রিফিউজি (২০০০-এর চলচ্চিত্র)

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

রিফিউজি হল ২০০০ সালের ভারতীয় হিন্দি প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র, এটির রচনা এবং পরিচালনা করেছিলেন জে. পি. দত্ত। এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চনজয়া বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনের এবং রণধীর কাপুরববিতা শিবদাসানির কন্যা ও অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের ছোট বোন কারিনা কাপুরের আত্মপ্রকাশকে হয়েছিল। এই ছবিতে জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেঠি এবং অনুপম খেরও অভিনয় করেছিলেন। রিফিউজি বক্স অফিসে মাঝারি রকমের প্রদর্শন করেছিল, এবং এটি বছরের ষষ্ঠ সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্র ছিল।[]

রিফিউজি
রিফিউজি (চলচ্চিত্র) পোস্টার
পরিচালকজে. পি. দত্ত
প্রযোজকজে. পি. দত্তা
রচয়িতাজে. পি. দত্তা
শ্রেষ্ঠাংশেঅভিষেক বচ্চন
কারিনা কাপুর
জ্যাকি শ্রফ
সুনীল শেঠি
সুরকারআনু মালিক
চিত্রগ্রাহকবশির আলী
সম্পাদকদীপক ওয়াই বীরকুড
বিলাস রানাডে
পরিবেশকএইচআর এন্টারপ্রাইজেস
মুক্তি
  • ৩০ জুন ২০০০ (2000-06-30)
স্থিতিকাল২১০ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয়১৫০ মিলিয়ন
আয়₹৩৫৪ মিলিয়ন

এটি নামবিহীন এক ভারতীয় মুসলিমের গল্প, যে ভারত ও পাকিস্তানের অবৈধ শরণার্থীদের (আধুনিক সময়ের বাংলাদেশ সহ) কচ্ছের রণ দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে সাহায্য করেছিল। এই চলচ্চিত্রটি কেকী এন. দারুওয়ালা রচিত ছোট গল্প "লাভ অ্যাক্রস দ্য সল্ট ডেসার্ট" দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছিল।

বিহার - ভিত্তিক মনজুর আহমদ এবং তার পরিবার ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পরে পূর্ব পাকিস্তান চলে এসেছিল। তবে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের পরে, তাকে এবং আরও বেশ কয়েকজন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। স্থলপথে যেতে তাদের ভারত পার হয়ে যেতে হত। ঢাকা থেকে ভারতের গুয়াহাটি হয়ে দিল্লি গিয়ে তারপর তারপর আজমির এবং ভূজ হয়ে পাকিস্তানের হাজী পিয়ার পৌঁছোনোর কথা।

তারা ভূজ পর্যন্ত পৌঁছোল, এরপরে কচ্ছের রণ পার হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছোতে তাদের একজন প্রতিনিধি সহায়তা করেছিল। সেই প্রতিনিধি কেবলমাত্র "রিফিউজি" নামে পরিচিত ছিল। রিফিউজি তার আশ্রিত ব্যক্তিদের কেবল মালপত্র মনে করে। তাই তাদের এবং তাদের গল্পগুলির সাথে মানসিকভাবে জড়িত হতে চায় না। তারপরে নাজনীন আহমেদের সাথে তার দেখা হয়, সে মনজুর আহমেদের মেয়ে: রিফিউজি তার নিয়ম ভুলে গিয়ে এই মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়।

সীমান্তের উভয় পক্ষের পুলিশ অবৈধ শরণার্থী চলাচল সম্পর্কে সচেতন এবং ভারতীয় পুলিশ নিয়মিতভাবে রিফিউজি এবং তার বৃদ্ধ বাবা জান মুহাম্মাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একদিন, রিফিউজি চারজনকে সীমান্তের ভারতীয় দিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। এই চারজন দিল্লী যাওয়ার জন্য মুহাম্মদের অন্য ছেলের সাহায্য নেয়। তারপরে খুব শীঘ্রই, ভারতীয় রাজধানীতে ট্রেন, বাস এবং ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে।

রিফিউজি আবারও সীমান্ত পেরিয়ে যায় নাজনীনের সঙ্গে দেখা করার জন্য। নাজনীন তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে বলে, কারণ তার বাবা একজন পাকিস্তানি সীমান্ত সুরক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফের সাথে তার বিয়ে দিতে চাইছে। রণ হয়ে সীমান্ত পেরোনোর ​​সময় তারা পাকিস্তানি সৈন্যদলের হাতে ধরা পড়ে। রিফিউজিকে মারধর করে উটের পিঠে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। তারা তাকে জানায় যে সে অজান্তেই সন্ত্রাসীদের ভারতে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছিল এবং তার ফলে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছেন। সন্ত্রাসবাদীরা রিফিউজি গ্রাম অবরোধ করলে সে বিএসএফের সাথে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

দুই দেশের সীমান্তের মাঝখানে নাজনীন রিফিউজির সন্তানের জন্ম দেয়, এইখানে চলচ্চিত্রটির সমাপ্তি হয়। ভারতীয় বিএসএফ এবং পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের কর্মীরা হালকা মেজাজে শিশুর জাতীয়তার বিষয়ে আলোচনা করে।

চরিত্র চিত্রণ

সম্পাদনা

সঙ্গীত

সম্পাদনা

এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আনু মালিকরিফিউজির সংগীত দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল: একটি সেরা সংগীত পরিচালনা এবং অন্যটি সেরা গানের কথার জন্য ("পঞ্চি নদীয়া" গানের জন্য)।

গান গায়ক দৈর্ঘ্য চিত্রায়ন
"এইসা লাগতা হ্যায়" সোনু নিগম, অলকা ইয়াগনিক ৭:২৮ অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর
"জিসে তু না মিলা" সুখবিন্দর সিং, শঙ্কর মহাদেবন ১০:৫৮
"মেরে হামসফর" সোনু নিগম, অলকা ইয়াগনিক ৭:৫০ অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর
"পঞ্চি নদীয়া পবন কে" সোনু নিগম, অলকা ইয়াগনিক, অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর ৯:৪৬ অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর
"রাত কি হাথেলি পর" উদিত নারায়ণ, অলকা ইয়াগনিক, অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর ৬:৫৮ অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর
"তাল পে জব" সোনু নিগম, অলকা ইয়াগনিক ৭:১৩ অভিষেক বচ্চন, কারিনা কাপুর

প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

তরুণ আদর্শ এই চলিচ্চিত্রকে ৫টি তারার মধ্যে ৪.৫ দিয়েছিলেন এবং গানের প্রশংসা করে বলেছিলেন "সংগীত প্রতিটি শ্রোতার হৃদয়কে স্পর্শ করে। প্রতি মুহুর্ত আপনি স্বর্গীয় মুহুর্তের মতো অনুভব করেন।" ভারতীয় বাণিজ্য ওয়েবসাইট বক্স অফিস ইন্ডিয়া অনুসারে, প্রায় ৩৫,০০,০০০ অ্যালবাম বিক্রি হয়েছিল।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "boxofficeindia.com"Refugee does moderately well at the box office। ১৮ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০০৬ 
  2. "Music Hits 2000–2009 (Figures in Units)"Box Office India। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

টেমপ্লেট:J. P. Dutta