্রাণবন্তঃ ছিল।[১৯] এ বোলিংয়ের ফলে মার্টিনডেল ৫/৭৩ পান। অন্যদিকে, কনস্ট্যান্টাইন মাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন।[২০]
১৯২৮ সালে কনস্ট্যান্টাইন ১০০ উইকেট লাভের মর্যাদা লাভ করেন। তবে, দূর্ভাগ্যবশতঃ মার্টিনডেলসহ অন্য কোন কার্যকরী বোলার তাকে যথোচিত সহায়তা করেননি।[২১]
ইংল্যান্ডের আগমন, ১৯৩৪-৩৫
সম্পাদনা১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। দলটিতে কয়েকজন টেস্ট খেলোয়াড় ও কিছু নতুন খেলোয়াড় চার টেস্টে অংশগ্রহণ করে। স্বাগতিক উপনিবেশ দলের বিপক্ষে তারা খেলে। ত্রিনিদাদের দ্বিতীয় টেস্টে ম্যানি মার্টিনডেল ও লেসলি হিল্টনের সাথে কনস্ট্যান্টাইন যুক্ত হন।[২২] বব ওয়াটের বিস্ময়কর অধিনায়কত্বের কারণে এ খেলায় ইংল্যান্ড দল পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয়। টসে জয়লাভ করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বব ওয়াট। ৩২৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ইংরেজ দল মাঠে নামে। তিনি পুনরায় ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেন। ৭৫/৫ পতন ঘটলে শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানেরা তা পূরণে সক্ষম হননি।[২৩]
জ্যামাইকায় সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্ট জয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সিরিজ জয় করে। স্থানীয় বীর জর্জ হ্যাডলির অপরাজিত ২৭০ রানের বীরোচিত ইনিংসের সাথে মার্টিনডেল ও কনস্ট্যান্টাইনের ১৩ উইকেট লাভই এর প্রধান কারণ। এ টেস্টে বোলারদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল।[২৪]
সামগ্রীকভাবে এ সিরিজে মার্টিনডেল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মধ্যে বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ১২.৫৭ গড়ে ১৯ উইকেট পান তিনি। কনস্ট্যান্টাইন তিন খেলায় ১৩.১৩ গড়ে ১৫ উইকেট ও হিল্টন ১৯.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট লাভ করেন।[২৫] মার্টিনডেল, কনস্ট্যান্টাইন ও হিল্টনের সম্মিলিতভাবে ৬৪ উইকেট পতনের মধ্যে ৪৭টি দখল করেছিলেন। ম্যানলির অভিমত, এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ হয়ে আছে।[২৬] এ ত্রয়ী বোলারদের কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল টেস্ট সিরিজ জয় করতে পেরেছে বলে উইজডেন মন্তব্য করে।[২২]
লিগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী কনস্ট্যান্টাইনের ন্যায় তিনিও ১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলার জন্য বার্নলি দলের পক্ষে চুক্তি স্থগিত রাখেন।[২১] ঐ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড গমন করে। কনস্ট্যান্টাইন, ম্যানি মার্টিনডেল ও হিল্টনের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভীতিকর পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। হিল্টনও তার খেলার খৈ হারিয়ে ফেলেছিলেন। কেবলমাত্র কনস্ট্যান্টাইন খেলার ছন্দে ছিলেন। ছয় বছর পূর্বে মার্টিনডেলের ন্যায় তিনি ঐ মৌসুমে ১০৩ উইকেট পান।[২৭] যুদ্ধের ঘনঘটার কারণে সফরের শেষদিকের খেলাগুলো বাতিল হয়ে যায়। ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে কনস্ট্যান্টাইন তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।[২৮]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনালিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন তার বিভিন্ন ক্রিকেটবিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তবে, তার লেখনীর কোনটিতেই লেসলি হিল্টনের দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে প্রসঙ্গ টেনে আনেননি।[২৯] শুধুমাত্র হিল্টনের সমসাময়িক জেফ্রি স্টলমেয়ার সংক্ষিপ্ত আকারে তার সম্পর্কে কলম ধরেছিলেন।[৩০]
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কাজ করার পর জাতীয় সেবা ও ১৯৫৪ সালে ব্যারিস্টার হন। এছাড়াও সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেন নিজেকে। ১৯৫৪ সালে ত্রিনিদাদে ফিরে আসেন। রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ও পিপলস ন্যাশনাল মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর ত্রিনিদাদ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৬১ ইংল্যান্ডে ত্রিনিদাদের হাইকমিশনার মনোনীত হন ও ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। চূড়ান্ত বছরে রেস রিলেশন্স বোর্ড, স্পোর্টস কাউন্সিল ও বিবিসি'র বোর্ড অব গভর্নরসে নিযুক্ত ছিলেন। শারীরিক সক্ষমতা কমতে থাকায় এ সকল দায়িত্বের কার্যকারিতা অনেকাংশেই কমে যায় ও ব্রিটিশ এস্টাবলিশের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় সমালোচনার মুখোমুখি হন। অতঃপর ১ জুলাই, ১৯৭১ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনের দেহাবসান ঘটে।
পাদটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Tregaskis 2015।
- ↑ "Learie Constantine (Cricketer of the Year)"। Wisden Cricketers' Almanack। London, UK: John Wisden & Co.। ১৯৪০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ Howat, Gerald M.D. (২০১৬) [2004]। "Constantine, Learie Nicholas, Baron Constantine (1901–1971)"। Oxford Dictionary of National Biography (Online সংস্করণ)। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ Mason, p. 3.
- ↑ ক খ Mason, pp. 2–3.
- ↑ ক খ Howat (1976), p. 23.
- ↑ Howat (1976), p. 26.
- ↑ Nelson CC achieve Clubmark[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Findley, R. "Pickett's death marks a record innings", Sunday Tasmanian, 8 February 2009, p. 73.
- ↑ "Tasmania v West Indies in 1930/31"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Player Oracle LN Constantine"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ Howat (1976), p. 66.
- ↑ ক খ গ ঘ Frith, p. 358.
- ↑ "Scorecard: England v West Indies"। www.cricketarchive.com। ২৪ জুন ১৯৩৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Howat, p. 102.
- ↑ Frith, p. 357.
- ↑ Gibson, Alan (১৯৭৯)। The Cricket Captains of England। London: Cassell। পৃষ্ঠা 159। আইএসবিএন 0-304-29779-8।
- ↑ ক খ Douglas, pp. 167–68.
- ↑ "The Second Test Match", The Times, London (46505), পৃষ্ঠা 6, ২৫ জুলাই ১৯৩৩
- ↑ "Scorecard: England v West Indies"। www.cricketarchive.com। ২২ জুলাই ১৯৩৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ "West Indies Players (E. A. Martindale)" (পিডিএফ)। The Daily Gleaner। Kingston, Jamaica। ১৩ এপ্রিল ১৯৩৯। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১১। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ ক খ "M.C.C. Team in the West Indies"। Wisden Cricketers' Almanack (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 616–617।
- ↑ "Scorecard: West Indies v England"। www.cricketarchive.com। ২৪ জানুয়ারি ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "M.C.C. Team in the West Indies"। Wisden Cricketers' Almanack (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 632–633।
- ↑ "M.C.C. Team in the West Indies"। Wisden Cricketers' Almanack (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 635।
- ↑ Manley, p. 45.
- ↑ "West Indies in England in 1939"। Wisden Cricketers' Almanack (1940 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 179।
- ↑ "First-Class Matches played by Manny Martindale"। www.cricketarchive.com। ২৯ জানুয়ারি ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Browne 2012।
- ↑ Stollmeyer 1983, পৃ. 38–40।
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Cricket and I। London: P Allan। ১৯৩৩। ওসিএলসি 761390201।
- Cricket in the Sun। London: Stanley Paul। ১৯৪৭। ওসিএলসি 2599524।
- Cricketers' Carnival। London: Stanley Paul। ১৯৪৮। ওসিএলসি 712737671।
- Cricketers' Cricket। London: Eyre & Spottiswoode। ১৯৪৯। ওসিএলসি 712823063।
- Cricket Crackers। London: Stanley Paul। ১৯৫০। ওসিএলসি 265430007।
- How to Play Cricket। London: Eyre & Spottiswoode। ১৯৫১। ওসিএলসি 7184447।
- Colour Bar। London: Stanley Paul। ১৯৫৪। ওসিএলসি 2205021।
- (with Denzil Batchelor) The Changing Face of Cricket। London: Eyre & Spottiswoode। ১৯৬৬। ওসিএলসি 6313368।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Douglas, Christopher (২০০২)। Douglas Jardine: Spartan Cricketer। London: Methuen। আইএসবিএন 0-413-77216-0।
- Frith, David (২০০২)। Bodyline Autopsy. The full story of the most sensational Test cricket series: Australia v England 1932–33। London: Aurum Press। আইএসবিএন 1-85410-896-4।
- Howat, Gerald (১৯৭৬)। Learie Constantine। Newton Abbot: Readers Union Limited। (Book Club edition. First published London, 1975. Allen & Unwin. আইএসবিএন ০-০৪-৯২০০৪৩-৭)
- James, C. L. R. (১৯৮৩) [1963]। Beyond a Boundary। London: Serpent's Tail। আইএসবিএন 1-85242-358-7।
- Manley, Michael (১৯৯৫) [1988]। A History of West Indies Cricket। London: Andre Deutsch। আইএসবিএন 0-233-98937-4।
- Mason, Peter (২০০৮)। Learie Constantine। Oxford: Signal Books Limited। আইএসবিএন 978-1-904955-42-9।
- Robertson-Glasgow, R. C. (১৯৪৩)। Cricket Prints: Some Batsmen and Bowlers, 1920–1940। London: T. Werner Laurie Ltd। ওসিএলসি 3257334।
- Swanton, E. W. (১৯৯৯)। Cricketers of My Time। London: Andre Deutsch। আইএসবিএন 0-233-99746-6।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)