মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ
খান বাহাদুর স্যার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ | |
---|---|
দেওয়ান ট্রাভাঙ্কোর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৩৪ – ১৯৩৬ | |
সার্বভৌম শাসক | চিত্রিরা থিরুনাল বলরামা বর্মা |
পূর্বসূরী | টমাস অস্টিন (বেসামরিক কর্মচারী) |
উত্তরসূরী | সিপি রামস্বামী আইয়ার |
ভারতের গভর্নর-জেনারেল কার্যনির্বাহী পরিষদের শিক্ষা সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর ১৯২৪ – ১৯৩০ | |
গভর্নর জেনারেল | E. F. L. Wood, 1st Earl of Halifax, George Goschen, 2nd Viscount Goschen (acting) |
পূর্বসূরী | মিয়া মুহাম্মদ শফী |
মাদ্রাজের গভর্নর-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের রাজস্ব সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৭ ডিসেম্বর ১৯২০ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯২৪ | |
গভর্নর | Freeman Freeman-Thomas, 1st Marquess of Willingdon, Charles Todhunter (acting), George Goschen, 2nd Viscount Goschen |
উত্তরসূরী | টিি.ই মইর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মাদ্রাজ | ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯
মৃত্যু | ১৬ মে ১৯৪৮ মাদ্রাজ | (বয়স ৭৮)
খান বাহাদুর স্যার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কেসিএসআই কেসিআইই (২২ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯ - ১৬ মে ১৯৪৮) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসক ছিলেন যিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত ট্রাভানকোরের দেওয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাহাবিবুল্লাহ মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই ) আউশুখ হোসেন খান সাহেবের ঘরে ১৮৬৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর [১] তিনি ছিলেন আরকট রাজপরিবারের সদস্য এবং আরকটের নবাবদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। [২] তিনি সাইদাপেটের জিলা হাই স্কুলে আইন পড়েন [৩] এবং জুলাই ১৮৮৮ সালে ভেলোরের বারে যোগদান করেন। [৩]
তার বিয়ে হয়েছিল সদাথুনিসা বেগমের সাথে। [৪]
প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাহাবিবুল্লাহ স্থানীয় বাণিজ্য রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৮৯৫ সালে ভেলোর পৌরসভার সম্মানিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯০১ সালের সেপ্টেম্বরে অফিসিয়াল সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ার পর তার আইনি অনুশীলন থেকে পদত্যাগ করেন এবং সেপ্টেম্বর ১৯০৫ পর্যন্ত সেই ভূমিকা পালন করেন। তিনি তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, একই পদ তিনি ১৪ বছর (১৯০৫-১৯১৯) ধরে রেখেছিলেন। জুলাই ১৯১৯ থেকে জানুয়ারি ১৯২০ পর্যন্ত, তিনি মাদ্রাজের গভর্নরের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন, যখন পি রাজাগোপালাচারী ছুটিতে ছিলেন।
১৯১৯ সালে, হাবিবুল্লাহ লীগ অফ নেশনসের প্রথম অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন। [৫] ১৭ডিসেম্বর ১৯২০, তিনি গভর্নরের কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়োগ পান। তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি গভর্নরের নির্বাহী পরিষদে রাজস্বের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২৭ ডিসেম্বর ১৯২৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। [৬] ১৯২৫ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত তিনি ভারতের ভাইসরয়ের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। [৫] তিনি ১৯২৬ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। [৫]
ট্রাভাঙ্কোর দেওয়ান
সম্পাদনাচিথিরা তিরুনাল বলরাম বর্মা, ত্রিভানকোরের মহারাজার অধিনে ১৯৩৪ সালের ১৫ মার্চ হাবিবুল্লাহ ট্রাভানকোরের দেওয়ান নিযুক্ত হন এবং দুই বছর এই পদে ছিলেন। সেই সময়ের মধ্যে, ট্রাভানকরে বিশেষত এর নির্বাচনী ব্যবস্থা, রাজ্য বাহিনী ( নায়ার ব্রিগেড ) এবং সিভিল সার্ভিসে অনেক সংস্কার করা হয়েছিল।
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই, তিনি রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য উপযুক্ত নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি নিয়োগ করেন। নির্দিষ্ট সংখ্যক আইনসভা আসন খ্রিস্টান, এজাভাস এবং মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। যাইহোক, নায়ারদের আপত্তির কারণে - ট্রাভানকোর সামরিক জাতি - সমস্যাটি সমাধান করা হয়নি এবং ১৯৩৯ সালে পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
১৯৩৫ সালে হাবিবুল্লাহ একজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনার নিযুক্ত হন। এটি ছিল ত্রিভানকোরের সিভিল সার্ভিসে একটি নতুন পদ, বর্ণ বা ধর্মীয় সীমাবদ্ধতা ছাড়াই। একই বছর, পল্লীবাসাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল, যা ত্রাভানকরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড়, লাভজনক স্কেলে অনুমতি দেয়।
তার পরবর্তী প্রধান কার্যক্রম নায়ার ব্রিগেড সম্পর্কিত। ১৯৩৬ সালে, ট্রাভানকোর ভারতীয় রাজ্য বাহিনীতে যোগদান করেন এবং নায়ার ব্রিগেড এবং মহারাজার দেহরক্ষী যৌথভাবে ট্রাভানকোর রাজ্য বাহিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। প্রথমে, কেবল নায়ারদের যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে আইনটি অন্যান্য বর্ণের জন্যও সামরিক পরিষেবা চালু করেছিল। মহারাজা নিজেই ছিলেন বাহিনীর কর্নেল-ইন-চিফ। [৭]
হাবিবুল্লাহ ১৯৩৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং স্যার সিপি রামস্বামী আইয়ারের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ১৬ মে ১৯৪৮ সালে ট্রাভানকরে মারা যান।
সম্মাননা
সম্পাদনা১৯০৫ সালে ভারত সরকার হাবিবুল্লাহকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। [১] তাকে ১৯২০ সালে ভারতীয় সাম্রাজ্যের সহচর এবং ১৯২২ সালে নাইট ব্যাচেলর করা হয়। [৮] ১৯২৪ সালে, তাকে স্টার অফ ইন্ডিয়ার নাইট কমান্ডার করা হয়েছিল [৮] এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার ভারতীয় সাম্রাজ্যের কম্প্যানিয়ন থেকে একধাপ উন্নীত। [৮]
চেন্নাইয়ের টি নগরের হাবিবুল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে।
টিকা
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Aḥmad Saʻīd (১৯৯৭)। Muslim India, 1857–1947: a biographical dictionary। Institute of Pakistan Historical Research। পৃষ্ঠা 144।
- ↑ More, J. B. Prashant (১৯৯৭)। The Political Evolution of Muslims in Tamilnadu and Madras, 1930–1947। Orient Longman। পৃষ্ঠা 34।
- ↑ ক খ Nalanda Year-book & Who's who in India। ১৯৪৭। পৃষ্ঠা 407।
- ↑ "Arcot (Princely State)"। Indian princely states website। ২৬ জুলাই ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ Nalanda Year-book & Who's who in India। ১৯৪৯। পৃষ্ঠা 453।
- ↑ The Times of India directory and year book including who's who। Bennett & Coleman Ltd। ১৯২২। পৃষ্ঠা 55।
- ↑ Travancore State Manual Volume II by TK Velu Pillai 1940
- ↑ ক খ গ Burke's Genealogical and Heraldic History of Peerage, Baronetage and Knightage। Burke's Peerage Limited। ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 1885।
- Eminent Mussalmans। G. A. Natesan। ১৯২৬। পৃষ্ঠা 414–423।