বোম্বে প্রেসিডেন্সি

বোম্বে প্রেসিডেন্সি (বোম্বে প্রদেশ বা বোম্বে ও সিন্ধু বলেও পরিচিত) ছিল ১৮৪৩ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এর মূলকেন্দ্র ছিল বোম্বে শহর। প্রেসিডেন্সির সর্বোচ্চ সীমানায় এর মধ্যে বর্তমান ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোন্কান, নাশিকপুনে বিভাগ, গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদ, আনন্দ, বারুচ, গান্ধীনগর, খেদা, পাঞ্চমহলসুরাট জেলা, কর্ণাটক রাজ্যের বাগালকোট, বেলগাম, বিজাপুর, ধারওয়াদ, গাদাগ, হাভেরি, উত্তর কন্নড় জেলা, বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ এবং ইয়েমেনের অংশবিশেষ এডেন কলোনি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বোম্বে প্রেসিডেন্সি
मुंबई इलाखा
ব্রিটিশ ভারতের Presidency
১৬১৮–১৯৪৭
বোম্বে প্রেসিডেন্সির পতাকা
পতাকা

১৯০৯ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সি, উত্তর অংশ
ঐতিহাসিক যুগনিউ ইম্পেরিয়ালিজম
• সুরাটে পশ্চিম প্রেসিডেন্সির প্রতিষ্ঠা
১৬১৮
১৯৪৭
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
পশ্চিম প্রেসিডেন্সি
বোম্বে রাজ্য
Public Domain এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 
১৯০৯ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সি, দক্ষিণ অংশ

সর্বপ্রথম ১৬১৮ সালে পশ্চিম ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের কাছ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে শহরটি লাভ করার পর বোম্বে প্রেসিডেন্সি গঠিত হয়। চার্লস তার পর্তুগিজ স্ত্রী ক্যাথেরিনকে ১৬৬৫ সালে বিয়ে করার পর যৌতুক ও রাজকীয় উপঢৌকন হিসেবে এই শহরটি পেয়েছিলেন। পিটের ভারত আইনের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য ব্রিটিশ এলাকার মত বোম্বে প্রেসিডেন্সিকেও ব্রিটিশ আইনসভার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সময় অঞ্চল অধিগ্রহণ করা হয়। এসময় ১৮১৮ সাল পর্যন্ত কয়েকধাপে পেশওয়ার পুরো শাসন এলাকা এবং গায়েকওয়ার রাজবংশের প্রভাবিত অঞ্চল বোম্বে প্রেসিডেন্সির সাথে একীভূত করে নেয়া হয়। ১৮৩৯ সালে এডেন একীভূত করা হয়। ১৮৪৩ সালে হায়দ্রাবাদের যুদ্ধে তাল্পুর রাজবংশের পরাজয়ের পর সিন্ধুকেও একীভূত করা হয়।

১৭শ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে সুরাটে সর্বপ্রথম বোম্বে প্রেসিডেন্সি স্থাপিত হয়। তবে পরে তা পশ্চিম ও মধ্য ভারতের অধিকাংশ এলাকায় বিস্তৃত হয়ে পড়ে। সেসাথে আরব উপদ্বীপ ও বর্তমান পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলও এর অন্তর্ভুক্ত হয়।

সর্বোচ্চ সীমানায় বোম্বে প্রেসিডেন্সি বর্তমান গুজরাত, কোনকান, দেশকানদেশসহ মহারাষ্ট্রের পশ্চিমের দুইতৃতীয়াংশ, কর্ণাটকের উত্তর পশ্চিমাংশ, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ, ও ইয়েমেনের এডেন ধারণ করত।[] প্রদেশ ও জেলাসমূহ সরাসরি ব্রিটিশ শাসনের আওতায় ছিল। অন্যদিকে স্থানীয় দেশীয় রাজ্যের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন স্থানীয় শাসকের হাতে থাকত। প্রেসিডেন্সি দেশীয় রাজ্যগুলোর প্রতিরক্ষা প্রদান করে এবং ব্রিটিশদের সাথে তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকে। বাংলা/পূর্ববঙ্গ প্রেসিডেন্সিমাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির মত বোম্বে প্রেসিডেন্সিও ব্রিটিশ শক্তির তিনটি প্রধান কেন্দ্রের অন্যতম ছিল।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Jerry DuPont (২০০১)। The Common Law Abroad: Constitutional and Legal Legacy of the British Empire। Wm. S. Hein Publishing। পৃষ্ঠা 563। আইএসবিএন 978-0-8377-3125-4। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. Bulliet, Richard W.; Bulliet, Richard; Crossley, Pamela Kyle (১ জানুয়ারি ২০১০)। The Earth and Its Peoples: A Global History। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 694। আইএসবিএন 978-1-4390-8475-5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
Attribution
  •   এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Bombay Presidency"ব্রিটিশ বিশ্বকোষ4 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 185–189। 

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা