রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান
রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান[টীকা ১][১][২][৩] (তুর্কি: Recep Tayyip Erdoğan; আ-ধ্ব-ব: [ɾeˈd͡ʒep tajˈjip ˈæɾdo.an]; জন্ম: ২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪) হলেন তুরস্কের ১২তম রাষ্ট্রপতি যিনি ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে তিনি একে পার্টি (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি বা একেপি) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যেই দলটি জনসমর্থনের মাধ্যমে এক নম্বর অবস্থানে চলে আসে। দলটি ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবার তুরস্কের ইতিহাসে একদলীয় দল হিসেবে এবং পরপর ৪ বার (২০০২, ২০০৭, ২০১১,২০১৪) সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রপতি হবার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন এই দলের সভাপতি ও প্রধান দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান | |
---|---|
Recep Tayyip Erdoğan | |
রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৮ আগস্ট ২০১৪-বর্তমান | |
প্রধানমন্ত্রী | বিনালি ইলদিরিম |
পূর্বসূরী | আবদুল্লাহ গুল |
তুরস্কের ২৫তম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৪ই মার্চ ২০০৩ – ২৮ আগস্ট ২০১৪ | |
রাষ্ট্রপতি | আহমেদ নেজদেত সেজার আব্দুল্লাহ গুল |
পূর্বসূরী | আবদুল্লাহ গুল |
উত্তরসূরী | আহমেত দেভাতগলু |
জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১৪ আগস্ট ২০০১ – ২৭ আগস্ট ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | স্বপ্রতিষ্ঠিত |
উত্তরসূরী | আহমেত দেভাতগলু |
ইস্তাম্বুলের হয়ে সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২২শে জুলাই ২০০৭ – ২৮ আগস্ট ২০১৪ | |
নির্বাচনী এলাকা | প্রথম ইলেক্টোরাল ডিস্ট্রিক |
সির্তের হয়ে সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৯ মার্চ ২০০৩ – ২২ জুলাই ২০০৭ | |
নির্বাচনী এলাকা | সির্ত প্রদেশ |
ইস্তাম্বুলের মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ২৭ মার্চ ১৯৯৪ – ৬ নভেম্বর ১৯৯৮ | |
পূর্বসূরী | নিউরেতিন সোজেন |
উত্তরসূরী | আলী মুফিত গার্তোনা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪
রাজনৈতিক দল | জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (২০০১-বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় স্যালভেশন পার্টি (১৯৮১-এর পূর্বে) ওয়েলফেয়ার পার্টি (১৯৮৩-১৯৯৮) ভার্চো পার্টি (১৯৯৮-২০০১) |
দাম্পত্য সঙ্গী | এমিনি গালবারেন (১৯৭৮-বর্তমান) |
সন্তান | আহমেত বারান এরদোগান নেকমিতিন বিলাল এশরা সামিয়ে |
পিতামাতা | আহমদ এরদোয়ান (পিতা) তানজিলে হানিম (মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ওয়েবসাইট |
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বেও ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং তার পূর্বে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকারের চুক্তি, বিগত দশবছর ধরে চলাকালীন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও তুর্কি লিরার (তুর্কি মুদ্রা) মুল্য পুনর্নিধারণ, সুদের হার কমানো,অতীতে উসমানীয় শাসনাধীন দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিশ্বমহলে নেতৃস্থানীয় ও সৌহার্দ্যপুর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্তিকে মুল লক্ষ্য রেখে বৈদেশিক নীতি গ্রহণ (নব্য-উসমানবাদ), বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ, প্রভৃতি কারণে বিশ্বমহলে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত।[৪][৫]
এরদোয়ান জর্দানের আম্মান নগরীভিত্তিক রাজকীয় ইসলামি কৌশলগত গবেষণা কেন্দ্র (Royal Islamic Strategic Studies Centre) কর্তৃক প্রকাশিত সাংবাৎসরিক সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলমান (The 500 Most Influential Muslims) শীর্ষক প্রকাশনাটির ২০১৯ ও ২০২১ সালের সংস্করণগুলিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলমান হিসেবে চিহ্নিত হন।[৬]
তিনি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি পদে টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন।[৭]
জন্ম
সম্পাদনাএরদোয়ান ১৯৫৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তারিখে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কাসিমপাশা শহরতলীতে আহমদ এরদোয়ান ও তানজিলে হানিম দম্পতির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ এরদোয়ান পেশায় একজন জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন। পাঁচজন সহোদরের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
এরদোয়ান তাঁর জন্ম সম্পর্কে বলেন:
আমার আসল এলাকা "রিজে"। তবে আমার জন্ম কাছিমপাশায় ১৯৫৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি।
— [৮]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতিনি পিয়ালেপাশা শহরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করেন এবং ১৯৬৪-১৯৬৫ সালে তিনি এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং ইমাম হাতিব স্কুলে ভর্তি হন।[৯] ইমাম হাতিব স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী সমাপ্ত করে তিনি আয়্যুব কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে তিনি ব্যবসায় শিক্ষা ও অর্থনীতি ইন্সটিটিউটে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৭ সালে উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়ালেখা সমাপ্ত করেন।
প্রাথমিক জীবন, শিক্ষা এবং পরিবার
সম্পাদনাপ্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাইতিহাসবিদ এম. হাকান ইয়াভুজের মতে, এরদোয়ানের জন্ম গুনেইসু, রিজে এবং পরে তার পরিবার ইস্তাম্বুলের একটি দরিদ্র পাড়া কাসিম্পাসায় চলে আসে। [১০] এরদোয়ানের পরিবার মূলত জর্জিয়ার একটি অঞ্চল আদজারা থেকে এসেছে। [১১] এরদোয়ান ২০০৩ সালে বলেন যে, তিনি জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত এবং তার জন্মস্থান বাতুমিতে । [১২][১৩] অবশ্য পরে তিনি এটি অস্বীকার করেন। [১২] তার পিতা ছিলেন আহমেত এরদোয়ান (১৯০৫-১৯৮৮) এবং মাতা তেনজিল এরদোয়ান (১৯২৪-২০১১)। [১৪]
এরদোয়ানের শৈশব কাটে রিজে। সেখানে তার বাবা ছিলেন [১৫] তুর্কি কোস্ট গার্ডের একজন ক্যাপ্টেন। [১৬] তার গ্রীষ্মের ছুটিগুলোর বেশিরভাগই কাটত গিনিসু, রিজে। যেটি ছিল তার পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান। সারা জীবনে তিনি মাঝে মাঝেই এই বাড়িতে ফিরে আসেন । ২০১৫ সালে তিনি এই গ্রামের কাছে একটি পাহাড়ের চূড়ায় একটি বিশাল মসজিদ তৈরি করেছিলেন। [১৭] এরদোয়ানের বয়স যখন ১৩ বছর তখন তার পরিবার ইস্তাম্বুলে ফিরে আসে। [১৬]
কিশোর বয়সে, এরদোয়ানের বাবা তাকে সাপ্তাহিক ভাতা ২.৫ তুর্কি লিরা দিতেন,যা এক ডলারেরও কম। এটি দিয়ে এরদোয়ান পোস্টকার্ড কিনে রাস্তায় পুনরায় বিক্রি করেতেন। এছাড়াও,যানজটে আটকে থাকা চালকদের কাছে তিনি পানির বোতল বিক্রি করেছেন। এরদোয়ান হকার হিসেবে সিমিট (তিলের রুটির আংটি) বিক্রি করতেন। তিনি একটি সাদা গাউন পরতেন এবং একটি লাল তিন চাকার গাড়ি থেকে সিমিট বিক্রি করতেন, গাড়িটির উপরের অংশ ছিল কাঁচে ঘেরা। [১৬] যৌবনেকালে, এরদোয়ান একটি স্থানীয় ক্লাবে আধা-পেশাদার হিসেবে ফুটবল খেলতেন। [১৮][১৯][২০] ফেনারবাহচে তাকে ক্লাবে নিতে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার বাবা তাতে বাধা দেন। [২১] যে জেলার স্থানীয় ফুটবল ক্লাবে তিনি বেড়ে উঠেছেন সেটির নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। ক্লাবটির বর্তমান নাম কাসিম্পাসা এসকে । [২২][২৩]
এরদোয়ান ইস্কেন্দারপাসা সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। ইস্কেন্দারপাসা সম্প্রদায় হলো নকশবন্দী তরিকার একটি তুর্কি সুফিবাদী সম্প্রদায়। [২৪][২৫]
শিক্ষা
সম্পাদনাএরদোয়ান ১৯৬৫ সালে কাসিম্পাসা পিয়ালে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ সম্পন্ন করেন এবং ১৯৭৩ সালে ইমাম হাতিপ স্কুল (একটি ধর্মীয় বৃত্তিমূলক উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে স্নাতক পাস করেন। [২৬] একেপি পার্টির অন্যান্য সহ-প্রতিষ্ঠাতারাও একই শিক্ষাগত পথ অনুসরণ করেছিলেন। ইমাম হাতিপ স্কুলের পাঠ্যক্রমের এক চতুর্থাংশ কোরান, ইসলামিক নবী মুহাম্মদের জীবন এবং আরবি ভাষা বিষয়ে। এরদোয়ান একজন ইমাম হাতিপের কাছে কোরআন অধ্যয়ন করেন, সেখানে তার সহপাঠীরা তাকে " হোজা " ("মুসলিম শিক্ষক")বলে ডাকত।
এরদোয়ান জাতীয়তাবাদী ছাত্র গোষ্ঠী ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ( মিলি তুর্ক তালেবে বির্লিগি ) এর একটি সভায় যোগদান করেছিলেন। তারা তুরস্কে বামপন্থীদের ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তরুণদের একটি রক্ষণশীল দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। গোষ্ঠীর মধ্যে, এরদোয়ান তার বাগ্মী দক্ষতার দ্বারা আলাদা নজর কেড়েছিলেন। জনসাধারণকে কথা শুনার জন্য একটি ঝোঁক তৈরি করেছিলেন। শ্রোতাদের সামনে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত বক্তা। তিনি তুর্কি প্রযুক্তিগত চিত্রশিল্পীদের সম্প্রদায় দ্বারা আয়োজিত একটি কবিতা-পঠন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পাঠ ও গবেষণার মাধ্যমে বক্তৃতার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। এরদোয়ান পরে এই প্রতিযোগিতাগুলোকে "জনতার সামনে কথা বলার সাহস বাড়ায়" বলে মন্তব্য করেছেন। [২৭]
এরদোয়ান মেকতেব-ই মুলকিয়েতে উন্নত পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মুলকিয়ে শুধুমাত্র নিয়মিত হাই স্কুল ডিপ্লোমাধারী ছাত্রদের গ্রহণ করত, ইমাম হাতিপ স্নাতকদের গ্রহণ করতনা। মেকতেব-ই মুলকিয়েত তার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জন্য পরিচিত ছিল, যেটি তুরস্কের অনেক রাষ্ট্রনায়ক এবং রাজনীতিবিদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এরদোয়ান তখন ইয়ুপ হাই স্কুল(একটি নিয়মিত রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়)এ ভর্তি হন এবং অবশেষে ইয়ুপ থেকে তার হাই স্কুল ডিপ্লোমা লাভ করেন।
তার সরকারি জীবনী অনুসারে, তিনি পরবর্তীতে আকসারায় স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল সায়েন্সেস ( তুর্কি: Aksaray İktisat ve Ticaret Yüksekokulu ) এ ব্যবসায় প্রশাসন অধ্যয়ন করেন ।এটি এখন মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক বিজ্ঞান অনুষদ হিসাবে পরিচিত। [১৮] হেনরিখ বোল ফাউন্ডেশন [২৮] এবং প্রেসিডেন্সির ওয়েবসাইট অনুসারে, তিনি ১৯৮১ সালে স্নাতক হওয়ার কথা ছিল।[২৯][৩০] তবে মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে [৩০][৩১] বেশ কিছু সূত্র বিতর্ক করে যে তিনি স্নাতক হয়েছেন।[৩০][৩২][৩৩][৩৪] কারন তার স্নাতক সার্টিফিকেট কখনোই উপস্থাপন করা হয়নি। [২৬]
পরিবার
সম্পাদনাএরদোয়ান ৪ জুলাই ১৯৭৮ সালে এমিন গুলবারানকে বিয়ে করেন। এমিন গুলবারান ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[৩৫] তাদের দুই ছেলে আহমেত বুরাক (জন্ম ১৯৭৯) এবং নাজমুদ্দিন বিলাল (জন্ম ১৯৮১)। এছাড়াও দুই মেয়ে, এসরা (জন্ম ১৯৮৩) এবং সুমেয় (জন্ম ১৯৮৫)। [৩৫] তার বাবা আহমেত এরদোয়ান ১৯৮৮ সালে মারা যান এবং তার মা তেনজিল এরদোয়ান ২০১১ সালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। [৩৬]
এরদোয়ানের একজন ভাই এবং একটি বোন রয়েছে ।ভাই মুস্তাফা১৯৫৮ সালে ও বোন ভেসিলে ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। [১৫] হাভুলি এরদোয়ানের সাথে তার বাবার প্রথম বিয়ে হয়েছিল। হাভুলি এরদোয়ান ১৯৮০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার দুই সৎ ভাই ছিল: মেহমেত (১৯২৬-১৯৮৮) এবং হাসান (১৯২৯-২০০৬)। [৩৭]
রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে
সম্পাদনা১৯৭৬ সালে, এরদোয়ান কমিউনিস্ট বিরোধী অ্যাকশন গ্রুপ ন্যাশনাল তুর্কি স্টুডেন্ট ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িত হন। একই বছরে, তিনি ইসলামিস্ট ন্যাশনাল স্যালভেশন পার্টি (এমএসপি) এর বেয়োগলু যুব শাখার প্রধান হন।[৩৮] এবং পরবর্তীতে দলের ইস্তাম্বুল যুব শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি পান। [২৬]
১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন রাজনৈতিক দলগুলি বন্ধ হয়ে যায় তখন তিনি বেসরকারী খাতে পরামর্শদাতা এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৩ সালে, এরদোয়ান নাজমউদ্দিন এরবাকানের অধিকাংশ অনুসারীকে ইসলামিস্ট ওয়েলফেয়ার পার্টিতে যোগদান করান। তিনি ১৯৮৪ সালে পার্টির বেয়োলু জেলার সভাপতি হন এবং ১৯৮৫ সালে তিনি ইস্তাম্বুল শহর শাখার সভাপতি হন। এরদোয়ান ১৯৮৬ সালের সংসদীয় উপ-নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের ৬ তম জেলা প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন, কিন্তু উপ-নির্বাচনে পঞ্চম বৃহত্তম দল হিসাবে তার দল শেষতম হওয়ায় কোনও আসন পাননি। তিন বছর পর, এরদোয়ান বেয়োগলু জেলার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ২২.৮% ভোট নিয়ে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। [৩৯] এরদোয়ান 1991 সালে পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন, কিন্তু পছন্দের ভোটের কারণে তার আসন গ্রহণ করতে বাধা দেওয়া হয়। [৪০]
ইস্তাম্বুলের মেয়র (১৯৯৪-১৯৯৮)
সম্পাদনা১৯৯৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি একজন ৪০ বছর বয়সী প্রার্থী ছিলেন। তার মার্কা ছিল ডার্ক হর্স । মূলধারার মিডিয়া এবং তার বিরোধীরা তাকে দেশীয় বাম্পকিন বলে উপহাস করে । [৪১] তিনি জনপ্রিয় ভোটের ২৫.১৯% নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন, এতে প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলের মেয়র তার রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত হন।
তিনি তার কাজে খুবই দায়িত্বশীল ছিলেন। তিনি ইস্তাম্বুলে জলের ঘাটতি, দূষণ এবং ট্রাফিক বিশৃঙ্খলা সহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধান করেছিলেন। তিনি শতাধিক কিলোমিটার নতুন পাইপলাইন বিছানোর ফলে পানি সংকটের সমাধান হয়েছে। অত্যাধুনিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার সুবিধা স্থাপনের মাধ্যমে তিনি আবর্জনা সমস্যার সমাধান করেন। এরদোয়ান যখন অফিসে ছিলেন, তখন প্রাকৃতিক গ্যাসে স্যুইচ করার জন্য তৈরি একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে বায়ু দূষণ হ্রাস করা হয়েছিল। তিনি পাবলিক বাসগুলিকে পরিবেশবান্ধব বাসে পরিবর্তন করেছেন। তিনি পঞ্চাশটিরও বেশি সেতু, ভায়াডাক্ট এবং হাইওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে শহরের যানজট ও পরিবহন জ্যাম হ্রাস করেন। তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। পৌরসভার তহবিল বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেন তিনি। তিনি ইস্তাম্বুল মেট্রোপলিটন মিউনিসিপ্যালিটির দুই বিলিয়ন ডলার ঋণের একটি বড় অংশ পরিশোধ করেছেন এবং শহরে চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। [৪২] তিনি জনগণের জন্য সিটি হল খুলেছেন, তার ই-মেইল ঠিকানা দিয়েছেন এবং পৌরসভার হট লাইন স্থাপন করেছেন। [৪৩]
এরদোয়ান ইস্তাম্বুল সম্মেলনের সময় মেয়রদের প্রথম গোলটেবিল বৈঠকের সূচনা করেছিলেন, যা মেয়রদের একটি বিশ্বব্যাপী, সংগঠিত আন্দোলনের দিকে পরিচালিত করেছিল। জাতিসংঘের সাত সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক জুরি সর্বসম্মতিক্রমে এরদোয়ানকে জাতিসংঘ-বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করেছে। [৪৪]
কারাবাস
সম্পাদনা১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে, এরদোয়ান বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের প্যান-তুর্কি কর্মী জিয়া গোকাল্পের লেখা একটি রচনা থেকে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। [৪৫] তার আবৃত্তিতে "মসজিদ আমাদের ব্যারাক, গম্বুজ আমাদের শিরস্ত্রাণ, মিনার আমাদের বেয়নেট এবং বিশ্বস্ত আমাদের সৈন্যরা...।" [১৬] কবিতার মূল সংস্করণে নেই এমন কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তুর্কি দণ্ডবিধির ৩১২/২ অনুচ্ছেদের অধীনে বিচারক তার আবৃত্তিকে সহিংসতা এবং ধর্মীয় বা জাতিগত বিদ্বেষের প্ররোচনা হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। [৪৬] তার আত্মপক্ষ সমর্থনে এরদোয়ান বলেছিলেন যে কবিতাটি রাষ্ট্র-অনুমোদিত বইয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। [৪৩] তুর্কি স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন দ্বারা প্রকাশিত একটি বইয়ে কবিতাটির এই সংস্করণটি কীভাবে শেষ হয়েছিল তা আলোচনার বিষয় হয়ে রইল। [৪৭]
এরদোয়ানকে দশ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তিনি মেয়র পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। দোষী সাব্যস্ত করার জন্য একটি রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, যা তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয়। [৪৯] তিনি সাজাকে আর্থিক জরিমানায় রূপান্তরের জন্য আপিল করেছিলেন, কিন্তু তা কমিয়ে ৪ মাস করা হয়েছিল । তার সাজার সময়কাল ছিল২৪ মার্চ ১৯৯৯ থেকে ২৭ জুলাই ১৯৯৯। [৫০]
তাকে কির্কলারেলির পিনারহিসার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। যেদিন এরদোয়ান কারাগারে যান, তিনি দিস গান ডোজন্ট এন্ড হিয়ার নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। [৫১] অ্যালবামটিতে সাতটি কবিতার একটি ট্র্যাকলিস্ট রয়েছে এবং এটি ১৯৯৯ সালে তুরস্কের সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবাম হয়ে ওঠে।এটির এক মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়। [৫২] ২০১৩ সালে, এরদোয়ান চৌদ্দ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আবার পিনারহিসার কারাগার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে, তিনি বলেছিলেন "আমার জন্য, পিনারহিসার হল পুনর্জন্মের প্রতীক, যেখানে আমরা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম"। [৫৩]
জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি
সম্পাদনাএরদোয়ান রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ছিলেন যেগুলো সেনাবাহিনী বা বিচারকদের দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মধ্যে, ঐতিহ্যগত রাজনীতিবিদ এবং সংস্কারপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে পার্টির উপযুক্ত বক্তৃতা নিয়ে বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে তারা এমন একটি পার্টির কল্পনা করেছিল যেটি সিস্টেমের সীমার মধ্যে কাজ করতে পারে । এই কারণে তারা ন্যাশনাল অর্ডার পার্টি, ন্যাশনাল স্যালভেশন পার্টি এবং ওয়েলফেয়ার পার্টির মতো নিষিদ্ধ হয় না। তারা ইউরোপের খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটদের উদাহরণ অনুসরণ করে দলটিকে একটি সাধারণ রক্ষণশীল দলের চরিত্র দিতে চেয়েছিল যার সদস্যরা মুসলিম ডেমোক্র্যাট। [৪৩]
২০০১ সালে যখন ভার্চু পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন একটি নির্দিষ্ট বিভক্তি ঘটেছিল: নেকমেটিন এরবাকানের অনুসারীরা ফেলিসিটি পার্টি (এসপি) প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং সংস্কারকরা আব্দুল্লাহ গুল এবং এরদোয়ানের নেতৃত্বে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) প্রতিষ্ঠা করেছিল। সংস্কারপন্থী রাজনীতিবিদরা বুঝতে পেরেছিলেন যে একটি কঠোরভাবে ইসলামী দল কখনই রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা শাসক দল হিসাবে গ্রহণ করা হবে না এবং তারা বিশ্বাস করতেন যে একটি ইসলামী দলে তুর্কি ভোটারদের প্রায় ২০ শতাংশের বেশি আবেদন করে না। এ.কে পার্টি দৃঢ়ভাবে নিজেদেরকে একটি বিস্তৃত গণতান্ত্রিক রক্ষণশীল দল হিসেবে তুলে ধরে যেখানে রাজনৈতিক কেন্দ্রের নতুন রাজনীতিবিদরা (যেমন আলী বাবাকান এবং মেভলুত চাভুওলু )।তারা কোনো সুস্পষ্ট ধর্মীয় কর্মসূচি ছাড়াই ইসলামী নিয়ম ও মূল্যবোধকে সম্মান করে। ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে নতুন দলটি ৩৪% ভোট পেয়ে এটি সফল বলে প্রমাণ করে। গুল সরকার তার রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শেষ করার পর এরদোয়ান ২০০৩ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী হন। [৫৪]
প্রধানমন্ত্রিত্ব (২০০৩-২০১৪)
সম্পাদনাসাধারণ নির্বাচন
সম্পাদনা২০০২ সালের নির্বাচন ছিল প্রথম নির্বাচন যেখানে এরদোয়ান দলীয় নেতা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পূর্বে সংসদে নির্বাচিত সকল দল, সংসদে পুনরায় প্রবেশের জন্য পর্যাপ্ত ভোট জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। একেপি জাতীয় ভোটের ৩৪.৩% জিতেছে এবং নতুন সরকার গঠন করেছে। সোমবার সকালে তুর্কি স্টক ৭% এর বেশি বেড়েছে। পূর্ববর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদরা, যেমন Ecevit, বাহচেলি, Yılmaz এবং Çiller, পদত্যাগ করেছেন। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল, সিএইচপি, ১৯.৪% ভোট পেয়েছে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে একেপি পার্লামেন্টে ব্যাপক বিজয় লাভ করে। এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি কারণ সিয়ারতে তার বক্তৃতার জন্য বিচার বিভাগ তাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। তার পরিবর্তে গুল প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে, ভোটের অনিয়মের কারণে সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ড Siirt থেকে সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে এবং ৯ফেব্রুয়ারি ২০০৩-এর জন্য একটি নতুন নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে । এই সময়ের মধ্যে, বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির দ্বারা সম্ভব হওয়া আইনি পরিবর্তনের কারণে দলের নেতা এরদোয়ান সংসদে যোগ দিতে সক্ষম হন। একেপি এরদোয়ানকে পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন করে।যেটিতে তিনি জয়লাভ করেন। এরপর গুল এই পদ হস্তান্তরের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। [৫৫]
১৪ এপ্রিল ২০০৭ সালে, আঙ্কারায় আনুমানিক ৩০০,০০০ জন লোক ২০০৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রার্থীতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছিল। তারা এই ভয়ে মিছিল করেছিল যে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তুর্কি রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ প্রকৃতির পরিবর্তন করবেন। [৫৬] এরদোয়ান ২৪ এপ্রিল ২০০৭ সালে ঘোষণা করেন যে পার্টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একেপি প্রার্থী হিসাবে আবদুল্লাহ গুলকে মনোনীত করেছে। [৫৭] পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে, ২৯ এপ্রিল ইস্তাম্বুলের একটি সমাবেশে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক উপস্থিত হয়েছিল বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। [৫৮] এছাড়াও ৪ঠা মে মানিসা এবং চানাক্কালেতে পৃথক বিক্ষোভে কয়েক হাজার [৫৯] এবং ১৩ মে ইজমিরে এক মিলিয়ন লোক উপস্থিত হয়েছিল বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। [৬০]
২০০৭ সালের নির্বাচনের মঞ্চটি সরকার এবং সিএইচপির মধ্যে ভোটারদের দৃষ্টিতে বৈধতার লড়াইয়ের জন্য সেট করা হয়েছিল। এরদোয়ান তার দলের সাধারণ নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে কয়েক মাস আগে দুর্ভাগ্যজনক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে ব্যবহার করেছিলেন। ২২ জুলাই ২০০৭-এ, একেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় লাভ করে, মোট ভোটের ৪৬.৭% অর্জন করে। ২২ জুলাইয়ের নির্বাচন তুরস্কের প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চিহ্নিত হয়েছিল যেখানে একটি ক্ষমতাসীন শাসক দল তার জনসমর্থনের অংশ বাড়িয়ে একটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। [৬১] ২০০৮ সালের ১৪ মার্চে,তুরস্কের প্রধান প্রসিকিউটর দেশটির সাংবিধানিক আদালতকে এরদোয়ানের শাসক দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য বলেন। [৬২] দলটি জাতীয় নির্বাচনে ৪৬.৭% ভোট জয়ের এক বছর পর ৩০ জুলাই ২০০৮-এ নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পায়, যদিও বিচারকরা দলের পাবলিক তহবিল ৫০% কমিয়ে দিয়েছিলেন। [৬৩]
২০১১ সালের জুনের নির্বাচনে, এরদোয়ানের শাসক দল ৩২৭টি আসন (মোট ভোটের ৪৯.৮৩%) জিতেছে যার ফলে তুরস্কের ইতিহাসে এরদোয়ান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি পরপর তিনটি সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, প্রতিবার আগের নির্বাচনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় দল, রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), পেয়েছে ১৩৫টি আসন (২৫.৯৪%), জাতীয়তাবাদী এমএইচপি পেয়েছে ৫৩টি আসন (১৩.০১%), এবং স্বতন্ত্ররা ৩৫টি আসন (৬.৫৮%) পেয়েছে। [৬৪]
গণভোট
সম্পাদনাবিরোধী দলগুলি সংসদ বর্জন করে ২০০৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ার পরে।ক্ষমতাসীন একেপি একটি সাংবিধানিক সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব করেছিল। সংস্কার প্যাকেজে প্রথমে ভেটো দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সেজার। তারপরে তিনি সংস্কার প্যাকেজ সম্পর্কে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতে আবেদন করেছিলেন। কারণ, রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয়বার সংশোধনী ভেটো করতে অক্ষম। তুর্কি সাংবিধানিক আদালত প্যাকেজে কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি এবং ৬৮.৯৫% ভোটার সাংবিধানিক পরিবর্তনকে সমর্থন করেছেন। [৬৫] সংস্কারের মধ্যে ছিল সংসদের পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা।রাষ্ট্রপতির মেয়াদ সাত বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা। রাষ্ট্রপতিকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া।পাঁচ বছরের পরিবর্তে প্রতি চার বছর অন্তর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সংসদীয় সিদ্ধান্তের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণেতাদের কোরাম ৩৬৭ থেকে ১৮৪-তে কমিয়ে আনা।
২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় একেপি-এর অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার ছিল সংবিধান সংস্কার করা। প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি সংবিধান পরিবর্তন করতে আগ্রহী ছিল না, একটি সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা অসম্ভব করে তোলে । [৬৬] সংশোধনীগুলি অবিলম্বে আইনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব ছিল। কিন্তু ৫৫০ আসনের সংসদে ৩৩৬ ভোট পেয়েছে -যা প্রস্তাবগুলিকে গণভোটে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল। সংস্কার প্যাকেজের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল যেমন ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার, ন্যায়পালের কার্যালয় তৈরি করা,একটি দেশব্যাপী শ্রম চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনা,
নারী-পুরুষ সমতা,সামরিক সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য বেসামরিক আদালতের ক্ষমতা, সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটে যাওয়ার অধিকার, একটি গোপনীয়তা আইন এবং সাংবিধানিক আদালতের কাঠামো।
গণভোট ৫৮% সংখ্যাগরিষ্ঠরা এটিতে সম্মত হয়। [৬৭]
গার্হস্থ্য নীতি
সম্পাদনাকুর্দি সমস্যা
সম্পাদনা২০০৯ সালে, প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ানের সরকার তুরস্ক-কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির ত্রৈমাসিক শতাব্দীর দ্বন্দ্বের অবসানে সাহায্য করার জন্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল।তুরস্ক-কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির ত্রৈমাসিক শতাব্দীর দ্বন্দ্বে ৪০,০০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা সমর্থিত সরকারের পরিকল্পনায়, কুর্দি ভাষাকে সমস্ত সম্প্রচার মাধ্যম এবং রাজনৈতিক প্রচারাভিযানে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় । এছাড়াও
তুর্কিদের দেওয়া শহরের নামগুলি র কুর্দি নাম দ্বার পরিবর্তন করা হয়।ুন[৬৮]
এরদোয়ান বলেন, "তুরস্কের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং ক্ষমতায়নের পথে বাধা সৃষ্টিকারী দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি।" [৬৮] এরদোয়ান কুর্দি গেরিলা আন্দোলন (পিকেকে) এর অনেক সদস্য যারা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের শাস্তি কমাতে একটি আংশিক সাধারণ ক্ষমা পাস করেন। [৬৯] ২৩ নভেম্বর ২০১১-এ, আঙ্কারায় তার দলের একটি টেলিভিশন বৈঠকের সময়, তিনি ডারসিম গণহত্যার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষমা চেয়েছিলেন। ডারসিম গণহত্যায় অনেক আলেভিস এবং জাজা নিহত হয়েছিল। [৭০] ২০১৩ সালে এরদোয়ানের সরকার কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং তুর্কি সরকারের মধ্যে একটি শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। [৭১] এটি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) এর সংসদ সদস্যদের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন করা
য়হ
রা। [৭২]
২০১৫ সালে, একেপি নির্বাচনী পরাজয়, একটি সামাজিক গণতন্ত্রী, কুর্দি-পন্থী অধিকার বিরোধী দলের উত্থান এবং ছোট সিলানপিনার ঘটনার পরে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে শান্তি প্রক্রিয়া শেষ করার। এছাড়াও এইচডিপি সংসদ সদস্যদের সংসদীয় অনাক্রম্যতা তুলে নেওয়াকে সমর্থন করেছিলেন। [৭৩] ২০১৫-২০১৭ সালে প্রধানত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে হিংসাত্মক সংঘর্ষ আবার শুরু হয়। যার ফলে তুর্কি সামরিক বাহিনীর অনেকে মৃত্যুবরণ যুর সংখকরেন । এছাড়াও তুর্কি সামরিক বাহিনীতে বেশ কয়েকটি বহিরাগত অপারেশন হয় । এরপর,প্রতিনিধি এবং নির্বাচিত এইচডিপি কে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়,অপসারণ করা হয় এবং তাদের অফিসে স্থানান্তর করা হয়।এই প্রবণতাটি ২০১৬ সালের তুর্কি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা এবং নিম্নলিখিত শুদ্ধির পরে নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৫-২০২২ সালে তুরস্কে ৬০০০ এর বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পিকেকে-তুরস্ক সংঘর্ষের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে। [৭৪] গত এক দশকে, এরদোয়ান এবং একেপি সরকার নির্বাচনের আগে তুর্কি জাতীয়তাবাদী ভোট বাড়াতে পিকেকে-বিরোধী, মার্শাল বক্তৃতা এবং বহিরাগত অপারেশন ব্যবহার করেছিল। [৭৫][৭৬][৭৭]
আর্মেনিয়ান গণহত্যা
সম্পাদনাপ্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান একাধিকবার ব্যক্ত করেছেন যে তুরস্ক ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ তুর্কি-আর্মেনিয়ান কমিশনের দ্বারা সম্পূর্ণ তদন্তের পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্মেনিয়ানদের গণহত্যাকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকার করবে । [৭৮][৭৯][৮০] ২০০৫ সালে, এরদোয়ান এবং প্রধান বিরোধী দলের নেতা ডেনিজ বেকাল আর্মেনীয় রাষ্ট্রপতি রবার্ট কোচারিয়ানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি একটি যৌথ তুর্কি-আর্মেনিয়ান কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। [৮১] আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্তান ওসকানিয়ান প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কারণ তিনি দাবি করেছিলেন যে প্রস্তাবটি " অতি গুরুতর নয়"। তিনি যোগ করেছেন: "এই সমস্যাটি তুর্কিদের সাথে ঐতিহাসিক স্তরে বিবেচনা করা যায় না, যারা নিজেরাই সমস্যাটিকে নিয়ে রাজনীতি করেছে"। [৮২][৮৩]
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, এরদোয়ান আর্মেনিয়ান গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তুর্কি বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা "আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি" প্রচারণার সমালোচনা করে বলেন, "আমি এই প্রচারণাকে স্বীকার করি না বা সমর্থন করি না। আমরা কোনো অপরাধ করিনি, তাই আমাদের ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই ।.. এতে ঝামেলা সৃষ্টি করা, আমাদের শান্তি বিঘ্নিত করা এবং যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না।" [৮৪]
২০১১ সালে, এরদোয়ান ৩৩ মিটার লম্বা স্ট্যাচু অফ হিউম্যানিটি, কার্সে একটি তুর্কি-আর্মেনিয়ান বন্ধুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা ২০০৬ সালে চালু করা হয়েছিল এবং বহু বছর ধরে বিরোধের পর ১৯১৫ সালের দুই দেশের মিলনের ঘটনার একটি রূপক উপস্থাপন করেছিল। এরদোয়ান অপসারণের ন্যায্যতা জানিয়েছিলেন যে স্মৃতিস্তম্ভটি ১১ শতকের একজন ইসলামিক পণ্ডিতের সমাধির কাছাকাছি ছিল এবং এর ছায়া সেই স্থানটির দৃশ্যকে নষ্ট করে দিয়েছে, যখন কার্স পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন যে এটি একটি সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। যাইহোক, কার্সের প্রাক্তন মেয়র যিনি স্মৃতিস্তম্ভের মূল নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন যে পৌরসভা কেবল একটি "মানবতার স্মৃতিস্তম্ভ"ই ধ্বংস করছে না বরং "মানবতা নিজেকেই" ধ্বংস করছে।অনেকেই এটি ধ্বংস না করার জন্য প্রতিবাদ করেছিল। এই প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন তুর্কি শিল্পী। তাদের মধ্যে চিত্রশিল্পী বেদরি বেকাম ও তার সহযোগী এবং পিরামিড আর্ট গ্যালারির সাধারণ সমন্বয়কারী তুগবা কুর্তুলমুস এই দুজনকে ইস্তাম্বুল আকাতলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে একটি বৈঠকের পরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। [৮৫]
২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিলে, এরদোগানের কার্যালয় নয়টি ভাষায় (আর্মেনিয়ান দুটি উপভাষা সহ) একটি বিবৃতি জারি করে আর্মেনীয়দের গণহত্যার জন্য শোক প্রকাশ করে এবং বলে যে ১৯১৫ সালের ঘটনাগুলির পরিণতি খুবই অমানবিক ছিল। বিবৃতিতে গণহত্যাকে দুই দেশের ভাগাভাগি বেদনা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে: "প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অমানবিক পরিণতি - যেমন স্থানান্তর - এর অভিজ্ঞতা তুর্কি এবং আর্মেনিয়ানদের সহানুভূতি এবং পারস্পরিক মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে বাধা দেওয়া উচিত নয়। একে অপরের প্রতি সহানুভূতির মনোভাব পোষণ করা উচিত"। [৮৬]
২০১৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিস, সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় একটি বিশেষ গণসমাবেশে ঘটনাগুলির শতবর্ষ উপলক্ষে, ১৯১৫-১৯২২ সালে আর্মেনীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতাকে "২০ শতকের প্রথম গণহত্যা" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। প্রতিবাদে, এরদোগান ভ্যাটিকান থেকে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে এবং ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে, যাকে তিনি একটি বৈষম্যমূলক বার্তা বলে অভিহিত করার জন্য "হতাশা" প্রকাশ করেন। তিনি পরে বলেছিলেন "আমরা গণহত্যার মতো দাগ বা ছায়া বহন করি না"। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা "সত্যের সম্পূর্ণ, খোলামেলা এবং ন্যায্য স্বীকারোক্তি" করার আহ্বান জানান, কিন্তু তার প্রচারাভিযানের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এটিকে "গণহত্যা" হিসেবে চিহ্নিত করা থেকে বিরত থাকেন। [৮৭][৮৮][৮৯]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ এই তুর্কি ব্যক্তিনামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে মূল তুর্কি উচ্চারণের সবচেয়ে কাছাকাছি ও সহজবোধ্য বাংলা বানানের নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "তুরষ্কে উদ্ধার তত্পরতা চলছে"। ২৫ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "জেরুসালেম প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে উচিত শিক্ষা দিন: তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "খাসোগজি হত্যায় যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা"। ২১ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]-এ ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ "Growing consumption"। Metro Group। ২৪ নভেম্বর ২০১১। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২।
- ↑ Nick Tattersall (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Erdogan's ambition weighs on hopes for new Turkish constitution"। Stratejik Boyut। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ The World's 500 Most Influential People (পিডিএফ) (2021 সংস্করণ)। Amman: The Royal Islamic Strategic Studies Centre। ২০১৩। পৃষ্ঠা 66–86। আইএসবিএন 978-9957-635-56-5। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ জাজিরা, আল (২০২৩-০৫-২৮)। "তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এরদোয়ান"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮।
- ↑ কাদের গুর। ২০০৩। পৃষ্ঠা ১২–১৩।
- ↑ কাদের গুর। ২০০৩। পৃষ্ঠা ১৩।
- ↑ M. Hakan Yavuz, "Secularism and Muslim Democracy in Turkey", Cambridge University Press, 19 Φεβ 2009 p. 123. Available on the web.
- ↑ "'Benim için Gürcü dediler' diye yakınan Erdoğan 2004'te 'Ben de Gürcü'yüm' demiş"। T24 (Turkish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ "Erdogan plays to base by slighting Armenians"। Al Monitor। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ Sarıoğlu, Bülent (২০০৫)। "Kimlik değişimi!"। Milliyet। ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Recep Tayyip Erdoğan'ın hayatı" (তুর্কি ভাষায়)। Ensonhaber। ১ জুলাই ২০১৪। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "İşte Ahmet Kaptan'ın bilinmeyen hikayesi" (তুর্কি ভাষায়)। Odatv। ৪ ডিসেম্বর ২০১৬। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "Turkey's charismatic pro-Islamic leader"। BBC News। ৪ নভেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০০৬।
- ↑ Kıble Dağı Cami'nin inşaatı bitti, açılışı Erdoğan yapacak Hürriyet Daily News, 5 August 2015
- ↑ ক খ "Profile: Recep Tayyip Erdogan"। BBC News। ১৮ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Life story"। AK Parti Official Web Site। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ Britannica Online Encyclopedia।
- ↑ "Fenerbahçe Erdoğan'ı transfer etmek istemiş"। Milliyet (তুর্কি ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০১৩। ২৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ klaiber-it.de, Timo Klaiber। "Recep Tayyip Erdoğan Stadyumu"। Europlan-Online। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Turkey's 'Imam Beckenbauer,' Recep Tayyip Erdogan, applies for Euro 2024 | DW | 27 April 2018" (ইংরেজি ভাষায়)। Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Eurasia Review: "The Naqshbandi-Khalidi Order And Political Islam In Turkey – Analysis" By Hudson Institute 5 September 2015
- ↑ Insight Turkey: "Islam, Conservatism, and Democracy in Turkey: Comparing Turgut Özal and Recep Tayyip Erdoğan" by METİN HEPER ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে 15 February 2013
- ↑ ক খ গ "Who's who in Politics in Turkey" (পিডিএফ)। Heinrich Böll Stiftung। পৃষ্ঠা 215। ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Phillips, David (২০ এপ্রিল ২০১৭)। An uncertain ally : Turkey under Erdoğan's dictatorship। Transaction Publishers। আইএসবিএন 978-1-4128-6545-6।
- ↑ "Who's who in Politics in Turkey" (পিডিএফ)। Heinrich Böll Stiftung। পৃষ্ঠা 221। ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "T.C.CUMHURBAŞKANLIĞI : Biyografi"। ২০২২-১১-২৬। ২৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ ক খ গ Erzeren, Ömer (২০২২-০৬-০৮)। "Recep Tayyip Erdogan: Hat er sein Diplom gefälscht?"। Der Spiegel। ৮ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "The curious case of the Turkish President's degree"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "Erdoğan'ın diploması aslında hangi okuldan" (তুর্কি ভাষায়)। odaTV। ২৫ এপ্রিল ২০১৪। ২৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ Cengiz Aldemir (২৮ এপ্রিল ২০১৪)। "Erdoğan'ın diploması Meclis'te"। Sözcü (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Rektörlük, diplomasını yayınladı; Halaçoğlu yeni belge gösterdi"। Zaman (তুর্কি ভাষায়)। ২৫ এপ্রিল ২০১৪। ২৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Bakanlar Kurulu'nun özgeçmişi"। Milliyet (তুর্কি ভাষায়)। ২৯ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "Erdogan's Mother Tenzile Erdogan Dies of Acute Cholecystitis"। Turkish Weekly। ৭ অক্টোবর ২০১১। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৪।
- ↑ Yalçın, Soner (জুন ২০১৪)। Kayıp Sicil: Erdoğan'ın Çalınan Dosyası। Kırmızı Kedi Publishing House। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 978-605-4927-40-1।
- ↑ Mustafa Akyoldate=31 October 2010। "The making of Turkey's prime minister"। Hürriyet Daily News। ২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Recep Tayyip Erdoğan"। www.biyografya.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- ↑ Beaumont, Peter (৪ জুন ২০১১)। "Recep Tayyip Erdogan: Is 'Papa' still a father figure to Turks? | Observer profile"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Akdogan, Yalcin (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। Political leadership and Erdoğan। Cambridge Scholars Publishing; Unabridged edition। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 978-1-5275-0627-5।
- ↑ "Recep Tayyip Erdoğan participated in the World Leaders Forum event, Turkey's Role in Shaping the Future, in November 2008"। Columbia University। ১২ নভেম্বর ২০০৮। ৯ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ ক খ গ Sontag, Deborah (১১ মে ২০০৩)। "The Erdogan Experiment"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Turkish premier is winner of Rafik Hariri Memorial Award"। ১ মার্চ ২০১০। ৮ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১০।
- ↑ Walter Mayr (১৬ জুলাই ২০০৭)। "Turkey's Powerful Prime Minister: Who Can Challenge Erdogan?"। Der Spiegel। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Erdoğan'a ceza şoku"। Zaman (তুর্কি ভাষায়)। ২২ এপ্রিল ১৯৯৮। ৩১ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ Bardakçı, Murat (২২ সেপ্টেম্বর ২০০২)। "Şiiri böyle montajlamışlar"। Hürriyet (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ Shambayati, Hootan (মে ২০০৪)। "A Tale of Two Mayors: Courts and Politics in Iran and Turkey"। International Journal of Middle East Studies। Cambridge University Press। 36 (2): 253–275। hdl:11693/24287 । এসটুসিআইডি 153768860। ডিওআই:10.1017/S0020743804362057।
- ↑ "Profile: Recep Tayyip Erdogan"। Al Jazeera। ২৭ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭।
- ↑ "Erdogan goes to prison"। Hürriyet Daily News। ২৭ মার্চ ১৯৯৯। ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭।
- ↑ Caglayan, Selin (৭ অক্টোবর ২০১৯)। "Who is Recep Tayyip Erdogan, the president of Turkey"। InsideOver। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Tiraj paniği"। Milliyet (তুর্কি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Erdoğan returns to Pinarhisar 14 years later as Prime Minister"। Daily Sabah। ৭ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Erdogan's Towering Role in the AKP"। turkeyanalyst.org (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Turkish PM quits for Erdogan"। CNN। ১১ মার্চ ২০০৩। ২৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Secular rally targets Turkish PM"। BBC News। ১৪ এপ্রিল ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Turkish foreign minister to stand for presidency"। Al Jazeera। ২৫ এপ্রিল ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ De Bendern, Paul (২৯ এপ্রিল ২০০৭)। "One million Turks rally against government"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Avci, Ümran (৪ মে ২০০৭)। "Saylan: Manisa mitingi önemli"। Milliyet (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০০৭।
- ↑ De Bendern, Paul (১৩ মে ২০০৭)। "Turks protest ahead of early elections"। Swissinfo। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০০৭।
- ↑ Turan Yılmaz (২৩ জুলাই ২০০৭)। "Mesajı anladık"। Hürriyet Daily News (তুর্কি ভাষায়)। Ankara। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Turkish ruling party put on trial"। BBC News। ১ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Turkey's ruling party escapes ban"। BBC News। ৩০ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Turkey's Ruling AK Party Wins Elections with 49.83 Percent Vote"। The journal of Turkish Weekly। ১৩ জুন ২০১১। ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Official Results – 21 October 2007 Constitutional Referendum" (পিডিএফ) (তুর্কি ভাষায়)। Supreme Election Board (YSK)। ২০ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ "AKP'nin Anayasa hedefi 15 madde"। NTVMSNBC (তুর্কি ভাষায়)। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Government of Turkey, Supreme Election Board (YSK) (১২ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Official Results – 12 September 2010 Constitutional Referendum" (পিডিএফ)। ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ া হয়Arsu, Sebnem (১৩ নভেম্বর ২০০৯)। "Turkey Plans to Ease Restrictions on Kurds and Help End Decades of Conflict"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Attempts to Improve the Government"। infoplease.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Turkey apologises for 1930s killing of thousands of Kurds"। The Telegraph। London। ২৪ নভেম্বর ২০১১। ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Ozkahraman, Cemal (১ মার্চ ২০১৭)। "Failure of Peace Talks between Turkey and the PKK: Victim of Traditional Turkish Policy or of Geopolitical Shifts in the Middle East?" (ইংরেজি ভাষায়): 50–66। আইএসএসএন 2347-7989। ডিওআই:10.1177/2347798916681332।
- ↑ Basaran, Ezgi (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। Frontline Turkey: The Conflict at the Heart of the Middle East (ইংরেজি ভাষায়)। Bloomsbury Publishing। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 978-1-83860-858-3।
- ↑ "Turkey's Erdogan: peace process with Kurdish militants impossible"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২০।
- ↑ "Turkey's PKK Conflict: A Visual Explainer"। www.crisisgroup.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৬।
- ↑ Bilginsoy, Zeynep। "EXPLAINER: Why Istanbul blast has political implications"। ABC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৫।
- ↑ "Acquittal of nine Ceylanpinar murder suspects upheld"। IPA NEWS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-১৬। ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৫।
- ↑ "Can Erdoğan Survive Without the Kurdish Question?"। Middle East Institute (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৫।
- ↑ "A Conversation with Recep Tayyip Erdogan"। Council on Foreign Relations। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ৩০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Turkish Prime Minister talks about Armenian genocide"। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। Archived from the original on ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ – YouTube-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Turkey to boost efforts to fight defamation campaign"। Daily Sabah। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ Recep Tayyip Erdoğan (১০ এপ্রিল ২০০৫)। "Letter sent by H.E. Recep Tayyip Erdogan"। Turkish Embassy। ৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Yerevan Rejects Turkish PM Erdogan's Dialogue Letter"। The Journal of Turkish Weekly। ১৪ এপ্রিল ২০০৫। ৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Peaceful Co-Existence of Armenia and Turkey Possible"। PanArmenian। ১৬ অক্টোবর ২০০৬।
- ↑ Tait, Robert (১৮ নভেম্বর ২০০৮)। "Turkish PM dismisses apology for alleged Armenian genocide"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১১।
- ↑ "Turkish painter stabbed in Istanbul after 'humanity monument' meeting"। Hürriyet Daily News। ১৮ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Turkey offers condolences to Armenia over WWI killings"। BBC। ২৩ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৪।
- ↑ Rome, Ian Black Rosie Scammell in (১২ এপ্রিল ২০১৫)। "Pope boosts Armenia's efforts to have Ottoman killings recognised as genocide"। The Guardian। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "Turkey cannot accept Armenian genocide label, says Erdoğan"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। Agence France-Presse। ১৫ এপ্রিল ২০১৫। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Press, Associated (২২ এপ্রিল ২০১৫)। "Barack Obama will not label 1915 massacre of Armenians a genocide"। The Guardian। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Official Website of the Prime Minister of the Republic of Turkey[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (তুর্কি)
- Official Website of the Turkish PM Recep Tayyip Erdogan (ইংরেজি)
- Erdoğan's personal website (তুর্কি)
- Profile at Justice and Development Party
- Column archive ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে at Newsweek
- Column archive at Project Syndicate
- মিডিয়া কাভারেজ
- গ্রন্থাগারে রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- Prime Minister Recep Tayyip Erdogan official news website
- আল জাজিরা ইংরেজিতে রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সংগৃহীত সংবাদ ও মন্তব্য।
- "রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সংগৃহীত খবর এবং ভাষ্য"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)।
- রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর সংবাদ ও ধারাভাষ্যের সংগ্রহশালা।
- Profile: Recep Tayyip Erdogan, BBC News, 18 July 2007
- Profile-তে উল্লেখযোগ্য নামসমূহের ডাটাবেজ
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী নিউরেতিন সোজেন |
ইস্তানবুলের মেয়র ১৯৯৪–১৯৯৮ |
উত্তরসূরী আলি মুফিট গুর্তুনা |
পূর্বসূরী আব্দুল্লাহ গুল |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ২০০৩–২০১৪ |
উত্তরসূরী আহমেট দেভাতগ্লু |
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ২০১৪–বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি | |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
নতুন দপ্তর | সভাপতি, জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ২০০১–২০১৪ |
উত্তরসূরী আহমেদ দেভাতগ্লু |