বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ (BNMPC) (সাবেক রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সদর দপ্তরে অবস্থিত একটি বাংলাদেশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। মূলত বিজিবির সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে স্থাপিত হলেও[১] এখানে সকলেই পড়াশোনা করতে পারে। এটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
পিলখানা (23.733183,90.370871) (#৫ গেইট, বিজিবি সদর দপ্তর) | |
তথ্য | |
ধরন | বেসরকারি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১লা আগস্ট, ১৯৭৭ |
বিদ্যালয় জেলা | ঢাকা |
ইআইআইএন | ১০৮১৬১ |
চেয়ারম্যান | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম জাহাঙ্গীর আলম |
অধ্যক্ষ | লে. কর্নেল মোঃ আবু সাঈদ (২০২২-বর্তমান) |
শিক্ষকমণ্ডলী | ২০৬ জন |
শ্রেণি | শ্রেণী ১-১২ |
ভাষা | বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সন |
স্লোগান | প্রভু জ্ঞান দাও |
ওয়েবসাইট | www.noormohammadcollege.ac.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭৭ সালের ১লা আগস্টে অষ্টম শ্রেণিতে পর্যন্ত অধ্যয়নের ব্যবস্থা রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে এটি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি কলেজের রুপ দেয়া হয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মত শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।[১] ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি সংস্করণ চালু করা হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর নাম পরিবর্তনের কারণে প্রতিষ্ঠানটির নামও পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়, যা ২০১১ সালে কার্যকর হয়।[২]
শিক্ষা
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা এর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। মাধ্যমিক শাখায় বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এই দুইটির পাশাপাশি মানবিক বিভাগেও পড়াশোনার সুযোগ দেয়া হয়। মাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা এবং ইংরেজি উভয় সংস্করণেই অধ্যয়ন করা যাবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া
সম্পাদনাপ্রথম শ্রেণি ও কেজি শ্রেণিতে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাছাই করে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। এই দুইটি শ্রেণি ব্যতীত স্কুল শাখার অন্য সকল শ্রেণিতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়। স্কুল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। কলেজে ভর্তির জন্য সংশোধিত সরকারি নিয়মানুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়।
পাঠ্যক্রম
সম্পাদনাবিদ্যালয়টির বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণই বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর নির্দেশিত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ অনুমোদিত। শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।[১]
শিফট
সম্পাদনাবিদ্যালয়ের বাংলা সংস্করণে সকাল ও দুপুরের শিফট বিদ্যমান। সকালের শিফটে কেজি হতে পঞ্চম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী ও ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রী অংশ নিয়ে থাকে। দুপুরের শিফট অবশিষ্ট ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট। ইংরেজি সংস্করণের সকল শিক্ষার্থী একই সঙ্গে সকালের শিফটে ক্লাসে অংশ নিয়ে থাকে। [২]
ক্যাম্পাস
সম্পাদনাপুরো কলেজ ক্যাম্পাসটি ৫টি ভবনের সমন্বয়ে নির্মিত। এগুলো হচ্ছেঃ কলেজ ভবন - ১, কলেজ ভবন - ২ স্কুল ভবন, মাল্টিপারপাস ভবন, ইংরেজি ভার্শন ভবন। কলেজ ভবনের সামনে একটি খেলার মাঠ এবং ইংরেজি ভার্শন ভবনের সামনে একটি বাস্কেটবল খেলার মাঠ আছে। দক্ষিণ দিকের সদর দরজাসহ সর্বমোট ৪টি ফটক রয়েছে। সদর দরজা ছাড়া বাকি দরজাগুলো পিলখানার সাথে যুক্ত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |