রামপাল ইউনিয়ন
রামপাল ইউনিয়ন বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত মুন্সীগঞ্জ সদরের একটি ইউনিয়ন।
রামপাল ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে রামপাল ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৭′৪৬″ উত্তর ৯০°৩২′২৯″ পূর্ব / ২৩.৪৬২৭৮° উত্তর ৯০.৫৪১৩৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | মুন্সীগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা |
ইউনিয়ন | রামপাল |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ৭.৪০ বর্গকিমি (২.৮৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৩১,৫৪৭ |
• জনঘনত্ব | ৪,৩০০/বর্গকিমি (১১,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৯.৮৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনারামপাল ইউনিয়নের মোট আয়তন ১৮৩১ একর (৭.৪০ বর্গ কিমি)।[১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাবাংলাদেশের ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী রামপাল ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ৩১৫৪৭ জন। এদের মধ্যে ১৬৪২৮ জন পুরূষ এবং ১৫১১৯ জন মহিলা।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাপাল রাজাদের সময়ে হিন্দু সমাজের জাতিগত সংকীর্ণতা দূরীভূত হয়ে আর্য শক ও অনার্যদের মধ্যে একতার দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেয়েছিল। সে সময় বিক্রমপুরে প্রত্যেক জাতিই দ্বেষ ভাব ভুলে গিয়ে মিলনের স্বমহিমায় প্রত্যেকেই আপন ভাবতে শিখেছিল। বিক্রমপুরের ইতিহাস মূলত : সেন রাজাদের সময়ই পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ধারাবাহিক শিল্প সংস্কৃতির উত্তরণ, কৌলিণ্য প্রথা এবং কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ও বিচার কাঠামো সেন রাজাদের রাষ্ট্রীয় চিন্তা দর্শন। সেনবংশীয় রাজাদের সময় বিক্রমপুরের রামপাল বাংলার রাজধানী হয়ে উঠে এবং দ্বিতীয় বল্লাল সেনের সময় মুসলিম দরবেশ বাবা আদম রামপালের নিকটবর্তী আবদুল্লাহপুর গ্রামে কানাইচঙ্গ নামক স্থানের মসজিদে আশ্রয় নেন।[২]
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার ৫৯.৮৩%।[১]
- প্রাথমকি বিদ্যালয় - সরকারী ০৮ টি ও বেসরকারী ০৩ টি
- উচ্চ বিদ্যালয় - ০৩ টি
- কলেজ - ০১ টি
- মাদ্রাসা - ৪ টি (মহিলা মাদ্রাসা ০২ টি)[৩]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাকলেজ
সম্পাদনা- রামপাল কলেজ
উচ্চ বিদ্যালয়
সম্পাদনা- বছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়
- সুখবাসপুর শ্যামনলিনী উচ্চ বিদ্যালয়
- রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়
অর্থনীতি
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- এম. শামসুল ইসলাম - এম.পি, সাবেক তথ্য মন্ত্রী, ভূমি, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।[৪]
- ছটকু আহমেদ - সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ যিনি ছটকু আহমেদ নামে অধিক পরিচিত (জন্ম ৬ অক্টোবর ১৯৪৬) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার এবং চিত্রনাট্যকার। ১৯৮৬ সালে গৃহ বিবাদ চলচ্চিত্রের সেরা গীতিকার, কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে তিন বিষয়ে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি সত্য মিথ্যা চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রামপালের পানহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৫]
- নাঈম গওহর- সাধীনতা পুরুস্কার পাওয়া গীতিকার । দেশাত্মবোধক গান "জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো ...." "একবার যেতে দে না আমার ছোট সোনার গায় " ইত্যাদি বিখ্যাত গানের গীতিকার তিনি।
- ইলোরা গওহর- বিশিস্ট টিভি অভিনেত্রী নাঈম গওহর এর কন্যা তিনি । "সূর্য দীঘল বাড়ী " ছবির শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী পুরস্কার পান তিনি।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- রাজা বল্লাল সেনের দিঘী বা রামপালের দিঘী
- সুখবাসপুর দিঘী
- বাবা আদম শহীদ মসজিদ[৬]
- বিক্রমপুর বিহার
- হরিশচন্দ্রের দীঘি
বিবিধ
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রামপাল ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রামপাল ইউনিয়ন/একনজরে"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "রামপাল ইউনিয়ন/কৃতি ব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ {{https://bn.wiki.x.io/wiki/%E0%A6%9B%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%81_%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6?wprov=sfla1}}
- ↑ "রামপাল ইউনিয়ন / দর্শনীয় স্থান"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯।