বিপ্রদাস পালচৌধুরী
বিপ্রদাস পালচৌধুরী (১৮৫৭ - ২৫ অক্টোবর, ১৯১৪) একজন বাঙালি শিল্পপতি ও বাস্তুকার।
বিপ্রদাস পালচৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৫৭ |
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর, ১৯১৪ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
শিক্ষা | এফ.এ |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
পেশা | ব্যবসায়ী |
পরিচিতির কারণ | বাস্তুকার |
সন্তান | অমিয় পালচৌধুরী |
পিতা-মাতা |
|
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাতার জন্ম হয়েছিল নদীয়ার মহেশগঞ্জে। পিতা মধুসূদন পালচৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত নদিয়া জেলার সম্পত্তিশালী জমিদার। বিপ্রদাস কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ পাশ করেন ১৮৭৩ সালে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইংল্যান্ডে যান।[১][২]
কর্মোদ্যোগ
সম্পাদনাইংল্যান্ড থেকে ফিরে তিনি প্রথমে একটি পিতলের কারখানা স্থাপন করেন। পরে বহু টাকা ব্যায়ে চর্ম পরিষ্কারের কারখানা নির্মাণ করেন। বাঙালির শিল্পে উন্নতি ও স্বদেশী দ্রব্য নির্মাণের চেষ্টা করতেন। ইংরেজদের একচেটিয়া চা ব্যাবসায় বাঙালিদের মধ্যে যিনি প্রথম প্রবেশ করেন তাদের মধ্যে বিপ্রদাস পালচৌধুরী অন্যতম। দার্জিলিং এর গয়াবাড়ি টি এস্টেটে ফ্যাক্টরি তৈরি করেন তিনি। আধুনিক মনস্ক ব্যক্তি ছিলেন। সমাজ সংস্কারের চেষ্টায় কন্যাদের প্রত্যেককে উচ্চশিক্ষিত করে ও অসবর্ণ বিবাহ দিয়ে সৎ সাহস ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কৃষ্ণনগর - নবদ্বীপ ন্যারো গেজ লাইন প্রতিষ্ঠার জন্যে প্রচুর জমি দান করেছিলেন। তার পুত্রবধূ ইলা পালচৌধুরী ছিলেন নদীয়ার সাংসদ ও বিখ্যাত সমাজসেবী।[১]
স্মৃতি
সম্পাদনাতার স্মৃতিতে কৃষ্ণনগর শহরে বিপ্রদাস পালচৌধুরী ইনস্টিটিউট আছে যা জেলার একটি প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পরিচিত। এটি নদীয়া জেলার প্রথম সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এখানে তার একটি আবক্ষ মূর্তি আছে।[৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাবিপ্রদাস পালচৌধুরী ২৫ অক্টোবর, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনে মারা যান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৪৯।
- ↑ Bhaṭṭācāryya, Kālīkr̥shṇa (১৯৮৭)। Śāntipura paricaẏa। Śāntipura Paurasabhā।
- ↑ About us। "Bipradas Palchowdhury Institute of Technology"। bpcit.ac.in। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 4.03.2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)