ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান গুয়াহাটি
ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান গুয়াহাটি হল ভারত-এর ষষ্ঠ ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান। এই প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকার আসামের গুয়াহাটিতে প্রতিষ্ঠা করে। ভারত সরকার ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, গুয়াহাটিকে রূপে স্বীকৃতি দিয়েছে[৪]।
নীতিবাক্য | "ज्ञान ही शक्ति है" |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | "Knowledge Is Power" |
ধরন | শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
স্থাপিত | ১৯৯৪[১] |
পরিচালক | গৌতম বিশ্বাস[২] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৬০[৩] |
স্নাতক | ২৫৬৭ |
স্নাতকোত্তর | ২৬২৯ (৩১/১/২০১৫ অনুযায়ী) |
অবস্থান | , , ২৬°১১′১৪″ উত্তর ৯১°৪১′৩০″ পূর্ব / ২৬.১৮৭২২° উত্তর ৯১.৬৯১৬৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | ৭০৩.৯৫ একর (২.৮ বর্গ কিঃমিঃ)[১] |
অন্য নাম | আই.আই.টি.জি (IITG) |
পোশাকের রঙ | লাল (শক্তি), নীল (শান্তি), হলুদ (অধ্যবসায়) |
ওয়েবসাইট | www.iitg.ac.in, www.iitg.ernet.in |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৮৫ সালে সদৌ অসম ছাত্র সন্থা এবং ভারত সরকারর মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুসারে আসামে শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নতি করার লক্ষ্যে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, গুয়াহাটি স্থাপন করা হয়।
১৯৯৪ সালে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, গুয়াহাটি স্থাপন করা হয় যদিও ১৯৯৫ সালের থেকে শিক্ষাদান আরম্ভ করা হয়[১] ১৯৯৫ সালে এখানে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজির প্রথম বার্ষিকের ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি করা হয়। অন্য অন্য ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানসমূহের মতো এখানে Joint Entrance Examination টেমপ্লেট:Enwikiর মাধ্যমে এখানে ভর্তি করা হয়[৫]।১৯৯৮ সালে প্রথমবারের জন্য GATE টেমপ্লেট:Enwiki এর মাধ্যমে Master of Technology পাঠ্যক্রমের জন্য ভর্তি করা হয়।
ক্যাম্পাস
সম্পাদনাভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান গুয়াহাটি, ব্রহ্মপুত্রর উত্তরপারে উত্তর গুয়াহাটির আমিনগাঁওতে অবস্থিত। ৭০০ একর (২.৮ বর্গ কি.মি.) জুড়ে এর ক্যাম্পাস বিস্তৃত হয়ে আছে। গুয়াহাটি মহানগর থেকে এখানকার দূরত্ব প্রায় ২০ কি.মি.। ক্যাম্পাসের একপাশে ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যপাশ থেকে পাহাড় ঘিরে আছে।[১]
বিভাগ সমূহ
সম্পাদনাভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান গুয়াহাটিত থকা বিভাগসমূহ হল :
- বায়োটেকনোলজী বিভাগ
- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগ
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- Urban & Regional Planning(URP) বিভাগ
- Water Resources Engineering বিভাগ
- কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- Department of Design
- ইলেকট্রনিক্স এণ্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (আগে ইলেকট্রনিক্স এণ্ড কমিউনিকেশন বিভাগ বলে পরিচিত ছিল)
- Humanities এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ
- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- ইলেক্ট্রিক্যাল এণ্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
- ইনডাসট্রিয়েল এণ্ড প্রডাকসন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
প্রতিষ্ঠানটির উপর্যুক্ত বিভাগসমূহ বি.টেক, বি.ডিজাইন, এম.ডিজাইন, এম.টেক, পি.এইচ.ডি., এম.এ (Development Studies) এবং এম.এচচি.র পাঠ্যক্রম প্রদান করে।
স্থান
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয় র্যাংকিং |
---|
আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, আই আই টি গুয়াহাটি ২০১১ বর্ষের QS World University Rankingsএ ৫৫১-৬০০তম স্থান[৬] এবং ২০১২ বর্ষের QS Asian University Rankingsএ ৮৯তম স্থান লাভ করেছে[৭] ২০১২ বর্ষের ভারতের অভিযান্ত্রিক মহাবিদ্যালয় সমূহের মধ্যে ইণ্ডিয়া টুডে- দশম স্থান টেমপ্লেট:Enwiki[৮], আউটলুক ইণ্ডিয়া টেমপ্লেট:Enwiki অষ্টম স্থান[৯] এবং ডাটাকোয়েষ্ট টেমপ্লেট:Enwiki ২০১১ বর্ষের ৭তম স্থান প্রদান করেছে[১০]। ২০০৯ সালে মিণ্ট নেওয়া একটি সমীক্ষায় সরকারি মহাবিদ্যালয় সমূহের ভিতরে ষষ্ঠ স্থান প্রদান করেছে[১১]
গবেষণা কেন্দ্র
সম্পাদনাআই আই টি গুয়াহাটিতে মোট ছটা গবেষণা কেন্দ্র আছে। সেইকয়টি হল:
- Centre for Educational Technology
- Centre for Nanotechnology
- Centre for Mass Media Communication
- Central Instruments Facility
- Centre for Energy
- Centre for the Environment
ছাত্রাবাস
সম্পাদনাআই আই টি গুয়াহাটি হল সম্পূর্ণ আবাসিক ক্যাম্পাস। সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্যাম্পাসের ভিতরের ছাত্রাবাসে থাকে। উত্তর-পূব ভারত-এর নদী এবং এর উপনদীসমূহের নাম অনুসারে ছাত্রাবাস সমূহের নাম রাখা হয়েছে। ছাত্রাবাস সমূহের নাম হল: মানস, দিহিং, কামেং, ধানসিঁড়ি, সিয়াং, কপিলী, বরাক, সোবণশিরি, উমিয়াম,লোহিত, দিবং এবং ব্রহ্মপুত্র। সবচেয়ে বড় ছাত্রাবাস হল ব্রহ্মপুত্র। এখানে একসাথে ১১৪০ জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা আছে। এর উপরও বিবাহিত স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্রাবাস আছে।
ছাত্র-ছাত্রীর জিমখানা পরিষদ
সম্পাদনাবার্ষিক উৎসবসমূহ
সম্পাদনাপ্রত্যেক বছর আই আই টি গুয়াহাটির ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রশাসন কয়েকটি উৎসব এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য দুটি উৎসব হল Techniche এবং Alcheringa।
Techniche
সম্পাদনাTechniche হল আই আই টি গুয়াহাটির প্রযুক্তিবিদ্যা সম্বন্ধীয় উৎসব। প্রতি বছর তিনদিন ধরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানে বিভিন্ন বিদ্বান লোক এবং ভারতের বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বার্তালাপ এবং আলোচনা করার সুবিধা দেয়া হয়। পি. চিদাম্বরম, কিরণ বেদী, এইচ. সি. বর্মা, মাইক ফিনকে, জন সি. মেথারের মতো প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গ এখানে ভাগ নিয়েছেন।
২০১২ সালের ৩০ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত Techniche ’১২ আই টি গুয়াহাটিতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
Alcheringa
সম্পাদনাAlcheringa হল আই আই টি গুয়াহাটির বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন দিন-চার রাত ধরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ বর্ষে ভারতের প্রায় ১৫০টি মহাবিদ্যালয়ের প্রায় ৪০,০০০ ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করেছিল[১২]।
অন্যান্য প্রতিযোগিতাসমূহ
সম্পাদনা- মন্থন (Manthan): মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস সমূহের মধ্যে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
- অলফাজ টেমপ্লেট:Enwiki: প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া literary উৎসব।
- কৃতি (Kriti): মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস সমূহের মধ্যে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রযুক্তিবিদ্যা সম্বন্ধীয় প্রতিযোগিতা।
- স্পর্ধা (Spardha): মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস সমূহের মধ্যে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া খেলাধুলা প্রতিযোগিতা।
- কলা প্রদর্শন প্রতিযোগিতা ( Performing Arts Festival, PAF): কলা প্রদর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
- AdvayaPG: মহাবিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এর উপরিও, ভারতের বিভিন্ন আই আই টি সমূহের মধ্যে প্রতি বছর শীত কালে খেলাধুলা Inter-IIT Sports Meetর আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন আই আই টিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালে, প্রথম বারের জন্য আই আই টি গুয়াহাটিতে ৪২তম আই আই টি খেল-ধেমালি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "About - Indian Institute of Technology Guwahati"। IIT Guwahati। ২০১১-০১-০৫। ২০১০-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-০৫।
- ↑ "The IITG Administration"। IIT Guwahati। ২০০৮-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২০।
- ↑ "Director's message, IIT Guwahati"। IIT Guwahati। ২০১১-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৫।
- ↑ "Institutes of National Importance"। The Institute for Studies in Industrial Development (ISID)। ২০০৯-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২০।
- ↑ "JEE 2009"। IIT Guwahati। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_QS_W
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_QS_A
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_IT_E
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_OUTLOOK
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_DQ
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Rankings_MINT_G
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Alcheringa 2011:The Dream Gets Closer"। The Meghalaya Guardian,Page 3। ১৭ জানুয়ারি ২০১১। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬।