মহারানী চিমনাবাই
মহারানী চিমনাবাই (১৮৭১ – ২৩শে আগস্ট ১৯৫৮), এছাড়া চিমনাবাই দ্বিতীয় নামেও পরিচিত, সয়াজিরাও গায়কওয়াড়ের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বড়োদরার মহারানি ছিলেন।
মহারানী চিমনাবাই | |
---|---|
জন্ম | ১৮৭২ |
মৃত্যু | ১৯৫৮ (বয়স ৮৫–৮৬) |
তিনি একজন প্রগতিশীল মহিলা ছিলেন, তিনি মেয়েদের শিক্ষার জন্য কাজ করেছিলেন, পরদা প্রথা এবং বাল্যবিবাহ বাতিলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, এবং ১৯২৭ সালে সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনের (এআইডব্লিউসি) প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন।[১][২]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাজন্মের সময় তাঁর নাম ছিল শ্রীমন্ত গজরাবাই দেবী। তিনি ছিলেন শ্রীমন্ত সর্দার বাজিরাও অমৃতরাও ঘাটগের কন্যা। তিনি ছিলেন সয়াজিরাও গায়কওয়াড়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর কন্যা ইন্দিরা দেবী কোচবিহারের মহারাজে জিতেন্দ্র নারায়ণের সহধর্মিণী হন।
প্রতিষ্ঠান এবং অবদান
সম্পাদনানারী শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান থেকে শুরু করে বৃত্তি প্রদান প্রতি ক্ষেত্রেই চিমনাবাইয়ের অবদান আছে। তিনি নারী শিক্ষার সংস্কারের জন্য কাজ করেছিলেন এবং নারী সমাজের উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি অনেকগুলি সংস্থার সভাধ্যক্ষ ছিলেন, সেগুলি হল মহারানি চিমনাবাই মহিলা পাঠশালা; মহারানি চিমনাবাই উদ্যোগালয়; মহারানি চিমনাবাই উচ্চ বিদ্যালয়; এবং মহারানি চিমনাবাই মাতৃত্ব ও শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং মহারানি চিমনাবাই মহিলা ক্লাব।[৩]
মহারানি চিমনাবাই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুপরিচিত মহিলা প্রতিষ্ঠান হল মহারানি চিমনাবাই উদ্যোগালয় বা চিমনাবাই মহিলা শিল্পগৃহ। এটি ১৯১৪ সালে মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী মহিলা এবং বিধবাদের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল। তিনি নারী শিক্ষায় সহায়তাকারী মহিলাদের জন্য অনেক অনুদান দিয়েছেন।[৩]
১৯১১ সালে, মহারানী এস. এম. মিত্রের সাথে ভারতীয় জীবনে নারীর অবস্থান নিয়ে সহ-লেখন করেন। সেখানে তিনি মহিলাদের আলোকিত করার জন্য এতগুলি প্রকল্পের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছিলেন, কারণ হিসেবে তিনি বলেন মহিলারা নিজেরাই এই প্রকল্পগুলির নিয়ন্ত্রণ নিতে স্বাধীন নন।[৩]
"পরদা" বিলুপ্তি
সম্পাদনা"পরদা" প্রথাটি ভারতে লক্ষণীয়ভাবে চালু ছিল। কিন্তু মহারানি মনে করতেন এটি একটি মন্দ প্রথা যা নারীদের শ্বাসরোধ করে। ১৯১৪ সালে, বরোদার মহারানি নিজেই পরদার সমাপ্তি করে নয়া মন্দিরে একটি সর্বজনীন দরবারে মহারাজের সাথে একই কেদারায় বসেছিলেন।[৩]
বাল্য বিবাহ বন্ধ করা
সম্পাদনাসরোজিনী নাইডু, শ্রীমতী কমলা, রাজকুমারী অমৃত কৌর সহ সেই সময়ের বিশিষ্ট এবং নেতৃস্থানীয় ভারতীয় মহিলাদের একটি সম্মেলনে বাল্যবিবাহ বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন মহারানি।[৩]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাচিমনাবাই দ্বিতীয় (বরোদার মহারানী।); সিদ্ধ মোহন মিত্র (২০০৫)। ভারতীয় জীবনে নারীর অবস্থান। কসমো পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 978-81-307-0094-6।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Past Presidents"। AIWC: All India Women's Conference। ১৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৪।
- ↑ Geraldine Forbes; Geraldine Hancock Forbes (২৮ এপ্রিল ১৯৯৯)। Women in Modern India। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 79–। আইএসবিএন 978-0-521-65377-0।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "How Maharani Chimnabai Of Baroda Inspired, Encouraged And Empowered Women Read more at: https://www.shethepeople.tv/home-top-video/maharani-chimnabai-prominent-female-leader-baroda/"। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২২।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Moore, Lucy (2004) Maharanis: the lives and times of three generations of Indian princesses. London: Viking আইএসবিএন ০-৬৭০-৯১২৮৭-৫