আবদুল মজিদ (কুমিল্লার রাজনীতিবিদ)
আবদুল মজিদ (জন্ম: ৮ অক্টোবর ১৯৫০) একজন বাংলাদেশী শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ। তিনি কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য।[২]
অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ | |
---|---|
কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪[১] | |
পূর্বসূরী | সেলিমা আহমাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জয়নগর, হোমনা উপজেলা, কুমিল্লা | ৮ অক্টোবর ১৯৫০
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রেহানা বেগম |
সন্তান | ৩ মেয়ে |
পিতামাতা | তোতা মিয়া (বাবা) ফিরোজা বেগম (মা) |
বাসস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাআবদুল মজিদ ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম তোতা মিয়া ও মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনালেখাপড়া শেষে আবদুল মজিদ কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতায় প্রবেশ করেন।শিক্ষকতা জীবনে তিনি দীর্ঘদিন অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৪]
১৯৮৮ সালে তিনি পাঠ্যবইয়ের সহায়ক পুস্তক হিসেবে "পপি গাইড" প্রকাশ করা শুরু করেন। বড় মেয়ে নাহরিন ফারহানা (পপি)র নামানুসারে গাইডটির নামকরণ করা হয়। ৯০-এর দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই গাইডটির প্রকাশনা ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।[৫]
তিনি কুমিল্লায় অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজ, রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ, অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মডেল স্কুল এন্ড কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআবদুল মজিদ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দানের মাধ্যমে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করার পর ২০০৪ সালে তিনি হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।[৫]
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল মজিদ কুমিল্লা-২ আসনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হন। নির্বাচনে তিনি এম কে আনোয়ারের কাছে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও পরবর্তীতে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল মজিদ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তা বাতিল হয়ে যায়।[৬][৭]
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিমা আহমাদকে হারিয়ে কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাআবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম একজন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ। তিনি হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ৩ মেয়ে। বড় মেয়ে নাহরিন ফারহানা (পপি)ও শিক্ষকতা পেশায় জড়িত।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত, খালেদা জিয়া মুক্ত – DW – 06.08.2024"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০১-০৭)। "কুমিল্লার চারটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী, নতুন মুখ ছয়জন"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৯।
- ↑ "বহুগুণে গুণান্বিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের সফলতার গল্প পড়ুন"। আজকের বাংলা। ৪ ডিসেম্বর ২০২৩। ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ ক খ "পপি গাইডের লেখক থেকে যেভাবে সংসদ সদস্য হলেন আব্দুল মজিদ"। দেশ রূপান্তর। ৯ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ ক খ গ মানসুরা হোসাইন (১১ জানুয়ারি ২০২৪)। "হঠাৎ কেন আলোচনায় ৯০ দশকের সেই 'পপি গাইড'"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "উপজেলা আ.লীগ সভাপতির স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা"। প্রথম আলো। ২৮ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "কুমিল্লার ১১টি আসনে ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল"। ইত্তেফাক। ২ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।