পিলখানা
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
কোন সমস্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। সমস্যা নির্দিষ্ট করুন, অথবা এই টেমপ্লেট মুছে ফেলুন। |
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটিতে মৌলিক গবেষণাযুক্ত উপাদান রয়েছে অথবা যাচাইবিহীনভাবে দাবি করা হয়েছে। দয়া করে উপযুক্ত তথ্যসূত্র এবং উৎস প্রদান করে নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। আরও বিস্তারিত জানতে নিবন্ধের আলাপ পাতায় দেখুন। (December 2015) |
পিলখানা ঢাকা শহরের একটি স্থান। "পিলখানা" শব্দটির, অর্থ হাতির আস্তাবল। পুর্বে জায়গাটি হাতি রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে এটি বিজিবির সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[১][২][৩]
পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তর | |
---|---|
ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′৫৭″ উত্তর ৯০°২২′৩০″ পূর্ব / ২৩.৭৩২৫০° উত্তর ৯০.৩৭৫০০° পূর্ব |
ধরন | সেনানিবাস |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |
নিয়ন্ত্রক | বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ |
ইতিহাস
সম্পাদনামোঘল ও ব্রিটিশ পিরিয়ডে ঢাকার প্রশাসনে “খেদা” বলে একটা বিশেষ বিভাগ ছিল। এই “খেদা বিভাগ” এর কাজ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে বন্য হাতি ধরে এনে পোষ মানানো ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা। হাতি ধরার প্রধান কৌশল ছিল কুনকি বা পোষা হস্তিনী দ্বারা বন্য হাতিকে খেদিয়ে নিয়ে আসা। এই সব পুরুষ হাতি গুলোকে খেদিয়ে যে জায়গায় এনে রাখা হত তা পিলখানা নামে পরিচিত ( বর্তমানেও সেই নাম রয়ে গেছে)।পিলখানার এই হাতিগুলোর সামরিক ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৮৬০ এবং ১৮৭০ এর দশকে এই হাতিগুলোকে প্রায়ই পাহাড়ী উপজাতি দমন অভিযানে প্রেরিত হত।তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যাতায়াতের বাহন হিসেবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আগমনে (যেমন ভাইসরয় বা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পরিদর্শনের সময়) এই হাতিদের দিয়ে প্যারেড ও নানা ধরনের খেলাধুলা ও প্রদর্শনী হত।ঢাকার আশেপাশের জমিদাররাও তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের হাতিগুলোকে অর্থের বিনিময়ে পিলখানায় পোষ মানানো ও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাতেন। পিলখানার এই হাতিগুলোর দেখভালের জন্য ১৮৮১ সালে ঢাকার খেদা বিভাগে একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, একজন হেড এসিস্ট্যান্ট, দুইজন ভেটেরিনারি সার্জন, তিনজন ক্লার্ক, একজন পশু হিসাবকারী এবং বেশ কয়েকজন মাহুত নিযুক্ত ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই হাতিগুলোকে রমনা অঞ্চলে চারনের জন্য নিয়ে যাওয়া হত। হাতি চলাচলের কারণে রাস্তাঘাটের যে ক্ষয়ক্ষতি ও উপদ্রব সৃষ্টি হতো সেই সম্পর্কে জনগণ নিয়মিত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতো। এইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮৬৪ সালে মিউনিসিপ্যালিটি প্রতিষ্ঠার পর কর্তৃপক্ষ ঢাকার উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক এলাকা দিয়ে রমনায় যাওয়ার একটি আলাদা রাস্তা তৈরী করে যার নামকরণ করা হয় “এলিফ্যান্ট রোড”। নিউমার্কেট এলাকা থেকে রমনা পর্যন্ত এলিফ্যান্ট রোড আজও বিদ্যমান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Carnage at Pilkhana BDR HQ: 15 years on, justice yet to be meted out"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "Mutiny, bloodshed at BDR HQ"। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "Nation mourns on Pilkhana carnage"।