বাদল রায় (ফুটবলার)
বাদল রায় (মৃত্যু: ২২ নভেম্বর ২০২০) একজন বাংলাদেশী পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। বাদল তার খেলোয়াড়ি জীবনের পুরো সময় ঢাকা মোহামেডানের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বাদল রায় | ||
জন্ম স্থান | বাংলাদেশ | ||
মৃত্যু | ২২ নভেম্বর ২০২০ | ||
মৃত্যুর স্থান | বাংলাদেশ | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৭৭–১৯৮৯ | ঢাকা মোহামেডান | ||
জাতীয় দল | |||
১৯৮১–১৯৮৬ | বাংলাদেশ | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
১৯৭৭–৭৮ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন; ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ১২ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮১ সালে, বাদল বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে, বাদল বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ২০০৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার জয় অন্যতম।[১] দলগতভাবে, বাদল সর্বমোট ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার সবগুলো ঢাকা মোহামেডানের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।
ক্লাব ফুটবল
সম্পাদনাবাদল তারা পুরো খেলোয়াড়ি জীবন মাত্র একটি ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে কাটিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের খুবই বিরল। ১৯৭৭ সালে তিনি ঢাকা মোহামেডানে দলে যোগদান করেছিলেন, তবে ১৯৮০ সালে তিনি মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি এমন সময় ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন যখন ক্লাবটি বাংলাদেশের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে আধিপত্যের লড়াইয়ে জড়িত ছিল। ১৯৮১ সালে তাকে এক বছরের জন্য ক্লাবের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে তিনি ১৯৭৮, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৮৭, এবং ১৯৮৮–৮৯ মৌসুমে ঢাকা লীগের শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন।[২][৩] ঢাকা মোহামেডানের ১২ মৌসুম যাবত খেলার পর ১৯৮৯ সালে বাদল তার খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
সম্পাদনা১৯৮১ সালে, বাদল ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম রাষ্ট্রপতির গোল্ড কাপে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।[৪] উক্ত প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল। জাতীয় দলের হয়ে তার স্মরণীয় মুহূর্তটি ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করা।[২][৩]
অবসর
সম্পাদনাখেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ১৯৯১ সালে, বাদল বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তবে তিনি উক্ত নির্বাচনে জয়লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।[২] তিনি ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাবাদল রায় বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ২০২০ সালের ২২শে নভেম্বর তারিখে মৃত্যুবরণ করেছেন।[২]
পুরস্কার
সম্পাদনাক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "National Sports Awards given"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৬-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "Badal Roy no more"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ ক খ "Badal Roy breathes his last"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-১১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ "President's Gold Cup"। www.rsssf.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।