লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এসইউপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।[] ইতিপূর্বে তিনি কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতির পূর্বে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন।[]

মোহাম্মদ সাইফুল আলম
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক
কাজের মেয়াদ
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ – ৪ জুলাই ২০২১
পূর্বসূরীমো. সাইফুল আবেদীন
উত্তরসূরীআহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৮৬-২০২৪
পদ লেফটেন্যান্ট জেনারেল
কমান্ড
  • জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার ৭ম পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর,বরিশাল এরিয়া,শেখ হাসিনা সেনানিবাস লেবুখালী,পটুয়াখালী।
  • জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর,বগুড়া এরিয়া

কর্মজীবন

সম্পাদনা

সাইফুল আলম ২৭ জুন ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ১৪তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি তার বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে সর্ড অব অনার এবং অ্যাকাডেমিক স্বর্ণপদক অর্জন করেন।[] তিনি ১১তম পদাতিক ডিভিশনের অধীনে একটি পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন।[] ১১তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং বগুড়া সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে তাকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[][]

বগুড়ায় ১১ পদাতিক ডিভিশনে জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পূর্বে তিনি ৭ম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[][] তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুরের ডিরেক্টিং স্টাফ হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) এবং স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (এসআইএন্ডটি)-এর কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্লাটুন কমান্ডার ছিলেন।

৫ জুলাই ২০২১ সালে, আলমকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[] ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সালে তাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ, বাংলাদেশের কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আগস্ট ২০২৪ সালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন।

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে, তার ব্যাংক হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দ্বারা জব্দ করা হয়। একই সাথে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।[১০][১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত"banglanews24.com। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  2. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "ডিজিএফআই পেল নতুন ডিজি"bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "সাইফুল আলম ডিজিএফআই প্রধান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত, সেনাবাহিনীর পাঁচ মেজর জেনারেল নতুন দায়িত্বে"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২০ 
  4. "ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম | জাতীয়"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২০-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৫ 
  5. "সাইফুল আলম ডিজিএফআই প্রধান"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৪ 
  6. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৯-১২)। "লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর বরখাস্ত ও সাইফুল বাধ্যতামূলক অবসরে"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১২ 
  7. "মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম"দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৫ 
  8. ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম | জাতীয়দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৫ 
  9. "বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সাইফুল আলম কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল নিযুক্ত; তাবরেজ শামস ডিজিএফআই এর নতুন প্রধান"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৫ 
  10. "লে. জেনারেল মুজিব বরখাস্ত, লে. জেনারেল সাইফুল আলম অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরে"skhobor.com। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ২০২৪-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "লে. মজিবুরকে বরখাস্ত ও সাইফুলকে বাধ্যতামূলক অবসর"RTV Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১২