মেঘনা উপজেলা
মেঘনা উপজেলা বাংলাদেশের একটি উপজেলা। এটি কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা ও সরকারের প্রশাসনিক অঞ্চল। সাধারণত পাকিস্তান আমলের থানা কে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে। মেঘনা উপজেলা একটি নবগঠিত প্রশাসনিক অঞ্চল। অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমূহের অংশ নিয়ে এই উপজেলা গঠন করা হয় ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই উপজেলার প্রধান সরকারি কর্মকর্তা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩মে জুন প্রথম মেঘনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার গঠিত হয়। [২]
মেঘনা | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মেঘনা উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৭′৩৭.২″ উত্তর ৯০°৪২′১৩.৩″ পূর্ব / ২৩.৬২৭০০০° উত্তর ৯০.৭০৩৬৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ | ২৫০ কুমিল্লা-২ |
সরকার | |
• জাতীয় সংসদ সদস্য | পদ শূন্য |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | পদ শূন্য |
আয়তন | |
• মোট | ৯৮.৪৭ বর্গকিমি (৩৮.০২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৪৭,৭১৬ |
• জনঘনত্ব | ৪৮০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ২৫.৫৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৫১৫ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ ৭৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনামেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।[৩] এটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে মেঘনা নদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা, দক্ষিণে দাউদকান্দি উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা, পূর্বে হোমনা উপজেলা ও তিতাস উপজেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনামেঘনা উপজেলায় সবকয়টি এলাকা গ্রাম এবং এটি সম্পূর্ণ চরাঞ্চল। এ উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মেঘনা থানার আওতাধীন।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ মেঘনার বাস্তবায় হয়েছিলো। হোমনার ৪ টি ইউনিয়ন এবং দাউদকান্দির ৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিতো হয়েছিলো মেঘনা। এখন মোট ৮ টি ইউনিয়ন সহ ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটার।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৩.৩৪%; পুরুষ ৩৮.০৪%, মহিলা ২৯.৯২%।
- কলেজ ২টি
- সরকারি মানিকারচর বঙ্গবন্ধু কলেজ
- মুজাফফর আলী স্কুল এন্ড কলেজ
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি
- লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৮৯)
- দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৮)
- মানিকারচর এল. এল. মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৬)
- সোনারচর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯)
- মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭)
- চন্দনপুর মনির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭১)
- মানিকারচর শাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- শেখেরগাও আব্দুল অদুদ মুন্সি উচ্চ বিদ্যালয়
- মেঘনা উপজেলা আইডিয়াল হাই স্কুল
- প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫১টি
অর্থনীতি
সম্পাদনাএটি একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। মানুষের প্রধান জীবিকার সূত্র কৃষি এবং মৎস। প্রবাসী বাংলাদেশী হিসাবে কাজ করছে অনেকেই।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- আজিজুল হাকিম – অভিনেতা।
- আপেল মাহমুদ – গীতিকার ও সুরকার।
- শামসুজ্জামান – বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আলম আরা মিনু – সংগীত শিল্পী।
বিবিধ
সম্পাদনাএলাকা: ৯৮.৪৭ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা: ১ লক্ষ (আনুমানিক)
জনঘনত্ব: ৯৮৫ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার
ইউনিয়ন সংখ্যা: ৮টি
মৌজা: ৪১টি
সরকারী হাসপাতাল: ১টি, চিকিৎসা ক্লিনিক: ৪টি।
হাটবাজার; ১৭টি।
ডাকঘর: ৫টি।
পোস্টকৌড:৩৫১৫। [৪]
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাসংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৫০ কুমিল্লা-২ | হোমনা উপজেলা ও মেঘনা উপজেলা | আবদুল মজিদ | স্বতন্ত্র |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মেঘনা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১২-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০২।
- ↑ https://web.archive.org/web/20151208044832/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/National%20Reports/Union%20Statistics.pdf
- ↑ মেঘনা উপজেলা
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।