রংপুর সেনানিবাস
রংপুর সেনানিবাস বাংলাদেশের রংপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সেনানিবাস। এখানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের সদরদপ্তর অবস্থিত। মেজর জেনারেল সাকিল আহম্মেদ বর্তমানে এই সেনানিবাস এবং ৬৬ পদাতিক ডিভিশনসহ পুরো রংপুর অঞ্চল এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এর দায়িত্বে কর্তব্যরত আছেন।
রংপুর সেনানিবাস | |
---|---|
রংপুর , বাংলাদেশ | |
ধরন | সেনানিবাস |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |
নিয়ন্ত্রক | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
যুদ্ধ | ১ |
রক্ষীসেনা তথ্য | |
বর্তমান সেনাধিনায়ক | মেজর জেনারেল মোঃ কামরুল হাসান |
ইতিহাস
সম্পাদনামুক্তিসংগ্রামের শুরু থেকেই রংপুর নগরের জনগন প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছিল। যার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন যা উল্লেখ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণেও পাওয়া যায়। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি এসে রংপুর নগরে উল্টো পাকিস্তানি বাহিনীকেই রংপুরের সাহসী যুবকদের হাতে হেনস্তা হতে দেখা যায়। এমনকি শাহেদ আলী নামের এক যুবক লে. আব্বাস নামের এক পাকিস্তানি অফিসার ও তার তিন সৈন্যকে আহত করে তাদের অস্ত্র কেড়ে নেয়।
এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়া মাত্রই রংপুরের জনগন ও স্থানীয় সাঁওতাল সম্প্রদায় ২৮ মার্চ তারিখে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রংপুর সেনানিবাস আক্রমণ করে। পাকিস্তানিরা নগরের যে দিক থেকে আক্রমণ প্রত্যাশা করে তাদের ব্রিগেড হেডকোয়ারটার নিরাপদ রেখেছিল বাঙ্গালীরা কিছুটা ঘুরে এসে আক্রমণ করে ঠিক তার বিপরীত দিক থেকে। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এই আক্রমণ প্রথমভাগে পাকিস্তানি ব্যুহ ভেদ করে সেনানিবাসের একাংশে ঢুকে গেলে তা তুমুল যুদ্ধের রূপ নেয়। আপাত হতচকিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এর পরে ভারী মেশিনগান নিয়ে আক্রমণ প্রতিরোধে গেলে এক পর্যায়ে প্রচুর বাঙ্গালী ও সাঁওতাল শহীদ হন।
তাদের স্মরণে আজও সেনানিবাসের পশ্চিম অংশে এবং রংপুর নগরের প্রবেশমুখে একটি স্মৃতিসৌধ আছে।
অতঃপর মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে এসে রংপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের ওপরে পাকিস্তানিদের আক্রমণ ও বিশেষত জনপ্রিয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুখতার ইলাহীকে হত্যার মাত্র এক মাসের মধ্যে রংপুরের মুক্তিযোদ্ধারা এই সেনানিবাসের পতন ঘটান এবং রংপুর নগরকে হানাদার মুক্ত করেন।
ইউনিট
সম্পাদনা- ৭২ পদাতিক ব্রিগেড
- অঞ্চলের সদর দপ্তর
- স্টেশন সদর দপ্তর
- ১ম বেংগল
- ০৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন
- ২ সিগনাল ব্যাটালিয়ন
- ৩৪ বেংগল
- ২২২ পদাতিক ব্রিগেড
- ৩০ বীর
- ২৫ বীর
- ১২১ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানি
- ১০ ফিল্ড এম্বুলেন্স
- ৬৬ এম পি ইউনিট
- ৬৬ এফ আই ইউনিট
- জিই (আর্মি) রংপুর
- রংপুর সি এম এইচ
- রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড
প্রতিষ্ঠানসমূহ
সম্পাদনা- বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজ
- রংপুর ক্যাডেট কলেজ
- ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর[১]
- রংপুর গল্ফ ক্লাব[২]
- দি মিলিনিয়াম স্টার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর
- রংপুর আর্মি মেডিকেল কলেজ[৩]
- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা বিদ্যালয়
- প্রয়াস স্কুল
- শাশ্বত বাংলা মুক্তিযুদ্ধ সামরিক জাদুঘর
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "100% golden A+ in Rangpur Cadet College"। archive.dhakatribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Moeen opens Rangpur Cantonment Golf Club"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ RAMC Shopping Complex launched in Rangpur[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]