বদরগঞ্জ উপজেলা
বদরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের রংপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। বদরগঞ্জ থানা রূপে আত্মপ্রকাশ করে ১৭৯৩ সালে এবং উপজেলা হিসেবে ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে।
বদরগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বদরগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪০′ উত্তর ৮৯°৩′ পূর্ব / ২৫.৬৬৭° উত্তর ৮৯.০৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | রংপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩০১.২৯ বর্গকিমি (১১৬.৩৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৫৭,৮৪৬ |
• জনঘনত্ব | ৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৮৫ ০৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাজনশ্রুতি আছে, মরমী সাধক হযরত বদরউদ্দিন শাহের নামানুসারে বদরগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে। তার সমাধি শহরের মাঝখানে অবস্থিত।[২] অনেকে আবার বদর যুদ্ধের নাম এখানে উল্লেখ করেন।
বাংলা বিজয়ের পর, তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি তার ঘোড়াদের খাওয়ানোর জন্য ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে তিব্বত আক্রমণের সময় মানসিংহপুর, মাদাই খামারের একটি মাঠে থামেন। সেই ঘটনার পর মাঠের নাম হয় 'বখতিয়ার ডাঙ্গা'। পরে এর নাম হয় বদরগঞ্জ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ার বিল ও পদ্মপুকুরে গণহত্যার ঘটনা ঘটে।[২]
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাবদরগঞ্জ উপজেলা রংপুর শহর থেকে পশ্চিমে, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার পূর্বে অবস্থিত। এর দক্ষিণে মিঠাপুকুর উপজেলা এবং উত্তরে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা অবস্থিত। উত্তর অক্ষাংশে ২৫°৩২' ও ২৫°৪৬' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ৮৮°৫৬' ও ৮৯°১০' অবস্থিত। এর আয়তন ৩০১,২৯ বর্গকিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনা- ইউনিয়ন - ১০টি
- মৌজা - ৬৪ টি
- গ্রাম - ১২০ টি
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
সম্পাদনাপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রাধানগর ইউনিয়নের লাল দীঘির পাড়ে নয় গম্বুজ মসজিদ, কুতুবপুর ইউনিয়নে কুতুব শাহের সমাধি, বখতিয়ার ডাঙ্গা, মানসিংহপুরের ভীম গড়, মাধাই খামার, দিলালপুরের জমিদার বাড়ি।[২]
জনসংখ্যা
সম্পাদনাবদরগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৫৭৮৪৬ জন। তার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৩২৬১১ জন এবং নারীর সংখ্যা ১২৫২৩৫ জন। এই উপজেলায় মুসলিম সংখ্যা ২২৫৫০২ জন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ৩০০৭৩ জন। এছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সংখ্যাও বিশেষ অবস্থান নিয়ে আছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষা
সম্পাদনাবদরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার গড় অনুপাত ৫১.৩৬%। পুরুষ শিক্ষার হার ৫৬.৮৩% এবং নারী শিক্ষার হার ৪৫.৯%। বদরগঞ্জে ৭টি কলেজ, ৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য বদরগঞ্জ সরকারি কলেজ, বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খাগড়াবন্দ আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, বকশিগঞ্জ হাইস্কুল ও কলেজ এবং বদরগঞ্জ ওয়ারেছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অর্থনীতি
সম্পাদনাবদরগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যার ৬৯.৫৪ শতাংশ জীবিকা হিসেবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে ৩.৩২% শ্রমিক, ০.৪৮% শিল্প, ১৩.৮% ব্যবসা, ৪.৫৮% সরকারি চাকরিজীবী বসবাস করেন। এখানকার প্রধান শস্য ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা, তামাক, শাকসবজি, ছাড়াও কাউন, তিল, ডালের উৎপাদন হয়ে থাকে। এই এলাকার প্রধান ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, বড়ই, জাম, আতা ও জামরুল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- মজিবর রহমান - একুশে পদক বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা।
- আনিছুল হক চৌধুরী - রাজনীতিবিদ, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
- এ. টি. এম. আজহারুল ইসলাম - বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ।
- পরিতোষ চক্রবর্তী - বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
- আবদুল বাতেন (বীর প্রতীক) - বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা।
- আহসানুল হক চৌধুরী - বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
- এ কে এম জাকির হোসেন - কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
- ছয়ের উদ্দিন আহমেদ - একজন বাম ধারার রাজনীতিবিদ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক বদরগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "Badarganj Upazila - Banglapedia"। en.banglapedia.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |