মহাপুরুষ (চলচ্চিত্র)
মহাপুরুষ ১৯৬৫ সালে নির্মিত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র, যা রাজশেখর বসু (পরশুরাম)-এর ছোটগল্প বিরিঞ্চিবাবা অবলম্বনে তৈরী। মূল চলচ্চিত্রটির নাম 'কাপুরুষ মহাপুরুষ' যা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের গল্পকে নিয়ে তৈরী। প্রথম গল্পটি কাপুরুষ এবং দ্বিতীয় গল্পটি মহাপুরুষ।
মহাপুরুষ | |
---|---|
পরিচালক | সত্যজিৎ রায় |
প্রযোজক | RDB & Co |
চিত্রনাট্যকার | সত্যজিৎ রায় |
উৎস | পরশুরাম কর্তৃক বিরিঞ্চিবাবা |
শ্রেষ্ঠাংশে | চারুপ্রকাশ ঘোষ রবি ঘোষ সন্তোষ দত্ত |
সুরকার | সত্যজিৎ রায় |
চিত্রগ্রাহক | সৌমেন্দু রায় |
সম্পাদক | দুলাল দত্ত |
মুক্তি | ৭ মে, ১৯৬৫ |
স্থিতিকাল | ৬৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী
সম্পাদনাস্ত্রী বিয়োগের পর নামকরা উকিল গুরুপদ মিত্রের সংসার বৈরাগ্য দেখা দেয়। ট্রেনে দেখা পান বিরিঞ্চিবাবার। গুরুপদবাবুর শ্যালক গণেশ মামার মতে তিনি ত্রিকালজ্ঞ মহাপুরুষ। ভুত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ তার করতলগত। তিনি মন্ত্রবলে নিয়ে আসেন ভগবানদের। গণেশমামার দৌলতে এই ভন্ডবাবার প্রচুর ভক্ত তৈরি হয় কলকাতা শহরে। তারা সকলেই সমাজের উঁচু মাথা কিন্তু যুক্তি বিবেচনার অভাবে ভোগেন। গুরুপদ বাবুর কন্যা বুঁচকির পাণিপ্রার্থী সত্য এবং তার মেসের মালিক নিবারণ চেষ্টা করতে থাকে ভন্ড বিরিঞ্চিবাবা ও তার শিষ্য কেবলরামকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর। একাজে মেসের কিছু বোর্ডার ও গুরুপদ বাবুর বাড়ির চাকরেরা সাহায্য করে নিবারনকে। আগুন লেগেছে এই গুজবে বিরিঞ্চিবাবা ও কেবলরাম পালানোর চেষ্টা করে। শেষে ধরা পড়ে যায় বিরিঞ্চিবাবার জারিজুরি।
অভিনয়
সম্পাদনা- প্রসাদ মুখোপাধ্যায় - গুরুপদ মিত্র
- রবি ঘোষ - কেবলরাম
- সতীন্দ্র ভট্টাচার্য - সত্য
- সন্তোষ দত্ত - প্রফেসর ননী
- সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় - নিতাইবাবু
- গীতালি রায় - গুরুপদ মিত্রের মেয়ে
- চারুপ্রকাশ ঘোষ - বিরিঞ্চিবাবা
- হরিধন বন্দ্যোপাধ্যায় - গণেশমামা