মাদার টেরিজা সরণি
মাদার টেরিজা সরণি (পূর্বনাম পার্ক স্ট্রিট) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মহানগরীর অন্যতম প্রধান রাস্তা। জওহরলাল নেহেরু রোড ও পার্ক সার্কাস - মল্লিক বাজার অঞ্চলের যোগাযোগকারী সরণীটি পার্ক স্ট্রিট নামে পরিচিত৷ এটি বহুকাল ধরেই কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য হিসাবে বিবেচিত হয়।
পার্ক স্ট্রিট | |
---|---|
Neighbourhood in কলকাতা (Calcutta) | |
Country | ভারত |
State | পশ্চিমবঙ্গ |
District | কলকাতা জেলা |
City | কলকাতা |
Metro Station | পার্ক স্ট্রীট |
KMC wards | 61, 63, 64 |
সরকার | |
• শাসক | Kolkata Municipal Corporation |
ভাষা | |
• Official | Bengali, English |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | 700016, 700017 |
লোক সভা constituency | Kolkata Dakshin |
বিধান সভা constituency | Bhabanipur and Ballygunge |
Planning agency | KMDA |
Civic agency | Kolkata Municipal Corporation |
ওয়েবসাইট | www |
নামকরণ
সম্পাদনামাদার টেরিজা সরণি প্রথমদিকে বেরিং গ্রাউন্ড রোড নামে পরিচিত ছিল। কারণ, এই রাস্তা দিয়ে সাহেবদের শবাধার কবরখানায় নিয়ে যাওয়া হত।[১] পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে অবস্থিত কলকাতাস্থ সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস স্যার এলিজা ইম্পের ডিয়ার পার্ক সহ বাগানবাড়িটির জন্য রাস্তাটি পার্ক স্ট্রিট নামে পরিচিত হয়। সাম্প্রতিককালে কলকাতা পৌরসংস্থা মাদার টেরিজার নামানুসারে রাস্তাটির নামকরণ করে মাদার টেরিজা সরণি। যদিও পুরনো পার্ক স্ট্রিট নামটি আজও বহুল প্রচলিত।
উল্লেখযোগ্য স্থাপনা
সম্পাদনারেস্তোরাঁ, পাব ও কফিশপ ছাড়াও মাদার টেরিজা সরণিতে কলকাতার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ভবন ও প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য এশিয়াটিক সোসাইটি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা, সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টিস্ট চার্চ ও সাউথ পার্ক স্ট্রিট সেমিট্রি। ব্রিটিশ আমল থেকেই কলকাতার বিলাসকেন্দ্র হিসেবে পার্ক স্ট্রিট সুপরিচিত। আজও পার্ক স্ট্রিট দর্শন ব্যতীত কলকাতা ভ্রমণ অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।
রেস্তোরাঁ
সম্পাদনাএকাধিক অভিজাত পাব ও রেস্তোরাঁ থাকার জন্য পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলটি কলকাতার ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ প্রিয়। এই অঞ্চলের বিশিষ্ট পাব ও রেস্তোরাঁগুলির মধ্যে ট্রিঙ্কা’জ, মোক্যাম্বো, ম্যাকডোন্যাল্ডস, কেএফসি, পিটার ক্যাট, ফ্লুরি’জ, বার বি কিউ, অয়েসিস, অলিম্পিয়া, মল্যাঁ রুজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রয়েছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত রেস্তোরাঁ সৌরভ’স – দ্য ফুড প্যাভিলিয়ন। এছাড়া রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল পার্ক হোটেল, কলকাতা। এই হোটেলটি এর তন্ত্র নামক ইন-হাউস পাবটির জন্য বিখ্যাত। আর আছে অ্যাট্রিয়াম ও বারিস্তার মতো কয়েকটি কফিশপ। কলকাতার নৈশজীবন পার্ক স্ট্রিটের নৈশক্লাব, পাব ও কফিশপগুলিকে ঘিরে উদযাপিত হয়। সেই কারণে পার্ক স্ট্রিটকে প্রায়শই খাদ্য সরণি (ফুড স্ট্রিট) বা চিরবিনিদ্র সরণি (দ্য স্ট্রিট দ্যাট নেভার স্লিপস) নামে অভিহিত করা হয়।
ভারতীয় জাতীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক ট্রাস্ট পার্কস্ট্রিটের ৩টি রেস্তোরাঁকে হেরিটেজ ট্যাগ দিয়ে আখ্যায়িত করেছে। এগুলো হলো : ট্রিঙ্কা’জ, কোয়ালিটি এবং মোক্যাম্বো ।[২]
ট্রিঙ্কা’জ
সম্পাদনা১৯৩৯ সালে সুইস ব্যাবসায়ী সিনজিও ট্রিঙ্কস একটি চা শপ ও বেকারি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন । মূলত তার নামেই এই শপের পরিচিতি। ১৯৫৯ সালে নতুন মালিকানায় একটি পরিপূর্ণ মেনু ও সরাসরি সাংগীতিক পরিবেশনা যুক্ত হয়। সেখানে ঊষা উথুপ , বিদ্দু আপ্পিয়াহ প্রমুখ শিল্পী পরিবেশনা করেন। এখানকার চিংড়ি থার্মাইডর খুব জনপ্রিয় একটি খাবারের পদ।
এখানকার খাবার মূলত কুয়াংতুং(ক্যান্টনীয়) অথবা হাক্কা (তাইয়ানিজ)। ১৯৮৩ সালে প্রথম সিছুয়ান ঘরানার খাবার পরিবেশন করে কলকাতার ভোজন রসনায় বিপ্লব ঘটায়।
রোগবিজ্ঞান কেন্দ্র
সম্পাদনাএখানে অবস্থিত ডক্টরস ত্রিবেদী ও রায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার শহরের উল্লেখযোগ্য রোগবিজ্ঞান কেন্দ্র। এখানে বায়োপসি, হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করা হয়।
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ কলকাতা: চার্নক থেকে সি.এম.ডি.এ. পর্যন্ত এক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস, অতুল সুর, জেনারেল প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৯৮১, পৃষ্ঠা ২৬৯
- ↑ "Heritage Tag for Park St. 3 Resto"।