মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও

মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও, (ইংরেজি: Muppalla Lakshmana Rao) , অন্য ছদ্মনামে গণপতি হচ্ছেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)'র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এবং দলটি ভারতে একটি অতিবাম [] রাজনৈতিক দল, যেটিকে ভারত সরকার "সন্ত্রাসবাদী সংগঠন" হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে এবং এটির সব গঠন ও ফ্রন্ট সংগঠনসমূহকে বেআইনি কার্যক্রম (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) অনুযায়ী নিষিদ্ধ করেছে।[]

মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও,
Muppala Lakshmana Rao
জন্ম (1949-06-16) ১৬ জুন ১৯৪৯ (বয়স ৭৫)
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামগণপতি
পেশাপ্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)
প্রতিষ্ঠানভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)
পরিচিতির কারণFar-left politics

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

গণপতি তেলেঙ্গানার করিমনগর জেলার সরনাগপুরের বীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট এবং শিক্ষায় বি. এড. ডিগ্রি অর্জন করেন।[] তিনি করিমনগর জেলায় শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন এবং ওয়ারাঙ্গালে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য চাকুরি পরিত্যাগ করেন।[]

প্রথম রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

ওয়ারাঙ্গলে, গণপতি মাওবাদী ক্যাডার নল্লা আদি রেড্ডি এবং প্রবীন তাত্ত্বিক কোন্ডাপল্লী সীতারামাইয়ার সংস্পর্শে আসেন, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি দেশে নকশাল আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী -লেনিনবাদী ) গণযুদ্ধ (পিপলস ওয়ার গ্রুপ)-এর প্রথম দিকের সদস্যদের একজন যা থেকে গঠিত হয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এবং তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৪ সালে মাওবাদী পার্টিকে (পিপলস ওয়ার গ্রুপ) এবং ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (এমসিসিআই)-এর সংযুক্তির একটি উৎপাদন হিসাবে বলা হয়। এই ঐতিহাসিক সংযুক্তিতে তিনি জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টারের প্রধান প্রশান্ত বোসের সাথে চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।

গণপতির একাধিক অন্যান্য উপনাম হচ্ছে মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও, শ্রীনিবাস, রাজন্য, রাজী রেড্ডি, রাধাকৃষ্ণ, জিপি, চন্দ্রশেখর, অজিত এবং সিএস।[]

মাওবাদী কার্যক্রমে ভূমিকা

সম্পাদনা

গণপতি বিভিন্ন নকশাল কর্মকান্ডে তার ভূমিকার জন্য ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের অন্যতম। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তার গ্রেপ্তারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যের জন্য ১,৫০০,০০০ ভারতীয় রূপির একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।[] তার মাথার মোট দাম সর্বোচ্চ, যা ভারতীয় রূপিতে ৩৬,০০০,০০০।[] বর্তমানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গনপতি। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নিম্বলা কেশভ রাও ওরফে বাসবরাজ। গনপতি নেপাল হয়ে ফিলিপাইনস চলে গেছেন এমনটাই গোয়েন্দাদের অভিমত।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Bhalla, Abhishek (২ জুলাই ২০১৩)। "Maoists at the gate: Intelligence reports reveal ultra-left groups have infiltrated Delhi's labour unions to incite violent protest"Daily Mail and General Trust। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৩ 
  2. "LIST OF ORGANISATIONS DECLARED AS TERRORIST ORGANISATIONS UNDER THE UNLAWFUL ACTIVITIES (PREVENTION) ACT, 1967 - Ministry of Home Affairs"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৪ 
  3. Rahul Pandita. Hello Bastar: The Untold Story Of India’s Maoist Movement. Tranquebar Press (2011). আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮০৬৫৮৩৪-৬.Chapter VI. p. 111
  4. "We Shall Certainly Defeat the Government" OPEN. Retrieved 5 January 2013
  5. "Wanted - National Investigation Agency"। National Investigation Agency। ১৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৩ 
  6. "हाफ़िज़ या दाऊद से ज़्यादा इन पर है इनाम"। BBC Hindi। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  7. Choudhury, Rabindra Nath (১ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Maoist boss Ganapathy may have fled to Philippines"Deccan Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা