জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ
জেমস ম্যানুয়েল ব্লাঙ্কেনবার্গ (ইংরেজি: Jimmy Blanckenberg; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৮৯২ - মৃত্যু: ১৯৫৫) কেপটাউনের ক্লেয়ারমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৩ থেকে ১৯২৪ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | ৩১ ডিসেম্বর, ১৮৯২ ক্লেয়ারমন্ট, কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯৫৫ (আনুমানিক ৬২ বছর) পশ্চিম বার্লিন, পশ্চিম জার্মানি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এন ব্লাঙ্কেনবার্গ (ভ্রাতা), এজে ফন রাইনেভেল্ড (ভাইপো) ও সিবি ফন রাইনেভেল্ড (ভাইপো) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮১) | ১৩ ডিসেম্বর ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ আগস্ট ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ মার্চ ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও কোয়াজুলু-নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। এছাড়াও ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ।
ঘরোয়া ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯১২ থেকে ১৯২৪ সময়কাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের বিঘ্ন ঘটে। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের যাত্রা শুরু হয় তার। তবে, শেষ মৌসুমে নাটালের পক্ষে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন।
বেশ কয়েকবছর দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা বোলারের মর্যাদা পেয়েছিলেন জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ। বল হাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বোলিং করতে পারতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব রয়েছে তার।
জানুয়ারি, ১৯২১ সালে জোহেন্সবার্গে নিজস্ব সেরা বোলিংয়ে পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। কারি কাপে ট্রান্সভালের বিপক্ষে ৯/৭৮ পান। এছাড়াও খেলায় তিনবার দশ উইকেট পেয়েছেন তিনি। তন্মধ্যে, জানুয়ারি, ১৯২১ সালে জোহেন্সবার্গে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে নাটালের বিপক্ষে ১৬১ রান খরচায় ১১ উইকেট পেয়েছিলেন। মার্চ, ১৯২১ সালে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে ১০২ রান খরচায় ১০ উইকেট ও জুলাই, ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে নর্দাম্পটনে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে র সদস্যরূপে নর্দান্টসদের বিপক্ষে ৭৪ রান খরচায় ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, আরও দুইটি উল্লেখযোগ্য বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন তিনি। ডিসেম্বর, ১৯২৩ সালে জোহেন্সবার্গে কারি কাপে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ও নাটালের মধ্যকার খেলায় ৯/৭৫ পেয়েছিলেন। আগস্ট, ১৯২৪ সালে কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের একমাত্র ইনিংসটিতে ৮/৯৭ পেয়েছিলেন। লাভকৃত উইকেটগুলোর সবগুলোই বোল্ড ছিল। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র সেঞ্চুরির সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। নিজস্ব সাবেক দল ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে নাটালের সদস্যরূপে ডিসেম্বর, ১৯২৩ সালে মনোজ্ঞ ১৭১ রান তুলেছিলেন। ড্র হওয়া ঐ খেলাটিতে এ.ডব্লিউ. নোর্সের (১৮৬) সাথে ২৯১ রানের জুটি গড়েন।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনাদক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আঠারো টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে জে.ডব্লিউ.এইচ.টি. ডগলাসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ সফরে দলটি প্রথম টেস্টসহ পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ঐ খেলায় ব্যর্থ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যেক টেস্টেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। শেষ সফরেই সর্বাধিক সফলতা পেয়েছেন তিনি। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ২২.৪০ গড়ে ১১৯ উইকেট লাভ করেন। তবে, সেরা ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজের খেলা তুলে ধরতে ব্যর্থ হন। টার্ফ উইকেটে তিনি তেমন ভালোমানের বোলিং উপহার দিতে পারেননি।
১৯৫৫ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির পশ্চিম বার্লিনে ৬২ বছর বয়সে জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "South Africa – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
গ্রন্থপঞ্জী
সম্পাদনা- World Cricketers – A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins, published by Oxford University Press (1996)
- The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877–1977) compiled and edited by Bill Frindall, published by Headline Book Publishing (1995)
- Who's Who of Cricketers by Philip Bailey, Philip Thorn & Peter Wynne-Thomas, published by Hamlyn (1993)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী টেড ম্যাকডোনাল্ড |
পেশাদার নেলসন ক্রিকেট ক্লাব ১৯২৫-১৯২৮ |
উত্তরসূরী লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন |