বহুব্রীহি (উপন্যাস)
বহুব্রীহি হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি কৌতুকাশ্রয়ী উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়।
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রকাশক | খান ব্রাদার্স |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৯০ |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনামধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা সোবাহান সাহেব সম্প্রতি ওকালতি থেকে অবসর নিয়েছেন। তার দুই মেয়ে বিলু ও মিলি এবং স্ত্রী মিনুকে নিয়ে সুখের সংসার। আর আছে ফরিদ মামা আর কাজের লোক রহিমার মা ও কাদের। হঠাৎ তিনি দেশের ইলিশ সংকট নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। নদীতে জাটকা ধরা পড়ছে ও বাজারে ইলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি ভাবতে লাগেন, ইলিশ অদূর ভবিষ্যতে একটা জাদুঘরের জিনিস হবে। অনেক চিন্তাভাবনার পর তিনি এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে গিয়ে সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তি উত্থাপন করেন যে বাঙালিকে এক বছরের জন্য ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। বাঙালির ওই এক বছরের সংযম থেকে বহু বছরের ইলিশ সংস্থান হয়ে যাবে।
নাট্যরূপ
সম্পাদনাউপন্যাস বহুব্রীহি ধারাবাহিক হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। এ ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, "আমার নাটক এবং সিনেমার গল্পটা আগে লেখি। সেখান থেকে চিত্রনাট্য তৈরি করে নাটক বা সিনেমা বানাই। একমাত্র ব্যতিক্রম বহুব্রীহি। আগে নাটক বানিয়ে সেখান থেকে উপন্যাস লেখা।"[১]
ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেন আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, আফজাল হোসেন, লুৎফুন নাহার লতা, লাকী ইনাম, আবুল খায়ের, আফজাল শরীফ প্রমুখ। ধারাবাহিকটি বিপুল দর্শক সমাদর লাভ করে, এবং হাসির ধারাবাহিক হিসাবে আজও জনপ্রিয়। নাটকটির প্রযোজক ছিলেন নওয়াজিশ আলি খান।[২]
এ নাটকের বিখ্যাত সংলাপ
- তুই রাজাকার।[৩]
- আপনি হলেন গিয়ে বটবৃক্ষ।
- বহিষ্কার হও।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বহুব্রীহি"। রকমারি। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "বহুব্রীহি অধ্যায়"। দৈনিক সমকাল। ১৬ এপ্রিল ২০২০। ১৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "টিভি নাটকে বিপ্লব"। দৈনিক যায় যায় দিন। ৩১ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৬।