যৌন দাসত্ব

যৌন শোষণ হল এক

যৌন দাসত্বযৌন শোষণ হল এক বা একাধিক ব্যক্তির উপর মালিকানার অধিকারে জোর করে বা অন্যথায় তাদের অত্যাচার যৌন ক্রিয়াকলাপে বাধ্য করার অভিপ্রায়।[][] এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম, একজন ব্যক্তিকে দাসত্বের পর্যায়ে নামিয়ে আনা (জোরপূর্বক বিবাহ সহ) এবং যৌন পাচারকারী ব্যক্তি, যেমন শিশুদের যৌন পাচার।[]

যৌন দাসত্বে একক মালিকের যৌন দাসত্বও জড়িত থাকতে পারে; আনুষ্ঠানিক দাসত্ব, কখনও কখনও কিছু ধর্মীয় অনুশীলনের সাথে যুক্ত, যেমন ঘানা, টোগোবেনিনের ধর্মীয় দাসত্ব ; প্রাথমিকভাবে অ-যৌন উদ্দেশ্যে দাসত্ব কিন্তু যেখানে অসম্মতিপূর্ণ যৌন কার্যকলাপ সাধারণ; অথবা জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি। ভিয়েনা ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচী মানুষকে যৌন দাসত্ব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানায় এবং যৌন দাসত্ব মানবাধিকারের অপব্যবহার হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় ইউনেস্কো কর্তৃক দেশ অনুযায়ী যৌন দাসত্বের ঘটনা অধ্যয়ন ও সারণী করা হয়েছে।[]

প্রকার

সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়স্কদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ

সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়স্কদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ (প্রায়শই "যৌন পাচার" হিসাবে উল্লেখ করা হয়) হল যৌন নিপীড়নের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক বা অপমানজনক উপায়ে নিয়োগ, পরিবহন, স্থানান্তর, আশ্রয় বা প্রাপ্তির সাথে জড়িত এক ধরনের মানব পাচার। বাণিজ্যিক যৌন শোষণই মানব পাচারের একমাত্র রূপ নয় এবং কাউকে যৌন দাসত্বের উদ্দেশ্যে পরিবহনের সংখ্যার অনুমান মানব পাচারের শতকরা হিসাবের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়।

বিবিসি নিউজ ইউএনওডিসি -এরএকটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, জাপান, ইসরায়েল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইতালি, তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হল মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যাক্তিদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ গন্তব্যস্থল। প্রতিবেদনে থাইল্যান্ড, চীন, নাইজেরিয়া, আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, বেলারুশ, মোল্দোভা ও ইউক্রেনকে পাচারকৃত ব্যক্তিদের প্রধান উৎস হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।[]

শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ

সম্পাদনা

শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ (সিএসইসি) এর মধ্যে রয়েছে শিশু পতিতাবৃত্তি (বা শিশু যৌন পাচার), শিশু যৌন পর্যটন, শিশু পর্নোগ্রাফি, বা শিশুদের সাথে লেনদেনের অন্যান্য রূপ। ইয়ুথ অ্যাডভোকেট প্রোগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াইএপিআই) সিএসইসি'কে জোরপূর্বক এবং শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও দাসত্বের সমসাময়িক রূপ হিসাবে বর্ণনা করে।[][]

স্টকহোমে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণের বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের একটি ঘোষণায় সিএসইসি'কে নিন্মক্ত সংজ্ঞার মাধ্যমে বর্ণনা করা হয় -"প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা যৌন নির্যাতন এবং নগদ বা পারিশ্রমিক অর্থের বিনিময়ে শিশুকে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির দ্বারা যৌন নির্যাতন। শিশুটিকে যৌন বস্তু ও বাণিজ্যিক বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়"[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Jones, Jackie; Grear, Anna (২০১১)। Gender, Sexualities and LawRoutledge। পৃষ্ঠা 203। আইএসবিএন 978-1136829239। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. Malekian, Farhad; Nordlöf, Kerstin (২০১৪)। Prohibition of Sexual Exploitation of Children Constituting Obligation Erga Omnes। Cambridge Scholars Publishing। পৃষ্ঠা 211। আইএসবিএন 978-1443868532। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. UNESCO Trafficking Project ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে. unescobkk.org.
  4. "UN highlights human trafficking"BBC News। ২৬ মার্চ ২০০৭। ২৬ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১০ 
  5. "Commercial Sexual Exploitation of Children (CSEC) and Child Trafficking"। Youth Advocate Program International। ২০১৩-১২-১৬। ২৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২ 
  6. Clift, Stephen; Carter, Simon (২০০০)। Tourism and Sex। Cengage Learning EMEA। পৃষ্ঠা 75–78। আইএসবিএন 978-1-85567-636-7 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা